Logo
আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আশায় আশায় ৫৩ বছর অতিবাহিত হলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এঅঞ্চলে

প্রকাশিত:রবিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:অবৈধ বেগুর দাপটে নষ্ট হচ্ছে ফসলের জমি বেগুর মাটি অবৈধ কাকরায় ভাটায় নিতে খয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ রাস্তা অভিযোগেও কোন কাজ হচ্ছে না দেশের উত্তরাঞ্চলীয় কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের সীমান্তঘেষা অঞ্চলটিতে ৫৩ বছরেও উন্নয়ন হয়নি ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে এঅঞ্চলের উন্নয়ন। উন্নয়ন না হওয়ার ফলে অন্ধকারে জীবনযাপন করছেন অবহেলিত অঞ্চলের প্রায় পনেরো হাজার মানুষ। যোগাযোগ বিছিন্নতার কারণে এঅঞ্চলের ছেলে, মেয়েকে বিয়ে সাদি দিতেও বিপাকে পড়তে হয় অভিভাবকদের।কারণ এসব রাস্তায় একবার যাওয়া আশা করলে পায়ের ধুলোবালি মাথায় গিয়ে ভাষা বাদে এমন বিঘ্ন দশায় এসব এলাকায় বিয়ে করে কোন শালায়।

যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকেও বঞ্চিত সীমান্ত অঞ্চলের কৃষির উপর নির্ভরশীল কৃষকরা।যোগাযোগ বিছিন্ন এলাকার সরেজমিন ঘুরে এলাকার বৃদ্ধদের বরাত দিয়ে জানা গেছে এক মন ধান হাটবাজারে বিক্রয় করতে কেয়ারিং খরচা হয় একশোত টাকা। আর যদি যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকতো তাহলে কেয়ারিং খরচ হতো  ২০ টাকা। আর সেখানে প্রতি মনে কেয়ারিং খরচ গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ৮০ টাকা।অপরদিকে হাটবাজারে কোন কাজে যেতে হলে  পায়ে  হেটে যেতে হয় প্রায় ৮ কিলোমিটার ধুলোবালি রাস্তার উপর দিয়ে। এমন বিঘ্নদশায় জীবনযাপন করছেন প্রায় পনেরো হাজার মানুষ।

অটো ভ্যানে কোন ফসল হাটবাজারে নিতে হলে ৩-৪ জন মানুষের  ধাক্কাধাক্কি করে  পাকারাস্তায় পৌছাতে হয়।এদিকে হাটবাজারে যেতে হলে মানুষ একটু হলেও স্বাভাবিক পোষাক পড়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেখানে দেখা গেছে পায়ের ধুলা মাথায় উঠে পরিবেশ কি জিনিস এঅঞ্চলের মানুষ ঠিকমতো রাখতে পারছেনা।

কাচা মাঠির রাস্তার এপাশ ওপাশে  অবৈধ ইটভাটা, এসব ইটভাটায় ফসলি জমির মাটি বেগুতে কেটে কাকরা  যোগে ভাটায় পৌছাতে রাস্তার অবস্থা খানাখন্দে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। 
এলাকাবাসীরা সরকারের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন অবৈধ লড়ি কাকরার দাপটে গ্রামীণ অবকাঠামো যোগা খিচুড়িতে পরিনত হয়েছে এগুলো বন্দ করতে হবে। সায়দাবাদ  মহাসড়ক হইতে ভায়া বেকরিবিল হয়ে খেওয়ারচর বাজার পেরিয়ে, সীমান্ত ঘেঁষা আলগারচর ডিঙ্গিয়ে, লাঠিয়াল ডাঙ্গার উপর দিয়ে বালিয়ামারী খেওয়া ঘাট পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার কাচা রাস্তায় একটি ইটের খোয়াও পড়েনি। যার ফলে শুস্ক মৌসুমে ধুলাবালিতে অন্ধকার হয়ে থাকে। বৃষ্টি হলে হাটু পর্যন্ত কাদায় পরিনত হয়ে যায়। অপরদিকে বালিয়ামারী পাকারাস্তার মোর হইতে চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা হয়ে সায়দাবাদ পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার কাচা মাটির রাস্তা চলাকালে অনুপযোগী হয়ে মানুষের যাতায়াতে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটেছে। এসব এলাকার উন্নয়ন চাইলে টেকসই উন্নয়ন করতে হবে তাহলে যদি এই এলাকার উন্নয়ন হয়। 

