Logo
আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

গাংনীতে বিদুৎষ্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৪০জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধিঃবিদুৎচালিত সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদুৎষ্পৃষ্টে আব্দুল হান্নান(৭৫)নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নয়টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের দেবীপুর দক্ষিন পাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। আব্দুল হান্নান ওই গ্রামের খোদা বক্সের ছেলে।

আব্দুল হান্নানের মৃত্যুর ঘটনাটি নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য হিরোক আহমেদ জানান,আব্দুল হান্নান নিজ বাড়ির পাশে নিজের বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের সুইস দিতে গিয়ে বিদুৎষ্পৃষ্ট হয়ে সাথে সাথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে হান্নানের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন।

স্থানীয় বামন্দী ক্যাম্প পুলিশের এসআই শরীফুল ইসলাম জানান, বিদুৎষ্পৃষ্টে কৃষক মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মরদেহ ওই কৃষকের পরিবারের হেফাজতে রয়েছে।


আরও খবর



রানা প্লাজা ধস: সাক্ষ্যগ্রহণেই পার ১১ বছর

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:১১ বছর ধরে সাক্ষ্যগ্রহণেই ঘুরপাক খাচ্ছে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির অবহেলাজনিত হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় । এ মামলায় মোট ৫৯৪ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র ৮৫ জন। ফলে সর্বোচ্চ আদালতের বেঁধে দেওয়া ৬ মাসের মধ্যে মামলা শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় আইনজীবীদের।

রানা প্লাজার দুর্ঘটনা পুরো বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছিল। এরপর কারখানার কর্মপরিবেশ ঠিক করতে চাপ পড়ে দেশের পোশাক শিল্পের ওপর।

এ ঘটনায় অবহেলায় হত্যার অভিযোগের প্রমাণ মেলে। ২০১৫ সালে সিআইডি ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। বিচার শুরু হয় পরের বছর। এরপর একের পর এক আসামি হাইকোর্টে যাওয়ায় মামলাটির বিচার থমকে থাকে ২০২২ সাল পর্যন্ত।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল সমদ্দার জানান, মূল আসামি রানা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকেন। আবার তাকে জেলখানা থেকে আনলে তার পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে চিৎকার-হট্টেগোল করেন।

রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় সাক্ষী করা হয় ৫৯৪ জনকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র ৮৫ জন। ফলে বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দিয়েছে। কবে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে কেউ জানে না।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল সমদ্দার আরও জানান, সাক্ষী যদি না আসে তাহলে বিচারকের কিছু করার থাকে না। এখানে আদালত নিরূপায়। তারপরও আমরা সবরকম চেষ্টা করছি, যতো দ্রুত সম্ভব মামলা শেষ করতে।

এদিকে গেলো ১৫ জানুয়ারি রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার পক্ষে আপিল বিভাগে জামিন চান তার আইনজীবী। সেখানে আপিল বিভাগ সাফ জানিয়ে দেন জামিন হবে না রানার। তবে এ মামলা ৬ মাসে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।

সঠিক বিচারে সবার সাজা হবে জানিয়ে অবস্থায় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলছেন, এখানে জড়িত মালিক থেকে শুরু করে দেখভালের দায়িত্বে থাকা পৌরসভা সবার বিচার হবে। কেউ ছাড় পাবে না। তাদের গাফিলতিতে এতো মানুষের প্রাণ গেছে।

রানা প্লাজা মামলায় আসামিদের পক্ষে কথা বলতে রাজি হয়নি কোনো আইনজীবী। গেলো ২১ এপ্রিল এ মামলায় সবশেষ ৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়। ২৮ জুন এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৫ জন নিহত এবং ১ হাজার ১৬৯ জন গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গু হয়ে যান। এ ঘটনায় মোট মামলা হয় ২০টি। এর মধ্যে তিনটি হচ্ছে ফৌজদারি মামলা। শ্রমিক নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা করে পুলিশ। অন্যদিকে ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। খুনের মামলা ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। ইমারত আইনের মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে। এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে।


আরও খবর



কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৪৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বান্দরবানের বাসা থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক চেওশিম বমকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় রোয়াল লিন বম নামে আরও এক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার (৭ এপ্রিল) ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

এদিন সকালে বান্দরবানে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের তথ্য জানিয়েছিলেন। সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের পরপরই চেওশিম বমকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানায় র‌্যাব।

র‌্যাব বলছে, রোয়াল লিন বম (৫৫) এবং চেওশিম বম (৫৫) বান্দরবানে প্রথম কেএনএফ গঠন করে। তাদের সঙ্গে কেএনএফ প্রধান নাথান বমের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতে জঙ্গি নেতা শামীম মাহফুজের সঙ্গে কেএনএফের যে চুক্তি হয়েছিল সেটি হয়েছিল চেওশিম বমের বাসায়।


