Logo
আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

অভিনেত্রী তামান্নাকে বেআইনি সম্প্রচারের ঘটনায় তলব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ১৮৪জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়ার নাম এসেছে অনলাইনে আইপিএলের বেআইনি সম্প্রচারের ঘটনায় । এ ঘটনায় মহারাষ্ট্র পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন শাখা থেকে অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৯ এপ্রিলের মধ্যে পুলিশের কাছে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে, হাজিরা না দিয়ে মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার কাছে সময় চেয়েছেন তামান্না।

গত বছর ‘ফেয়ার প্লে’ নামের একটি অ্যাপে বেআইনিভাবে আইপিএল সম্প্রচারের অভিযোগ ওঠে। এর আগে ‘মহাদেব বেটিং’ অ্যাপকাণ্ড প্রকাশ্যে আসে। তদন্তে পুলিশ দাবি করেছে, দুটি অ্যাপের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে।

ওই অ্যাপের প্রচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে অতীতে অভিনেতা রণবীর কাপুর, জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ, সংগীতশিল্পী বাদশাসহ একাধিক বলিউড তারকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুম্বাই পুলিশ।

এবার ‘ফেয়ার প্লে’ অ্যাপ সূত্রে পুলিশ ‘লাস্ট স্টোরিজ ২’ খ্যাত অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে। এ ঘটনার জেরে ২৩ এপ্রিল অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকেও পুলিশ ডেকে পাঠায়। কিন্তু সূত্রের খবর, দেশের বাইরে থাকায় তিনি হাজিরা দিতে পারেননি।

এদিকে সোমবার (২৯ এপ্রিল) হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তামান্না ভাটিয়ার। তবে অভিনেত্রী সাইবার সেল টিমকে জানিয়েছেন, তিনি আপাতত মুম্বাইয়ে নেই। আবার হাজিরার তারিখ নির্ধারণ করা হলে সেদিন উপস্থিত থাকতে পারবেন।

আইপিএলের সম্প্রচারের স্বত্ব রয়েছে যে কোম্পানির অধীনে, ২০২৩ সালে তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিল। অভিযোগে বলা হয়েছিল, অনলাইন বেটিং অ্যাপ ‘ফেয়ার প্লে’ বেআইনিভাবে আইপিএল ম্যাচ সম্প্রচার করছে। বেআইনি সম্প্রচারের জন্য তাদের ১০০ কোটি টাকারও বেশি লোকসান হয়েছে।


আরও খবর



ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও আগ্নেয়গিরির লাভায় নিহত বেড়ে ৩৭, নিখোঁজ বহু

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:আকস্মিক বন্যার পাশাপাশি আগ্নেয়গিরির ঠাণ্ডা লাভার "লাহার" প্রবাহে পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়েছে। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৮ জন। এছাড়া শতাধিক বাড়িঘর, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানায়, ঠাণ্ডা লাভায় অন্তত পাঁচটি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। শনিবার (১১ মে) রাত থেকে পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের আগাম ও তানাহ দাতার অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে পুরো অঞ্চলটি লাভার স্রোতে সৃষ্ট কাদায় প্রায় ডুবে গেছে। এতে বাড়িঘর, মসজিদসহ শতাধিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পশ্চিম সুমাত্রা দুর্যোগ সংস্থার মুখপাত্র ইলহাম ওয়াহাব বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, অনুসন্ধান অভিযানে স্থানীয় উদ্ধারকারী, পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবীরা যোগ দিয়েছেন। নিখোঁজদের সন্ধান করতে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে লোকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারীদের একটি দল এবং রাবার বোট পাঠিয়েছে।

স্থানীয় সরকার দুটি ক্ষতিগ্রস্ত জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় উচ্ছেদ কেন্দ্র এবং জরুরি আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি স্থানীয় বাসিন্দা রিনা দেবিনার উদ্ধৃতি করে প্রতিবেদনে বলেন, ‘আমি বজ্রপাত এবং ফুটন্ত পানির মতো শব্দ শুনেছি। এটি মারাপি পর্বত থেকে বড় বড় পাথর পড়ার শব্দ ছিল। পিচ কালো থাকায় আমি আমার মোবাইলটি টর্চ হিসেবে ব্যবহার করেছি। রাস্তা কাদায় ডুবে যাওয়ায় আমি বারবার ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি। তিন সন্তানের এই জননী বলেন, বড় পাথরের চাপায় তার চার প্রতিবেশী মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, বর্ষাকালে ভূমিধস ও বন্যার ঝুঁকিতে থাকে ইন্দোনেশিয়া। গত দুই মাস আগেই মারাত্মক বন্যার কবলে পড়ে এই অঞ্চল।

