Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

আজিজ বোর্ডিং থেকে বলিউড

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২২৯জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্কঃদেশে ব্যান্ড মিউজিকের জনপ্রিয়তাকে যাঁরা প্রসারিত করেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম নগর বাউল জেমস। তাঁর নাম শুনলেই একটি ফটোগ্রাফ ভেসে ওঠে সবার মনে, তা এক রকস্টারের অবয়ব। কতশত রাত তাঁর গান শুনে নির্ঘুম কেটে যায় হাজারও তরুণের, যিনি না থাকলে জমে না কোনও উৎসবের আসর। আজ সেই নগর বাউল জেমসের জন্মদিন।

৬০ বছরে পা রাখলেন এই মহাতারকা। ১৯৬৪ সালের ২ অক্টোবর নওগা জেলার পত্নীতলা থানার একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন তিনি। জেমসের পুরো নাম ফারুক মাহফুজ আনাম।জেমস নামটি রেখেছিলেন তাঁর বাবা ড. মোজাম্মেল হক।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। মা জাহানারা খাতুন ছিলেন গৃহিণী। বাবার চাকরিসূত্রে জেমসের প্রথম স্কুল ছিল সিলেটের ব্লু-বার্ড স্কুল। তারপর রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল। কলেজ জীবন কেটেছে নীলফামারী ও সিরাজগঞ্জে। মূলত কলেজ জীবনের পরই জেমসের মাথায় ঢোকে গানের পোকা। পরিবারের কেউ কখনও গানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।

যে কারণে বড় ছেলে জেমস সংগীতশিল্পী হতে চান, সেটা মেনে নিতে চাননি বাবা মোজাম্মেল হক ও মা জাহানারা খাতুন। আর তাই অভিমানী জেমসকে ঘর ছেড়ে পথে নামতে হয়। পথের বাপই বাপরে মনা/ পথের মা-ই মা/ পথের বুকেই খুঁজে পাবি/ আপন ঠিকানা’—জেমসের সেই ‌‌‘পথের বাপই বাপ রে মনা’ গানের মতো তিনি নিজেও যেন পথের বুকে খুঁজে পেলেন আপন ঠিকানা। গানকে সঙ্গী করে ঠিকানা হয়ে যায় চট্টগ্রামের কদমতলীর পাঠানটুলী রোডে আজিজ বোর্ডিংয়ের ৩৬ নম্বর কক্ষটি।

সেখানেই তাঁর পুনর্জন্ম, সংগীত জীবন পেলেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে জেমস বলছিলেন, ‘আড্ডা আর গান যা-ই হোক না কেন সব ওখানেই। আজিজ বোর্ডিংয়ের দিনগুলো কখনো ভুলব না।তারকা হয়ে ওঠার পর অবশ্য আর কখনোই আজিজ বোর্ডিংয়ে যাওয়া হয়নি জেমসের। তবে যে কক্ষে থাকতেন, সেখানে এখনকার বাসিন্দারা জেমসের জন্মদিনে কেক কাটেন প্রতিবছর।

তবে এই বিশেষ দিনটিকে তিনি কখনোই আলাদা করে ভাবেন না। অংশ নেন না তাঁকে ঘিরে কোনও বিশেষ আয়োজনে। বড়জোর পরিবার ও ব্যান্ডের মানুষগুলোর সঙ্গে বসে ছোট্ট একটা কেক কাটেন। তাতেও তাঁর বেজায় অস্বস্তি। জানা যায়, আজকের বিশেষ দিনটিও রকগুরু কাটাবেন নিজ ঘরেই। ডুবে যাবেন নিজস্ব প্র্যাকটিস প্যাডে। কারণ, আগামী ৫ অক্টোবর নগরবাউল জেমস পারফর্ম করবেন ‘দ্য হাইব্রিড এক্সপেরিয়েন্স ২’ কনসার্টে। এছাড়াও দেশ ও দেশের বাইরে আরও কিছু কনসার্ট রয়েছে।

নিবিড়ভাবে তাই প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই রকস্টার।গানের ভুবনে জেমসের আত্মপ্রকাশ ১৯৮০ সালে। এ বছর ‘ফিলিংস’ ব্যান্ড গঠন করেন তিনি। এর ৭ বছর পর প্রকাশ পায় ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম, নাম ‘স্টেশন রোড’। গানগুলোতে দারুণ সাড়া পান তিনি। পরের বছরেই প্রকাশ করেন ‘অনন্যা’ নামে একক অ্যালবাম।

যা জেমসকে সংগীত ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিষ্ঠিত করে। একটা সময় গান দিয়ে জনপ্রিয়তা কিংবা খ্যাতি সবই আসে তাঁর। এমনকি দেশের সীমানা পেরিয়ে জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে যায় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও। ২০০৫ সালে উপমহাদেশের বৃহত্তম সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি বলিউডে ডাক পান তিনি। গান করেন ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমায়।

তাঁর কণ্ঠে জনপ্রিয়তা পায় ‘ভিগি ভিগি’ গানটি। এরপর ‘ও লামহে’, ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’ ও ‘ওয়ার্নিং’ চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেন তিনি। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো—অকল্পনীয় সুযোগ থাকার পরও বলিউডে স্থায়ী হননি তিনি। কারণ বলিউডের জন্য তাঁকে স্থায়ী আবাস গড়তে হতো ভারতে! তাই দেশ ছেড়ে তিনি পরবাসী হতে চাননি।

এ নিয়ে জেমস বলেছিলেন, ‘বলিউডে তখন ক্যারিয়ার গড়তে পারতাম। খুব সহজ ছিল। কিন্তু সেখানে স্থায়ী হলে আমাকে বাংলাদেশটা ছাড়তে হতো। যেটা আমাকে দিয়ে সম্ভব নয়। আরও বড় প্রলোভন দিলেও দেশ আমি ছাড়তে প্রস্তুত নই। তাই আর বলিউডে কনটিনিউ করা হয়নি।আপন দেশেই থেকে গেলেন রকগুরু জেমস।

শ্রোতা-ভক্তদের ‘ফিলিংস’ ব্যান্ড থেকে উপহার দিলেন ‘জেল থেকে বলছি’, ‘নগর বাউল’, ‘লেইস ফিতা লেইস’, ‘কালেকশন অব ফিলিংস’ অ্যালবামগুলো। পরবর্তীতে ‘ফিলিংস’ ভেঙে নতুন ব্যান্ড ‘নগর বাউল’ গঠন করেন তিনি। সেই থেকে তিনিও শ্রোতাদের কাছে ‘নগর বাউল’ নামেই পরিচিত। এই ব্যান্ড থেকে ‘দুষ্টু ছেলের দল’ ও ‘বিজলি’ অ্যালবাম দুটি উপহার দিয়েছেন তিনি।

এছাড়া জেমসের একক অ্যালবাম হিসেবে রয়েছে ‘দুঃখিনী দুঃখ করো না’, ‘ঠিক আছে বন্ধু’, ‘আমি তোমাদেরই লোক’, ‘জনতা এক্সপ্রেস’, ‘তুফান’ ও ‘কাল যমুনাজেমসের কণ্ঠে জনপ্রিয়তার আকাশ ছোঁয়া গানগুলোর মধ্যে ‘দুঃখিনী দুঃখ করো না’, ‘কবিতা’, ‘পাগলা হাওয়ার তরে’, ‘গুরু ঘর বানাইলা কী দিয়া’, ‘বাবা কত দিন দেখি না তোমায়’, ‘মা’, ‘কাল যমুনা’, ‘কুসুম কুসুম প্রেম’, ‘মীরাবাঈ’, ‘আসবার কালে আসলাম একা’, ‘তোর প্রেমেতে অন্ধ হলাম, ‘আমার সোনার বাংলা’, ‘এক নদী যমুনা’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।


আরও খবর



যে তিন ফিচারের জন্য অনন্য ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৭৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা, ২৮ এপ্রিল ২০২৪: সম্প্রতি নোট ৪০ প্রো স্মার্টফোন বাজারে এনে সাড়া ফেলেছে তরুণদের প্রিয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। ফোনটিতে যুক্ত করা হয়েছে বেশ কিছু উদ্ভাবনী প্রযুক্তি। এই ফিচারগুলোই বাজেটের মধ্যে সেরা স্মার্টফোন বেছে নিতে তরুণদের আকৃষ্ট  করছে। 

নোট ৪০ প্রো-র আলোচিত ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেটিক চার্জিং, থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে এবং ১০৮ মেগাপিক্সেলের ওআইএস ক্যামেরা। এই ফিচারগুলো নিয়ে মিড-বাজেটের স্মার্টফোন বাজারে অনন্য অবস্থানে আছে ফোনটি।

ইনফিনিক্সের এই ফোনটিতে রয়েছে ‘অল-রাউন্ড ফাস্টচার্জ ২.০’। এই চার্জিং প্রযুক্তি পরিচালিত হয় ইনিফিক্সের তৈরি পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট চিপ ‘চিতা এক্সওয়ান’ দিয়ে। অল-রাউন্ড ফাস্টচার্জ এর নতুন এই সংস্করণের মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে প্রথমবারের মতো  ম্যাগনেটিক চার্জিং সিস্টেম ‘ম্যাগচার্জ’ যুক্ত করেছে ইনফিনিক্স। এতে আছে ২০ ওয়াট ওয়্যারলেস ম্যাগনেটিক চার্জিং সুবিধা।

ইনফিনিক্স ম্যাগকিটের সঙ্গে ব্যবহারকারীরা পাচ্ছেন একটি ম্যাগকেস এবং একটি ম্যাগপাওয়ার। ম্যাগপাওয়ার নামের এই বহনযোগ্য পাওয়ার ব্যাংকটি ফোনের কেসের সঙ্গে লাগিয়ে যেকোনো সময় ফোন চার্জ করা যায়। ফলে, ব্যবহারকারীদের আর তারযুক্ত চার্জার বহনের ঝক্কি পোহাতে হয় না। একই সঙ্গে চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া নিয়েও পড়তে হয় না দুশ্চিন্তায়। নোট ৪০ প্রো-এর সঙ্গে আরও আছে ৭০ ওয়াটের মাল্টি-স্পিড ফাস্টচার্জার। এই চার্জার দিয়ে ফোনটির ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারিকে মাত্র ২০ মিনিটে ৫০% চার্জ করা যায়।

নোট ৪০ প্রো ফোনটি দেখতেও বেশ আকর্ষণীয়। এর ৬.৭৮ ইঞ্চির থ্রিডি কার্ভড অ্যামোলেড ডিসপ্লে এমনভাবে তৈরি যে দেখলে মনে হয় পুরোটাই স্ক্রিন। ফুল এইচডি+ এই ডিসপ্লের বেজেল বেশ সরু বা আল্ট্রা-ন্যারো। স্বচ্ছন্দ্যে স্ক্রলিং এবং দুর্দান্ত ভিজ্যুয়ালের জন্য এতে দেয়া হয়েছে ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট এবং ১০৮০ পিক্সেল রেজ্যুলেশন।

ডিসপ্লে প্রোটেকশনের জন্য আছে কর্নিং গোরিলা গ্লাস। ফলে, ফোনের দাগ পড়া এবং কোমরসমান উচ্চতা থেকে পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা সহজেই সামাল দেওয়া যায়। এর উন্নত ডিসপ্লেতে ঘরে ও বাইরে উভয় জায়গাতেই উজ্জ্বল রং ও পরিষ্কার কন্টেন্ট উপভোগ করা যায়।

ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরের মাধ্যমে ডিজাইনের ক্ষেত্রে কোনো আপোস না করেই এতে যুক্ত হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। স্ক্রিনের নিচের দিকে স্থাপন করা ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ডিভাইসে দ্রুত ও নিরাপদ অ্যাক্সেস সুবিধা দেয়।

ফটোগ্রাফিপ্রেমীদের জন্য নোট ৪০ প্রো-তে আছে অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশনযুক্ত (ওআইএস) ১০৮ মেগাপিক্সেলের হাই-রেজ্যুলেশনের প্রধান ক্যামেরা। ফলে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ছবির মান থাকে অক্ষুণ্ন। ৩x (থ্রিএক্স) লসলেস জুমের ফলে ছবির মান বজায় রেখেই ব্যবহারকারীরা সাবজেক্টের ক্লোজ শট নিতে পারেন।

ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো ভিন্টেজ গ্রিন ও টাইটান গোল্ড দুটি স্টাইলিশ রঙে পাওয়া যাচ্ছে। ডিভাইসটির ৮ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতা এবং ১২ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার দুটি সংস্করণের বাজারমূল্য যথাক্রমে ৩০,৯৯৯ টাকা এবং ৩৪,৯৯৯ টাকা।


আরও খবর



বিএনপি নেতা ইশরাক জামিন চেয়ে কারাগারে

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৪৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।

এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। এদিন আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের সময় বাড়ানোর আবেদন করেন তিনি। তবে শুনানি শেষে আদালত সেই আবেদন না মঞ্জুর করে বিএনপির এই নেতাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


আরও খবর



ইসলামপুরে চার সন্তানের জন্ম দিলেন খুকি বেগম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি:জামালপুরের ইসলামপুরে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন খুশি বেগম নামের এক নারী। বুধবার (১৫ মে) ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে তিন পুত্র সন্তান ও এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। 

