Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

৩০০ মোবাইল ফোন ঢাকায় প্রতিদিন ছিনতাই হয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১৫০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকায় প্রতিদিন গড়ে ৩০০ মোবাইল ফোন ছিনতাই হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ। গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছিনতাইকারী গ্রুপের দুই নেতাসহ ১৬ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর আজ শনিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. মিজান, আমিরুল ইসলাম বাবু, শরীফ হোসেন, রিদয়, রাজ, সুমন, সোহেল বাবু, রিদয়, মনিরুজ্জামান, নাজমুল, মনির, ইমরান, ফারুক, আশরাফুল ইসলাম সজিব, আরিফ ও হাসান।

সংবাদ সম্মেলনে হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা ডিবিকে বলেছে প্রতিদিন ১০০ জন লোক শহরের রাস্তায় ঘোরাফেরা করে এবং মহাজন (গ্যাং লিডার) তাদের প্রত্যেককে প্রতিদিন কমপক্ষে তিনটি মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেন। সেই হিসেবে শহরে প্রতিদনি গড়ে ৩০০ মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা

 

ডিএমপির ডিবি প্রধান বলে বলেন, বাস বা গাড়ির জানালার পাশে বসে যখন কেউ ফোনে কথা বলে বা নেট ব্রাউজ করে তখনই ছিনতাইকারীরা ফোনগুলো চুরি করে। পরে মহাজনরা তাদের কাছ থেকে কম দামে ফোন কিনে নেয়। 

তিনি জানান, সস্তা ফোনগুলো সরাসরি বিক্রি করা হলেও দামি ফোনগুলো খুলে শুধু যন্ত্রাংশ বিক্রি করা হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গ্যাং লিডাররা ফোনের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি (আইএমইআই) নম্বর পরিবর্তন করে বিক্রি করে।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবি কর্মকর্তারা নগরবাসীকে এ ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনার পর সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার অনুরোধ জানিয়েছেন যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অন্তত হটস্পটগুলো খুঁজে বের করতে পারে।


আরও খবর



তাহিরপুরে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজদের রামরাজত্ব : দেখার কেউ নাই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৬৪জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে সরকারের কোটিকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে অবৈধ ভাবে গরু, ঘোড়া, মহিষ, ছাগল, পাথর, কয়লা, পেয়াজ, সুপারী, কসমেটিকস, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পাচাঁরের পর বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলনের খবর পাওয়া গেছে।

কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে আইনগত কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে সীমান্ত এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজরা। আ  এই চোরাচালান করতে গিয়ে গত ৩ মাসে প্রায় ২৫জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তাই এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উপরস্থ কর্মকর্তাদের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন।

খোঁজ জানা গেছে- আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি, এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া, লেংড়া জামালগং ২শ টন কয়লা, ৫শ বস্তা চিনি ও পেয়াজসহ বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য পাচাঁর করেছে। একই সময় এই সীমান্তের কলাগাঁও, চারাগাঁও এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী বাবুল মিয়া, সোহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, দীপক মিয়া ও নজির মিয়াগং গত ২দিনে প্রায় ৫শ টন কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্পের পাশে অবস্থিত একাধিক ডিপুসহ বাড়িঘরের ভিতরে মজুত করেছে। এজন্য ১ বস্তা (৫০কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে বিজিবির নামে ১শ টাকা ও অন্যান্য মালামাল থেকে বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করেছে সোর্স পরিচয়ধারী আইনাল মিয়া, সোহেল মিয়া ও বাবুল মিয়া। অন্যদিকে টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী ১বস্তা চোরাই কয়লা থেকে বিজিবির নামে ৫০টাকা, থানা ও সাংবাদিকদের নামে ১টন অবৈধ কয়লা থেকে ২হাজার টাকাসহ ১ ঠেলাগাড়ি চুনাপাথর (৫০ ফুট) থেকে বিজিবির নামে ১শ টাকা চাঁদা নিয়ে প্রায় ২শ মেঃটন কয়লা ও ৩শ মেঃ টন চুনাপাথর পাচাঁর করে বড়ছড়া-জয়বাংলা বাজার সংলগ্ন কাঠের ব্রিজ ও আশেপাশের একাধিক ডিপুতে মজুত করেছে। একই সময়ে পাশের চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া, গারো ছড়া, রাজাই, কড়ইগড়া ও বারেকটিলা এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী শাহিবুর রহমান, কাজল মিয়া, জয়ধর মিয়া, শফিকুল, নিজাম মিয়া, নজরুল, জামাল মিয়া, হারুন, জম্মত আলীগং ৩শ মেঃ টন কয়লা, ২০টি গরু, ২শ বস্তা চিনি, ৩৫০বস্তা পেয়াজ পাচাঁর করেছে। একই ভাবে এউপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তে দুধের আউটা, লালঘাট, লাকমা এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন আলী, ইয়াবা কালাম ও লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, সাহিদাবাদ, দশঘর, পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং কয়লা, পাথর, চিনি, পেয়াজ, গরু, মদ, গাঁজা, ইয়াবা পর করে চাঁদাবাজি করলেও দেখার কেউ নাই।

