Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বিশ্ববাজারে রিয়েলমি ১০ প্রো ফাইভজি কোকা-কোলা এডিশন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৬৯জন দেখেছেন

Image

[ঢাকা, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩] তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি সবসময়ই ট্রেন্ডি ও উদ্ভাবনী কিছু নিয়ে আসতে চেষ্টা করে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বিশ্বখ্যাত কার্বোনেটেড সফট ড্রিংক ব্র্যান্ড কোকা-কোলার সাথে যৌথভাবে বিশ্ববাজারে নিয়ে এসেছে রিয়েলমি ১০ প্রো ফাইভজি কোকা-কোলা এডিশনের স্মার্টফোন। 

‘ডেয়ার টু লিপ’ মূলমন্ত্র দ্বারা অনুপ্রাণিত রিয়েলমি বিশ্বের অন্যতম আইকনিক ব্র্যান্ড কোকা-কোলার সাথে যৌথভাবে বাজারে নিয়ে এসেছে লিমিটেড এডিশনের এই নতুন ও দুর্দান্ত স্মার্টফোন। 

স্মার্টফোনের ডিজাইনে ব্যবহার করা হয়েছে কোকা-কোলার ক্লাসিক লাল-কালো রঙ। ডিভাইসটির ৭০/৩০ অ্যাসিমেট্রিকাল ব্যাক ডিজাইনে ৩ ভাগে কালো রঙ ও বাকি ৭ ভাগে লাল রঙ ব্যবহার করা হয়েছে। ডিজাইনে কোকা-কোলার লোগো নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যেন তা সহজেই সবার চোখে পড়ে। কোকের লাল রঙ আপনার মধ্যে তৈরি করবে তারুণ্যের ইতিবাচক অনুভূতি। কোকা-কোলার বোল্ড ও বাঁকানো ক্লাসিক লোগোটি ক্রপ করে বসিয়ে স্মার্টফোনের ডিজাইনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অনন্য উ”চতায়। এটির ব্যাক ডিজাইনে ম্যাট ইমিটেশন মেটাল প্রসেস ব্যবহার করা হয়েছে যেন স্ক্র্যাচ বা ফিঙ্গারপ্রিন্টের দাগ না পড়ে। ডিভাইসটি তরুণদের ফ্যাশনে নতুনত্ব নিয়ে আসবে। 

স্মার্টফোনটির আরেকটি অনবদ্য ফিচার হচ্ছে এর কাস্টমাইজড ইউআই সিস্টেম। ব্যবহারকারীর প্রতিটি মুহুর্ত আনন্দদায়ক করে তুলতে লক স্ক্রিন থেকে শুরু করে চার্জিং ইফেক্ট সবকিছুই কোকের লাল রং ও কোকা-কোলার বাবল এলিমেন্টের ওপর নির্ভর করে ডিজাইন করা হয়েছে। কাস্টমাইজড অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার জন্য এই ফোনে আছে কোকা-কোলা রিংটোন ও কোকা-কোলার বুদবুদ আওয়াজের (ফিজলিং লিকুইড বাবল) মতো নানা দুর্দান্ত সুবিধা। ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৮০’র দশকের কোলা ফিল্টারের মতো একই রকম স্পেশাল এডিশনের শাটার সাউন্ড। যার ফলে স্মার্টফোনে ছবি তোলার সময় সত্যিকারের কোক খোলার মতো আওয়াজ হবে। 

রিয়েলমি ১০ প্রো ফাইভজি কোকা-কোলা এডিশনে এই সেগমেন্টের সেরা ফিচারগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- স্ন্যাপড্রাগন ৬৯৫ ফাইভজি প্রসেসর; ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের সুবিশাল ব্যাটারি ও ১০৮ মেগাপিক্সেল প্রোলাইট ক্যামেরা। এছাড়া, ক্যামেরার সাথে রয়েছে আপডেটেট স্ট্রিট ফটোগ্রাফি মোড ৩.০। ভৌগলিক অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে আলাদা সিটি ফিল্টার ব্যবহারের সুযোগ পাবেন ডিভাইসটির ব্যবহারকারীরা। এছাড়াও, ছবি তোলার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে সুপার গ্রুপ পোর্ট্রেইট ও ওয়ান টেক-এর মতো আরও অনেক অনন্য ফিচার রয়েছে এই স্মার্টফোনে। 