আরও খবর



মাঝরাতে অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করলেন কাফরুল থানা পুলিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৯জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:রাত তখন ১ টা  বাজে।  হঠাৎ করেই সে সময় কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুকুল আলম এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে ধরতে অভিযানে বের হলেন । ২ জন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী কে আটক করলেন । এতে করে প্রশংসায় ভাসছে কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুকুল আলম। রাতের বেলায় এমন উদ্যোগ অনেক স্থায়ী মানুষ স্বাগতম জানিয়েছেন। যাদের গ্রেফতার করেছেন তারা ওই এলাকা তার সৃষ্টি করেছিলেন। 

কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুকুল আলম জানান, মাদকের ব্যাপারে আমাদের কমিশনার স্যারের নির্দেশনা হলে জিরো টলারেন্স। তাই আমরা সাধারণত মাদক ব্যবসায়ী ধরতে রাতে বের হই। যারা মাদকের ব্যবসা করে তারা রাতের বেলায় বেশি বিক্রি করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি ওইখানে মাদক  বিক্রি হবে তখন আমরা তাদের হাতে নাতে গ্রেফতার  করি। এ সময় কাফরুল থানা  অফিসারগান উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



ঈদের দিন বঙ্গভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা,পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপ্রধান ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর হাইকোর্টের সামনে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। এরপর সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বঙ্গভবনে তিনি সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এ উপলক্ষে বঙ্গভবনের ক্রেডেন্সিয়াল হলে গণমাধ্যমের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ তথা সমগ্র দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাবেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।

প্রেস সচিব আরও জানান, বঙ্গভবনে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১৫০০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জলঢাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সংবাদকর্মী লাঞ্ছিতের শিকার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ২৫জন দেখেছেন

Image
জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃনীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার  ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নে স্বপ্ন প্রকল্পের মাটিকাটা কাজের লটারিকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্যকে মারপিটের ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সংবাদকর্মী লাঞ্ছিতের শিকার হয়েছে।এ ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের নেকবক্ত দ্বি-মূখি উচ্চ বিদ্যালয়ে।

জানা গেছে, ঘটনারদিন দুপুরে ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে সুবিধাভোগী মহিলাদের কর্ম নিয়োগে যাচাই-বাছাইয়ের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। তা না করে এই প্রক্রিয়াটি বাজার সংলগ্ন হাইস্কুলের গেট বন্ধ করে (তালা লাগিয়ে) লটারী করতে গেলে নির্ধারণ ইউনিয়ন পরিষদে লটারি না করায় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মুকুলকে বাধা দেন একই পরিষদের ৬নং ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম। 

এতে ক্ষিপ্ত হন চেয়ারম্যান। চৌকিদারদের পিটুনীতে আহত হন ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর। 
এখবর মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। 
খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ছুটে গেলে সেখানে ২ঘণ্টা বন্ধ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সংবাদ কর্মীদের।দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর বন্ধ গেট খুলতে বলায় দৈনিক মুক্ত বাংলার জলঢাকা প্রতিনিধি আল আমিন নামে এক সংবাদকর্মীকে লাঞ্ছিত করেন চেয়ারম্যান সমর্থকরা। এ ঘটনায় ওই সংবাদ কর্মী আহত হলে প্রাথমিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেন।

এ ঘটনায় প্রদীপ বানিয়াকে ১নং বিবাদী করে অজ্ঞাত ১৫ জনের নামে জলঢাকা থানায় অভিযোগ করা হয়।এ ঘটনায় লাঞ্ছিত ও আহত সংবাদকর্মী ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানায়, 
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে চেয়ারম্যান সমর্থকরা আমার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। 
এ বিষয়ে ওসি মুক্তারুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর



নিটারিয়ানদের কেমন কেটেছে পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫১জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:বৈশাখ আর বাঙালি মিলেমিশে একাকার। তাই-তো পহেলা বৈশাখ নিয়ে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই আপামর বাঙালির। নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে ভোরের নতুন সূর্য ওঠার মধ্য দিয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতেই নানা এলাকায় নানান ধরনের আয়োজন হয়ে থাকে।

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ,  ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। এ দিনটির মধ্য দিয়েই বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর। এ দিনটিকে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (নিটার) এর শিক্ষার্থীরা কিভাবে দেখছেন, কিভাবে উপভোগ করেছেন বৈশাখি উৎসব তা তুলে ধরেছেন খবর প্রতিদিনের নিটার প্রতিনিধি- মিঠুন দাস মিঠু

