Logo
আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

মহান মে দিবস, বঙ্গবন্ধু ও শ্রমিক অধিকার

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ১৪০জন দেখেছেন

Image

লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল ॥১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, যা বিশ্ব পরিমন্ডলে ‘মহান মে দিবস’ বা শ্রমিক দিবস হিসেবে গুরুত্বসহকারে পালন করা হয়। বিশ্বের শ্রমজীবী-কর্মজীবী, পেশাজীবী, মেহনতি মানুষের ঐক্য, সংহতি, সংগ্রাম, সাফল্য ও বিজয়ের দিন মহান মে দিবস। মে দিবস এলেই আমাদের সামনে ভেসে ওঠে ঘর্মাক্ত মেহনতি-শ্রমজীবী মানুষের প্রতিচ্ছবি। আর এই শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের প্রশ্নটিও সাথে সাথে উঠে আসে এই ঐতিহাসিক দিনে। এই দিবসের তাৎপর্য অনেক, এর পেছনে রয়েছে একটি রক্তস্নাত ইতিহাস। ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে আট ঘণ্টা শ্রম দিবস, মজুরী বৃদ্ধি, কাজের উন্নতর পরিবেশ ও শ্রমের ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠা করার আন্দোলনে আত্মহুতি দান করেছিলেন শ্রমিকরা, ১ মে তারিখে বিভিন্ন দাবিতে ধর্মঘট সমাবেশে পুলিশের গুলি বর্ষণে ৬ জন শ্রমিক প্রাণ হারায়। এর প্রতিবাদে পরদিন হে মার্কেটে শ্রমিকরা মিলিত হলে কারখানার মালিকরা সেখানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং এতে ৪ শ্রমিক নিহত হয়। শ্রমিকদের নিয়ে আন্দোলন করার দায়ে অগস্ট স্পাইস নামে এক শ্রমিক নেতাকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যালিষ্ট কংগ্রেসে ১ মে শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষিত হয় এবং তখন থেকে অনেক দেশে দিনটি শ্রমিক শ্রেণী কর্তৃক উদযাপিত হয়ে আসছে।

রাশিয়া এবং পরবর্তীতে আরো কয়েকটি দেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংগঠিত হবার পর মে দিবস এক বিশেষ তাৎপর্য অর্জন করে। জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক শাখা হিসেবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ইন্টারন্যাশনাল লেবার অরগানাইজেশন বা আইএলও) প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার সমূহ স্বীকৃতি লাভ করে। আইএলও কতগুলো নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠা করে এবং সকল দেশের শিল্প মালিক ও শ্রমিকদের তা মেনে চলার আহ্বান জানায় এবং এভাবে শ্রমিক ও মালিকদের অধিকার সংরক্ষণ করার চেষ্টা করে। বাংলাদেশ আইএলও কর্তৃক প্রণীত নীতিমালায় স্বাক্ষরকারী একটি দেশ। বাংলাদেশে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে মে দিবস পালিত হয়ে আসছে।
রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, বিরোধীদলীয় নেতা এবং সংশ্লিষ্ট শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বাণী দিয়ে থাকেন। মে দিবসের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার জন্যে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র বা প্রবন্ধ কিংবা বিশেষ নিবন্ধন প্রকাশ করে। মাথায় রঙ-বেরঙের কাপড় বেধে নানা রঙের ফেস্টুনসহ শ্রমিকরা মিছিল শোভাযাত্রা বের করে, বেতার ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠানাদির ব্যবস্থা করে। বাংলাদেশে বিভিন্ন পেশাজীবী, শ্রমজীবী এবং সামাজিক -সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো নানা আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি পালন করে থাকে। দেশের সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এই সকল সভা-সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের খবর গুরুত্বসহকারে প্রচার করে থাকে। বাংলাদেশ মে দিবস পালনের ক্ষেত্রে মোটেও পিছিয়ে নেই। এ দেশে ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯৩৮ সালে নারায়ণগঞ্জে প্রথম মে দিবস পালিত হয়। তারপর পাকিস্তান আমলেও মে দিবস যথেষ্ট উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে হাজার হাজার শ্রমিক অংশগ্রহণ করে এবং দেশ মাতৃকার জন্যে শহীদ হয়।

১৯৭২ সালে ১ মে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১ মে-কে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা সহ রাষ্ট্রপতি আদেশ ২৭(ক) ধারা মোতাবেক এদেশের সকল ব্যাংক, বীমা, শিল্প- কলকারখানা, রেল, নৌ-পরিবহনসহ  বৈদেশিক বাণিজ্যের সিংহভাগ রাষ্ট্রায়ত্ব ঘোষণা করেন। ফলে এর সুফলও ঐ সকল শিল্প কলকারখানায় কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীগণ ভোগ করতে থাকেন। সরকার নীট মুনাফার ৫% শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে সমহারে বন্টনের ঘোষণা দেয়, ফলে বেশ কিছু শিল্পে উৎপাদন ও মুনাফা যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের পর জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে ১৯৭৭সালে প্রথম পাকিস্তানী অবাঙালিদের রেখে যাওয়া কিছু কিছু শিল্প কলকারখানা ব্যক্তি মালিকানায় দেওয়া শুরু করেন, পরবর্তীতে জেনারেল এরশাদ ও বেগম খালেদা জিয়ার সরকার কম-বেশী সবাই ব্যক্তি মালিকানায় মিল কলকারখানা হস্তান্তর করেন। আটের দশকের শেষের দিকে পূর্ব-ইউরোপে সমাজতন্ত্রের পতনের পর তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো অতিদ্রুত সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক কর্মসূচী পরিত্যাগ করে বাজার অর্থনীতি তথা মুক্তবাজার অর্থনীতি রাষ্ট্রীয় পলিসি হিসেবে ঘোষণা করেন।

এই সব কারণে একদিকে যেমন শোষণ- নির্যাতন বেড়েছে অপর দিকে ব্যক্তির লুটপাটে পানির দামে ক্রয়কৃত চালু মিল কলকারখানাগুলো একে একে বন্ধ হয়ে গেছে। দেশ আজ আমদানি নির্ভর একটি সিন্ডিকেট চক্রের হাতে জিম্মি । বাংলাদেশে আজ শ্রমিকদের অবস্থা খুবই নাজুক । নারী-পুরুষের মুজুরী  বৈষম্যতো আছেই, এছাড়াও প্রায় সকল সেক্টরে ৮ ঘন্টার বেশী শ্রম দিতে হয়। হোটেল- রেস্তোরায় ও পরিবহন সেক্টরে ভোর ৬ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত শ্রমিক খাটানো হয়, তারপরও নেই কোন নিয়োগপত্র, নেই কোন মজুরী কাঠামো, নেই কোন উৎসব ভাতা কিংবা চিকিৎসাভাতা, এই সব সেক্টরে অধিকাংশ শিশু শ্রমিক নিয়োজিত আছে। দেশের তৈরী পোশাকশিল্প , চাউলের কল, চাতাল, চিংড়ী ঘের ও কৃষি কাজে হাজার হাজার নারী ও পুরুষ শ্রমিক কর্মরত আছে। এখানেও তাদের নেই কোন মজুরী কাঠামো বা নির্ধারিত শ্রম ঘন্টা অথবা কর্মের উপযুক্ত পরিবেশ, এমনকি শ্রমিকদের নেই নিজের জীবনের নূন্যতম নিরাপত্তা, অথচ তাঁরাই নিজের শ্রম দিয়ে, ঘাম দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা চালু রেখেছেন। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে শ্রমিক হত্যাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ১,৫০০ শ্রমিক নিহত এবং দুইসহস্রাধিক শ্রমিক আহত হয়ে পঙ্গুবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। বাহ্যিকভাবে এটি দুর্ঘটনা। একটি ভবন ধসে লোক হতাহত হয়েছেন।