ব্যবহারকারীরা যেন তাদের মধুর স্মৃতি সংরক্ষণ করতে পারেন সেজন্য ডিভাইসটিতে রয়েছে ৮জিবি+৮জিবি ডায়নামিক র‌্যাম ও ১ টেরাবাইট পর্যন্ত এক্সটার্নাল মেমোরি সুবিধা। ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করতে বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে সম্পূর্ণ নতুনভাবে কাস্টমাইজড করা এই কোকা-কোলা এডিশনের স্মার্টফোন। 

ই-কমার্সের বিস্তৃত প্রেক্ষাপটে দৃঢ় পারফরমেন্স এবং ট্রেন্ডি ডিজাইন সরবরাহকারী ডিভাইস হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ২০১৮ সালের মে মাসে রিয়েলমি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। রিয়েলমির বিভিন্ন পণ্য প্রবর্তনের সাথে সাথে তাদের ‘পাওয়ার’ এবং ‘স্টাইল’ এর জন্য ব্যাপক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। ভারতে রিয়েলমি দীপাবলির সময় ৩ দিনের মধ্যে ১ মিলিয়ন মোবাইল ফোন বিক্রি রেকর্ড গড়েছিল। রিয়েলমি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার লাজাদার বিক্রির রেকর্ডও ভেঙে এই প্ল্যাটফর্মের মোবাইল ফোন বিভাগে ১ নম্বর ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছিল। চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, মিশর ইত্যাদির মতো খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রিয়েলমে ৬১টিরও বেশি দেশের বাজারে প্রবেশ করেছে। ফেব্রুয়ারি ২০২০, রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করেছে। রিয়েলমি শক্তিশালী পারফরম্যান্স, আড়ম্বরপূর্ণ ডিজাইন, আন্তরিক পরিষেবাগুলো সরবরাহ এবং স্মার্টফোনের আরও সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 





আরও খবর



মেহেরপুরে নার্সিং কলেজ কাজের মেয়াদের সঙ্গে বেড়েছে ব্যয়

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরে মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে ২০১৯ সালে নার্সিং কলেজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। পাঁচ বছরে প্রকল্পটির মেয়াদ বেড়েছে চার দফা। সঙ্গে বেড়েছে ব্যয়ও। শুরুতে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। পরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চতুর্থবারের মতো বাড়ানো কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। এখনো ৪০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ঢাকার পিয়াস কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ কাজ করছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আবদুল মালেক জানান, এই নার্সিং কলেজটি নির্মাণের শুরুতে দেশে করোনা দেখা দেয়। ওই অবস্থায় নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে হয়। পরে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যায় অনেকাংশে। বড় লোকসানের আশঙ্কায় কাজ ধীরগতিতে করা হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজও চলতি বছরে শেষ করা হবে।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অভিজ্ঞ শিক্ষকের মাধ্যমে যোগ্যতা সম্পন্ন নার্স তৈরি করতে একটি নার্সিং কলেজ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল। সরকার এ প্রস্তাবে সাড়া দেয়। ২০১৯ সালে ১৮০ আসন বিশিষ্ট নার্সিং কলেজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। চতুর্থবারের মতো কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। এখনো অনেক কাজ বাকি। প্রকল্পটির ব্যয়ও বেড়েছে। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, পরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে প্রায় ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ব্যয় আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সরেজমিনে গত ১০ এপ্রিল নির্মাণাধীন কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, চারতলা কলেজ ভবনের ভেতরের প্লাস্টার করা হয়নি। জানালার ফ্রেম নেই। বাথরুমের কাজ এখনো হয়নি। মেঝেতে ধুলার আস্তর পড়ে রয়েছে। মাত্র পাঁচজন শ্রমিক কাজ করছেন ঢিমেতালে। শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভবনের দশা আরও করুন। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকার কারণে দেয়ালগুলো স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের আলাদা আলাদা কক্ষ করা হয়নি। বাথরুমের কাজও করা হয়নি। প্রকল্প দেখভালের দায়িত্বরত আবদুল মালেক জানান, পিলার ও চারতলা ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হলে বৈদ্যুতিক সংযোগ, পানির লাইন, গ্রিলের কাজ, মেঝেতে টাইলসহ অন্যান্য কাজ করা হবে।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাসিবুস সাত্তার অভিযোগ করে বলেন, একটি কলেজের নির্মাণকাজে যদি পাঁচ বছর লেগে যায়, তাহলে কীভাবে দ্রুত উন্নয়ন সম্ভব। এত দিন এই এলাকার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে কাজে যোগ দিতে পারতেন। জেনারেল হাসপাতাল আরও দক্ষ নার্স পেত।এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল কাদের বলেন, তাঁরা তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ঠিকাদার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সময় বাড়িয়ে নেন। তাঁর আবারও ঠিকাদারকে কাজ শেষ করার তাগাদা দেবেন।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে নার্সিং কলেজ নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে সেই লক্ষ্য পূরণ করা যাচ্ছে না। দ্রুত কলেজের কাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছেন।