                                                                             ‘‘পহেলা বৈশাখ: বাঙালির এক সার্বজনীন উৎসব”
বাঙালির আদি সাংস্কৃতিক পরিচয় বহনকারী অসাম্প্রদায়িক উৎসব পহেলা বৈশাখ, যা বাংলাদেশের জাতীয় উৎসব হিসেবেও পালন করা হয়ে থাকে। পহেলা বৈশাখ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য সর্বজনীন সাংস্কৃতিক আনন্দ-উৎসব। বাংলা নববর্ষের সঙ্গে ধর্মীয় কোনো অনুষঙ্গ নেই। সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে পরিচিত পহেলা বৈশাখের এই দিনটি এই শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তাভাত খাওয়া, হালখাতা খোলা, বর্ষবরণ করে পালন করা হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল যুগ থেকে শুরু হয় এই উৎসবের চল যখন সম্রাট আকবর ফসল কাটার মরশুমের উপর ভিত্তি করে ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেন, যা ছিল ইসলামি ও হিন্দু ক্যালেন্ডারের সমন্বয়। বাংলা ক্যালেন্ডারের সঙ্গে আর্থিক বছর মিলিয়ে দেওয়ায় আকবরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এইদিন পরবর্তীকালে উৎসবে পরিণত হয়। বর্তমান পহেলা বৈশাখের এই দিনে আমাদের দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রায়” গ্রামীণ জীবন এবং আবহমান বাংলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়। জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে নভেম্বর বাংলাদেশের ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’ কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এইদিনে বাঙালি ব্যবসায়ী, দোকানদার বছরের সমস্ত হিসাব-নিকাশ শেষ করে নতুন হিসাবের খাতা খোলেন। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাদের মধ্যে ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব এইদিন পালিত হয়। গ্রামগঞ্জে বৈশাখী মেলা বসে। কৃষিজ পণ্য, কুঠির শিল্প দ্রব্য, মৃৎ ও হস্তশিল্প দ্রব্য, আসবাবপত্র ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের ধুম পড়ে সেসব মেলায়। যদিও তার প্রসার এখন কমে গিয়েছে। মেলার সময় নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা, কুস্তির আসর, এমনকি মেলায় ষাঁড়ের লড়াই, মোরগের লড়াই, বলী খেলা ইত্যাদি বিনোদন ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান বসতো। তবে করোনার পরবর্তী বছর গুলোতে আয়োজিত অনুষ্ঠান গুলোয় ভাটা পড়লেও বাঙালির আনন্দ থেমে থাকেনি। সর্বজনীন এই উৎসবের এই দিনটি উদযাপন করার মাধ্যমে পুরনো বছরের সমস্ত দুঃখ গাঁথা কষ্টকে বিদায় জানিয়ে নতুনত্ব কে সাদরে গ্রহণ করে পৃথিবীর সকল প্রান্তে থাকা সকল বাঙালি।
অপরাজিতা অর্পা, ডিপার্টমেন্ট ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                               ‘‘রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলোরে”
ঋতুরাজ বসন্তের রঙের আভা যেতে না যেতেই গ্রীষ্মের শুরু। গ্রীষ্মের শুরু বলতেই মাথায় আসে পহেলা বৈশাখ। বছর ঘুরে নতুন সূর্যোদয়ে পুরোনো বছরের, পুরোনো দিনের সকল গ্লানি, সকল জড়া ধুয়ে মুছে নতুন্যত্বর বরণ। সম্রাট আকবরের সময়কাল থেকে ‘‘পহেলা বৈশাখ” উদযাপনের সূচনা। কালপরিক্রমায় যা একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের রূপ নেয়। নববর্ষের অন্যতম প্রধান রীতি ‘‘হালখাতা”। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। নতুন বছরের উৎসবের সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। গ্রামে মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, নতুন জামাকাপড় পরে এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায়, কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। মেলাতে থাকে নানা রকম কুটির শিল্পজাত সামগ্রীর বিপণন, থাকে নানারকম পিঠা পুলির আয়োজন। ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়া ছাড়াও পুরনো একটি সংস্কৃতি হলো গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। এর মধ্যে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা কিংবা কুস্তি খেলা যার সবচেয়ে বড় আসরটি হয় চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে, যা ‘‘জব্বারের বলি খেলা” নামে পরিচিত। সোনারগাঁওয়ে ব্যতিক্রমী এক মেলা বসে যার নাম বউমেলা, এটি স্থানীয়ভাবে ‘‘বটতলার মেলা” নামেও পরিচিত।