আরও খবর



সরকার যারা পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয়: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন গঠনমূলক সাংবাদিকতাকে স্বাগত জানিয়ে।এজেন্ডা নিয়ে কোনো অপতথ্য ছড়ালে আমরা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেব,

শনিবার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত ‘গ্রহের জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সকল সমালোচনা স্বাগত জানাই। কিন্তু এজেন্ডা নিয়ে কোনো অপতথ্য ছড়ালে আমরা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেব। গঠনমূলক সাংবাদিকতাকে আমরা স্বাগত জানাই। আমি মনে করি না সরকার যারা পরিচালনা করছেন তারা সবাই ফেরেশতা; সবাই মানুষ। আমাদের ভুল-ত্রুটি হতে পারে, ব্যত্যয়-বিচ্যুতি থাকতে পারে, ব্যর্থতা থাকতে পারে। সেগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যম আছে, এটি গণমাধ্যমের দায়িত্ব। গঠনমূলকভাবে ধরিয়ে দিলে সেটি স্বীকার করে নিতে এবং সেগুলো শুদ্ধ করে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

তিনি বলেন, আমরা জানি আজকে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। এর জন্য প্রধানত দায়ী উন্নত বিশ্ব। এর প্রধান ভুক্তভোগী যারা হতে যাচ্ছে এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ একটি লিডারশিপ রোল নিয়েছে ভুক্তভোগীদের পক্ষে। কাজেই এখানে আমাদের সরকারিভাবে যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে, সেখানে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য যে সাংবাদিকতা সে সাংবাদিকতাকে আমরা প্রণোদনা, উৎসাহ, সমর্থন ও সুরক্ষা দিতে চাই।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, এখানে কোনো বিরোধের জায়গা আমি দেখি না। তবে হ্যাঁ, ক্ষেত্রবিশেষে তৃণমূলে বিভিন্ন ধরনের ব্যত্যয় ঘটে। সে ব্যত্যয়গুলোকে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা তুলে ধরবেন। সরকারের অবস্থান পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু পরিবেশ সুরক্ষা নয় মুক্ত গণমাধ্যম, গণমাধ্যমের সুরক্ষা এবং মুক্ত গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সে বিষয়েও আমাদের অঙ্গীকার আছে। তবে রাজনীতিতে যেমন অনেক ক্ষেত্রে অপরাজনীতি আছে, বিভিন্ন পেশায় যেমন কিছু নেতিবাচক দিক আছে তেমনই তথ্যের সঙ্গেও আমরা অপতথ্যের বিস্মৃতি অনেক সময় দেখি।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত আরও বলেন, সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও অপসাংবাদিকতা আমরা দেখি। এটি শুধু আমি বলছি না, আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরাও বলেন। সব সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে, যেগুলোর রেজিস্ট্রেশন নেই, সেগুলো বন্ধ করে দেন।

মফস্বলের সাংবাদিকতা একটু কঠিন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ঢাকায় তো বিভিন্ন ধরনের প্রটেকশন পাওয়া যায়। কঠিনটা যাতে সহজতর হয় সে পদক্ষেপ আমরা নেব। আবার এটাও সত্য যে, মফস্বলে অপসাংবাদিকতার চর্চা অনেক হয়। সেখানে পেশাদারিত্বের অভাব দেখা যায়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপসাংবাদিকতার চর্চা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে পেশাদার সাংবাদিকদের। তারা (সাংবাদিক সংগঠন) নিজেরাই এ কথা বলছেন। তারা বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার, আমরা (সরকার) বলছি না। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশনসহ এ ধরনের কিছু পদক্ষেপ আমি নিচ্ছি।

আরাফাত আরও বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে বিশাল দাবি আছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন গত সংসদে পাস হওয়ার কথা ছিল। শেষের দিকে এসে এটি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে গিয়েছিল। আমি সেই গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে নতুন করে আবার কাজ শুরু করছি।

তিনি বলেন, যতগুলো সাংবাদিক সংগঠন আছে সবাইকে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে- প্রতিটি সংগঠন থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য। তাদের সঙ্গে বসে গণমাধ্যমকর্মী আইনটি পর্যালোচনা করে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন করে আমরা দ্রুত সময়ে সংসদে পাস করার ব্যবস্থা করব।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট যা আছে তো আছে, সেটা আমি পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্বাস করি। রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টের অধীনে কোনো গণমাধ্যম জনগণের পক্ষে যে তথ্য চাইবে সেটা আমি তড়িৎ গতিতে দিতে বাধ্য থাকব। এ ধরনের মানসিকতা তৈরি করার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা ওরিয়েন্টেশন করব।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তথ্য দিলে আমার কোনো সমস্যা নেই। যদি না আমার মধ্যে কোনো গলদ থাকে। যে তথ্য পাওয়ার অধিকার মানুষের আছে, সেটি দিতে হবে। এটি আমি নিশ্চিত করব। একই সঙ্গে বলতে চাই যেগুলো সংবেদনশীল তথ্য, যেগুলো প্রাইভেসি অ্যাক্টের মধ্যে পড়ে, এগুলো যদি কেউ চুরি করে প্রকাশ করার চেষ্টা করে, সে চোর। তার কোনো পেশা আমরা দেখব না।