এব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্মার কফিল উদ্দিন বলেন- সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত প্রতি গরু থেকে ১হাজার টাকা, ১ বস্তা চিনি থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা পেয়াজ থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা কয়লা থেকে ৫০টাকা করে চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্পের নামে চাঁদা নেওয়া হয়। একারণে সীমান্ত চোরাচালান দিনদিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে ধান কাটার সময় কিন্তু চোরাচালানের কারণে শ্রমিক পাওয়া যায়না। বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানি কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান দিনদিন বেড়েই চলেছে। এই চোরাচালানের কারণ আমরা প্রায় ৩হাজার বৈধ ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এব্যাপারে বারবার জানানোর পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয় না।

এব্যাপারে সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে জানাতে চারাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার সিদ্দিক এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬), চাঁনপুর ক্যাম্প কমান্ডার ঈশ^র চন্দ্র পন্ডিত এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৯) সহ বালিয়াঘাট ক্যাম্পের মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৭) ও টেকেরঘাট ক্যাম্পের মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) নাম্বারে বারবার কল করার পর ফোন রিসিভ না করে তারা আমার মোবাইল নাম্বার (০১৭১৫-৬৪৩৮৮৭) ব্লক করে দেয়।

তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের দায়িত্ব বিজিবির। আপনারা বিজিবির সাথে কথা বলুন। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা।


আরও খবর



শনিবার ২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১০২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামীকাল শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য দুই ঘণ্টা নারায়ণগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জের নয়াপুর, কুতুবপুর, আড়াইহাজার রোড, মদনপুর হতে লাঙ্গলবন্দ ব্রিজ, বন্দর, কাঁচপুর ও যাত্রামুড়া এলাকায় সকল শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ওই সময়ে আশেপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



সি‌লেট বিভা‌গের শ্রেষ্ঠ ও‌সি হ‌লেন মোহাম্মদ শাহ আলম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৬৫জন দেখেছেন

Image

র‌নি,ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধি:সিলেট বিভাগের ৩৯টি থানার মধ্যে শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নির্বাচিত হয়েছেন।সুনামগঞ্জ‌ জেলার ছাতক থানার মোহাম্মদ শাহ আলম। গত মঙ্গলবার  তাকে এই পুরস্কার দেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান বিপিএম (বার)পিপিএম-সেবা। সিলেটে মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়। মূলত পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশনা মোতাবেক মান দণ্ডের বিচারে গত জানুয়া‌রি  থে‌কে মার্চ তিন মাসের অপরাধ সভা পর্যালোচনায় সিলেট বিভাগের ৩৯টি থানার মধ্যে শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ শাহ আলম।

সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার ওসি মো. শাহ আলমের কর্মদক্ষতায় বদলে গেছে ছাতক থানার সার্বিক চিত্র। তি‌নি পে‌য়ে‌ছেন শ্রেষ্ঠত্বের পুরুষ্কার। উন্নতি হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির। সাম্প্রতি থানায় কমতে শুরু করেছে মিথ্যা মামলা রুজুর সংখ্যা। নিয়মিত অভিযানে বেড়েছে পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেপ্তারের সংখ্যা। পুলিশের কঠোর নজরদারিতে কমেছে উপজেলায় চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই ও দস্যুতার মতো অপরাধমুলক ঘটনা।