আরও খবর

গাংনীতে বিদুৎষ্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




সুনামগঞ্জ সীমান্তে চোরাচালান বাণিজ্য জমজমাট: ইয়াবাসহ ২জন গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়াবাবাজার, সুনামগঞ্জ সদর, বিশ^ম্ভরপুর, তাহিরপুর ও মধ্যনগর সীমান্তে সরকারের কোটিকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে গরু, ঘোড়া, মহিষ, ছাগল, পাথর, কয়লা, পেয়াজ, সুপারী,কসমেটিকস, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পাচাঁরের খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে পাচাঁরকৃত অবৈধ মালামালসহ মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করলেও বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য জোড়ালো কোন পদক্ষেপ নেওয়ার খবর পাওয়া যায় না।

খোঁজ জানা গেছে- আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী মাজু মিয়া (৩০) ও রিপন চৌধুরী (৩৬) কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে মধ্যনগর থানা পুলিশ। কিন্তু পাশের তাহিরপুর উপজেলার বাগলী,সুন্দরবন, লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি ও কলাগাঁও এলাকায় চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া ও তার সহযোগী রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, লেংড়া জামালগং চারাগাঁও সীমান্ত এলাকা দিয়ে ওপেন কয়লা, চিনি, সুপারী, চুনাপাথর, গরু ও ছাগলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে পুলিশ, সাংবাদিক ও বিজিবির নাম ভাংগিয়ে প্রতিদিন লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করলেও এব্যাপারে নেওয়া হয়না আইনগত কোন পদক্ষেপ। একই ভাবে এউপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তে দুধের আউটা, লালঘাট, লাকমা এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন আলী, ইয়াবা কালাম, টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া, বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ারী আক্কল আলী ও তার ছেলে রুবেল মিয়া, চাঁনপুর সীমান্তের রজনী লাইন, নয়াছড়া, কড়ইগড়া, বারেকটিলা এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী নজরুল, হারুন, জামাল, জম্মত আলী, সাহিবুর মেম্মার, লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, সাহিদাবাদ, দশঘর, পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং ওপেন চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করলেও দেখার কেউ নাই। অন্যদিকে বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার মাছিমপুর, চিনাকান্দি, ডলুরা এলাকা দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে ওপেন পাচাঁর করা হচ্ছে পেয়াজ, চিনি ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। থেকে নেই দোয়াবাজার ও ছাতক উপজেলা সীমান্ত চোরাচালান।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- লাউড়গড় ও চানপুর সীমান্তের বারেকটিলা ও যাদুকাটা নদী দিয়ে গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভারত থেকে অবৈধ ভাবে পেয়াজ, চিনি, কয়লা ও পাথরসহ মাদকদ্রব্য পাচাঁর করতে গিয়ে স্কুল ছাত্র শাকিবুল ইসলামের মৃত্যু হয়। পড়ে এঘটনাকে ধামা চাপা দেওয়ার জন্য ওই স্কুল ছাত্রের লাশ বালির নিচে চাপা দেয় চোরাকারবারীরা। অনেক খোঁজাখুজির পর গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় যাদুকাটার বালুর ভিতর থেকে শাকিবুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিকে গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৯টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা থেকে চোরাকারবারী রমিজ মিয়া (৫২) এর মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী ও তার ছেলে রুবেল তাদের লোক দিয়ে প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারত সীমান্তের অংশে চুনাপাথর ভাংগে। এরপর রাত হলে অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত সেই চুনাপাথর বড়ছড়া শুল্কস্টেশনের কাঠের ব্রিজের পাশে নিয়ে মজুত করে। এছাড়া চাঁনপুর ও টেকেরঘাট সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত অবৈধ কয়লা মোটর সাইকেল ও আটোরিক্সা বোঝাই করে বিভিন্ন ডিপুতে নিয়ে তারা মজুত করে। এরপর সোর্স আক্কল আলী পুলিশ ও সাংবাদিকদের নামে ১টন চোরাই কয়লা থেকে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭টাকাসহ ১ ঠেলাগাড়ি (৫ ফুট) চুনাপাথর থেকে ৩টাকা চাঁদা তুলে। তার কথা মতো চাঁদা না দেওয়া টেকেরঘাট ক্যাম্পের এএসআই এএসআই জিয়াউর রহমানকে দিয়ে চোরাকারবারী রমিজ মিয়াকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে সোর্স আক্কাল আলী। এঘটনায় ওই চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও সম্প্রতি কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চাঁনপুর সীমান্তে ২জন, টেকেরঘাট সীমান্তে ৫জন, বালিয়াঘাট সীমান্তে ১৩জন, চারাগাঁও সীমান্তে ২জনসহ লাউড়গড় সীমান্তে এপর্যন্ত শতাধিক শ্রমিক ও চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে।

