Logo
আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

৬৫ যুদ্ধবন্দি নিয়ে রাশিয়ার সামরিক বিমান বিধ্বস্ত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ জানুয়ারী 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ১৯৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:রাশিয়ার একটি ইউশিন আইএল-৭৬ সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে,ইউক্রেন সীমান্তের কাছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে বিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়ে। এতে বিমানের ভেতর থাকা ৬৫ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দির মৃত্যু হয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তের কাছে বেলগোরোদে একটি সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ৬৫ জন বন্দি ইউক্রেনী সেনাসদস্য বিনিময়ের জন্য বহন করা হচ্ছিল। বন্দিসেনা সদস্য ছাড়াও ৬ ক্রু ৩ জন যাত্রী ছিল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে ইয়াবলোনোভো গ্রামে একটি বিমান খাড়াভাবে আছড়ে পড়ছে। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ জানিয়েছেন, তারা বিমান বিধ্বস্তের ব্যাপারে জানতে পেরেছেন। তবে তিনিও বিস্তারিত কোনো কিছু জানাননি।

আইএল-৭৬ বিমানটি তৈরি করা হয়েছে সেনা, কার্গো, সামরিক সরঞ্জাম এবং অস্ত্র পরিবহণের জন্য। বিমানটিতে সাধারণত পাঁচজন ক্রু থাকেন এবং এটি সর্বোচ্চ ৯০ জন যাত্রী বহন করতে পারে।

তবে ইউক্রেনের প্রভাবশালী ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ইউক্রেনীয় প্রাভাদা জানিয়েছে, বিমানটি ইউক্রেনীয় সেনারা ভূপাতিত করেছে এবং এটির ভেতর কোনো যুদ্ধবন্দি ছিল না। বিমানটি বিধ্বস্তের সময় এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেপণাস্ত্র বহন করছিল।

সূত্র: বিবিসি


আরও খবর



মির্জাপুরে সন্ত্রাসী হামলায় আ.লীগ নেতাসহ আহত ৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ১৯জন দেখেছেন

Image

লুৎফর অরেঞ্জ মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আ.লীগের সদস্য হাজী আবুল হোসেন (৫০), স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৪৫) ও তার ছেলে ফুয়াদ হোসেন হৃদয়কে (২৭) আহত হয়েছে। সোমবার সকালে পৌর এলাকার পোষ্টকামুরী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। হাজী আবুল হোসেন পৌর এলাকার পোষ্টকামুরী গ্রামের মৃত কুমর উদ্দিনের ছেলে।

এই ঘটনায় হাজী আবুল হোসেনের স্ত্রী জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে একটি দা ও লাঠি উদ্ধার করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল আনুমানিক সাতটার দিকে ইসমাইল তার ঘরের ছাদের পানি আবুল হোসেনের ঘরের চালে দিচ্ছিলেন। আবুল হোসেনের স্ত্রী জেসমিন আক্তার নিষেধ করলে ইসমাইল তার স্ত্রী শিলা আক্তার ও মেয়ে জিম আক্তার দা ও লাঠি নিয়ে তার তাদের ওপর হামলা করে। তার আত্মচিৎকারে আবুল হোসেন ও ফুয়াদ হোসেন হৃদয় এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও হামলা করে। এসময় ইসমাইল ধারালো দা দিয়ে আবুল হোসেন ও তার ছেলে ফোয়াদ হোসেন হৃদয়কে মাথার মধ্যে এলোপাথারি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাদের আত্মচিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে তাদেরকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করেন।খবর পেয়ে মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রামকৃষ্ণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং আলামত হিসেবে রক্তমাখা দা ও লাঠি জব্দ করেছেন।

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। 


আরও খবর



মধুপুরে চুরি করতে গিয়ে গৃহবধূকে হত্যার চেষ্টা- চোর গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের মধুপুর পৌর শহরের চাড়ালজানী এলাকায় ২ মে  রাত্রি আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে  নরেশ প্রসাদ এর বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে তার স্ত্রী অমৃতা রানি সরকারকে হত্যার চেষ্টা করে ১ভরি ৪আনা ওজনের গলার চেইন নিয়ে যায় অভি চক্রবর্তি নামের এক মাদক সেবি। নরেশ প্রসাদ জানান,আমি চাকুরির সুবাদে ঢাকা থাকায় আমার স্ত্রী অমৃতা রানি সরকার বাড়িতে একাই বসবাস করেন।

অভি চক্রবর্তী চুরি করার উদ্দেশ্যে আমার বসত ঘরের ভিতরে প্রবেশ করলে আমার স্ত্রী অভি চক্রবর্তীকে দেখে ডাক চিৎকার শুরু করলে অভির হাতে থাকা চেলাই রেঞ্জ দিয়ে আমার স্ত্রীর মাথায় বাড়ি মারিয়া মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। সাথে সাথে আমার স্ত্রী বিছানায় লুটিয়ে পরলে চোর  অভি চক্রবর্তী আমার স্ত্রীর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করলে আমার স্ত্রী নিজে কে বাঁচানোর জন্য আসামি অভির ডান হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলে কামড় দিলে সে  আমার স্ত্রী কে ছেড়ে দিয়ে তার গলায় পরিহিত ১ভরি ৪আনা ওজনের একটি স্বর্নের চেইন নিয়ে পালিয়ে  যায়। 

আমার স্ত্রীর ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসে পরবর্তীতে আমার ভাতিজা শুভ চৌহান সংবাদ পাইয়া ঘটনাস্থলে আসিয়া আমার স্ত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে  স্হানীয় লোকজনের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য দ্রুত মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়।এব্যাপারে মধুপুর থানায় ৩ মে একটি মামলা  হয়েছে। মামলার পরপরই মধুপুর থানা পুলিশ খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে সনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



রেলওয়ের জমি,কোয়ার্টার ওপানির পাম্প দখল অব্যাহত,রেলকর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমি, কোয়ার্টার ও পনির পাম্প রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্যের কারণে রেলওয়ের কোয়ার্টার ও ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে পানির পাম্প ও দখল করে সেখানে স্হাপনা নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে।  এই দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী রেলওয়ে জমিতে স্থাপনাকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে থাকেন বলে দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েও মিলছে না কোনো প্রতিকার। এতে সৈয়দপুর রেলবিভাগ হারাচ্ছে পুরোনো দিনের ঐতিহ্য। যার ফলে প্রায় প্রকাশ্যেই চলছে কোয়ার্টারসহ কোয়ার্টার ভেঙে ঘরবাড়ি নির্মাণ,ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ ও পানির পাম্প দখল। গত ৫০ বছরে সৈয়দপুর রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে প্রায় সারে ৪ শত একর সম্পত্তি ও ১২৩৮কোয়ার্টার।

পার্বতীপুর ৭ নং রেলওয়ের কাছারি ফিল্ড কানুনগো সাজ্জাদ হোসেন দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তৎকালীন রেল কর্তৃপক্ষ এ শহরে রেলকে ঢেলে সাজাতে প্রায় ৮৫০ একর ভূসম্পত্তি অ্যাকুয়ার করে নেন। ১৮৭০ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত রেলওয়ের এসব অ্যাকুয়ারকৃত জমি সুরক্ষিত ছিল। এরপর থেকে শুরু হয় রেলওয়ের জমি দখল বিক্রয়। যেসব জমি বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে খতিয়ান ভুক্ত বা দখল হয়েছে,সেগুলির রেকর্ড সংশোধনী মামলা ও দখলদার উচ্ছেদের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। 

রেলওয়ে কারিগরি পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান জানান,  সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কজন কর্মকর্তার ঢিলামি ও সেলামী নেয়ার কারণে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় সারে ৪ শত একর জমি ও প্রায় ১২৩৮ কোয়ার্টার বেদখলে চলে যায়। দখলবাজরা ওই কজন রেল কর্মকর্তা রেলের জমি দখল বিক্রয় কারিদের সেলামি নিয়ে লাখ লাখ টাকার মালিক হলেও রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে ৪২৭ একর সম্পত্তি ।

শহরের মুন্সিপাড়ার ইসলামিয়া স্কুল সংলগ্ন তন্ময় নামের এক ব্যাক্তি বলেন,ওই এলাকার ফটিক নামের এক ব্যক্তি রেলওয়ের কোয়ার্টার ভেঙে ও পতিত জমিতে একাধিক স্থাপনা নির্মাণ করেছেন এবং তার ছত্র ছায়ায় আশপাশ এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে। এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পকেট ভারী হওয়ায় প্রতিকার বা লাভবান হয়নি অভিযোগকারীসহ রেল বিভাগ। 

জানতে চাইলে ফটিক নামের ব্যাক্তিটি বলেন,মুন্সিপাড়ার কেউই কোয়ার্টার ভেংগে ঘরবাড়ি বানাতে রেলওয়ের লাইসেন্স বা অনুমতি নেয়নি। সবাই যেভাবে ঘরবাড়ি বানাচ্ছেন,আমিও সেভাবেই নির্মান করছি।

 এ ছাড়া শহরের রেললাইনের দুপাশ, ড্র্রেনসংলগ্ন এলাকা ও অফিসার্স কলোনি, রসুলপুর হাওয়াদ পাড়াও গার্ডপাড়া এলাকায় রেলওয়ের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্প দখল করে সেখানে নির্মান হচ্ছে পাকা দোকানপাট। 