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও বণিকবার্তা সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ হনিফের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক পিনাকী রায়।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি ও সমকালের প্রকাশক একে আজাদ, সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দেশ রূপান্তরের সম্পাদক মোস্তফা মামুন, পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ও ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান।


আরও খবর



ঢাকা থেকে হাতিয়াগামী লঞ্চের সময়সূচী পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন যাত্রী সাধারণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

আজাদ হোসেনঃহাতিয়া থেকে লঞ্চ ছাড়ার সময়সূচী পরিবর্তন করার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বর্তমান সিডিউল পরিবর্তন করে পাঁচটা থেকে ছয়টার মধ্যে করার প্রস্তাব তুলেছেন তারা। হাতিয়া থেকে ঢাকায় চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চ গুলোকে মানুষের কল্যাণের কথা মাথায় রাখতে হবে বলেও জানান তারা। হাতিয়াবাসীর দাবিঃ হাতিয়া থেকে লঞ্চ বিকাল ৫ টা থেকে ৬ টার মধ্যে ছাড়তে হবে। এই সময়সূচির মধ্যে লঞ্চ পরিচালনা করলে চাকরিজীবীরা তাদের কাজ সেরে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারবে। বর্তমান সিডিউল অনুযায়ী মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বারোটা থেকে একটার মধ্যে লঞ্চ ছাড়ার কারণে যাত্রীদের অর্ধ দিবস কর্ম বিরতি দিয়ে তাড়াহুড়ো করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হয়। বর্তমান লঞ্চের সিডিউল বাস্তবসম্মত নয়।

সাধারণ মানুষদের একদিনের বেশি সময় লঞ্চে অবস্থান করতে হয় যা যাত্রী সাধারণের সময় এবং কাজ দুটোই নষ্ট হয়। ডেক যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ ডেকে বসে ভোগান্তি পোহাতে হয়। অন্যদিকে রাত তিনটা বা চারটার দিকে লঞ্চ সদরঘাটে এসে পৌঁছায়। সেই সময়টা যাত্রীদের জন্য গন্তব্যে পৌঁছানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। যদি লঞ্চগুলো ছয়টা বা সকাল সাতটার দিকে ঘাটে পৌছাতো তাহলে অফিসের কাজকর্ম অন্যান্য কাজকর্ম সুস্টভাবে সম্পাদন করার পরিবেশ তৈরি হতো। এতে একদিকে যেমন সময়ের সাশ্রয় হতো অন্যদিকে যাত্রী ভোগান্তি লাঘব হতো। ঢাকার সদরঘাট থেকে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চগুলো সাড়ে পাঁচটা অথবা ছয়টায় রওনা হয়ে ভোরবেলায় হাতিয়া পৌঁছায়, আবার বারোটা একটার দিকে লঞ্চগুলো তাড়াহুড়ো করে ঢাকায় রওয়ানা দিয়ে ফিরে আসে। এটা যাত্রীদের জন্য অনেকটা অবিচার। তাই যাত্রীদের কথা চিন্তা করে হাতিয়া থেকে বিকাল ৫ঃ০০ টা থেকে ছয়টার মধ্যে লঞ্চ ছেড়ে আসলে দুর্ভোগ অনেকটাই কমে যেত বলে তাদের বিশ্বাস। এ কারণে যাত্রী সাধারণ হাতিয়া থেকে ঢাকা গামী লঞ্চ গুলোর সিডিউল পরিবর্তন করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন।


আরও খবর



রূপগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ(নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা:নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কিশোর গ্যাং, মাদক নির্মূল, আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক ও সর্বজনীন পেনশন স্কিম সক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ২৭ এপ্রিল শনিবার তারাবো পৌরসভার হাসিনা গাজী অডিটরিয়ামে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক।

সভায় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আহসান মাহমুদ রাসেল, তারাবো পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী, নারায়ণগঞ্জ  জেলা সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, তারাবো পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম, রূপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) সিমন সরকার, ওসি দীপক চন্দ্র সাহা, মুড়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ আলমাছ প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, কিশোর গ্যাং, মাদক নির্মূল, আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নকল্পে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। সর্বজনীন পেনশন স্কিম সেবায় সকলকে উৎসাহীত করে আগামীর ভবিষৎকে উজ্জ্বল করতে হবে। 

   -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর