Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ফের বিতর্কে জড়াল ‘শিবপুর’ সিনেমা

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২৪৬জন দেখেছেন

Image
বিনোদন ডেস্ক ;বিতর্ক ছিলই, ট্রেলার মুক্তির দিন ফের বিতর্কে জড়াল ‘শিবপুর’ সিনেমা। পরিচালক অরিন্দম ভট্টাচার্য নিজেই নাকি প্রচার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি! এ বার মুখ খুললেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদপ্রতিদিনের খবরে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সিনেমার ট্রেলার মুক্তির দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফের বিস্ফোরক পোস্ট করেন এ অভিনেত্রী।

পোস্টে স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘ট্রেলার মুক্তির অনুষ্ঠানে আমি যাব কি না, এটা জানতে কিছুদিন ধরেই বহু সাংবাদিক বন্ধুরা আমায় ফোন করছিলেন। আমি বলছি ট্রেলার লঞ্চে যাব না। এটাই স্বাভাবিক। প্রথমত আমি কলকাতায় নেই, আর কলকাতায় থাকলেও আমি যেতাম না। যদি কেউ এটা নিয়ে অন্য তথ্য বলে থাকেন, তাহলে মিথ্যা বলছেন।’

এদিকে জানা যাচ্ছে, ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে স্বস্তিকাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় অনেক পরে। আর সেটাও নাকি ই-মেইল করে আমন্ত্রণ জানানো হয়, ফোন করা হয়নি। আমন্ত্রণ জানানো হয়নি সিনেমার পরিচালক অরিন্দম ভট্টাচার্যকেও। যদিও প্রযোজকদের দাবি, তারা সকলকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। যদিও পরিচালককে আমন্ত্রণ জানানোর প্রশ্ন উঠলে জানান, খোঁজ নিতে হবে।

উল্লেখ্য, ‘শিবপুর’ সিনেমার প্রযোজক সন্দীপ সরকারের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। অভিযোগ ছিল প্রযোজক তার কোনো বন্ধুর মেইল আইডি থেকে স্বস্তিকার নগ্ন ছবি অভিনেত্রীকে পাঠান। হুমকি দেওয়া হয়েছিল, প্রযোজকের কথা মতো কাজ না করলে সেই ছবি ভাইরাল করা হবে। আর এরপরই সেই ঘটনা নিয়ে পুলিশের ও ইম্পার দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। 

সিনেমার অন্যতম প্রযোজক অজান্তা সিংহ রায়ের অভিযোগ ছিল, পরিচালক অরিন্দম ভট্টাচার্যের ইন্ধনেই নাকি স্বস্তিকা এমন অভিযোগ এনেছেন। এরপর গত ১০ এপ্রিল পরিচালকের বিরুদ্ধে জোর করে টাকা আদায় হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন প্রযোজক। 


আরও খবর



নবীনগরে নিখোঁজ সুমাইয়া আক্তার এসএসসি পরীক্ষায় পেলেন জিপিএ ৪.২৭

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৮৬জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ  নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মেঘনা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ সুমাইয়া আক্তার এসএসসি পরীক্ষায় হাজী ছোট কলিম স্কুল এন্ড কলেজ মুলাইদ,মাওনা, শ্রীপুর, গাজীপুর থেকে জিপিএ ৪.২৭ পেয়েছে।

প্রায় ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো সন্ধান মিলেনি পরিবারের সদস্যদের চোখের পানি থামানো যাচ্ছে না। মেঘনা নদীর পাড়ে দিন রাত বসে তাকিয়ে আছে পরিবারের সদস্যরা সুমাইয়া আক্তার কে শেষ দেখা দেখতে।

উল্লেখ্য নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্ৰাম ইউনিয়ন মানিকনগর বাজারের পশ্চিম পাশে মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে সুমাইয়া আক্তার (১৬) নামে এক কিশোরী নিখোঁজ হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নাছিরাবাদ গ্রামের হোরন ফকিরের বাড়ি সংলগ্ন মেঘনা নদীতে তলিয়ে যায় সে। সুমাইয়া শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার মেয়ে। সে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল।