আসলে এটা কি শুধুই দুর্ঘটনা? কথিত দুর্ঘটনার আগের দিন ভবনটিতে ভয়াবহ ফাটল দেখা যায়। লোকজন ভবন ছেড়ে চলে যায়। পরের দিন ভবনে অবস্থিত কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান দুর্ঘটনার আশংকায় খোলেনি। সেখানে গার্মেন্টস শিল্পে কাজ করার জন্যে প্রায় ৪ হাজার শ্রমিককে চাকরির ভয়ভীতি দেখিয়ে ঐ ভবনের ভেতরে নেয়া হয়। তারপর এই দুর্ঘটনা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভবনটি বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করে সিলগালা করে বন্ধ করতে অসুবিধা কোথায় ছিল? ভবনটি নির্মাণে রাজউকের কোন অনুমোদন ছিল না। ভবন মালিক পৌরসভা থেকে ছয় তলা করার অনুমোদন নিয়ে, সেখানে নয় তলা ভবন তৈরী করলো কিভাবে? এই ভবন ধসের বিষয়টি মানবসৃষ্ট, কাজেই এই বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি নিছক দুর্ঘটনা নয়, ইহা হত্যাকান্ড। ফলে ভবন মালিক সোহেল রানাসহ দায়ী সব পোশাক শিল্পের মালিকদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে শ্রমিক হত্যার জন্য দায়ী পোশাক শিল্পের মালিকদের বাঁচানোর যে চেষ্টা অতীতে বিজিএমইএ করে এসেছে, তা থেকে তারা সরে আসবে বলে আশা করছি। দেশের তৈরী পোশাকশিল্প খাতকে বাঁচানোর স্বার্থেই এটা করতে হবে।কর্মস্থলে শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। রানা প্লাজা হতাহত শ্রমিকদের অনেকেই আজও তাদের ক্ষতিপূরণ পায়নি।

এমনকি নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনরা শত চেষ্টা করেও খোঁজ কিংবা নিহত শ্রমিকের লাশও পায়নি। এই ভবন ধসের ঘটনার অভিজ্ঞতা নিয়ে অনুরূপ ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি অন্যান্য কারখানায় না ঘটে সেরকম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়নি।

মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম-আন্দোলনে বাংলাদেশের শ্রমিকদের আত্মত্যাগ ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে। বাংলাদেশের শ্রমক্ষেত্রে যত আইন, নীতি, বিধি-বিধান ও নীতিমালা রয়েছে তা মূলত দেশের শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষা তথা শ্রমক্ষেত্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা  ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শ্রমিজীবী মানুষের অবদান সবচেয়ে বেশী। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে শ্রমিকদের একাগ্রতা ও শ্রমিক-মালিকের পারস্পরিক সুসম্পর্ক অপরিহার্য। টেকসই উন্নয়ন ও শিল্প-বাণিজ্য খাতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও তাদের ন্যায্য অধিকারসমূহ নিশ্চিত করতে হবে।


আরও খবর



ইউক্রেনের ক্ষেপনাস্ত্র হামলা রাশিয়ার অভ্যন্তরে, নিহত ১৪

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ইউক্রেন ভয়াবহ পাল্টা হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার অভ্যন্তরে। রবিবার (১২ মে) রাশিয়ার সীমান্ত শহর বেলগ্রোদে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একটি ১০তলা ভবনের একটি অংশ ধসে পড়ে।

এতে কমপক্ষে ১৪ জন নিহত এবং ২০ জনেরও বেশি রুশ নাগরিক আহত হয়েছেন। খবর তাসের

এ ঘটনায় ধবংসস্তূপের নীচে আরো অনেকে চাপা পড়ে থাকতে পারে বলেও ধারনা করছে রুশ কর্তৃপক্ষ। রাশিয়ার জরুরি সহায়তা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সোমবার এক টেলিগ্রাম বার্তায় এ খবর জানিয়েছে।

রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ওই ১০তলা অ্যাপার্টম্যান্ট ভবনটি বিধ্বস্ত হয়ে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পরই উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেন। ২০ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় অধ্যক্ষ-সভাপতির বিরুদ্ধে জাল সনদ সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৩২জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ :নওগাঁর বদলগাছীর ধর্মপুর-গোয়ালভিটা আলিম এম মাদরাসা সভাপতি আবদুল বারেক ও অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে জাল সনদধারীকে দিয়ে চাকরি করানো, সরকারি বরাদ্ধের টাকা, প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় স্থানীয় এক ব্যাক্তি এ অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঐতিহাসিক পাহাড়পুর ইউনিয়নের ধর্মপুর-গোয়ালভিটা হোসেনিয়া আলিম মাদরাসাটি দীর্ঘকাল যাবৎ সুনামের সাথে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসলেও এর ম্যানেজিং কমিটি ও প্রিন্সিপালের বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম দূর্নীতিতে মাদরাসাটির বর্তমানে নাজেহাল অবস্হা বিরাজ করছে। এই মাদরাসা সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষিকা শাহানাজ পারভীন পরিচালনা কমিটি ও অধ্যক্ষকে হাত করে তাদের যোগশাজসে তার শিক্ষাজীবনের জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে কয়েক বছর ধরে মাদরাসায় চাকুরী করে সরকারি বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করেছেন। তার নিবন্ধন সনদ যাচাই করতে চাইলে মাদরাসা পরিচালনা কমিটি ও অধ্যক্ষ অতি সুকৌশলে তার সনদের বিষয়টি ফাঁস হওয়ার ভয়ে তাকে চাকুরী হইতে স্বেচ্ছায় অবসরে পাঠিয়েছেন এবং তার অবসর-কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা সরকারি কোষাগার হতে উত্তোলন করে আত্মসাতের পাঁয়তারা করে যাচ্ছেন। এবং ওই মাদরাসার আইসিটি বিষয়ের শিক্ষিকা আকলিমা খাতুন তিনিও তার (কম্পিউটার সাটিফিকেট) জাল সনদ দিয়ে এখন পর্যন্ত চাকুরীরত আছেন এবং সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা ও বেতন-ভাতাদি ভোগ করে যাচ্ছেন।

এছাড়াও ওই মাদরাসার সরকারের পারফরম্যান্স বেজড গ্র‍্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস স্কিমের আওতায় ৫ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান পেয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদের অংশের টাকা বাদে সব টাকা অধ্যক্ষ ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটি আত্মসাৎ করাসহ বিগত কয়েক বছরে শিক্ষক- কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা করেছে। ওই মাদরাসাঢ যোগদানের পর থেকে তিনি  নিয়োগ বাণিজ্য করে আসছেন, নিয়োগ বাণিজ্যের প্রমাণ মিলবে তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব নম্বর যাচাই করলে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মাদরাসার কয়েকজন শিক্ষক বলেন, প্রকল্পের টাকা থেকে শিক্ষকদের অংশের টাকা দেওয়া হয়েছে তবে শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়ার বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।

এবিষয়ে জানতে শিক্ষিকা শাহানাজ পারভীন ও আকলিমা খাতুনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি রিসিভ না করায় তাদের কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

অভিযোগ গুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন ও সভাপতি বলেন, এ অভিযোগ গুলো সত্য নয়। সেই শিক্ষিকাদের কাগজপত্রসহ সরকারি প্রকল্পের টাকা ব্যয়ের ভাউচার এবং মাস্টার রোল দেখতে চাইলে তারা সেগুলো দেখাতে অস্বীকার করেন। 

অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, ওই মাদরাসার অনিয়মের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