স্থানীয়রা বলেন , সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও রেল বিভাগ যেমন লোকসান ভুগছেন তেমনি অভিযোগকারীরা দখলদারদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। তারা বলেন, বাস্তুহারার নামে সৈয়দপুরের কোটি কোটি টাকার মালিকরাও রেলের জমি দখল করে বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ করেছেন। বাস্তুহারাদের বাদ দিয়ে রেলওয়ের ঐতিহ্য রক্ষায় দখল হওয়া সব জমি উদ্ধার করে অপ্রয়োজনীয় সব জমি বিক্রি করা হলে সে টাকা দিয়ে পদ্মা সেতুর মতো সেতু নির্মাণের অর্ধেক অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তারা।

শহরের মিস্ত্রি পাড়া মোড়ের বাবু নামের এক ব্যাক্তি বলেন, সেখানকার পানির পাম্প সংলগ্ন কিছু জমি বরাদ্দের জন্য শহীদ সন্তান শেখ জামিল ও নিয়াজ আহমেদ বাবলু পাকশি রেলবিভাগে আবেদন করেন। কিন্ত সেখানে পানির পাম্প বরাদ্দ দেয়া হয় না বলে জানানো হয়। এর পরপরই ঈদের আগে রমজান মাসে সরকারি বেসরকারি সব অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যায়। ছুটি শেষে অফিস খোলার আগেই বাবলু নামের ওই যুবদল নেতা বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্পটি দখল নিয়ে স্হাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে দেন। তিনি আরো বলেন,শেখ জামিল হলেন শহীদ সন্তান। কিন্তু এরপরেও তাঁকে বরাদ্দ না দেয়ায় অভিযোগ দেয়া হয় স্হানীয় উপসহকারী প্রকৌশলীর দপ্তরে। কিন্তু ওই দপ্তরের উপসহকারী আবাসিক প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম  ঘটনাস্থল প্রদর্শন করার পরও কার্যকর কোন পদক্ষেপই নেননি। একজন যুবদল নেতা কিভাবে রেলওয়ের পানির পাম্প ও জমি বরাদ্দ পায়, এবং তার বিরুদ্ধে কিসের স্বার্থে ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে না সেটি ভাবার বিষয়। বিষয় টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেয়ার জোড় দাবী জানান তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে সৈয়দপুর রেলওেয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যাই, সেখানে নিয়াজ আহমেদ প্রথমে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে রাজস্ব প্রদানের কাগজ দেখান, এটাকেই তিনি লাইসেন্স মনে করেন। পরে তার বরাদ্দের কাগজ চাইলে  স্হাপনা নির্মাণের একটি বানিজ্যিক লাইসেন্স প্রদর্শন করেন। তিনি আরো বলেন, যেহেতু জায়গাটি রেলওেয়ের এবং সেখানে পানির পাম্প বিদ্যমান,সেহেতু যদি লাইসেন্স দেয়া হয়, তাহলে সেটি বাতিল করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ষ্টেট বিভাগ পাকশির বিভাগীয় প্রধানের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত লাইসেন্স বাতিল করে পাম্প টি রেলওয়ের নিজ দখলে নিতে পারবো না, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষান্ত হবেন না।  একই সাথে বেদখল হয়ে যাওয়া ভুসম্পত্তি দখলে নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। 


আরও খবর



শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫জন মহিলা প্রার্থীর প্রচারণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে ৮জন সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচার প্রচারণা, আগামী ৮ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীকে দিন রাত দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা গেছে।

নির্বাচনে জয়ী হতে তারা তাদের কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে হাট, বাজার, পাড়া মহল্লায় পথসভা, উঠান বৈঠক, মিছিল মিটিং করে ব্যস্ত সময় পাড় করছে। পেষ্টারে ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। বিকাল হলেই শুরু হয় প্রার্থীদের নামে গান বাজনার তালে তালে গুনো কির্তন। দোয়া ও আর্শিবাদের পাশাপাশী নিজের মার্কায় ভোট চেয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুড়ছে তারা।

এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জনসহ মোট ২১ জন বৈধ্য প্রার্থী মাঠে কাজ করছে।

সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন, বেগম রৌশন কানিজ (হাঁস), লাইলী বানু লিলি (ফুটবল), শিল্পী আক্তার বানু (কলস), ফেরৗেসী বেগম (প্রজাপতি), শ্রী সন্ধ্যা রানী (বৈদ্যুতিক পাখা) মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছে। এখন জনমনে অপেক্ষার পালা ৮ তারিখের নির্বাচনে কে হতে পারে সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ী। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৭ হাজার ৫শত ৭১। মোট কেন্দ্র ৭৫ এবং বুথ সংখ্যা হবে ৫শত ৮৫টি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা নুরে আলম।


