Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু হিলিতে নসিমনের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই বন্ধুর মৃত্যু রাণীশংকৈলে ইসতিসকার নামাজ আদায় তাহিরপুরে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজদের রামরাজত্ব : দেখার কেউ নাই পানি-স্যালাইন বিতরণ করে প্রশংসায় ভাসছে কাফরুল থানা পুলিশ আমরা আইন শৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে চাই-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী টেকনো স্পার্ক ২০সি এখন পাওয়া যাচ্ছে অভাবনীয় নতুন দামে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট গ্যাসের অবৈধ গ্রাহকদের বিষয়ে যে নির্দেশ দিলেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী থাইল্যান্ডের রাজা-রানীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

বেনাপোলে পরিবহণ শ্রমিক বাপ্পীর সম্পদের পাহাড়, দুদকে অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২০৬জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান : বেনাপোলের পরিবহণ শ্রমিক নাজমুল হোসেন বাপ্পী হঠাৎ করে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। অভিযোগ উঠেছে দুদকে। বেনাপোলের ছোটআঁচড়া গ্রামে বিলাসবহুল পাঁচতলা বাড়ি নির্মাণ করে আলোচনায় উঠেছেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, তিনি হুন্ডি ও মাদকের কারবারে জড়িয়ে অবৈধ এ সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক
সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। দুদকে দাখিল হওয়া অভিযোগে উল্লেখ করা রয়েছে, বেনাপোলের ছোট আঁচড়া গ্রামের আব্দুল করিম’র ছেলে নাজমুল হোসেন বাপ্পী সাউদিয়া পরিবহণের কলারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন গত কয়েক বছর ধরে।

পরিবহণ শ্রমিক হয়েও তিনি ছোট আঁচড়ায় কোটি টাকা ব্যয়ে বিলাসবহুল পাঁচতলা বাড়ি নির্মাণ করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে জমিজমা ক্রয় করেছেন এবং ব্যাংকে বিপুল টাকা গচ্ছিত রয়েছে। অভিযোগকারীর দাবি, পরিবহণ শ্রমিকের পরিচয়ের পেছনে নাজমুল হোসেন বাপ্পী হুন্ডি ও মাদকের কারবারে জড়িত। এই কারবারেই তিনি অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে নাজমুল হোসেন বাপ্পী দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সত্য নয়। তিনি সাউদিয়া পরিবহণের চাকরি করলেও তার মাছের ঘের ও মাছের আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা রয়েছে। বাড়ি করলেও তিনি অনেক টাক ঋণগ্রস্ত। ব্যক্তিস্বার্থে তাকে হেয় করার জন্য এ ধরণের অভিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক
মো. আল-আমিন জানিয়েছেন, বেনাপোলের নাজমুল হোসেন বাপ্পীর ব্যাপারে অভিযোগ
পেয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



বাংলাদেশের ২৭ জেলেকে সাগর থেকে উদ্ধার করল ভারতীয় কোস্টগার্ড

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ভারতীয় বঙ্গোপসাগরে সীমানায় ভাসতে থাকা বিকল বাংলাদেশি ফিশিং বোট ‘এফভি সাগর-০২’-এর ২৭ জেলেকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের কুতুবদিয়া হতে ‘এফভি সাগর-০২’ নামক একটি ফিশিং বোট ২৭ জন জেলেসহ মাছ ধরার জন্য সমুদ্রে যায়। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) আনুমানিক দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে হঠাৎ বোটটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় এবং স্রোতে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে।

বিষয়টি ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ আইসিজিএস আমোঘ এর দৃষ্টিগোচর হলে তারা দ্রুত জেলেসহ বোটটিকে উদ্ধার করে এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে অবহিত করে।

পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উভয় দেশের দ্বিপাক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমারেখায় ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ আইসিজিএস আমোঘ ২৭ জন জেলেসহ বোটটিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নিকট হস্তান্তর করে।


আরও খবর



তাহিরপুর সীমান্তে চোরাই কয়লা কান্ডে ২ জনের মৃত্যু: আহত ১০

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত সোর্স পরিচয়ধারী ও তার গডফাদার নিয়ন্ত্রণে রেখে দীর্ঘদিন যাবত করছে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি। তাদের নেতৃত্বে সরকারের কোটিকোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে কয়লা, চুনাপাথর, পেয়াজ, চিনি, গরু, মহিষ, কসমেটিকস ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করতে গিয়ে একেরপর এক ঘটছে মৃত্যু ও সহিংসতার ঘটনা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে- প্রতিদিনের মতো আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) ভোররাতে উপজেলার টেকেরঘাট, চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী, শাহ আরেফিন মোকাম, দশঘর, বারেকটিলা, কড়ইগড়া, রাজাই, নয়াছড়া, রজনী লাইন ও বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা, চুনাপাথর, চিনি, পেয়াজ, গরু, ঘোড়া, নাসিরউদ্দিন বিড়ি ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর শুরু করে সোর্স আক্কল আলী, কামাল মিয়া, জামাল মিয়া, রুসমত আলী, নাজির মিয়া, নজরুল মিয়া, সাইকুল, আশরাফ, হাছান আলী, শাহিবুর মেম্বার, বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং।

এমতাবস্থায় সকাল ৬টায় চোরাকারবারী বাবুল মিয়া (৩৫) চোরাই কয়লার বস্তা নিয়ে নায়ছড়া এলাকার ভারতের ভিতরে গর্তে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পড়ে তার সাথে থাকা সহযোগীরা লাশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। মৃত বাবুল মিয়া উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে। অন্যদিকে একই সময় বালিয়াঘাট ও চারাগাঁও সীমান্তের লালঘাট, বাঁশতলা, এলসি পয়েন্ট, কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি, লাকমা ও বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা ও সুন্দরবন এলাকা দিয়ে একই সময় ওই গডফাদারের নেতৃত্বে কয়লা, চিনি, সুপারী ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর শুরু করে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলা আসামী আইনাল মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, লেংড়া জামাল, বাবুল মিয়া, সোহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, শামসুল মিয়া, শরাফত আলী, ইয়াবা কালাম, হোসেন আলী, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া ও মনির মিয়াগং।

এমতাবস্থায় লালঘাট সীমান্তে চোরাই কয়লা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এঘটনায় জজ মিয়া (৪০) নামের চোরাকারবারী ঘটনাস্থলে মারা যায়। এঘটনা দুই পক্ষের আরো ১০জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। মৃত চোরাকারবারী জজ মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে।

এছাড়াও গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টায় টেকেরঘাট ও বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে চোরাকারবারী খাইরুল মিয়া (২৫) ও মুখলেছ মিয়া (২৬) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) সকাল ৭টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা পাচাঁরের সময় চোরাকারবারী আইয়ুব আলী (২৮), গত ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় চারাগাঁও সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় ট্রলির নিচে চাপা পড়ে অনিন্দ্র দাস (১৩) এর মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ৩ মাসে বালিয়াঘাট সীমান্তে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে ৭জনসহ লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান করতে গিয়ে বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে যাদুকাটা নদীতে ডুবে এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। পাচাঁরকৃত ১টন অবৈধ চোরাই কয়লা থেকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭শ টাকা চাঁদা উত্তোলন করাসহ পাচাঁরকৃত অন্যান্য অবৈধ মালামাল থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার চাঁদা সোর্স পরিচয়ধারী ও তাদের গডফাদার উত্তোলন করলেও তাদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত নেওয়া হয়না আইনগত কোন পদক্ষেপ।

এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দিন দুই চোরাকারবারীর মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান- থানা-পুলিশের কোন সোর্স নাই, সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার দায়িত্ব বিজিবির। মৃত দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে জানাতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পরও কেউ ফোন রিসিভ না করার কারণে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



মোটরসাইকেল চোর গ্রেফতার:চোরের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিলেন জনতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image
মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের কুখ্যাত মোটরসাইকেল চোর আব্দুর রাজ্জাক(৩৬) মোটরসাইকেল চুরি করতে গিয়ে আবারো জনতার হাতে আটক হয়েছে।। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার এবং গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। গত কাল বুধবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পৌরশহরের প্রগতি ক্লাবের পিছনে এক ইফতার পার্টিতে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। এএসপি সার্কেল রেজাউল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। 

জানা গেছে, এদিন পৌর শহরের কুয়েতি মসজিদের পাশে আজিজুল হক তার বাড়িতে এক ইফতার পার্টির আয়োজন করেন। বাড়ির বাইরে তার নিজেরসহ অতিথিদের মোটরসাইকেল রাখা ছিল।এরমধ্যে চোর রাজ্জাক তার দুই সহকর্মীকে নিয়ে ওই স্থান থেকে আজিজুলের মোটরসাইকেলটি তার এক সহকর্মীকে দিয়ে সরিয়ে ফেলার সময় এক মহিলা তা দেখে ফেলেন। ওই মহিলা দ্রুত এসে আজিজুলকে খবর দিলে তিনি বাইরে দাঁড়ানো রাজ্জাক ও তার সহকর্মীকে মোটরসাইকেলসহ ধরে ফেলেন। চারদিক থেকে লোকজন ছুটে এসে চোর রাজ্জাককে ঘেরাও করে। ক্ষিপ্ত জনতার রোষ থেকে বাঁচার জন্য রাজ্জাক ও তার সহকর্মী আজিজুলের বাড়িতে ঢুকে যায়। এদিকে ক্ষিপ্ত জনতা রাজ্জাকের মোটরসাইকেলটি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।

এ সময় খবর পেয়ে  ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়। এরমধ্যে এএসপি সার্কেল রেজাউল হক, ইউএনও রকিবুল হাসান, ওসি সোহেল রানাসহ বিপুল সংখ্যক  সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে এসে হাজির হন। প্রায় দু' ঘন্টাব্যাপি পুলিশ ও জনতার মধ্যে ইটপাটকেল ছোঁড়া ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এক পর্যায়ে  পুলিশ লাঠিচার্জ করে জনতাকে সরিয়ে রাজ্জাক ও তার সহকর্মী রেজওয়ানকে  উদ্ধার ও গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। 

এএসপি সার্কেল রেজাউল হক বলেন,  রাজ্জাকের  বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে একাধিক মামলা রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের দু'জনকে থানা কাস্টডিতে নেওয়া  হয়েছে। ওসি সোহেল রানা জানান, এনিয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আজ বৃহস্পতিবার ৪ এপ্রিল  আসামিদেরকে জেলা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। 

আরও খবর



জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি ২৩ নাবিক মুক্ত

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:৩১ দিন পর মুক্তি পেলেন সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ও জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিক।নাবিকরা সুস্থ আছেন।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিনগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটে কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি বিমান বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরবর্তীতে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন ‘এমভি আবদুল্লাহ’ আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



সুনামগঞ্জ সীমান্তে চোরাচালান বাণিজ্য জমজমাট: ইয়াবাসহ ২জন গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়াবাবাজার, সুনামগঞ্জ সদর, বিশ^ম্ভরপুর, তাহিরপুর ও মধ্যনগর সীমান্তে সরকারের কোটিকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে গরু, ঘোড়া, মহিষ, ছাগল, পাথর, কয়লা, পেয়াজ, সুপারী,কসমেটিকস, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পাচাঁরের খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে পাচাঁরকৃত অবৈধ মালামালসহ মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করলেও বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য জোড়ালো কোন পদক্ষেপ নেওয়ার খবর পাওয়া যায় না।