আরও খবর



রাত পোহালেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া:৮ মে ২০২৪ রোজ বুধবার অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।দিন যত ঘনিয়ে আসছে, প্রচার-প্রচারণা  বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রার্থীরা বিভিন্ন কৌশলে ভোটারদের কাছে টানার প্রাণপন চেষ্টা করে যাচ্ছে। এবারের উপজেলা পরিষদ  নির্বাচনে  আওয়ামী লীগ থেকে ৩ জন ও বিএনপি থেকে বহিস্কৃত একজন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন উপ-জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি রোমা আক্তার, (গোড়া)সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ টি এম মনিরুজ্জামান সরকার,( কই মাছ)সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি নাসিরনগর উপজেলা বিএনপি ওমরাও খান(,আনারস)আহ্বায়ক বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ উপজেলা শাখা প্রমোদ রঞ্জন সুত্রধর (মোটর সাইকেল)।

গত ৩ রা মে চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রদীপ কুমার রায় (সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান) অসুস্থতা জনিত কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান,তার প্রতীক ছিল (দোয়াত কলম)।

নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়া আসছে ভোটারদের মধ্যে নাটকীয় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শুরু হচ্ছে যোগ- বিয়োগের খেলা। এবারে নির্বাচনে প্রকাশ্য ভোটারের চেয়ে নীরব ভোটারের সংখ্যাই বেশি বলে জানা যায়।নীরব ভোটারের মধ্যে আছে  আওয়ামী লীগের একাংশ, বিএনপি (ভোট বর্জনকারী) দল, জাতীয় পার্টি, ইসলামিক বিভিন্ন ছোট ছোট দল,ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় (হিন্দু ভোটার)। 

এসব নীরব ভোটারদের যে প্রার্থী বেশি কাছে টানতে পারবে সেই প্রার্থী আগামী ৮ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  উপজেলার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ভোটারের  সাথে কথা বললে তারা জানায়, উপজেলা নির্বাচন  শুরুতে ছিল দ্বি মুখী, পরে ত্রি মুখী ও বর্তমানে  চতুর্মুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছ ।তবে এবারের উপজেলা নির্বাচনে নীরব বিপ্লব ঘটতে পারে বলে বিভিন্ন ভোটার সুত্রে জানা গেছে। এবারের উপজেলা নির্বাচনে রোমাকে অনেকেই হেভীওয়েট প্রার্থী বলে মনে করছেন।


আরও খবর



রূপগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণা তৃতীয় দিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃআসন্ন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্মার্ট রুপগঞ্জ বিনির্মাণের লক্ষ্যে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক, গাজী গ্রুপের সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রূপগঞ্জ উপজেলা আওমিলীগের সহ-সভাপতি, গাজী গোলাম মোর্তজা পাপ্পা গাজী এর নেতৃত্বে নির্বাচনী প্রচারণা করেন, রুপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান হাবিব, দোয়াত কলম মার্কায় ভোট চেয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন। 

৭ ই মে নির্বাচনী প্রচারণায়  তৃতীয় দিনে  রূপগঞ্জ মুড়াপারা এলাকায় আজ জনসংযোগ করেন। 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ সমর্থিত রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব ও রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু হোসন ভুঁইয়া রানু প্রতিদ্বন্দ্বিতা  করবেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রূপগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার রিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়  নির্বাচিত। অন্য সকল প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় ও ক্যাসিনোকান্ডের সেলিম প্রধানের চেয়ারম্যান পদের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।  

জানা গেছে, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাবিবুল কাদির তমাল, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আইনজীবী স্বপন ভুঁইয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হারেজ, স্থানীয় তাঁতীলীগ নেতা রাসেল আহমেদ।

এছাড়া মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক তিন বারের নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, রূপগঞ্জের দাউদপুর ইউনিয়ন মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসী জান্নাত রুমা ও স্থানীয় যুব মহিলালীগ নেত্রী তানিয়া সুলতানা। এছাড়া দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাভোগের কারনে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আলোচিত অনলাইন ক্যাসিনোকান্ডের সেলিম প্রধানের চেয়ারম্যান পদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। সে কারনে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব ও রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানন আবু হোসন ভুঁইয়া রানু চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  ভাইস চেয়ারম্যান পদে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রূপগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার রিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়  নির্বাচিত।

এ ব্যাপারে সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীকের পুত্র রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পা চেয়ারম্যান পদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে আওয়ামীলীগের এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয় -স্বজনদেরও প্রার্থী হতে নিষেধ করেছেন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় কোন্দল নিরসন এবং নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতেই প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।

এবারের রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৪২টি। পুরুষ ভোটার ২ লক্ষ ৫১ জন, মহিলা ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৫৫৪জন ও হিজড়া ২ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯০ হাজার ৬০৭ জন। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ২মে প্রতীক বরাদ্দ ও ২১মে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

  -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



সুনামগঞ্জের ২৮৫ কৃষি উদ্যোক্তা পেলেন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:(১৯ মে) সুনামগঞ্জ সদরের প্রিয়াঙ্গন কমিউনিটি সেন্টারে জেলার ১২টি উপজেলার ২৮৫ জন নির্বাচিত কৃষি উদ্যোক্তাকে নিয়ে দিনব্যাপী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)-র ‘ভরসার নতুন জানালা’ শীর্ষক দেশব্যাপী কৃষি সহায়তা প্রকল্পের আওতায় এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। 

প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক আমিনুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন ইউসিবি পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সেক্রেটারি এটিএম তাহমিদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিভির কৃষিভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘মাটি ও মানুষ’-এর জনপ্রিয় উপস্থাপক ও কৃষি বিশ্লেষক রেজাউল করিম সিদ্দিক। ইউসিবির দিরাই শাখা ব্যবস্থাপক মো. জাফর সাদেক ও উপায়’এর সেলস অ্যান্ড সার্ভিসের চিফ বিজনেস অফিসার মো. মাহবুব সোবহানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কৃষি সবসময়ই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। এই খাতের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে ও কৃষি উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতায় আরও বেশি মানুষকে সক্ষম করে তুলতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় ‘ভরসার নতুন জানালা’ শীর্ষক এই কৃষি প্রকল্প গ্রহণ করে ইউনাইডেট কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি। ইতিমধ্যে দেশের ৪৯টি জেলায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ৫০তম জেলা হিসেবে সুনামগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো এই দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি।

অনুষ্ঠানে ইউসিবির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সেক্রেটারি এটিএম তাহমিদুজ্জামান বলেন, “দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কৃষি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে, সময়োপযোগী জ্ঞান ও দক্ষতায় কৃষি উদ্যোক্তাদের অগ্রসর করে তোলাও জরুরি। জলবায়ু-সহিষ্ণু ও টেকসই কৃষি উদ্যোগ গ্রহণে আগ্রহী কৃষকদের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ইউসিবি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এধরণের প্রশিক্ষণ টেকসই সমাধান প্রদান ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে উদ্ভাবনীর চর্চা উৎসাহিত করবে, যা কৃষিখাতের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধিও নিশ্চিত করবে”।

এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী কৃষি উদ্যোক্তারা ব্যবহারিক দক্ষতা উন্নয়ন, বাজার ও বিপণন সক্ষমতা তৈরি, এবং কৃষি-বিষয়ক ঋণ নীতি ও সুদহারের মতো কৃষিসংক্রান্ত কার্যক্রমের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ধারণা লাভ করেন।

এই প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে সারাদেশ ৫৫ হাজার বৃক্ষরোপণ, ৩ হাজার কৃষি উদ্যোক্তাকে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর ‘আরো মাছ (মোরফিশ)’ ডিভাইসের মতো কৃষি-সংক্রান্ত স্মার্ট ডিভাইস বিতরণ, এবং তামাকের বিকল্প শস্য হিসেবে গম ও ভুট্টা চাষে কৃষকদের উৎসাহী করে তোলার মতো বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। 


আরও খবর