স্বজনরা জানায়,নবীনগর উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে সুমাইয়ার পৈত্রিক বাড়ি হলেও তার বাবা বাবুল মিয়া গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার মাওনায় ব্যবসার করার কারণে গাজীপুরের মাওনায় বসবাস করতো,নাছিরাবাদ গ্রামে গত (০১ মে) বুধবার মামাতো বোনের বিয়েতে অংশ নিতে মামার বাড়ি এসেছিল সুমাইয়া।

গত (৩ মে)শুক্রবার দুপুরে মামাতো বোন রাকিবাকে নিয়ে নদীতে গোসল করতে যায় সে। এসময় নদীর পাড়ে বসে ছিল সুমাইয়া আক্তারের ছোট ভাই পানির স্রোতে দুজনেই তলিয়ে যেতে থাকলে  তাদের চিৎকারে পাশে থাকা বেদে সম্প্রদায়ের কয়েক জন ও স্থানীয়রা রাকিবাকে উদ্ধার করা হয়। তবে সুমাইয়া এর আগেই পানিতে তলিয়ে যায়।

গত (৩ মে)শুক্রবার খবর পেয়ে নবীনগর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে ডুবুরী দলকে খবর দেয়। পরে চাঁদপুর থেকে ৫ সদস্যের একটি ডুবুরী দল এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট থেকে ৭.৩০ মিনিট পর্যন্ত অভিযান চালালেও সুমাইয়ার কোন হদিস পাওয়া যায়নি।  পরদিন (৪ মে)শনিবার সকাল আটটার দিকে ডুবুরী দল অভিযান শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সন্ধান মিলেনি পারে স্বজনদের বলেন আপনারা নৌকা দিয়ে নদীর আশেপাশে খোঁজ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

নিখোঁজ সুমাইয়া আক্তারের মামা নবীনগর থানা প্রশাসন  ফায়ার সার্ভিসের ও ডুবুরী দলের সকল সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি আরো বলেন আমার ভাগ্নির জন্য দেশ বাসীর কাছে দোয়া চাই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন আমার পরিবারের সদস্যদের সুমাইয়া আক্তার কে শেষ দেখার সুযোগ করে দিন।

    -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



কমিউনিটির মধ্যে বন্ধন গড়ে তুলতে আইএসডি ফেয়ার অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৬১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্কুল, শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির মধ্যে ঐক্য ও একাত্মত উদযাপনে আইএসডি ফেয়ার এর আয়োজন করেছে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা। স্কুল প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

কমিউনিটির সবাই যেন একে অন্যের সাথে হৃদ্যতার বন্ধনে যুক্ত হতে পারে এ উদ্দেশ্যেই এ মেলায় আয়োজন করা হয়। মেলায় আগতদের জন্য ছিল ডল ক্যাচার, জাঙ্গল বাম্পার, বাস্কেটবল, মিনি ট্রেইন রাইড, মাসকট ডান্স, পাপেট শো, নাগরদোলা, বাবল রুম ও ইনফ্ল্যাটেবল স্লিপারি ফুটবল ফিল্ডসহ বিভিন্ন কার্যক্রম।

অনুষ্ঠানে যোগ দেয় বাংলাদেশ সফররত জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। এসময় তারা স্কুলটির শিক্ষার্থীদের সাথে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেয় এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, সংগীত এবং গেইম উপভোগ করেন। মেলার এ আয়োজনকে আরও উপভোগ্য করে তুলতে অতিথিদের পছন্দের গান পরিবেশন করে শাওন গানওয়ালা ও তার দল।

মেলার টাইটেল স্পন্সর ছিল ইউনিমার্ট, গোল্ড স্পন্সর হিসেবে ছিল স্টেপ মিডিয়া, সাউথ ইস্ট ব্যাংক ও লংকা বাংলা এবং সিলভার স্পন্সর হিসেবে ছিল এভারকেয়ার হাসপাতাল।

