Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

আমতলীতে প্রথমবারের মতো চাষ হলো উচ্চমূল্যের ব্ল্যাক রাইস

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ২৮০জন দেখেছেন

Image

আব্দুল্লাহ আল নোমান আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের কালি বাড়ি গ্রামে ঔষধি ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ব্ল্যাক রাইস চাষ করে সাড়া ফেলেছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মোঃ কাওসার হাওলাদার। তার সাফল্য দেখে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এই ধান চাষে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে কালো চালের ধানের চাষ হলেও এ উপজেলায় এটাই প্রথম। ব্ল্যাক রাইস ধান গাছ প্রথমে সবুজ থাকলেও পাকার সঙ্গে সঙ্গে কালো হতে শুরু করে। এ চাল দামি ও পুষ্টিগুণে ভরপুর।

কালো ধানের চালে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ফাইবার হার্টকে রাখে সুস্থ। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, স্নায়ুরোগ ও বার্ধক্য প্রতিরোধক এ ধানের চাল। সরেজমিনে জানা যায়, তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মোঃ কাওসার ব্ল্যাক রাইস এর পাশাপাশি বাসমতী, বঙ্গবন্ধু ১০০, জিয়া ৮৬, ভিয়েতনাম চায়না, ফাতেমা, পারপেল রাইসসহ মোট ৭ জাতের ১৭ বিঘা জমিতে এ ধানের চাষ করেছেন। এসবের মধ্যে কোনো জাতের চাল অনেক বেশি কালো, কোনোটি লাল, আবার কোনটি লালচে লাল রঙের।

তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মোঃ কাওসার বলেন, ইউটিউবে প্রথম এ ধানের চাষাবাদের বিষয়ে দেখেন ও বিস্তারিত জানেন। পরে অনলাইনে সিলেট থেকে ৬্#৩৯;শ টাকা কেজি দরে ৩ কেজি ব্ল্যাক রাইস বীজ সংগ্রহ করেন। ব্ল্যাক রাইস নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহলের কমতি নেই। অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন এই ধান আবাদে। অন্য কৃষকের কাছ থেকেও প্রচুর সাড়া পেয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে ধান বীজ হিসেবে নেওয়ার জন্য কয়েকজন অর্ডার করে রেখেছেন।

এ ছাড়াও সারাদেশের কৃষকদের মাঝে স্বল্পমূল্যে এ বীজ ছড়িয়ে দিতে চান তিনি। তিনি আরও বলেন, ব্ল্যাক রাইসকে স্বাভাবিক ধানের মতই পরিচর্যা করতে হয়। অতিরিক্ত কোন পরিচর্যার প্রয়োজন না হলেও অন্য ধানের তুলনায় অধিক লাভবান হওয়া যাবে। যদি সরকারী ভাবে সুযোগ-সুবিধা পাই, তাহলে আগামীতে ব্যাপকভাবে চাষ করবো। উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, উপজেলায় এ ধানের চাষ প্রথম। পুষ্টি গুন সমৃদ্ধ ব্ল্যাক রাইস ধানের দামও বেশী। কৃষকরা এ ধান চাষ করলে সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।


আরও খবর



পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সমপ্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সকল সংস্কৃতির মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি কাপ্তাই উপজেলার সাপছড়ি এলাকার ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত ৭ম মহাসম্মেলন ও ৬ষ্ঠ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল-২০২৪ অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথির বক্তব্যে  প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন। 

তঞ্চঙ্গা সম্প্রদায় আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রশংসা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাহাড়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় সবদিকেই অনেক দূর এগিয়েছে। আধুনিক সমাজেও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় তাদের কৃষ্টি, কালচার এবং ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। এটি প্রশংসার দাবীদার।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত আসন হতে রাঙ্গামাটির তঞ্চঙ্গা সম্প্রদায়ের জ্বরতী তঞ্চঙ্গাকে  সংসদ সদস্য হিসেবে পার্বত্যবাসীকে  উপহার দিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার পার্বত্য অঞ্চলে  বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সহাবস্থানকে আরো গতিশীল করবে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর  স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নব নিযুক্ত সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
 
এর আগে জাতীয় পতাকা উড্ডয়ন ও রঙীন বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার আহ্বায়ক ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য দীপ্তিময় তালুকদার। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাজিব কুমার তঞ্চঙ্গ্যা। 

সম্মেলনের ১ম পর্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মফিজুল হক প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার সদস্য সচিব উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যা।

সম্মেলন এর দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যান সংস্থার শিল্পিদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া কেন্দ্রীয় কাউনসিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

আরও খবর



প্রশাসন ও প্রভাবশালির ছত্রছায়ায় রৌমারীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ভেকু চালক আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড়, যাদুরচর ও চর শৌলমারী উইনিয়নে দির্ঘদিন থেকে ব্রম্মপুত্র, হলহলিয়া ও সোনাভরি নদীতে প্রশাসনের যোগসাজসে ও প্রভাবশালির ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে মহাউৎবে মেতে উঠেছে। এ অভিযোগের অপরাধে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বন্দবেড় ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা রজবের নেতৃত্বের এক অভিযানে ভেকু গাড়ি চালক ইউছুফ নামের একজনকে আটক করা হয়। অন্যদিকে দুটি ভেকু গাড়ির চাবি জব্দ করা হয়েছে। ২০ এপ্রিল শনিবার বিকাল ৫ টায় বন্দবেড় ইউনিয়নের রৌমারী টু চিলমারী কুড়িগ্রাম জেলা সদর যাতায়াতের নৌকা ঘাটের দক্ষিণ পাশে ও পশ্চিম খন্ধসঢ়;জনমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, দীঘদিন থেকে ব্রম্মপুত্র, হলহিলয়া, সোনাভরি নদী ও জিঞ্জিরাম নদী থেকে প্রশাসন ও কিছু কু-চক্রী প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ড্রেজার ও ভেকু গাড়ি দ্বারা অবৈধভাবে উন্নয়নের নামে বালু উত্তোলন করে (ট্রাক্টর) কাকড়া গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন মানুষের বাড়ি, পুকুর, ডোবা ভরাট ও ইট ভাটার নামে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। নষ্ট করা হচ্ছে বিভিন্ন উর্বর শক্তি জমির মাটিও। ক্ষতি করা হচ্ছে নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের বাড়িঘর, গাছপাড়া ও জমিজেরাত। বন্যা আসলেই তীরবর্তী মানুষকে নদীপার থেকে দ্রুত সরে যেতে হয়। শুধু লাভবান হচ্ছে প্রশাসন ও কিছু কু-চক্রি মহল।তাদেরকে নিশেধ করার শাহসটুকু নাই তীরবর্তী মানুষের।

নদীতীরবর্তী এলাকার ভুক্তভোগী মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার বিকাল ৫ টায় ব্রম্মপুত্র নদের ফলুয়ারচর নৌকা ঘাটে সরেজমিনে গিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ছয়লাভের এমন চিত্র দেখা যায়। এমন অবস্থায় সাংবাদিকগণ কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরিফকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানালে সাঙ্গে সঙ্গে

তিনি বন্দবেড় ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা রজব আলীর নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনা স্থলে সরেজমিনে গিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। তার কথা মতো সরেজমিনে গিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ছয়লাবের চিত্র দেখতে পেলে কুটিরচর গ্রামের আমির খাঁনের ভেকু চালক ইউছুফ নামের একজনকে আটক এবং ভেকুর চাবি জব্দ করে। পরে পশ্চিম খঞ্জনমারা গ্রামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে সাজেদুলের ভেকু গাড়ির চাবিও জব্দ করা হয়।

এবিষয়ে বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদের সরকার বলেন, গাড়ি চালককে আটক করেছে শুনেছি। দেখিনি। তবে ভেকু গাড়ির চাবি ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা রজব আলীর কাছে রয়েছে।

ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা রজব আলী বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ঘটনাটি সত্যতা পাওয়া যায়। পরে ভেকু গাড়িরর মালিককে না পেয়ে, ভেকু চালককে আটক করে আনা হয়েছিল। প্র¯্রাবের কথা বলে পালিয়েছিল পরে খুজে এনে তাদের ঠিকানা লিখে নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। জব্দ করা গাড়ির চাবি আমার কাছে রয়েছে। ইউএনও স্যার এলে তার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



কালিয়াকৈরে বেপরোয়া মাটিবাহী ট্রাকের ধাক্কা,অল্পের জন্য রক্ষা ঘুমন্ত দোকানদার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১৩৬জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বেপরোয়া গতির মাটিবাহী ট্রাকের ধাক্কায় একটি চা দোকান, বেশ কয়েকটি গাছ ও একটি বৈদ্যুতিক খুটি ভেঙ্গে পড়েছে। রোববার ভোরে উপজেলার কুটামনি বড় পুকুরপাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ঘুমন্ত চা দোকানের মালিক। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছেন ওই ট্রাকের চালক।

এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাটি খেকোরা। দিনে-রাতে সমান তালে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের মাটিবাহী অবৈধ ড্রামট্রাক গুলো। ভেঙ্গেচুরে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কোটি কোটি টাকার নির্মিত সড়কগুলো। প্রায়  প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এর ধারাবাহিকতায় রোববার ভোর পৌণে ৪টার দিকে বেপরোয়া গতির একটি ড্রাম ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট ১৫৭৩৪৫) ধাক্কায় উপজেলার কুটামনি বড় পুকুরপাড় এলাকায় নুর ইসলামের চা-দোকানের কিছু অংশ ভেঙ্গে যায়। এসময় ওই ট্রাকের ধাক্কায় ভেঙ্গে যায় ইউপি প্রদত্ত পাশের সফিপুর- পাইকপাড়া সড়কের সড়ক বাতির সৌর শোলার, লাইটসহ কিছু গাছপালা। এরপর ওই ট্রাকটি সরাসরি সজোরে ধাক্কা দেয় পল্লী বিদ্যুতের ৩৩কেভি ভোল্টেজের লাইনের একটি বৈদ্যুতিক খুটিও।বিকট শব্দে ঘুম থেকে আতকে জেগে উঠেন ঘুমন্ত চা-দোকানদার নুর ইসলাম। কিন্তু গুরুতর আহত হন ওই ট্রাকের চালক আবুল হোসেন।

ততক্ষণে আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে গেলে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক থেকে বেড়িয়ে দৌড়ে একজন পালিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক ভাবে তার নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। এলাকাবাসী ওই চালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। খবর পেয়ে তার স্বজনরা ও মাটি খেকোরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ দুর্ঘটনার পর ওই সড়কে যান চলাচলে বিঘœ ঘটে। পরে খবর পেয়ে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ বৈদ্যুতিক খুটি পরিবর্তন করে। অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়া দোকানদার নুর ইসলাম জানান, পুরো দোকানের ওপর ট্রাক উঠে গেলে ঘুমন্ত অবস্থায় আমি মারা যেতাম। কিন্তু গাছপালা, দোকান ভেঙ্গে প্রায় ২০হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও দোকানের পাশের সৌরশক্তি, সড়ক বাতি ও বৈদ্যুতিক খুটি ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এসব বিষয়ে জানতে একাধিক মাটি ব্যবসায়ীকে ফোন দিলে তারা রিসিভ করেননি। তবে ওই ট্রাকের মালিক রবিন সরকার জানান, আমি তো ট্রাক চালাই না, মাটি ব্যবসায়ীরা ট্রাক চালায়। এসব ড্রাম ট্রাক আঞ্চলিক সড়কে চলাচলে নিয়মকানুনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারা দেশে ড্রাম ট্রাক চলে। তবে ওই দুর্ঘটনার বিষয়ে মাটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন তিনি।

ফুলবাড়িয়া সাব জোনাল অফিসের ইনচার্জ (এজিএম) হোসেন মোহাম্মদ রায়হান জানান, আমাদের ক্ষতিগ্রস্থ খুটি পরিবর্তন করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক সংশ্লিষ্টদের খবর দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ খুটি ও মেরামত বাবদ পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে টাকা পরিশোধ না করলে এ ঘটনায় মামলা করা হবে।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার আহম্মেদ জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



মাগুরা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সাফল্য ১০২ টি মেবাইলসহ নগদ টাকা উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল জনগনের সেবায় সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে।  তারই ফলস্বরূপ সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, মাগুরা  গত জানুয়ারী থেকে এপ্রিল২৪ মাস পর্যন্ত মাগুরা জেলার বিভিন্ন থানায় সাধারণ ডায়েরী ভূক্ত ১০২ টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মোবাইল ফোনের প্রকৃত মালিকের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভুলবশতঃ অন্য নাম্বারে চলে যাওয়াসহ বিকাশ প্রতারণা, অনলাইন প্রতারণার শিকার ৮ জন ভুক্তভুগীর নগদ বিকাশের সর্বমোট এক লাখ চুরাশি হাজার পাঁচশত  টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়।  এছাড়া বিভিন্ন থানায় নিখোঁজ ব্যাক্তিদের ভিকটিম উদ্ধারে থানা পুলিশকে সহায়তা করে ৮ জন ভিকটিমকে উদ্ধার, ডাকাতি মামলার আসামী গ্রেপ্তার ৪ জন ও আলামত হিসেবে দেড় ভরি স্বর্ণ উদ্ধার, ইজিবাইক উদ্ধার ১ টি, ফেসবুক সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি ৪ টি এবং অন্যান্য ৪৩ টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরার পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদৌলা রেজা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কলিমুল্লাহসহ জেলা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



ক্যানসারে মারা গেলেন পেপার রাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট সাদ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৯৭জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি:না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন জনপ্রিয় ব্যান্ড পেপার রাইমের গায়ক আহমেদ সাদ। দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করার পর মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সঙ্গীতশিল্পী সাদের স্কুলজীবনের বন্ধু ও পেপার রাইম ব্যান্ডের সদস্য অনিন্দ্য কবির অভিক বলেন, অনেক বছর ধরেই সাদ ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিল। মাঝখানে কিছুটা ভালোও হয়েছিল। কিন্তু মাস কয়েক হল পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে রোগটি।

তিনি বলেন, সাদের ৩ দিন আগে হার্ট অ্যাটাক হয়, তখন ওকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে আবারও হার্ট অ্যাটাক হয়। পরে রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদকে মৃত ঘোষণা করেন।

অভিক আরও জানান, মরদেহ দাফনের বিষয়টি পারিবারিকভাবে চূড়ান্ত করা হবে।

মূলত ব্যান্ড পেপার রাইম এবং এর ভোকাল আহমেদ সাদ নব্বই দশকে মাত্র একটি অ্যালবাম প্রকাশের মাধ্যমে শ্রোতাহৃদয়ে জায়গা করে নেন। ব্যান্ডটির হার্ডরক, মেলোরক, সফট রক ঘরণার গানগুলোর কথা ও সংগীত ভীষণ গ্রহণ করে নেয় শ্রোতারা। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘অন্ধকার ঘরে’, ‘আকাশের কী রং’, ‘এলোমেলো’ গানগুলো শ্রোতাদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে।

পেপার রাইম ব্যান্ডের সদস্যদের বিভিন্ন ব্যস্ততার জন্য ওই বছরই কার্যক্রম থমকে যায় ব্যান্ডটির। তবে ২০০৯ সালে সেটি সক্রিয় করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এ সময় ব্যান্ডে নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দেন মিরাজ ও লনি। ড্রামার অভিক ২০১১ সালে দেশে ফিরে ব্যান্ডে যোগ দেন।

তারপর অনুশীলন করতে থাকেন তারা। নতুন অ্যালবাম প্রকাশেরও কথা চলে। কিন্তু ব্যান্ডটির ভোকালিস্ট সাদের অসুস্থতা সেটি আর হয়ে উঠে না। ফলে ২০১২ সালে পথচলা অনেকটা অনানুষ্ঠানিকভাবে থমকে যায়।

২০১৭ সালে সবশেষ ‘আবার’ নামের একটি মিক্সড অ্যালবাম প্রকাশ হয় পেপার রাইমের। আশিক মিউজিকের ব্যানারে মিক্সড অ্যালবামটির গানটির শিরোনাম ছিল ‘দাঁড়াও বন্ধু’।

প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের ২৪ জানুয়ারি স্কুল বন্ধুরা মিলে প্রতিষ্ঠা করেন পেপার রাইম ব্যান্ড। এর লাইনআপে ভোকালে ছিলেন সাদ, গিটারে রাশেদ, কিবোর্ডে নাসের, বেইজ গিটারে সুমন ও ড্রামসে অভিক।


আরও খবর