খোঁজ জানা গেছে- আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী মাজু মিয়া (৩০) ও রিপন চৌধুরী (৩৬) কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে মধ্যনগর থানা পুলিশ। কিন্তু পাশের তাহিরপুর উপজেলার বাগলী,সুন্দরবন, লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি ও কলাগাঁও এলাকায় চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া ও তার সহযোগী রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, লেংড়া জামালগং চারাগাঁও সীমান্ত এলাকা দিয়ে ওপেন কয়লা, চিনি, সুপারী, চুনাপাথর, গরু ও ছাগলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে পুলিশ, সাংবাদিক ও বিজিবির নাম ভাংগিয়ে প্রতিদিন লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করলেও এব্যাপারে নেওয়া হয়না আইনগত কোন পদক্ষেপ। একই ভাবে এউপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তে দুধের আউটা, লালঘাট, লাকমা এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন আলী, ইয়াবা কালাম, টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া, বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ারী আক্কল আলী ও তার ছেলে রুবেল মিয়া, চাঁনপুর সীমান্তের রজনী লাইন, নয়াছড়া, কড়ইগড়া, বারেকটিলা এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী নজরুল, হারুন, জামাল, জম্মত আলী, সাহিবুর মেম্মার, লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, সাহিদাবাদ, দশঘর, পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং ওপেন চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করলেও দেখার কেউ নাই। অন্যদিকে বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার মাছিমপুর, চিনাকান্দি, ডলুরা এলাকা দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে ওপেন পাচাঁর করা হচ্ছে পেয়াজ, চিনি ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। থেকে নেই দোয়াবাজার ও ছাতক উপজেলা সীমান্ত চোরাচালান।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- লাউড়গড় ও চানপুর সীমান্তের বারেকটিলা ও যাদুকাটা নদী দিয়ে গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভারত থেকে অবৈধ ভাবে পেয়াজ, চিনি, কয়লা ও পাথরসহ মাদকদ্রব্য পাচাঁর করতে গিয়ে স্কুল ছাত্র শাকিবুল ইসলামের মৃত্যু হয়। পড়ে এঘটনাকে ধামা চাপা দেওয়ার জন্য ওই স্কুল ছাত্রের লাশ বালির নিচে চাপা দেয় চোরাকারবারীরা। অনেক খোঁজাখুজির পর গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় যাদুকাটার বালুর ভিতর থেকে শাকিবুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিকে গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৯টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা থেকে চোরাকারবারী রমিজ মিয়া (৫২) এর মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী ও তার ছেলে রুবেল তাদের লোক দিয়ে প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারত সীমান্তের অংশে চুনাপাথর ভাংগে। এরপর রাত হলে অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত সেই চুনাপাথর বড়ছড়া শুল্কস্টেশনের কাঠের ব্রিজের পাশে নিয়ে মজুত করে। এছাড়া চাঁনপুর ও টেকেরঘাট সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত অবৈধ কয়লা মোটর সাইকেল ও আটোরিক্সা বোঝাই করে বিভিন্ন ডিপুতে নিয়ে তারা মজুত করে। এরপর সোর্স আক্কল আলী পুলিশ ও সাংবাদিকদের নামে ১টন চোরাই কয়লা থেকে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭টাকাসহ ১ ঠেলাগাড়ি (৫ ফুট) চুনাপাথর থেকে ৩টাকা চাঁদা তুলে। তার কথা মতো চাঁদা না দেওয়া টেকেরঘাট ক্যাম্পের এএসআই এএসআই জিয়াউর রহমানকে দিয়ে চোরাকারবারী রমিজ মিয়াকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে সোর্স আক্কাল আলী। এঘটনায় ওই চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও সম্প্রতি কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চাঁনপুর সীমান্তে ২জন, টেকেরঘাট সীমান্তে ৫জন, বালিয়াঘাট সীমান্তে ১৩জন, চারাগাঁও সীমান্তে ২জনসহ লাউড়গড় সীমান্তে এপর্যন্ত শতাধিক শ্রমিক ও চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে।

এব্যাপারে উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার কফিল উদ্দিন বলেন- বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে সোর্সরা লাখলাখ টাকা চাঁদা নিয়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ওপেন চোরাচালান করছে। আর এই চোরাচালান করতে গিয়ে ঘটছে মৃত্যুর ঘটনা। কিন্তু বিজিবি ও পুলিশ এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়না। তাই চোরাচালানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে চোরাকারবারীরা প্রাণনাসের হুমকি দেয়ে।

তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের দায়িত্ব বিজিবির। এব্যাপারে আপনারা বিজিবির সাথে কথা বলুন। সীমান্তে এলাকায় থানা পুলিশের কোন সোর্স নাই। মধ্যনগর থানার ওসি এমরান হোসেন বলেন- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০ পিছ ইয়াবাসহ আমরা ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা।


আরও খবর