এ আয়োজন নিয়ে আইএসডি’র পরিচালক স্টিভ ক্যালান্ড-স্কোবল বলেন, “কমিউনিটির সকল পরিবারকে একসাথে করা এবং আমাদের সবার মধ্যকার বন্ধন গড়ে তুলতে ও উদযাপনে আমরা এ মেলার আয়োজন করে আসছি। এবং আমার বিশ্বাস এক্ষেত্রে আমরা সফল হয়েছি। সামনের দিনগুলোতেও আমরা ধারাবাহিকভাবে এ মেলা আয়োজনের ব্যাপারে প্রত্যাশী।”


আরও খবর



মহান মে দিবস, বঙ্গবন্ধু ও শ্রমিক অধিকার

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল ॥১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, যা বিশ্ব পরিমন্ডলে ‘মহান মে দিবস’ বা শ্রমিক দিবস হিসেবে গুরুত্বসহকারে পালন করা হয়। বিশ্বের শ্রমজীবী-কর্মজীবী, পেশাজীবী, মেহনতি মানুষের ঐক্য, সংহতি, সংগ্রাম, সাফল্য ও বিজয়ের দিন মহান মে দিবস। মে দিবস এলেই আমাদের সামনে ভেসে ওঠে ঘর্মাক্ত মেহনতি-শ্রমজীবী মানুষের প্রতিচ্ছবি। আর এই শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের প্রশ্নটিও সাথে সাথে উঠে আসে এই ঐতিহাসিক দিনে। এই দিবসের তাৎপর্য অনেক, এর পেছনে রয়েছে একটি রক্তস্নাত ইতিহাস। ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে আট ঘণ্টা শ্রম দিবস, মজুরী বৃদ্ধি, কাজের উন্নতর পরিবেশ ও শ্রমের ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠা করার আন্দোলনে আত্মহুতি দান করেছিলেন শ্রমিকরা, ১ মে তারিখে বিভিন্ন দাবিতে ধর্মঘট সমাবেশে পুলিশের গুলি বর্ষণে ৬ জন শ্রমিক প্রাণ হারায়। এর প্রতিবাদে পরদিন হে মার্কেটে শ্রমিকরা মিলিত হলে কারখানার মালিকরা সেখানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং এতে ৪ শ্রমিক নিহত হয়। শ্রমিকদের নিয়ে আন্দোলন করার দায়ে অগস্ট স্পাইস নামে এক শ্রমিক নেতাকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যালিষ্ট কংগ্রেসে ১ মে শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষিত হয় এবং তখন থেকে অনেক দেশে দিনটি শ্রমিক শ্রেণী কর্তৃক উদযাপিত হয়ে আসছে।

রাশিয়া এবং পরবর্তীতে আরো কয়েকটি দেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংগঠিত হবার পর মে দিবস এক বিশেষ তাৎপর্য অর্জন করে। জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক শাখা হিসেবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ইন্টারন্যাশনাল লেবার অরগানাইজেশন বা আইএলও) প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার সমূহ স্বীকৃতি লাভ করে। আইএলও কতগুলো নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠা করে এবং সকল দেশের শিল্প মালিক ও শ্রমিকদের তা মেনে চলার আহ্বান জানায় এবং এভাবে শ্রমিক ও মালিকদের অধিকার সংরক্ষণ করার চেষ্টা করে। বাংলাদেশ আইএলও কর্তৃক প্রণীত নীতিমালায় স্বাক্ষরকারী একটি দেশ। বাংলাদেশে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে মে দিবস পালিত হয়ে আসছে।
রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, বিরোধীদলীয় নেতা এবং সংশ্লিষ্ট শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বাণী দিয়ে থাকেন। মে দিবসের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার জন্যে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র বা প্রবন্ধ কিংবা বিশেষ নিবন্ধন প্রকাশ করে। মাথায় রঙ-বেরঙের কাপড় বেধে নানা রঙের ফেস্টুনসহ শ্রমিকরা মিছিল শোভাযাত্রা বের করে, বেতার ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠানাদির ব্যবস্থা করে। বাংলাদেশে বিভিন্ন পেশাজীবী, শ্রমজীবী এবং সামাজিক -সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো নানা আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি পালন করে থাকে। দেশের সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এই সকল সভা-সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের খবর গুরুত্বসহকারে প্রচার করে থাকে। বাংলাদেশ মে দিবস পালনের ক্ষেত্রে মোটেও পিছিয়ে নেই। এ দেশে ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯৩৮ সালে নারায়ণগঞ্জে প্রথম মে দিবস পালিত হয়। তারপর পাকিস্তান আমলেও মে দিবস যথেষ্ট উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে হাজার হাজার শ্রমিক অংশগ্রহণ করে এবং দেশ মাতৃকার জন্যে শহীদ হয়।