২০ ২৩ সালের ৭ আগষ্টে ছাতক থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম (আইজিপি ব্যাজপ্রাপ্ত) যোগদানের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯৫টি সাজা পরোয়ানা খারিজ করা হয়েছে ও দুর্ধর্ষ ৬জন আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছর ও চলতি বছরের জানুয়ারী পর্যন্ত অপরাধ পরিসংখ্যান যাচাই করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।তাছাড়াও বর্তমানে ছাতক থানা দালাল মুক্ত হওয়ায় স্থানীয়রা আইনি সেবা পেতে অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন সেবা গ্রহীতারা। যার বড় সাফল্য হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন রকমের সংঘাত ছাড়া সুষ্ঠ সুন্দর হয়।

থানার অপরাধ পরিসংখ্যান হিসাব অনুযায়ী শাহ আলমের যোগদানের পর থেকে-২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে ২৪ সালের জানুয়ারী মাস পর্যন্ত কোন ডাকাতি কিংবা দস্যুতার ঘটনা ঘটেনি। খুন ৫টি, ধর্ষণ ৬টি, গবাদি পশু চুরি ১টি, অস্ত্র আইন ৩টি, চোরাচালান ২১টি, মাদক ১২টি, ১৯টি মহিষ উদ্ধার, ২শ বোতল ভারতীয় মদ, ৩০কেজি গাজা, প্রায় ১৩শ বস্তা চিনি ও ১৪০বস্তা পেয়াঁজ জব্দ, যৌতুক,সিধেল চুরি,মোবাইল চুরি,ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন,সড়ক দুর্ঘটনা,১০টি সহ অন্যান্য আইনে ওই বছরের ৬ মাসে মোট মামলা রজু করা হয় ১৩৪টি। নিষ্পত্তি করা হয়েছে ১৭৬টি। একই সময়ে থানা পুলিশের অভিযানে মোট গ্রেপ্তার করা ক‌রেন ১৬৮ জনকে। মোট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করা হয়েছে মোট ৮৫টি। এর মধ্যে জিআর,সিআর মামলায় ৩০টি ও সাজাপ্রাপ্ত ২৮ জন আসামি গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আদালতে মোট নন এফআইআর প্রসিকিউশন দেওয়া হয়েছে ১১০টি। এছাড়াও ভারতীয় পিয়াজ, চিনি, নাসির বিড়ি, গাজা, বিদেশী মদ ও শাড়ী জব্দ করা হয় ১কোটি ২৩লক্ষ ৩২হাজার ৭৩৫টাকার অবৈধ পন্য।

এদিকে, মামলার রুজুর বিষয়ে কঠোর যাচাই-বাছাইর কারণে ইদানিং মিথ্যা মামলা থেকেও রেহাই পাচ্ছেন স্থানীয় জনসাধারণ। পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিতই বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাইকিং এর কারনে বড় রকমের দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটে‌নি  বলে  চলে এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন হাট বাজারে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনার কারণে কমেছে হামলা মামলার প্রবণতা। সর্বশেষ চলতি মাসের ৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভারতীয় পণ্য পিয়াঁজ, চিনি সহ ৭জন আসামিকে গ্রেপ্তারসহ টিউবওয়েল চুরির পণ্য উদ্ধার করা হয়।

থানার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, মাদকদ্রব্য,চোরাচালান, মামলার রহস্য উদঘাটনসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখায় এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় তাকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে পুরুস্কৃত করা হলো। সভায় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলার পু‌লিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ সহ চার পু‌লিশ সুপার উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

জানা গেছে,এর আগে তিনি রাজধানী ঢাকাস্থ ডিএমপি শাখায় কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ী মাদারীপুর জেলায়।তিনি ২০২৩ সালের (৭ আগষ্ট) ছাতক থানায় যোগদাে‌নের পর বিভা‌গের শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে পুরুস্কৃত হয়েছেন মোহাম্মদ শাহ আলম।ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, থানার সব অফিসার ও ফোর্সদের দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই তার এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। সিলেট বিভাগের এই শ্রেষ্ঠত্বের অর্জন ছাতক থানার সকল অফিসার ও ফোর্সকে উৎসর্গ করেন তিনি।


আরও খবর



বিকাশের টাকা উদ্ধার করে দিল যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অপারেশন মামুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