রাজধানী ঢাকায় রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখে সূর্যোদয়ের পর পর এ অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের শিল্পীরা সম্মিলিত কণ্ঠে গান গেয়ে নতুন বছরের সূর্যকে আহ্বান জানান। স্থানটির পরিচিতি বটমূল হলেও প্রকৃতপক্ষে যে গাছের ছায়ায় মঞ্চ তৈরি হয় সেটি বট গাছ নয়, অশ্বত্থ গাছ। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পহেলা বৈশাখের উৎসবের মূল কেন্দ্র ‘‘ডিসি হিল পার্ক”। নগরীর অন্যান্য নিয়মিত আয়োজন শিশু প্রতিষ্ঠান ফুলকি’র তিনদিন ব্যাপী ‘‘ছোটদের বৈশাখী উৎসব” যার প্রারম্ভ হয় পহেলা বৈশাখের দুদিন আগে এবং শেষ হয় বৈশাখের প্রথম দিন সন্ধ্যায়।
অংকিতা পোদ্দার তিথি, ডিপার্টমেন্ট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                            ‘‘পহেলা বৈশাখ আসে আমাদের বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যকে নিয়ে”
সৌর পঞ্জি অনুসারে বাংলা মাস পালিত হতো অনেক প্রাচীনকাল থেকেই। সম্রাট আকবর বেশি আলোচিত হলেও, বাংলা পঞ্জির উদ্ভাবক ধরা হয় আসলে ৭ম শতকের রাজা শশাঙ্ককে।  প্রধানত কৃষকদের খাজনাপাতি দেয়ার সুবিধার্থে এই সনের প্রবর্তন করা হয়। এ কারণে এই সনের আরেক নাম ‘‘ফসলি সন”। প্রথমে আকবরের পঞ্জিকার নাম ছিল “তারিখ-এ-এলাহী”। ধারণা করা হয় যে, বাংলা বারো মাসের নামকরণ করা হয়েছে বিভিন্ন নক্ষত্র থেকে। যেমন: বিশাখা নক্ষত্র থেকে বৈশাখ, জায়ীস্থা থেকে জৈষ্ঠ্য, শার থেকে আষাঢ়, শ্রাবণী থেকে শ্রাবণ এমন করেই বাংলায় নক্ষত্রের নামে মাসের নামকরণ হয়। এইদিন আব্বু বাসায় অনেক বড় বড় মাছ আনে। আব্বুর মতে, বছরের শুরুটা ভালো খাবার দিয়ে শুরু করলে সারা বছর ভালো খাবার খাওয়া যায়। চারদিকে ‘এসো হে বৈশাখ’, ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’, ‘নোঙর ছাড়িয়া নায়ের দে রে মাঝি ভাই’ সহ বিভিন্ন গান শোনা যায়। নববর্ষের সময় মঙ্গল শোভাযাত্রা মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানায়। আমি ও আমার আম্মু লাল পাড় এর সাদা সাড়ি এবং আব্বু ও আমার ছোট ভাই পাঞ্জাবি পরে। এইদিন আমরা সকালে পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ ভাজা, হরেক রকম ভর্তা দিয়ে খাই। বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছা বাক্য হল “শুভ নববর্ষ”। যেটা আমারা সবাই সবাইকে বলি। আগে নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোটাই অর্থনৈতিক এবং গ্রামে-গঞ্জে ব্যবসায়ীরা নতুন বছরের শুরুর দিনে তাদের পুরনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলেন। এই উপলক্ষ্যে তারা তাদের নতুন-পুরনো খদ্দেরদেরকে আমন্ত্রণ জানান মিষ্টি মুখ করাতে। এই আমন্ত্রণ গ্রহন করতে এসে অনেক খদ্দের তাদের পুরনো দেনার পুরোটা বা কিছু অংশ শোধ করে নতুন খাতায় হিসাব হালনাগাদ করে। আমরা পুরো পরিবার বিকেলে মেলাতে যাই মেলাতে বিভিন্ন ধরনের দোকান বসে, তার মধ্যে হাতের নাকশা করার দোকান আমার সবচেয়ে প্রিয়। আমি সেখানে সবসময় হাতে নকশা করাই। তাছাড়াও সেখানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যায় যেমন মুড়ি-মুরকি, খাজা-গজা, চিনির তৈরি হাতি, ঘোড়া, মাছ, পাখি আকৃতির নানা রকম মিষ্টি, হরেক রকমের পিঠা। মেলায় মুল আকর্ষন থাকে নাগরদোলা। যেটায় প্রতিবার আমি উঠি। মেলায় রং বেরঙের খেলনা পাওয়া যায়। খেলনা গুলো এতো সুন্দর যে যেটা দেখি সেটাই কিনতে ইচ্ছা করে। মেলায় আঞ্চলিক ও লোকগানের আসর, যাএাপাল, পুতুল নাচ। বাঁশিবিক্রেতা বাঁশি বাজিয়ে মুখর করে তোলে মেলা প্রাঙ্গণ। এছাড়াও গান, নাচ, আবৃত্তি, নাটক সহ সংস্কৃতিক আনুষ্ঠান হয়ে থাকে। বিকালে বিভিন্ন ধরনের খেলার ব্যবস্থা করা হয়। খেলা গুলোর মধ্যে নৌকাবাইচ, গরু-মোষের লড়াই, কাবাডি, মোরগ লড়াই থাকে। এভাবেই আমি পহেলা বৈশাখ উদযাপন করি। প্রায় সময় আমরা ভুলে যাই আমরা বাঙালি, আর আমাদের সংস্কৃতির কথা। তাই প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ এসে আমাদের ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দেয় ।
আফরোজা আলম তানি, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                      ‘‘এসো হে বৈশাখ : ১৪৩১ বঙ্গাব্দ”
পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির সর্বজনীন একটি উৎসব। এই উৎসবে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালি অংশ নিয়ে থাকে। এই উৎসবের সময় দেশ নতুন করে সাজে, দোকানপাট থেকে শুরু করে বাসা বাড়ি রঙিন করে সাজানো হয় নতুন বছর বরণ করার জন্য। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রা কে ইউনেস্কো ২০১৬ সালে ‘‘মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এছাড়াও, প্রতি বছর রমনা বটমূলে ঘটা করে মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে । সেখানে মাটির পুতুল, শাড়ি ও বিভিন্ন দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার বিক্রি করা হয়। সবার কামনা থাকে, নতুন বছরটি যেন সুখময় ও শান্তির হয়। পহেলা বৈশাখের আয়োজন গুলোর মধ্যে অন্যতম ‘‘হালখাতা”। এদিনে গ্রাহকেরা দোকানিদের বাকি টাকা মিটিয়ে থাকে। তবে বর্তমানে বাংলা নববর্ষের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হল বৈশাখী মেলা। বিভিন্ন অঞ্চলে বৈশাখী মেলা আয়োজন করা হয়, গ্রামে গ্রামে আয়োজন করা হয় কবিগান, কীর্তন, গম্ভীরা গান, পুতুল-নাচের।
মো: লতিফুর রহমান লিহাদ, ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)