১৯৭২ সালে ১ মে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১ মে-কে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা সহ রাষ্ট্রপতি আদেশ ২৭(ক) ধারা মোতাবেক এদেশের সকল ব্যাংক, বীমা, শিল্প- কলকারখানা, রেল, নৌ-পরিবহনসহ  বৈদেশিক বাণিজ্যের সিংহভাগ রাষ্ট্রায়ত্ব ঘোষণা করেন। ফলে এর সুফলও ঐ সকল শিল্প কলকারখানায় কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীগণ ভোগ করতে থাকেন। সরকার নীট মুনাফার ৫% শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে সমহারে বন্টনের ঘোষণা দেয়, ফলে বেশ কিছু শিল্পে উৎপাদন ও মুনাফা যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের পর জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে ১৯৭৭সালে প্রথম পাকিস্তানী অবাঙালিদের রেখে যাওয়া কিছু কিছু শিল্প কলকারখানা ব্যক্তি মালিকানায় দেওয়া শুরু করেন, পরবর্তীতে জেনারেল এরশাদ ও বেগম খালেদা জিয়ার সরকার কম-বেশী সবাই ব্যক্তি মালিকানায় মিল কলকারখানা হস্তান্তর করেন। আটের দশকের শেষের দিকে পূর্ব-ইউরোপে সমাজতন্ত্রের পতনের পর তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো অতিদ্রুত সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক কর্মসূচী পরিত্যাগ করে বাজার অর্থনীতি তথা মুক্তবাজার অর্থনীতি রাষ্ট্রীয় পলিসি হিসেবে ঘোষণা করেন।

এই সব কারণে একদিকে যেমন শোষণ- নির্যাতন বেড়েছে অপর দিকে ব্যক্তির লুটপাটে পানির দামে ক্রয়কৃত চালু মিল কলকারখানাগুলো একে একে বন্ধ হয়ে গেছে। দেশ আজ আমদানি নির্ভর একটি সিন্ডিকেট চক্রের হাতে জিম্মি । বাংলাদেশে আজ শ্রমিকদের অবস্থা খুবই নাজুক । নারী-পুরুষের মুজুরী  বৈষম্যতো আছেই, এছাড়াও প্রায় সকল সেক্টরে ৮ ঘন্টার বেশী শ্রম দিতে হয়। হোটেল- রেস্তোরায় ও পরিবহন সেক্টরে ভোর ৬ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত শ্রমিক খাটানো হয়, তারপরও নেই কোন নিয়োগপত্র, নেই কোন মজুরী কাঠামো, নেই কোন উৎসব ভাতা কিংবা চিকিৎসাভাতা, এই সব সেক্টরে অধিকাংশ শিশু শ্রমিক নিয়োজিত আছে। দেশের তৈরী পোশাকশিল্প , চাউলের কল, চাতাল, চিংড়ী ঘের ও কৃষি কাজে হাজার হাজার নারী ও পুরুষ শ্রমিক কর্মরত আছে। এখানেও তাদের নেই কোন মজুরী কাঠামো বা নির্ধারিত শ্রম ঘন্টা অথবা কর্মের উপযুক্ত পরিবেশ, এমনকি শ্রমিকদের নেই নিজের জীবনের নূন্যতম নিরাপত্তা, অথচ তাঁরাই নিজের শ্রম দিয়ে, ঘাম দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা চালু রেখেছেন। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে শ্রমিক হত্যাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ১,৫০০ শ্রমিক নিহত এবং দুইসহস্রাধিক শ্রমিক আহত হয়ে পঙ্গুবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। বাহ্যিকভাবে এটি দুর্ঘটনা। একটি ভবন ধসে লোক হতাহত হয়েছেন।