এব্যাপারে উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার কফিল উদ্দিন বলেন- বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে সোর্সরা লাখলাখ টাকা চাঁদা নিয়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ওপেন চোরাচালান করছে। আর এই চোরাচালান করতে গিয়ে ঘটছে মৃত্যুর ঘটনা। কিন্তু বিজিবি ও পুলিশ এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়না। তাই চোরাচালানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে চোরাকারবারীরা প্রাণনাসের হুমকি দেয়ে।

তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের দায়িত্ব বিজিবির। এব্যাপারে আপনারা বিজিবির সাথে কথা বলুন। সীমান্তে এলাকায় থানা পুলিশের কোন সোর্স নাই। মধ্যনগর থানার ওসি এমরান হোসেন বলেন- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০ পিছ ইয়াবাসহ আমরা ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা।


আরও খবর



নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২৩৯জন দেখেছেন

Image

ডিএম রাশেদ পোরশা (নওগাঁ):নওগাঁর হাঁপানিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশী যুবক আল আমিনের (৩৮) মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। গত বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টায় হাঁপানিয়া সীমান্তের ২৩৬নং মেইন পিলার এলাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

১৬ বিজিবি’র সুবেদার মাহফুজুর রহমান জানান, আল আমিনের মরদেহ ফেরত নিতে বার বার বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারা। এরপর বুধবার রাতে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আল আমিনের মরদেহ তাদের নিকট হস্তান্তর করে বিএসএফ। রাতেই স্থানীয় পুলিশের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় আল আমিনের মরদেহ। বিএসএফ’র গুলিতে নিহত আল আমিন নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার নিতপুর ইউপির বিষœপুর গ্রামের সিদ্দিকের ছেলে। গত ২৬ মার্চ ভোরে হাঁপানিয়া সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নিহত হন আল আমিন।


আরও খবর



জেলা বিএনপির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বিএনপি সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার ( ৩১ মার্চ ২০২৪) বিকেলে পৌর এলাকায় সিরাজগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা বিএনপির আয়োজনে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দ ২ আসনের সাবেক জাতীয় সদস্য ও জেলা বিএনপি সভাপতি রোমানা মাহমুদ, এর সভাপতিত্বে জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক  ও কেন্দ্রীয় কমিটির স্থায়ী সদস্য সাইদুর রহমান বাচ্চুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত থেকে  দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন, এবং পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান  বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এসময়ে ভার্চুয়ালে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক মন্ত্রী  ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। এসময়ে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা সাবেক মন্ত্রী এডভোকেট রহুল কুদ্দুস দুলু।  অন্যন্যদের মধ্যে ইফতার মাহফিলে উপস্থিত  ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা মোস্তফা জামান, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান রঞ্জন, হারন অর রশিদ খান হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, সদস্য সচিব মিলন হক রঞ্জু, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এস এম আনোয়ার হোসেন রাজেশ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজ সাধারণ সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম সেরাজ সহ জেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও থানা উপজেলা বিএনপির নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ইফতার মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।

আরও খবর



কুষ্টিয়ায় বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃআজ ২ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ মঙ্গলবার সকালে ডিসি কোর্ট চত্বরে "সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন: শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা" প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উদযাপন করা হয় ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৪। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত হয় বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক), কুষ্টিয়া মোছা: শারমিন আখতার। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

আরও খবর