Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে হামলা বেশ কিছু মার্কিন সেনা আহত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ১৭৮জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এতে বেশ কিছু মার্কিন সেনা আহত হয়েছে।

আল আসাদ নামের বিমানঘাঁটিতে হওয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেশ কিছু মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন। তবে, তাদের সংখ্যা ঠিক কত তা প্রকাশ করা হয়নি। মূলত এই আল আসাদ বিমানঘাঁটিতেই মার্কিন সেনারা অবস্থান করছেন।

রোববার (২১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে একটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনা সদস্য আহত হয়েছেন।

মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, ইরান-সমর্থিত একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠী শনিবার সন্ধ্যায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট দিয়ে আল আসাদ বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলায় অনির্দিষ্ট সংখ্যক মার্কিন সেনা সদস্য আহত হয়েছেন এবং তাদের ‘আঘাত মূল্যায়ন করা হচ্ছে’। এছাড়া হামলায় অন্তত একজন ইরাকি সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। হামলার সময় বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই আটকে দেওয়া হয়েছিল। কিছু ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ প্রতিরক্ষা এড়িয়ে এই ঘাঁটিতে আঘাত করে। হামলার পর ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টিও মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ওই অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বিরোধী ইরানের মিত্ররাও লেবানন, সিরিয়া এবং ইরাকে মার্কিন স্বার্থকে লক্ষ্যবস্তু বানানোয় নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এছাড়া সিরিয়া, ইরাক ও পাকিস্তানের লক্ষ্যবস্তুতে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইরানের সামরিক বাহিনীও বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে।


আরও খবর



রাজধানীতে ‘হিটস্ট্রোকে’ দুজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হিটস্ট্রোক অথবা অন্য কোনো অসুস্থতার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা পুলিশের রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আলাদা জায়গা থেকে দুই ভবঘুরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তারা দুজনে ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত ছিলেন। ।

সোমবার (২২ এপ্রিল) যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস মণ্ডল ও উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদা রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তাপস মণ্ডল সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। যাত্রাবাড়ী দক্ষিণ শেখদি ৫ নম্বর রোড থেকে রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রোববার দিবাগত রাতে মরদেহ উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত ছিলেন। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মাথা ঘুরে হিটস্ট্রোক বা অন্য কোনো অসুস্থতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদা রহমান জানান, রাতে যাত্রাবাড়ী জনপদ মোড়ের পশ্চিম খাজা হোটেলের সামনের ফুটপাত থেকে উদ্ধার করা হয় অজ্ঞাতনামা অপর ব্যক্তির মরদেহ। তিনিও ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত ছিলেন। অসুস্থতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, তাদের পরিচয় শনাক্তের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।


আরও খবর



মিরসরাইয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়ক নকল করে চা পাতা বিক্রি, অভিযানে ৫ টন জব্দ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:বাজারে বিদ্যমান বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়ক নকল করে ও বিএসটিআই এর অনুমোদন ব্যতীত চা পাতা বিক্রির অভিযোগে মিরসরাইয়ে একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫ টন চা পাতা জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। শনিবার (৪ মে) রাতে উপজেলার বড়তাকিয়া বাজারের মা মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় একটি গোডাউনে এই অভিযান পরিচালনা করেন মিরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী। অভিযানে ৪ টি প্যাকেজিং মেশিন, ৩ হাজার নকল চা পাতার মোড়ক, ৫ টন চা পাতা জব্দ করা হয়।

জানা গেছে, বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন মোড়কীকরণ করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নাম দিয়ে ঝন্টু দাশ নামের এক ব্যক্তি অসাধু উপায়ে দীর্ঘদিন ধরে চা পাতা  বাজারজাত করে আসছিলেন। তিনি সিলনের পরিবর্তে স্যাভরণ, ইস্পাহানি মির্জাপুরের পরবর্তী মিয়াজিপুরসহ একাধিক ব্র্যান্ডের চা পাতা হুবহু নকল করে আসছিলেন। সরকারি একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার বড়তাকিয়া বাজারের উত্তর বাজারে মা মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। 

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী জানান, বিএসটিআই এর অনুমোদন ব্যতীত চা পাতা মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্যাকেট করা হচ্ছিল যা বিএসটিআই আইন ২০১৮ অনুযায়ী অপরাধ এবং একই সাথে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী অপরাধ। বিএসটিআই এর প্রতিনিধির প্রসিকিউশন রিপোর্টের ভিত্তিতে নিয়মিত মামলা করার জন্য মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। এ ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সহিদুল ইসলাম বলেন, চা পাতা জব্দের ঘটনায় বিএসটিআই এর প্রতিনিধি বাদী হয়ে মামলা করবেন। অভিযোগ দায়েরের পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



ফকিরহাটে বোর ধানের বাম্পার ফলন কৃষক ঘরে তুলছে সোনালী ধান

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

ফকিরহাট(বাগেরহাট)সংবাদদাতা:বাগেরহাটের ফকিরহাটে চলতি বোর মৌশুমে বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষে করে বাম্পার ফলন হওয়ায় বেজায় খুশি চাষি। অতিমাত্রায় দাবদাহ উপক্ষা করে মাঠ থেকে ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। দৈনিক ৮শ’ থেকে ১হাজার টাকা দিন হাজিরায় কাজ করছে কৃষাণ। শ্রমিকের মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান কাটতে কৃষককে সহযোগীতা করছে কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ মৌশুমে ৮হাজার ৪শ’৭১হেক্টর জমিতে বোর ধানের আবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি প্রায় ৭টন ধান উৎপাদন হয়েছে। ইতমধ্যে ৭৫ ভাগ ধান কাটা হয়েছে।

অঞ্জন ব্যানার্জী, ফিরুজা বেগম, রাজ্জাক শেখসহ স্থানীয় কৃষকরা জানান, বৈরি আবহাওয়ায় হিটইনজুরিসহ ব্লাষ্ট, মাজরা ও কারেন্ট পোঁকার আক্রমন প্রতিরোধে কৃষি বিভাগের পরার্মশ্যে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি। সময় মত ব্যবস্থা নেওয়ায় ধানে চিটা হয়েছে অনেক কম তাই ফলন হয়েছে অনেক ভালো।

বেতাগার উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা প্রদিপ জানান, শ্রমিকের মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ইউনিয়নের প্রায় ৮০ভাগ জমির ধান যান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাটা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বৈরি আবহাওয়া মোকাবেলায় আমাদের পরার্মশ্য ও কৃষকের প্ররিশ্রম সার্থক হয়েছে। কোন ধরনের ক্ষয় ক্ষতি ছাড়াই বোর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের ধান ঘরে তুলতে উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রতিটি ইউনিয়নে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান কাটতে উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় পৃথক পৃথক গ্রুপ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে কৃষকের সকল ধান কাটা হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কক্সবাজারে ভ্রমণ প্রলোভনে সমালোচনার ঝড়

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষিকাদের (সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার) অনুষ্ঠানে আবারও নির্বাচিত হলে তাদের কক্সবাজার ভ্রমণের আশ^াস দিয়েছেন এক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে তার এমন ঘোষণায় নানা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অন্যান্য প্রার্থীরাও।

এলাকাবাসী, প্রার্থী সমর্থকরা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। এর ধারাবাহিকতায় আগামী ২১শে মে কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী মাঠে একাধিক চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। কিন্তু এদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. কামাল উদ্দিন সিকদার গত মঙ্গলবার দুপুরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষিকাদের কৌশলে আমন্ত্রন জানায়। আমন্ত্রনে সাড়া দিয়ে উপজেলার কালামপুর এলাকায় সোহাগ পল্লী পিকনিক স্পটে প্রাথমিক শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়ন ও ঈদ পুনর্মিলনী নামে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক-শিক্ষিকারা আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নের নামে সহ¯্রাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে ডেকে তার নির্বাচনী প্রচারণা করেন ওই প্রার্থী। এসময় চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল উদ্দিন সিকদার বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি আবারও চেয়ারম্যান প্রার্থী। এ নির্বাচনে আরো ২-৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী আছেন। আপনারা বিচার বিশ্লেষন করে আমাকে সহযোগিতা করবেন। যদি আমি আবারও নির্বাচিত হতে পারি তাহলে তিন মাসের মধ্যে অবশ্যই প্রত্যেক শিক্ষক পরিবারকে নিয়ে দুইদিনের জন্য কক্সবাজারে সফর করা হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে তার এমন ঘোষণায় বিভিন্ন মহলসহ চা-দোকানেও নানা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এদিকে আসন্ন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন ও অপর একটি বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের ফরম পুরণের অর্থ দেওয়ার ঘোষণা দেন ওই প্রার্থী।এসব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অন্যান্য প্রার্থীরাও।

মুরাদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কালিয়াকৈর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন দেওয়ান জানান, আমরা শিক্ষকরা নির্বাচনে সহকারী প্রজাইডিং ও পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করে থাকি। তবে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এভাবে নির্বাচনী প্রচারণা করবেন আগে জানলে আমরা যেতাম না।

ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষকরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. হাফিজুর রহমান। আচরণ বিধিতে উল্লেখ আছে, সরকারী কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। আর নির্বাচনের আগ মুহুর্তে কোনো প্রার্থী শিক্ষকদের ডেকে এনে এ ধরণের প্রলোভন দেওয়া নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘণ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল ॥৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের অধিকার ও নিরাপত্তার দাবিতে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। এই দিবসটি সামনে রেখে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শতাধিক সংগঠন। ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ অনুযায়ী, ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে দিবসটিকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস হিসেবে পালনের স্বীকৃতি দেয়া হয়। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপি গণমাধ্যমকর্মীরা ও তাদের বিভিন্ন সংগঠন এই দিবসটি পালন করে আসছে। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবনদানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো প্রভৃতি কর্মসূচি এই দিবসে পালন করা হয়।

গণমাধ্যম গণতন্ত্রের সদা জাগ্রত প্রহরী। কোথাও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে, গণতন্ত্রের মর্যাদা লুন্ঠিত হলে, কিংবা গণতন্ত্রের পবিত্রতা কোন কারণে কলুষিত হলে, গণমাধ্যমের নির্ভিক কন্ঠ সেখানে সোচ্চার হয়ে উঠে। গণমাধ্যম তাই জনগনের পবিত্র গণতান্ত্রিক অধিকার সংরক্ষণে সর্বদা দায়িত্বশীল অভিভাবক। গণমাধ্যম জনগণকে সচেতন করতে সদা সচেষ্ট এবং জনগণ ও সরকারের মধ্যে গণমাধ্যম সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। জনসাধারণের মতামত/চিঠিপত্র প্রভৃতি প্রকাশের মাধ্যমে জাগ্রত জনমতকে প্রতিফলিত করে সংবাদপত্র পালন করে তার পবিত্র নৈতিক দায়িত্ব। তাই বলা হয় “ওঃ রং ঃযব চবড়ঢ়ষবং চধৎষরধসবহঃ ধষধিুং ংবংংরড়হং” মন্তব্যটি সর্বোতভাবে স্বার্থক। সংবাদপত্র আক্ষরিক অর্থেই সদা জাগ্রত জাতীয় সংসদ।

গণমাধ্যম একটি সমাজ বা জাতির সামগ্রিক জীবনের প্রাত্যহিক দলিল। তাই গণমাধ্যমকে অবশ্যই স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হতে হবে। গণমাধ্যম হতে হবে জনসাধারণের স্বার্থ রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী। জনগণের স্বার্থে গণমাধ্যম যেমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে, তেমনি ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্যে করবে সংগ্রাম। গণমাধ্যমকে নির্ভীক ও অকপট হতে হবে। আমাদের দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আশানুরুপ নয়। ক্ষমতাসীন প্রতিটি সরকারই স্বীয় দলের স্বার্থে গণমাধ্যমের উপর আধিপত্য বিস্তারের অপচেষ্টায় লিপ্ত থেকে বারবার গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করেছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার দীর্ঘ ৫৩ বছরেও গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম কোনটাই শক্তিশালী হতে পারেনি। কারণ দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ৪৪ মাসের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর বারবার সামরিক অভ্যুত্থান, হত্যা, রক্তপাতের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের তৎপরতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য, যুব সমাজের মধ্যে সৃষ্ট হতাশা, বেকারত্ব, জনস্ফীতি, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, ঘুষ-দুর্নীতি, দলীয়করণ ইত্যাদি অবক্ষয় স্বাধীনতার মুল লক্ষ্য গণতন্ত্র, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারকে বিপন্ন করে চলেছে। দেশের সবক্ষেত্রেই ব্যবসায়িক মানসিকতা বিদ্যমান। তোষামোদ, সুবিধাবাদিতা আর মিথ্যাচার সুবিধাভোগী সমাজকে স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার শিখরে নিয়ে যাচ্ছে। বেশীর ভাগ গণমাধ্যম গণমানুষের মুখপত্র না হয়ে সুবিধাবাদী তল্পিবাহক, দুর্বৃত্ত রাজনৈতিক গোষ্ঠির ক্ষমতারোহন কিংবা ক্ষমতাকে পাকাপোক্তকরণের হাতিয়ারে পরিণত হচ্ছে।
দেশের গণতন্ত্র দুর্বল থাকলে চেষ্টা করলেও গণমাধ্যম শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে না। কোন সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম অথবা গণমাধ্যমকর্মী সমাজে ন্যায় বিচার, আইনের শাসন ও মানবাধিকার রক্ষার আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলেই নানা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তবে শত ঝুঁকির পরেও গণমাধ্যম তাদের দায়িত্ব, সততা, নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সাথে পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আর দেশের গণমাধ্যম ও তার কর্মীরা যত দলনিরপেক্ষ, নির্ভীক, শিক্ষিত ও সৎ হবেন, ততই দেশের জন্য মঙ্গলজনক।

গণতন্ত্র বলতে জনসাধারণের শাসন ব্যবস্থাকে বুঝায়। যে শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকে তাকে গণতন্ত্র বলে। গণতন্ত্র অর্থ জনসাধারণের শাসন। জনগণ যখন সকল ক্ষমতার অধিকারী হয় এবং রাষ্ট্র পরিচালনার ভার জনগণের ওপর ন্যস্ত থাকে তখন তাকে গণতন্ত্র বলা হয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা গণতন্ত্রকে রাষ্ট্রের সকলে অংশ গ্রহণ করতে পারে এমন এক ব্যবস্থা বলেছেন। কাজেই বলা যায়, যে সরকার বা শাসন ব্যবস্থায় জনমতের প্রধান্য স্বীকৃত হয় এবং জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালিত হয় তাই গণতন্ত্র। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন গণতন্ত্রের একটি জনপ্রিয় সংজ্ঞা দিয়েছেন “উবসড়পৎধপু রং ধ এড়াবৎহসবহঃ ড়ভ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব, নু ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব ধহফ ভড়ৎ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব) তাঁর মতে “জনসাধারণের জন্য, জনসাধারণের দ্বারা পরিচালিত এবং জনসাধারণেই সরকারই হল গণতন্ত্র।

গণতন্ত্র নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করে, ফলে গণতন্ত্রে নাগরিকদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের যথেষ্ট সুযোগ ও স্বাধীনতা থাকে। গণতন্ত্র আর গণমাধ্যম একটি আরেকটি পরিপূরক। যেখানে গণমাধ্যম যতবেশী শক্তিশালী যেসখানে গণতন্ত্র বেশী শক্তিশালী। পরমত সহিষ্ণুতাই গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় কথা। আলোচনা, মতপ্রকাশ, ঐক্য, সংহতি হলো গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ সিঁড়ি। অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। মৌলিক অধিকার হলো মত প্রকাশের স্বাধীনতা। বাংলাদেশের সংবিধানের ধারার ৩৯(১) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা নিশ্চয়তা দান করা হয়েছে এবং ৩৯ (২) সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে।

গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ, জাতির বিবেক, জনতার কন্ঠস্বর, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ ইত্যাদি নানা নামে গণমাধ্যমকে অভিহিত করা হয়। কিন্তু সেই জাতির বিবেকের উপর চলে নানা জুলুম, অন্যায়-অত্যাচার, গণমাধ্যমকর্মীদের উপর করা হয় নির্যাতন, এমনকি তাদের হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু খুনি ও নির্যাতনকারীরা আইনের আওতায় আসছে না, তাদের শাস্তি হচ্ছে না। এই বিষয়ে সাংবাদিক ইউনিয়ন বা সংগঠনগুলোর ঐক্য প্রয়োজন। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও পেশাগত মর্যাদার জন্যে রাজনৈতিক বিশ্বাসের উর্ধ্বে উঠে সকল সাংবাদিক সংগঠনগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি। আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিকদের পেশাগত ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।
পরিশেষে বলা যায় যে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা অপরিহার্য। তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি জানানো হয় যে, তথ্য মন্ত্রণালয় সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ও বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণ, গণমাধ্যমের সহায়তায় জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, গণমাধ্যম শিল্পের মানোন্নয়ন, সম্প্রচার ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির লালন, বিকাশ ও সংরক্ষণ এবং গণমাধ্যমকর্মীর পেশাগত দক্ষতা ও সেবার মানোন্নয়নের কৌশলগত উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সম্মেলনে আরো জানানো হয় যে, বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সচেষ্ট রয়েছেন। কিন্তু সাংবাদিকগণ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রায় হামলা ও নানা রকম হুমকীতে শিকার হতে হয়। গত ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নিজ বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি ও মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার। নিহতদ্বয় স্বামী-স্ত্রী। ছয় বছর বয়সী একমাত্র শিশু পুত্র মাহির সরোয়ার মেঘের সম্মুখে এই সাংবাদিক দম্পত্তি খুন হয়েছেন। কিন্তু আজো খুনীদেরকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরতে পারেনি, কিংবা চিহ্নিত করতে পারেনি। ২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি পল্টনের নিজ বাসায় খুন হন দৈনিক জনতার সহ-সম্পাদক ফরহাদ খাঁ ও তাঁর স্ত্রী রহিমা খাতুন। বিগত খালেদা-নিজামীর আমলে খুন হন সাংবাদিক মানিক সাহা, হুমায়ুন কবির বালুসহ আরো অনেকে। বর্তমান সরকার গণমাধ্যম কর্মী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও ‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্ট’ গঠনসহ সাংবাদিকদের কল্যাণে কতিপয় প্রসংশনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গণমাধ্যম কর্মী আইনটি সংসদে উপস্থাপিত হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয়  স্থায়ী কমিটিতে আইনটি যাচাই-বাচাইয়ের জন্যে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জারি করেন নিউজপেপার এমপ্লয়ীজ (কন্ডিশন অব সার্ভিস) অডিন্যান্স জারি করেন। এই আইনের অধীনে সাংবাদিক ও সংবাদপত্র বোর্ড কর্মচারীদের  ওয়েজ বোর্ড  হয়ে আসছিল। কিন্তু ৬ষ্ঠ ওয়েজ বোর্ড গঠনের সময় ধরা পড়লো বিএনপি সরকার কোনো অংশীজনের সাথে আলোচনা না করে এই আইনটি বাতিল করে দিয়েছে। উল্লেখ্য যে, ১৯৭৪ সনের আইনটি সাংবাদিকতা পেশাকে কয়েকটি বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। এই আইনে সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যমের কর্মচারীদের অধিকার ও বিরোধ নিস্পত্তির বিষয়গুলো শ্রম আইনের মধ্যে রেখেও কিছু বিশেষ মর্যাদা নিশ্চিত করেছিল। এই গুলো হচ্ছেঃ সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যমে কর্মচারীদের জন্য পৃথক ওয়েজ বোর্ড গঠন, পেশার সংজ্ঞায়ন,  বিশেষায়িত বলে কতপিয় বিশেষ সুবিধা  নিশ্চিতকরণ। প্রক্রিয়াধীন  নতুন আইন ১৯৭৪ সালের আইনের মূল চেতনা ধারণ করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। নতুন আইনে বিশেষ অধিকারগুলো সুনির্দিষ্ট করবে, প্রচলিত শ্রম ও সংশ্লিষ্ট আইনের সাথে বিশেষায়িত বিষয়গুলো সমন্বয় করবে, যেগুলো বিধিতে আনা সম্ভব সেগুলো বিধির জন্য পাঠাবে, যেগুলো ওয়েজ  বোর্ড নির্ধারিত হবে সেগুলো পৃথক করবে, ‘যা বাহুল্য তা’ বাতিল করবে। এভাবেই নতুন আইনটি সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইন,  বেসরকারি বেতার মাধ্যমে সাংবাদিক, আলোকচিত্র সাংবাদিকসহ গণমাধ্যমের সকল কর্মচারীদের অধিকার, নিরাপত্তা, মর্যাদা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। এই নতুন আইনটি দ্রুত প্রণয়ন ও গেজেট আকারে প্রকাশ এবং গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বর্তমানে বিদ্যমান আইনসমূহের কার্যকর প্রয়োগ অপরিহার্য। দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

আরও খবর