সূত্র:দ্য গার্ডিয়ান


আরও খবর



রূপসীতে ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা,ভাংচুর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৭৯জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:রূপগঞ্জের রূপসীতে শের ই আলম ভুইয়া নামক এক সিমেন্ট ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে সন্ত্রাসী জজ মিয়ার বাহিনী। গত ১২ মে সকালে রূপসী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত "মেসার্স হেরা ট্রেডার্স" নামক দোকানে এ ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে গত ১৩ মে রূপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শের ই আলম ভুইয়া। 

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে রূপসী এলাকার জজ মিয়া (৫৮) ও তার ছেলে রিপনসহ তাহাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৭/৮জন হাতে দা, চাকু, ছুরি, লোহার রড, চাপাতি, লাঠিসোটা ইত্যাদি দেশীয় তৈরি অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হইয়া রূপগঞ্জ থানাধীন রূপসী বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন স্কয়ার টয়লেট্রিক্স লিঃ এর পূর্ব পার্শ্বে তার প্রতিষ্ঠানে অনধিকার প্রবেশ করিয়া দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করিয়া হুমকি ধামকি প্রদান করে। 

শের ই আলম ভুইয়া জানান, ২নং আসামী রিপন আমার প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ বাক্সের ড্রয়ার ভাঙ্গিয়া ক্যাশ বাক্সে রক্ষিত নগদ-২,০০,০০০/-টাকা চুরি করিয়া নেয়। আমার ডাক-চিৎকার শুনিয়া আশপাশ হইতে লোকজনসহ পথচারিরা আগাইয়া আসিতে থাকিলে উপরোক্ত আসামীরা বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতিসহ প্রাননাশের হুমকি প্রদান করিয়া দ্রুত পালাইয়া যায়। আশপাশের লোকজনের সহায়তায় আহত অবস্থায় উদ্ধার হইয়া স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি।

  -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



যে তিন ফিচারের জন্য অনন্য ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা, ২৮ এপ্রিল ২০২৪: সম্প্রতি নোট ৪০ প্রো স্মার্টফোন বাজারে এনে সাড়া ফেলেছে তরুণদের প্রিয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। ফোনটিতে যুক্ত করা হয়েছে বেশ কিছু উদ্ভাবনী প্রযুক্তি। এই ফিচারগুলোই বাজেটের মধ্যে সেরা স্মার্টফোন বেছে নিতে তরুণদের আকৃষ্ট  করছে। 

নোট ৪০ প্রো-র আলোচিত ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেটিক চার্জিং, থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে এবং ১০৮ মেগাপিক্সেলের ওআইএস ক্যামেরা। এই ফিচারগুলো নিয়ে মিড-বাজেটের স্মার্টফোন বাজারে অনন্য অবস্থানে আছে ফোনটি।

ইনফিনিক্সের এই ফোনটিতে রয়েছে ‘অল-রাউন্ড ফাস্টচার্জ ২.০’। এই চার্জিং প্রযুক্তি পরিচালিত হয় ইনিফিক্সের তৈরি পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট চিপ ‘চিতা এক্সওয়ান’ দিয়ে। অল-রাউন্ড ফাস্টচার্জ এর নতুন এই সংস্করণের মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে প্রথমবারের মতো  ম্যাগনেটিক চার্জিং সিস্টেম ‘ম্যাগচার্জ’ যুক্ত করেছে ইনফিনিক্স। এতে আছে ২০ ওয়াট ওয়্যারলেস ম্যাগনেটিক চার্জিং সুবিধা।

ইনফিনিক্স ম্যাগকিটের সঙ্গে ব্যবহারকারীরা পাচ্ছেন একটি ম্যাগকেস এবং একটি ম্যাগপাওয়ার। ম্যাগপাওয়ার নামের এই বহনযোগ্য পাওয়ার ব্যাংকটি ফোনের কেসের সঙ্গে লাগিয়ে যেকোনো সময় ফোন চার্জ করা যায়। ফলে, ব্যবহারকারীদের আর তারযুক্ত চার্জার বহনের ঝক্কি পোহাতে হয় না। একই সঙ্গে চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া নিয়েও পড়তে হয় না দুশ্চিন্তায়। নোট ৪০ প্রো-এর সঙ্গে আরও আছে ৭০ ওয়াটের মাল্টি-স্পিড ফাস্টচার্জার। এই চার্জার দিয়ে ফোনটির ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারিকে মাত্র ২০ মিনিটে ৫০% চার্জ করা যায়।

নোট ৪০ প্রো ফোনটি দেখতেও বেশ আকর্ষণীয়। এর ৬.৭৮ ইঞ্চির থ্রিডি কার্ভড অ্যামোলেড ডিসপ্লে এমনভাবে তৈরি যে দেখলে মনে হয় পুরোটাই স্ক্রিন। ফুল এইচডি+ এই ডিসপ্লের বেজেল বেশ সরু বা আল্ট্রা-ন্যারো। স্বচ্ছন্দ্যে স্ক্রলিং এবং দুর্দান্ত ভিজ্যুয়ালের জন্য এতে দেয়া হয়েছে ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট এবং ১০৮০ পিক্সেল রেজ্যুলেশন।

ডিসপ্লে প্রোটেকশনের জন্য আছে কর্নিং গোরিলা গ্লাস। ফলে, ফোনের দাগ পড়া এবং কোমরসমান উচ্চতা থেকে পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা সহজেই সামাল দেওয়া যায়। এর উন্নত ডিসপ্লেতে ঘরে ও বাইরে উভয় জায়গাতেই উজ্জ্বল রং ও পরিষ্কার কন্টেন্ট উপভোগ করা যায়।

ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরের মাধ্যমে ডিজাইনের ক্ষেত্রে কোনো আপোস না করেই এতে যুক্ত হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। স্ক্রিনের নিচের দিকে স্থাপন করা ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ডিভাইসে দ্রুত ও নিরাপদ অ্যাক্সেস সুবিধা দেয়।

ফটোগ্রাফিপ্রেমীদের জন্য নোট ৪০ প্রো-তে আছে অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশনযুক্ত (ওআইএস) ১০৮ মেগাপিক্সেলের হাই-রেজ্যুলেশনের প্রধান ক্যামেরা। ফলে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ছবির মান থাকে অক্ষুণ্ন। ৩x (থ্রিএক্স) লসলেস জুমের ফলে ছবির মান বজায় রেখেই ব্যবহারকারীরা সাবজেক্টের ক্লোজ শট নিতে পারেন।

ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো ভিন্টেজ গ্রিন ও টাইটান গোল্ড দুটি স্টাইলিশ রঙে পাওয়া যাচ্ছে। ডিভাইসটির ৮ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতা এবং ১২ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার দুটি সংস্করণের বাজারমূল্য যথাক্রমে ৩০,৯৯৯ টাকা এবং ৩৪,৯৯৯ টাকা।


আরও খবর



শাহবাগ অবরোধ চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ প্রত্যাশীদের

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীর শাহবাগ মোড় পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে অবরোধ করেছেন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীরা।

শনিবার (১১ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। এর আগে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে পদযাত্রা নিয়ে গণভবন অভিমুখে যাত্রা করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়।

এর আগে, দুপুর ১টা থেকে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশী সমন্বয় পরিষদ’ এর ব্যানারে সমাবেশ শুরু করেন আন্দোলনরতরা। সমাবেশ থেকে গণভবন অভিমুখে যাত্রা করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়।


আরও খবর



গাংনী; এক সফল জননী নুরজাহান

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৫৮জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃপঞ্চম শ্রেণিতে পড়ালেখার সময় পরিবারের চাপে মাত্র ১২ বছর বয়সেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছিল নুরজাহান খাতুনকে। বিয়ের পর আর বিদ্যালয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি তার। লেখাপড়া শিখতে না পারার কষ্ট বুকে নিয়ে শপথ করেছিলেন ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করবেন। আর সেটাই হয়েছে। নুরজাহান খাতুনের ১০ সন্তান আজ উচ্চ শিক্ষিত ও সকলেই কর্মরত। 