আরও খবর



সরগরম তানোরের নির্বাচনী মাঠ, এগিয়ে ময়না

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:তীব্র তাপদহে প্রার্থীদের দিনরাত প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার নির্বাচনী মাঠ। আগামী ৮ মে বুধবার প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে তানোর উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ। তবে সকাল ১১ টা থেকে বিকেল তিন টা পর্যন্ত প্রচন্ড তাপদহের কারনে প্রার্থীরা প্রচারণা তেমন ভাবে করছেন না। কিন্তু শেষ বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিরামহীন প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে এলেও ভোটারদের মাঝে নির্বাচন নিয়ে তেমন একটা আগ্রহ নেই বললেই চলে। কারন ভোটে ক্ষমতা সীন দলের একাধিক  নেতারাই প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপি ও জামায়াত ভোটে অংশগ্রহণ না করার কারনেই তেমন একটা আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। আবার তীব্র গরম ও বোরো ধান কাটা মাড়ায় চলছে ভরদমে।
জানা গেছে, গত নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করে প্রথমবারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তবে এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন না করার কারনে ক্ষমতা সীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে উন্মুক্ত করে দেন ভোটের মাঠ ।। এরই প্রেক্ষিতে এবারে দলীয় প্রতীক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন।  আগামী ৮ মে বুধবার অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ধাপে তানোর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ। চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি  লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীকে নিয়ে ভোট করছেন। ময়না বিগত ২০১১ সালে উপজেলার কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির)  চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে উপজেলা বাসীকে তাক লাগিয়ে দেন। তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনগণের মাঝে নির্বিঘ্নে সেবা প্রদান করার কারনে ২০১৬ সালে পুনরায় কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তবে ২০১৯ সালে তার রাজনৈতিক ও সামাজিক দক্ষতার কারনে দলীয় প্রতীক নৌকা প্রতীক পেয়ে প্রথম বারের মত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 

দলীয় নেতাকর্মী জানান, লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না আওয়ামী লীগের পরিক্ষিত সৈনিক। বিগত স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে কখনো নৌকার বিরুদ্ধে বা দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন নি। যার কারনে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে ভোটের মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। 

বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা তালন্দ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, আমি তালন্দ ইউনিয়নের দায়িত্বে আছি। ইউপির প্রায় প্রতিটি পাড়া মহল্লায় গণসংযোগ করেছি। দলমত নির্বিশেষে সবাই কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিতে মরিয়া হয়ে আছেন। সবার মাঝে ময়নার আলাদা গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে। আসা করছি ময়নার কাপ পিরিচ প্রতীক বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করবে।
সিনিয়র একাধিক নেতারা জানান, তানোরে আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বের মুলেই আব্দুল্লাহ আল মামুন। সে সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় বিগত ২০০৯ সালে প্রথম উপজেলা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দল থেকে ওই সময়ের উপজেলা সভাপতি গোলাম রাব্বানী কে চেয়ারম্যান পদে  মনোনায়ন দেয়া হয়। কিন্তু তাকে পরাজিত করতে আব্দুল্লাহ আল মামুন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে রাব্বানীর পরাজয় নিশ্চিত করেন। এভাবেই মামুন দলে ভাঙ্গন সৃষ্টি করেছেন। এখন পদ পদবি হারিয়ে এবার উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। অথচ মামুন কে তানোরের মাটিতে দেখায় যায় না। যারা গত জাতীয় নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করেছিলেন তারাও ভুল বুঝতে পেরে ময়নার কাপ পিরিচ কে সমর্থন জানিয়ে ভোটের মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। তাহলে বুঝতে হবে মামুনের গ্রহণ যোগ্য তা কতটুকু। 

কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, আমি বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। কারন আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে ভোটের মাঠে জোরালো ভূমিকা পালন করছেন। মুলত একারনেই আশা করা যায় বিজয়ের ব্যাপারে। তবে কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে উপজেলার আপামর জনতা কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয় করবেন।আব্দুল্লাহ আল মামুন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তিনিও বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। 

এছাড়াও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তার মধ্যে একজন সোহেল রানা। তার বাড়ি তানোর পৌরসভার হরিদেবপুর গ্রামে। সে পৌর মেয়র ইমরুল হকের ছোট ভাই। রানা বিগত ২০১৯ সালে চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট করে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি এবারের নির্বাচনে তালা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কলমা ইউপির সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তানভীর রেজা। তার বাড়ি কলমা ইউপির আজিজপুর গ্রামে। তিনি প্রথম বারের মত চমশা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 

এদিকে মহিলা  ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তাদের মধ্যে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি সোনিয়া সরদার। সে গত ২০১৯ সালে কলস প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবারো তিনি কলস প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী যুব মহিলা লীগ সভাপতি সাগরী ভৌমিক। তিনি ফ্যান প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। নাসিমা নামের আরেক জন সেলাই মেশিন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 

আরও খবর