Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না ইলিয়াস কাঞ্চন

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ২০১জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি:বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির মেয়াদ প্রায় শেষ দিকে। আগামী ১৯ এপ্রিল সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন। তার আগেই জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বর্তমান কমিটির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।

গতকাল শনিবার শিল্পী সমিতির বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, অনেক দুঃখ নিয়ে সমিতি থেকে বিদায় নিচ্ছেন তিনি।

বরেণ্য এই অভিনেতার কথায়, ‘নির্বাচনের পর থেকে সমিতির একটা পদ নিয়ে সবাই মামলা মোকদ্দমা কত কিছু করেছেন। কিন্তু শিল্পী সমিতি ও শিল্পীদের স্বার্থ তো আলাদা জিনিস। এই বিষয়টাই কেউ বুঝতে চাইল না। আপনারা শিল্পীদের স্বার্থ কী করে ভুলে যান?

তিনি আরও বলেন, ‘একটা দুঃখ নিয়ে সমিতি থেকে বিদায় নিচ্ছি। যেখানে ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি; সেখানে তার পাশে আপনারা দাঁড়ান না! এই অসম্মান কিন্তু আমার একার নয়। সেই অসম্মান পুরো শিল্পী সমাজের, পুরো ইন্ডাস্ট্রির। সেই জিনিসটা যদি আপনাদের মাথায় না থাকে, তাহলে আমরা কেউ আমাদের সম্মানের জায়গাটা ধরে রাখতে পারব না।

আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও সব সময় সমিতি ও শিল্পীদের পাশে থাকবেন বলেও জানান ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, ‘এই শিল্পী সমিতি আমাদের সমিতি। আজকে আমি যা কিছু তার সবকিছু একজন শিল্পী হিসেবেই অর্জন করেছি, এই ইন্ডাস্ট্রি থেকেই অর্জন করেছি। সুখে-দুঃখে যখন প্রয়োজন তখন আমাকে পাবেন।

যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘কারও কথা ও অর্থ দ্বারা প্ররোচিত হবেন না। টাকার লোভে পড়ে দুই বছরের জন্য এই ইন্ডাস্ট্রির সর্বনাশ করবেন না। সমিতি ও শিল্পীদের স্বার্থে যারা পরিপূর্ণভাবে কাজ করবে, তাদেরকেই নির্বাচন করবেন।

এদিকে, ইলিয়াস কাঞ্চন সমিতির নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও পুনরায় সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন নিপুণ আক্তার। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি প্যানেল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, সাবেক সভাপতি মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল আলাদা একটি প্যানেলে নির্বাচন করার কথা জানিয়েছেন। খুব শিগগিরই তারা পূর্ণাঙ্গ প্যানেলের ঘোষণা দেবেন বলেও জানান।


আরও খবর



সাফজয়ী মাগুরার অর্পিতা ও উম্মে কুলসুম শ্রীপুরে সংবর্ধনা পেলেও জেলা পর্যায়ে কোন সংবর্ধনা পেলেননা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১২২জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপের্টার মাগুরা থেকে:সম্প্রতি নেপালে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সাফ নারী অনুর্ধ-১৬ টূর্ণামেন্টে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। আর এগৌরব এনে দিতে এবং   বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে থাকা মাগুরার জেলার শ্রীপুর উপজেলার কৃতি খেলোয়াড় সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী জাতীয় দলের দুই নারী ফুটবলার অর্পিতা বিশ্বাস ও উম্মে কুলছুমকে সংবর্ধনা দিয়েছে শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন।তবে মাগুরা জেলার নাম উজ্জল করলেও মাগুরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কিছু না করায় বিষয়টি ভাল ভাবে নেয়নি ক্রীড়ামোদী মানুষেরা।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মমতাজ মহল।

গত ১০ মার্চ অর্পিতা বিশ্বাসের নেতৃত্বে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে ভারতকে পরাজিত করে শিরোপা জিতে বাংলাদেশ। অর্পিতা বিশ্বাস মাগুরার জেলার শ্রীপুর উপজেলার গোয়ালদহ গ্রামের মনোরঞ্জন বিশ্বাসের এক মাত্র মেয়ে। আরেক নারী ফুটবলার উম্মে কুলছুম উপজেলার মহেশপুর গ্রামের কুদ্দুস এর মেয়ে। দুজনেরই স্থানীয় গোয়ালদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক শহিদুল ইসলামের হাত ধরে ফুটবলের হাতেখড়ি। খেলেছেন অনুর্ধ-১৪ ও অনুর্ধ-১৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশীপে। বর্তমানে দু’জনই বিকেএসপির শিক্ষার্থী।

কোচ শহিদুল ইসলাম জানান, অর্পিতা মেধাবী ফুটবলার। সে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৬ দলের বর্তমান ক্যাপ্টেন। একই সাথে উম্মে কুলছুম ও তার সহযোদ্ধা। দু’জনেই খুব ভালো ফুটবল খেলেছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের। শ্রীপুর-মাগুরা বাসীর গর্ব এরা। বিগত সাফ জয়ী আরো দুজন নারী ফুটবলার ইতি রানী ও সাথী আমাদের শ্রীপুরের সন্তান। সব সময় চাই এরা ভালো কিছু করুক। দেশের জন্য বড় বড় সুনাম অর্জন করে আনুক।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মমতাজ মহল বলেন, অর্পিতা বিশ্বাস ও উম্মে কুলছুম সে দেশের জন্য যে অর্জন বয়ে এনেছে তাদের সফলতায় আমরা গর্বিত। তারা আমাদের দেশের সম্পদ। বরাবরই শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন তাদেরকে সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা দিয়ে আসছে।  এত বড় অর্জন এনে মাগুরা জেলার নাম উজ্জল করলেও মাগুরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কিছুই করা হয়নি এটা মাগুরার ক্রীড়ামোদী মানুষকে আহত করেছে বলে বেশ কিছু ক্রীড়াপ্রিয় মানুষ জানান।


আরও খবর



পুলিশের ইউনিফর্ম আমার কাছে পবিত্র আমানত--সার্জেন্ট মাসুদ রহিম

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃডেমরা ট্রাফিক জোনে কর্মরত পুলিশ সার্জেন্ট মাসুদ রহিম বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যদের জন্য একটি প্রেরণার বাতিঘর বললে হয়তো বা ভুল হবে না। ট্রাফিক পুলিশের এই  অফিসার বর্তমানে ডিএমপির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা মাতুয়াইল ইউলুপ এলাকায় সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও সড়ক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। তার মেধা, যোগ্যতা, সাহসীকতা ও দক্ষতা সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়েছে।সততাও নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে থেকে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে পুলিশ বাহিনীর মুখ উজ্জ্বল করতে সক্ষম হয়েছেন।পেশাদারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতায় স্বপ্রনোদিত হয়েও কাজ করতে দেখা যায় তাকে। রাস্তা পারাপারে পথচারীদের সার্বিক সহযোগিতা, বয়স্ক ও নারী শিশুদের সড়ক পারাপারে সহায়তা করতেও দেখা গেছে তাকে। মানুষকে ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করতে উৎসাহিত করে থাকেন সার্জেন্ট মাসুদ রহিম। রাস্তায় অবৈধ পার্কিং রোধে চালক হেলপারদের সচেতন করতে ও ট্রাফিক আইন মেনে চলতে কাজ করেন সবসময়।চাকুরী জীবনের প্রতিটি ধাপে কঠোর পরিশ্রম আর নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমে সফলতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন তিনি।

তিনি ডিএমপি ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগের ডেমরা জোনের পুলিশ সার্জেন্ট হিসেবে সফলতার মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে সড়কে যানচলাচল নির্বিঘ্ন করতে ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণনে রেখেছেন। তার কর্মকালীন সময়ে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সড়কে দুর্ঘটনা রোধে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটে। তার সার্বক্ষনিক দ্বায়িত্বপালন ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে সড়কে বিশৃঙ্খলা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে এবং সড়ক আইন ভঙ্গ কারীদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে পুলিশের প্রতি আস্থা বেড়েছে বহুগুন। কর্মজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে  তিনি রেখেছেন পেশাদারিত্বের স্বাক্ষর।মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও পারিবারিক নানা সমস্যার সম্মুখিন হলেও কখনোই পিছু পা হননি তিনি। একশ্রেণীর অসংবেদনশীলতা ক্রমান্বয়েই এই সমস্যা গুলো প্রকট করলেও দমাতে পারেননি তাকে। 

বর্তমান প্রচন্ড দাবদাহে রোদে পুড়ে প্রতিকূল পরিবেশেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষভাবে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখছেন সার্জেন মাসুদ রহিম।

কখনো ক্লান্ত হন কিনা? জিজ্ঞেস করলে হাসি মুখে জবাব দেন “যতদিন বেঁচে আছি মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই, পুলিশের ইউনিফর্ম আমার অহংকার"।

মাসুদ রহিম  একজন নির্ভীক মানবিক পুলিশ অফিসার, বাংলাদেশ পুলিশের গর্ব তিনি। সৎ, পরিশ্রমী ও নিষ্ঠার সাথে দেশের একজন সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। কখনোই কুসুমাস্তীর্ন ছিলো না এই কর্মবীর এই পুলিশ অফিসারের পথচলা। বাঁধা এসেছে বারংবার তবে অদম্য মনোবলে জয় করেছেন সকল বাঁধার দেয়াল।

তিনি আরো বলেন কর্মক্ষেত্রে, পেশাগত দায়িত্বকে সর্বোচ্চ সম্মান ও ভালোবাসার জায়গায় অধিষ্ঠিত রেখেছি।  কাজের স্বীকৃতি থাকুক বা না থাকুক কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আরো অনেক দূর যেতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সহকর্মীদের সহযোগীতায় বহুদূর এগিয়ে যেতে চান তিনি।পুলিশের পেশায় যোগদানের পর  ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের বিভিন্ন বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।


আরও খবর



মান্দায় বিদ্যুতের আগুনে পুড়ে ভষ্মিভূত আট বসতবাড়ি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৪০জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁর মান্দায় বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে লাগা আগুনে পুড়ে ভষ্মিভূত গেছে ৮ বসতবাড়ি। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

অগ্নিকাণ্ডে ওই গ্রামের রমজান আলী, মিঠুন কবিরাজ, বাবু কবিরাজ, সেলিম কবিরাজ, নুরজাহান বেওয়া, গুলজান বিবি, রশিদুল ইসলাম ও ছহির উদ্দিনের বসতবাড়ি পুড়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে এসব পরিবারের অন্তত আট লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ করেই রমজান আলীর বাড়িতে আগুন ধরে যায়। মুহুর্তে তা আশপাশের বসতবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস ও আশপাশের লোকজন ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু তার আগেই পুড়ে যায় ৮টি বসতবাড়ি।

মান্দা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ শফিউর রহমান বলেন, বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ চলছে।


আরও খবর



বন্ধ থাকছে স্কুল-মাদরাসা, আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৫৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদরাসার পাঠদান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তবে আদালত বন্ধ থাকায় আপিল করা হবে না বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র।

এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) আদালতের আদেশের পর আপিল করা হবে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।

রাজধানীর আগারগাঁয়ে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব, তা পালন করা বাঞ্ছনীয়।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, আদালতের আদেশের কোনো কপি এখনও আসেনি। আর এ পরিস্থিতিতে আপিল করার সুযোগও নেই। কারণ উচ্চ আদালত বন্ধ।

বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে সোমবার এ আদেশ দেন। আদেশে আদালত বলেছেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র (এসি) রয়েছে, সেগুলোতে যথারীতি ক্লাস চলবে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য করা থাকে সেক্ষেত্রে সিডিউল অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর

ড. ইউনূস জামিন পেলেন

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




চারাগাঁও সীমান্ত দিয়ে সিমেন্ট ও কয়লা পাচাঁরের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৪৪জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ কয়লা পাচাঁরসহ দেশীয় সিমেন্ট ভারতে পাচাঁর করা হয়েছে বলে খরব পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের লালঘাট ও বাঁশতলা এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী বাবুল মিয়া বিজিবির নাম ভাংগিয় প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে ৪০টাকা করে চাঁদা নিয়ে প্রায় ১শ মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে মজুত করে। এছাড়াও বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন ডালিম মিয়া, নজির মিয়া, মঙ্গল মিয়াসহ আরো একাধিক বাড়িতে আরো ২শ মেঃটন অবৈধ কয়লা মজুত করা হয়েছে। এদিকে গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাত দেড়টার সময় চারাগাঁও এলসি পয়েন্টে সংলগ্ন পাহাড়ী ছড়া দিয়ে একই ভাবে চাঁদা নিয়ে চোরাকারবারী সুহেল মিয়া ৬০বস্তা, আনোয়ার হোসেন বাবলু ৫০বস্তা ও নবু মিয়া ৪০বস্তা সিমেন্ট ভারতে পাচাঁর করে এবং রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে ২শ মেঃটন কয়লা  তারা পাচাঁর করে। পরে পাচাঁরকৃত অবৈধ কয়লা সীমান্তের লাবিয়া বেগম, সুজন মিয়া ও সোহেল মিয়াসহ আারো একাধিক বাড়িতে মজুত করে। অন্যদিকে এই সীমান্তের কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি ও লামাকাটা এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া ও লেংড়া জামালগং ভারত থেকে কয়লা, চুনাপাথর, সুপারী, চিনি, পেয়াজ, গরু, ইয়াবা, মদ ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর করলেও কেউ কোন পদক্ষেপ নেয়না।

একারণে সোর্স ও তাদের গডফাদার তোতলা আজাদ গত ৩ বছরে হয়েগেছে কোটিপতি। তারা পাচাঁরকৃত প্রতিবস্তা কয়লা থেকে ৪০টাকা, প্রতিবস্তা পেয়াজ ও চিনি থেকে ১শ টাকা, ১টন চুনাপাথর থেকে ৫শ টাকা, প্রতি গরু থেকে ২হাজার টাকাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য থেকে বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করে বিজিবির নাম ভাংগিয়ে। শুধু তাই নয়, সাংবাদিক ও পুলিশের নাম ভাংগিয়েও লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করে সোর্স ও তাদের গডফাদার।

এব্যাপারে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের ভিআইপির দায়িত্বে থাকা শামীম বলেন- সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে কথা বলুন, এব্যাপারে আমি কিছু করতে পারবনা। এই ক্যাম্পের কমান্ডার সিদ্দিক এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) নাম্বারে কয়েক বার ফোন করার পর, তিনি ফোন রিসিভ না করে ব্লক করে দেয়। এবিষয়ে জানাতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পর তিনিও ফোন রিসিভ করেনি।


আরও খবর