আসলে এটা কি শুধুই দুর্ঘটনা? কথিত দুর্ঘটনার আগের দিন ভবনটিতে ভয়াবহ ফাটল দেখা যায়। লোকজন ভবন ছেড়ে চলে যায়। পরের দিন ভবনে অবস্থিত কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান দুর্ঘটনার আশংকায় খোলেনি। সেখানে গার্মেন্টস শিল্পে কাজ করার জন্যে প্রায় ৪ হাজার শ্রমিককে চাকরির ভয়ভীতি দেখিয়ে ঐ ভবনের ভেতরে নেয়া হয়। তারপর এই দুর্ঘটনা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভবনটি বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করে সিলগালা করে বন্ধ করতে অসুবিধা কোথায় ছিল? ভবনটি নির্মাণে রাজউকের কোন অনুমোদন ছিল না। ভবন মালিক পৌরসভা থেকে ছয় তলা করার অনুমোদন নিয়ে, সেখানে নয় তলা ভবন তৈরী করলো কিভাবে? এই ভবন ধসের বিষয়টি মানবসৃষ্ট, কাজেই এই বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি নিছক দুর্ঘটনা নয়, ইহা হত্যাকান্ড। ফলে ভবন মালিক সোহেল রানাসহ দায়ী সব পোশাক শিল্পের মালিকদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে শ্রমিক হত্যার জন্য দায়ী পোশাক শিল্পের মালিকদের বাঁচানোর যে চেষ্টা অতীতে বিজিএমইএ করে এসেছে, তা থেকে তারা সরে আসবে বলে আশা করছি। দেশের তৈরী পোশাকশিল্প খাতকে বাঁচানোর স্বার্থেই এটা করতে হবে।কর্মস্থলে শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। রানা প্লাজা হতাহত শ্রমিকদের অনেকেই আজও তাদের ক্ষতিপূরণ পায়নি।

এমনকি নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনরা শত চেষ্টা করেও খোঁজ কিংবা নিহত শ্রমিকের লাশও পায়নি। এই ভবন ধসের ঘটনার অভিজ্ঞতা নিয়ে অনুরূপ ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি অন্যান্য কারখানায় না ঘটে সেরকম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়নি।

মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম-আন্দোলনে বাংলাদেশের শ্রমিকদের আত্মত্যাগ ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে। বাংলাদেশের শ্রমক্ষেত্রে যত আইন, নীতি, বিধি-বিধান ও নীতিমালা রয়েছে তা মূলত দেশের শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষা তথা শ্রমক্ষেত্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা  ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শ্রমিজীবী মানুষের অবদান সবচেয়ে বেশী। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে শ্রমিকদের একাগ্রতা ও শ্রমিক-মালিকের পারস্পরিক সুসম্পর্ক অপরিহার্য। টেকসই উন্নয়ন ও শিল্প-বাণিজ্য খাতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও তাদের ন্যায্য অধিকারসমূহ নিশ্চিত করতে হবে।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূলে বীজ ও সার বিতরণ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৬৩জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূলে বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস চত্ত্বরে ৫৮০ জন প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন করেন ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মোহাম্মদ আল কামাহ তমাল।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ৭টি ইউনিয়ন ও ১ পৌসরভার মোট ৫৮০ জন প্রান্তিক কৃষদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করেন। ৫শত কৃষকের মাঝে ধান বীজ ও সার এবং ৮০ জন কৃষকের মাঝে পাট বীজ ও সার দেওয়া হয়। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ-০১/২০২৪/২৫ মৌসুমে উফসী আউশ ও পাট চাষে প্রনোদনার জন্য ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূলে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ রুম্মান আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকতা মোঃ সোহানু রহমান সোহান  সহ কৃষি অফিসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। এসময় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আয়োজনে ছিলেন, ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস।


আরও খবর



৫ বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ মহাকাশে উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১২১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সুবিধাকে আরও এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ নিয়ে সরকার কাজ করছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)। আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ২ তৈরির কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহজাহান মাহমুদ। আর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, করে বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ নির্মাণে একাধিক দেশ আগ্রহ দেখিয়েছে। এই মুহূর্তে সবার প্রস্তাবনা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে।

রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণের ৬ষ্ঠ বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে এসব তথ্য জানান তারা।

অনুষ্ঠানে কক্সবাজার থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে আমাদের বিজয় কেতন উড়ছে। এই কেতন যেন চিরদিন উড্ডীন থাকে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে দেশকে সংযুক্ত করে যেনো আমরা উন্নত দেশের সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে যেতে পারি।

বিশেষ অতিথি প্রতিমন্ত্রী পলক জানান, ‘এখন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে ১৫০ কোটি টাকার মতো আয় আসছে। এটি আরও বাড়ানোর জন্য সরকার কাজ করছে।‘

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যাদ্বয় বেঁচে যাওয়ার সঙ্গে বেঁচে গেছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন। আজ আমরা অর্থনৈতিক মুক্তির দ্বারপ্রান্তে। সাংস্কৃতিক মুক্তির আন্দোলনও শুরু হয়েছে।  

পলক আরো বলেন, সরকার এখন বাড়ি বাড়ি সংযুক্ত ক্যাবল সংযোগও ডিজিটাল করতে চায়। ভবিষ্যতে টেলিভেশন দর্শকদের ভিডিও অন ডিমিান্ড থেকে শুরু করে নতুন নতুন সেবা দিতে চাই ক্যাবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশর পক্ষ থেকে। অ্যাটকো-কোয়াব সবাইকে নিয়ে এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করবো। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অল্প দিনের মধ্যে সেটটপ বক্স বন্ধে কঠোর অভিযান শুরু হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রযুক্তি মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধি করতে চাই।

সভাপতির বক্তব্যে ড. শাহজাহান মাহমুদ জানান, এই স্যাটেলাইট জনসম্পদ সুরক্ষা, অভ্যন্তরীণ নদী ও উপকুলের জলাভূমি, সমুদ্র ও নদীর স্তর স্রোতের গতি প্রকৃতি ও পানির গুণগত মান বিশ্লেষণ, জলীয় সম্পদের পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি, ভূমি গবেষণা, আবহাওয়া গবেষণা, ব্লু ইকোনোমি, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ব্যবহৃত হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইটের সি ব্যান্ড প্রায় শেষের দিকে। স্যাটেলাইটের জন্য প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়। এর মাধ্যমে দেশের সবগুলো চ্যানেলের পাশাপাশি এখন ২৬টি বিদেশি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। সাড়ে ৪ থেকে পৌনে ৫ বছরে বছরের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে আয় হচ্ছে। এটি এতো ভালোভাবে উৎক্ষেপন ও পরিচালনা করা হয়েছে, আমি মনে করি স্যাটেলাইটের মেয়াদ ১৫ বছর থাকলেও, এটি ১৮ বছর পর্যন্ত বাঁচবে। আগামী তিন-চার মাস পর যখন এটি রিপ্লেসমেন্টের কাজ শুরু হবে সেটি আমরা নিজেদের অর্থায়নে করতে পারবো।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ, অ্যাটকো সিনিয়র সহ সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 


আরও খবর