সোহরাওয়ার্দীঃরাজধানী যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার  এক ব্যক্তির ভুলে বিকাশের অন্য নম্বরে চলে যাওয়া টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি অপারেশন) মোঃ ওহিদুল হক মামুন এর তত্ত্বাবধানে বিকাশে অন্যত্র চলে যাওয়া ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিক  ওই ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করা হয়। 


মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপির যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি অপারেশন) এর কক্ষে ডেকে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে ভুলে চলে যাওয়া টাকা প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী যাত্রাবাড়ী থানা কোনাপাড়া  এলাকার বাসিন্দা ছোটন হোসেন কাঙ্ক্ষিত নম্বরের পরিবর্তে ভুলবশত ওপর একটি বিকাশ নম্বরে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। পরে ছোটন হোসেন যাত্রাবাড়ী থানায় ইন্সপেক্টর অপারেশন মামুনের কাছে বিষয়টি জানান। বিকাশ নাম্বারটি যাচাই করে দেখা যায় সেটি যাত্রাবাড়ী থানার আওতাভুক্ত এক ব্যক্তির। পরে সেই ব্যক্তিকে ডেকে এনে ভূল হওয়া ২০ হাজার  টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেন। 

অহিদুল হক মামুন বলেন, "পুলিশের ইউনিফর্ম পড়ে দেশ সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পেরে সবসময় গর্ববোধ করি, সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই পুলিশের ধর্ম, তাই সব সময় চেষ্টা করি ভালো কিছু করার"।

ভুক্তভোগী ছোটন হোসেন বলেন, ভুল নম্বরে যাওয়া টাকা ফিরে পেয়ে আমি খুবই খুশি। দ্রুত সময়ের মধ্যে টাকা উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য যাত্রাবাড়ী থানার ইন্সপেক্টর (ওসি অপারেশন) অহিদুল হক মামুনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

যাত্রাবাড়ী থানার ইন্সপেক্টর (ওসি অপারেশন) ওয়াহিদুল হক মামুন একজন মানবিক পুলিশ হিসেবে সকলের নিকট সুপরিচিত। তিনি একজন চৌকস মেধাবী কর্মকর্তা।তার কর্মকালীন সময়ে যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরমান আলী খানের সার্বক্ষনিক তদারকি ও দিক নির্দেশনায় ওহিদুল হক মামুন এর টিম ওয়ার্কের কারনে ফৌজদারী অপরাধ অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে এবং উদ্ধার জনিত মামলার সংখ্যা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে পুলিশের প্রতি আস্থা বেড়েছে বহুগুন। পুলিশ বাহিনীর চাকরির সুবাদে তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে অংশগ্রহণ করেন।তার সাফল্যের পালকে যুক্ত আছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মেডেল ।


আরও খবর



বাহরাইনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ১৪০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাহরাইনের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে,  বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সবচেয়ে বড় সম্পর্ক হচ্ছে যে, দুই লাখের অধিক বাঙালি দেশটিতে কর্মরত আছেন। বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতেই আজকে আলোচনা হয়েছে। দেশটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত আব্দুর রহমান মোহাম্মদ আল গৌদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, মহামারি করোনা সময় সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশি ও বাহরাইনের নাগরিকদের মধ্যে কোনো ধরনের পার্থক্য করেননি দেশটির বাদশাহ হামাদ বিন ইসা আল খরিফ। এ দেশটির সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে। সবচেয়ে বড় সম্পর্ক হচ্ছে যে, আমাদের ২ লাখের অধিক বাঙালি বাহরাইনে কর্মরত আছেন।

তিনি বলেন, আমাদের বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতেই আজকে আলাপ-আলোচনায় সবকিছু ঠিক করা হয়েছে। বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি তার পরিচয়পত্র দিতে এসেছিলেন। তিনি সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করছেন। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক খুবই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ। আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে কথা হয়েছে। আমাদের আলোচনা ছিল খুবই আন্তরিক। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে আমরা একমত হয়েছি।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আলাপ আলোচনায় রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন যে, কোভিডের সময় যখন ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রচলন ছিল, তখন কিন্তু সেখানকার বাদশাহ কোনো পার্থক্য করেননি একজন বাহারাইনির ও একজন বাঙালির মধ্যে। সেক্ষেত্রে বোঝা যায়, দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ একটা সম্পর্ক আছে।


আরও খবর