অশিতীপর সংগ্রামী এই মায়ের বাড়ি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামে। তিনি মরহুম কোবাদ আলী শেখের স্ত্রী।

জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নুরজাহান খাতুনের স্বামী কোবাদ আলী মারা যান। ১০ ছেলেমেয়ে নিয়ে তখন কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়লেও তিনি ভেঙে পড়িনি। স্বামীর রেখে যাওয়া অল্প কিছু অর্থ দিয়ে প্রথমে বাড়িতেই কয়েকটি ছাগল পালন শুরু করেন। এরপর ধীরে ধীরে হাঁস-মুরগি ও গরুর খামার করেন তিনি। জীবনের সাথে সংগ্রাম করেই ১০ সন্তানকেই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। সবাই এখন চাকরিজীবী।

নুরজাহান খাতুনের বড় ছেলে আনিসুর রহমান কুষ্টিয়া জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, মেজো ছেলে আনছারুল হক ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের পরিদর্শক, তৃতীয় ছেলে এসএম আইনুল হক বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি ও বর্তমানে সুইডেনে নাগরিকত্ব অর্জন করে সেখানকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন, চতুর্থ ছেলে মাসুদুজ্জামান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, পঞ্চম মেয়ে নাছিমা খাতুন গাংনী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। 

এছাড়াও ষষ্ঠ ছেলে শাহাজাহান আলী গাংনী উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে সিনিয়র অডিটর, সপ্তম ছেলে আলমগীর হোসেন একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত, অষ্টম মেয়ে নাজমা খাতুন মেহেরপুর জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত, নবম ছেলে জিল্লুর রহমান বেসরকারি প্রাইম ইউনিভার্সিটিতে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত। কনিষ্ঠ মেয়ে তাসলিমা আক্তার বিসিএস নন ক্যাডারে কুষ্টিয়া ভূমি অফিসে কর্মরত রয়েছেন।

‘সফল জননী’ হিসেবে নুরজাহান খাতুন গাংনী উপজেলা পর্যায় ও মেহেরপুর জেলা পর্যায় থেকে স্বীকৃতি সরুপ ২০২৩ সালে পেয়েছেন জয়িতা ও রতœগর্ভা পুরস্কার।

নুরজাহান খাতুন জানান, জীবনের সব ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পেয়েছেন। ছেলেমেয়েদের সফলতায় তিনি গর্বিত। তিনি আরো জানান, জীবনে অবহেলিত ও নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে এবং সমাজের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিতে সন্তানদেরকে সব সময় পরামর্শ দেন। কঠিন সময়ে ভেঙে না পড়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘যেকোনো কাজে সদিচ্ছা, সততা, স্বচ্ছতা ও চেষ্টা থাকলে মানুষ সফল হবেই। কারো ওপর নির্ভর না করে নিজের জীবন নিজেকেই গোছাতে হবে। সফল হওয়ার পেছনে এটাই হচ্ছে মূলমন্ত্র’।

প্রতিবেশিরা জানান, স্বামী মারা যাবার পর নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে দিনপাত করেছেন তবুও সন্তানদেরকে পড়ালেখা থেকে বিরত রাখেন নি। নিজেই জিবন সংগ্রাম করেছেন আর সন্তানদেরকে মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তোলার চেষ্টায় তিনি সফল। তার সন্তানরাও অত্যন্ত ভদ্র ও মার্জিত স্বভাবের। সকলকে এমন মায়ের মত হবার আহবান জানান প্রতিবেশিরা।

তার মেয়ে গাংনী উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার নাছিমা খাতুন বলেন, আমার মা খুব ভালো মানুষ। তিনি সব বাধা পেরিয়ে একজন সফল নারী। আমার বাবা মারা যাবার পর পরিবারে হাল ধরার মতো কেউ ছিল না। মা একাই ১০ ভাইবোনকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করেছেন। বাবা যখন মারা যান আমরা কেউ তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে, কেউ কলেজে, কেউ মাধ্যমিক নয়তো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ি। আমাদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে গিয়ে গ্রামের মানুষের কাছেও তাকে শুনতে হয়েছে নানা ধরনের কটু কথা। তারপরেও তিনি থেমে যাননি। সবকিছু উপেক্ষা করে আমাদের মানুষ করেছেন।


আরও খবর