আরও খবর



মির্জাপুরে পার্টনার ফিল্ড স্কুল (পিএফএস) ধান এর কার্যক্রম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পার্টনার ফিল্ড স্কুল (পিএফএস) এর কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ জুলাই ২০২৩ থেকে জুন ২০১৮ পর্যন্ত।১৭ এপ্রিল, ২০২৪ মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী এবং আনাই তারা ইউনিয়নের দুটি স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। উয়ার্শী ইউনিয়নের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মির্জাপুর উপজেলার বর্তমান সাংসদ খান আহমেদ শুভ এবং আনাই তারা ইউনিয়নের চামারি ফতেপুর গ্রামের স্কুল উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আলমগীর হোসেন।

মির্জাপুর উপজেলার কৃষি বিষয়ক এক্সটেনশন অফিসার রাজীব মন্ডল, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিরঞ্জন ভৌমিক এবং সাহাদাত হোসেন উনাদের বক্তব্যে প্রান্তিক কৃষকদের নিয়ে গঠিত পিএফএস এর কার্যক্রম এবং এর উদ্দেশ্য গুলো তুলে ধরেন।

প্রতিটা স্কুলে ১০ জন নারী এবং ১৫ জন পুরুষ নিয়ে পিএফ এস-এর এই কার্যক্রম শুরু হয়। হাতে কলমে দশটি ক্লাসের মাধ্যমে কৃষক কৃষাণীদের এখানে শিক্ষা দেয়া হবে।অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক লুৎফর অরেঞ্জ, সাংবাদিক আশিক ইসলাম আসিফ, আনাই তারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বিরাজুর রহমান রাহুল এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।


আরও খবর