বর্তমানে চার সন্তান সুস্থ্য রয়েছে। খুশি বেগম উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়নের গুঠাইল বাজার এলাকার দিনমজুর শফিকুল ইসলামের স্ত্রী। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.এ এ এম আবু তাহের জানান, নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে তিন পুত্র সন্তান ও এক কন্যা সন্তানসহ চার সন্তান প্রসব করে তিনি। বাচ্চার ওজন কম হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।


আরও খবর



বিএনপি সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করেছিল: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত আমরা সরকারে ছিলাম না। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের দেশের মানুষ প্রাথমিক যে স্বাস্থ্য সেবা পাবে সেই সুযোগটা বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে আমাদের জনসংখ্যা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্থবিরতা নেমে আসে।

বুধবার (১৫ মে) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘আইসিপিডি থার্টি গ্লোব্যাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভার্সিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভলডমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ সংগ্রামের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতির পিতার নেওয়া পদক্ষেপ অনুসরণ করে সকলের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে নতুন জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করি। বিশেষ করে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানোর জন্য সারা দেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন কাজ শুরু করি। সেই সময় জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহণ করি। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে আমরা বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করি। নারী শিক্ষা বিস্তার এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে ছিল আমাদের আন্তরিক প্রয়াস।

তিনি বলেন, জাতির পিতার নিদের্শে ’৭৩-৭৮ সাল পর্যন্ত প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়। তিনি একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাশনাল কাউন্সিল কমিশন গঠন করেন। জাতির পিতাকে হত্যা করার পরে এদেশে অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর সমস্ত অর্জনগুলো একে একে নষ্ট করে দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পুনরায় সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর আমরা আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনের ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি ২০১২ প্রণয়ন করি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মাতৃ মৃত্যু ও নবজাতক মৃত্যুহার হ্রাস, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প আবারও চালু করি। বর্তমানে সারাদেশে সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। এগুলোর মাধ্যমে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাসহ ৩০টি অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার ক্লিনিকে স্কিলড বার্থ অ্যাটেনডেন্স সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন ৩ হাজার ২৯০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র বা পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক হতে মা, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২ হাজার ২০০টি কেন্দ্র থেকে সার্বক্ষণিক স্বাভাবিক প্রসব সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রসূতি সেবা প্রদানের জন্য এসব কেন্দ্রে ৪ জন করে ধাত্রী নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমি ৩০ হাজার ধাত্রী নিয়োগের অঙ্গীকার করেছিলাম। এর ধারাবাহিকতায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ করা সম্ভব হবে বলে আমি আশা করি। মাতৃ স্বাস্থ্য সেবায় জরুরি প্রসূতি সেবা নিশ্চিত করতে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। ‘মা টেলিহেলথ সার্ভিস’-এর মাধ্যমে প্রসূতি মায়ের গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৩ লাখ উপকারভোগীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।


আরও খবর



সকল শ্রেনীর মানুষের জীবন মানের উন্নয়নই এ সরকারের লক্ষ: সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:সকল শ্রেনীর মানুষের জীবন মানের উন্নয়নে বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় সরকারের এ পদক্ষেপ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র জাতিসত্বা নৃ গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের জীবন মান উন্নয়নে এবং মেধাবী গরিব অসহায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে সরকারি অনুদান বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাগুরা ১ আসনের সংসদ সদস্য বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এ কথা বলেন। মাগুরা সদর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সোমবার সকালে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেণ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলু, মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল। প্রধান অতিথি বলেন, দেশের জনগনের সকল দুর্যোগ দুর্বিপাকে বর্তমান সরকার তাদের পাশে রয়েছে। জনগনের ভাগ্য উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে আন্তিরকতার সাথে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। প্রধান মন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে জনগনকে আহবান জানান। তিনি শতাধীক ব্যক্তি মধ্যে মোট ৫ লাখ টাকা অনুদান হিসেবে বিতরণ করেণ। সংসদ সদস্য সাবিব আল হাসান পরে মাগুরা সদর উপজেলার কসুন্দি সরকারি প্রাথমামিক বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন, বেলনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন, শেখপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন, লস্করপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন, নরসিংহাটি কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন, ভাবনহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন,মঘীর ঢাল - রাঘবদাইড় বাজার সড়ক প্রসস্থকরণ এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন,আলমখালী - শ্রীরামপুর রাস্তা প্রসস্থকরণ উদ্বোধন ও বালিয়াডাঙ্গা বাজার - মালঞ্চ সড়ক উন্নয়নের উদ্বোধন করেন। এসময় মাগুরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর