Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

২৫০ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশকে ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ ডিসেম্বর 2০২2 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২৯৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; বাংলাদেশে পরিবেশ ব্যবস্থাপনা জোরদার করার পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগে বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করতে সহায়তার জন্য ঋণ হিসেবে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (বিইএসটি) প্রকল্প পরিবেশ অধিদফতরকে এর প্রযুক্তিগত ও প্রশাসনিক সক্ষমতা জোরদার করতে সহায়তা করবে। একই সঙ্গে প্রকল্পটি দূষণ রোধ ও পরিবেশগত গুণমান উন্নত করতে পরিবেশগত প্রবিধান ও এর প্রায়োগিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে কাজ করবে।

এছাড়া বায়ুদূষণ কমিয়ে আনতে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগে আর্থিক খাতকে উৎসাহিত করার জন্য একটি গ্রিন ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমও প্রতিষ্ঠা করা হবে এর আওতায়। প্রকল্পটি সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বৃহত্তর ঢাকা এবং এর বাইরে বসবাসকারী ২১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ উপকৃত হবে।

এ বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানড্যান চেন বলেন, ‘পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অংশীদার। এ প্রকল্পটি দেশের পরিবেশ প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও ভালোভাবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য শক্তিশালী করে তুলবে।’


আরও খবর



কুড়িগ্রামের রৌমারী অবৈধ বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে গ্রামবাসী নিরবে প্রশাসন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:রৌমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ, সোনাভরি, হলহলি, জিঞ্জিরাম নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার ভেকু (এক্সিভিকেটর) দিয়ে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। বর্ষা মৌসুম ছাড়া সারা বছর প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন বিষয়ে মাসিক সভায় ও প্রশাসনকে অভিযোগ করা হলেও রহস্যজনক কারনে প্রশাসন নিচ্ছে না কোন ব্যবস্থা।

অবৈধ বালু উত্তোলনের কারনে হুমকিতে পড়তে হয় নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের। এসব বালু ট্রাক্টর (কাকড়া) দিয়ে পরিবহন করায় নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি ও গ্রামীন রাস্তাঘাট। নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে শক্তিশালি একটি চক্র। এ কারনে স্থানীয়রা প্রকাশ্যে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।

নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ সিরাজুলসহ অনেকেই বলেন, এ অবৈধ বালু উত্তোলনে বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়ে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা এই অবৈধ বালূ উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত। ব্রহ্মপুত্র নদ, সোনাভরি, হলহলি, জিঞ্জিরাম নদী থেকে প্রতিদিন ভেকু ও ড্রেজারে উত্তোলিত বালূ ১শত থেকে দেড়শত ট্রাক্টর (কাকড়া) গাড়ির মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে, ইটভাটায় মাটি ও বালু বিক্রয় করা হচ্ছে। অবৈধ ও অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনে ব্রম্মপুত্র নদসহ অন্যান্য নদী গুলো ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। ফলে বর্ষা ও বন্যায় উক্ত এলাকায় নদীভাঙ্গন দেখা দেয়। এতে ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয় নদী তীরবর্তি এলাকার মানুষকে।

নদী থেকে অবৈধভাবে বালূ উত্তোলনের বিষয়ে ট্রাক্টর (কাকড়া) ও ভেকুর মালিক আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সাজেদুল, রফিকুল শাহিন, ফকির চাঁনসহ অনেকেই বলেন, রৌমারীতে প্রায় ১৭ টি ভেকু ও ১৮০/ ২০০ টি ট্রাক্টর (কাকড়া) গাড়ি চলছে। কাকড়া গাড়ি ক্রয় করা হয়েছে ব্যবসার জন্য। মাটি, বালু পরিবহন না করলে আমরা চলবো কি ভাবে। ভেকু মালিকগণ বলেন, এলকার উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের এ ব্যবসা।

বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদের জানান, বিভিন্ন উন্নয়নের ক্ষেত্রে বালুর প্রয়োজন। কিন্তু এমন নয় অবৈধভাবে বালূ উত্তোলন করে ক্ষতি করা হয়। এ বালু উত্তোলনের কারনে বর্ষার সময় নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়ে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান জানান, নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালূ উত্তোলনের বিষয়ে জানতে পেরেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হবে।জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, অবৈধভাবে বালূ উত্তোলন বিষয়ে জানতে পেরেছি। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়েছে।


আরও খবর



মাটিরাঙ্গায় সার্বজনীন পেনশন স্কীম কার্যক্রমের উদ্বোধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাটিরাঙ্গায় সর্বজনীন পেনশন স্কীম কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিষদ কক্ষে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী।

বর্তমান সরকারের বিভিন্ন গণমুখী কার্যক্রমের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আর্থিক সুরক্ষায় সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমটি একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ মন্তব্য করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী বলেন, এখন থেকে কোনো মানুষের মনে বৃদ্ধ বয়সে পেনশন না পাওয়ার আক্ষেপ থাকবে না।

এসময় মাটিরাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. মিজানুর রহমান, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল হক,  মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. ইশতিয়াক আহম্মদ, সহকারী প্রোগ্রামার রাজীব চৌধুরী, মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অ‌ফিসার ‌মো. আশরাফুল আলম সিরা‌জি, ইউআরসি ইনস্ট্রাক্টর মো. আসগর হোসেন ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নে গত ১৭ আগস্ট-২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলীসহ ১৫জন সার্বজনীন পেনশন স্কীমের আওতায় রেজিস্ট্রেশন করেন। এসময় তাদের হাতে পেনশন স্কীমের রেজিস্ট্রেশন ডকুমেন্ট তুলে দেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী।

আরও খবর



নববর্ষ উদযাপনে হামলা-নাশকতা ঠেকাতে প্রস্তুত র‍্যাব

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image
নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলা নববর্ষ উদযাপন ঘিরে কোনো হামলা বা নাশকতার তথ্য নেই,বলেছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন। তবুও, যে কোনো নাশকতা বা হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে র‍্যাবের স্পেশাল কমান্ডো টিম। এছাড়া সাদা পোশাকে টহল ও নজরদারির মাধ্যমে নাশকতামূলক যে কোনো কার্যক্রমসহ প্রতিরোধ করা হবে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষ্যে রাজধানীর রমনা বটমূলের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

র‍্যাব ডিজি বলেন, পহেলা বৈশাখ কেন্দ্র করে প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবারও র‍্যাব সারাদেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। নববর্ষের অনুষ্ঠান শেষে না হওয়া পর্যন্ত র‍্যাবের ব্যাটালিয়নগুলো নিজ নিজ এলাকায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও টহল জোরদার করেছে। নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর টিএসসি শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাতিরঝিল, রমনা বটমূল, পূর্বাচল ৩০০ ফিটসহ যেসব এলাকায় মানুষ যাবে সেখানে পেট্রলসহ সুইপিং করা হবে। আমাদের গোয়েন্দা টিম সার্বিক নজরদাবি অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, ভার্চুয়াল জগতে যে কোনো ধরনের গুজব বা উসকামূলক তথ্য ছড়িয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য র‍্যাব সাইবার জগতে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থলে ইভটিজিং বা উত্যক্ত করার ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ উত্যক্তের শিকার হলে র‍্যাব সদস্যদের জানাবেন। আমরা যথাযথ আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করবো। র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে কঠোরভাবে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে।

আরও খবর



ঈদ উদযাপনে পুলিশের ১৮ পরামর্শ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের লক্ষ্যে ১৮টি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

পরামর্শগুলো হলো-

যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ

পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ঈদের ভ্রমণ পরিকল্পনা করুন। ভ্রমণকালে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় রাখুন।

চালককে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে তাগিদ দিবেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে বাসের ছাদে কিংবা ট্রাক, পিকআপ ও অন্যান্য পণ্যবাহী যানবাহনে ভ্রমণ করবেন না।

রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে জেব্রা ক্রসিং অথবা ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করুন। যেখানে জেব্রা ক্রসিং বা ফুট ওভারব্রিজ নেই সেখানে যানবাহনের গতিবিধি দেখে নিরাপদে রাস্তা পার হউন। প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নিন। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বেপরোয়া গতিতে কিংবা লড়ু ৎরফরহম করবেন না। এতে জীবন বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

অপরিচিত কোন ব্যক্তির নিকট থেকে খাবার খাবেন না।

বাস মালিকদের প্রতি অনুরোধ

অদক্ষ, অপেশাদার, ক্লান্ত বা অসুস্থ চালককে যাত্রীবাহী বাস ও গাড়ি চালাতে না দেওয়া। চালক যাতে নিয়ম মেনে গাড়ি চালায় এবং ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং না করে সেজন্য চালককে নির্দেশ দেওয়া। বাসে অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো যাবে না। ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় বের করা যাবে না।

বাস চালকদের প্রতি অনুরোধ

ওভার স্পিডে গাড়ি চালাবেন না, ঝুঁকিপূর্ণ ওভার টেকিং করবেন না। ক্লান্তি বা অবসাদ বা অসুস্থ অবস্থায় গাড়ি চালাবেন না। ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সবসময় সাথে রাখুন।

আঞ্চলিক সড়ক/মহাসড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পুলিশের নির্দেশনা মেনে চলুন।

লঞ্চ/ স্টিমার/ স্পিডবোটের যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে নৌযানে উঠবেন না। নৌযানের ছাদে যাত্রী হয়ে ভ্রমণ করবেন না। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌযানে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন।

যাত্রাপথে ঝড় দেখা দিলে এদিক ওদিক ছোটাছুটি না করে নিজের জায়গায় অবস্থান করুন। স্পিডবোটে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লাইফ জ্যাকেট পরিধান করুন।

লঞ্চ/স্টিমার/স্পিডবোট মালিকদের প্রতি অনুরোধ

নির্ধারিত সংখ্যক ও নির্ধারিত গ্রেডের মাস্টার ও ড্রাইভার দ্বারা নৌযান পরিচালনা করুন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নৌযানের চলাচল বন্ধ রাখুন। নৌযানের মাস্টার ব্রিজে যাত্রী সাধারণের অবাধ চলাচল বন্ধ করার জন্য দু’পাশ অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার ব্যবস্থা করুন। লঞ্চে পর্যাপ্ত বয়া রাখুন।

লঞ্চ/ স্টিমার/ স্পিডবোট চালকদের প্রতি অনুরোধ

আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নৌযান নিয়ে বন্দর ত্যাগ করুন। ডেকের উপর যাত্রীদের বসার স্থানে মালামাল পরিবহন থেকে বিরত থাকুন। পর্যাপ্ত সংখ্যক বয়া/ লাইফ জ্যাকেট নৌযানে রাখুন।

যাত্রাপথে ঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে নৌযানকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিন বা তীরে ভিড়িয়ে রাখুন। নৌযানে মোবাইল ফোন ও রেডিও রাখুন এবং নিয়মিত আবহাওয়ার বুলেটিন শুনুন।প্রয়োজনে আবহাওয়া সংক্রান্ত অ্যাপ ব্যবহার করুন।

বৈধ কাগজপত্র বিহীন নৌযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকুন।

সকল ফায়ার পাম্প ও অগ্নি নিরোধক যন্ত্রপাতির সঠিকতা নিশ্চিত করুন। দুর্ঘটনা কবলিত নৌযান সনাক্তকরণের লক্ষ্যে নৌযানসমূহে ১০০-১৫০ ফুট লম্বা দড়ি সম্বলিত বয়া এবং লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা রাখুন।

ট্রেন যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ

ট্রেনের ছাদে, বাফারে, পাদানিতে ও ইঞ্জিনে ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন। ট্রেনে ভ্রমণের সময় পাথর নিক্ষেপ সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। ট্রেনে ভ্রমণকালে মালামাল নিজ দায়িত্বে রাখুন। বিনা টিকেটে ট্রেনে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন।

গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না। যে কোন তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পুলিশকে অবহিত করুন। জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করুন।

প্রয়োজনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কন্ট্রোল রুমে ০১৩২০০০১২৯৯, হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ০১৩২০১৮২৫৯৮, রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ০১৩২০১৭৭৫৯৮, নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ০১৩২০১৬৯৫৯৮, র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ০১৭৭৭৭২০১৯৯ নম্বরে এবং জেলা পুলিশ সুপার ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর সাথে যোগাযোগ করুন।


আরও খবর



চালের বস্তায় লিখতে হবে মিলগেটের মূল্য ও ধানের জাত

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:চালের বস্তায় ধানের জাত ও মিলগেটের মূল্য লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখ করতে হবে। থাকতে হবে ওজনের তথ্যও।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল বা পহেলা বৈশাখ) থেকে কার্যকর হবে।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমত জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান বা চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে। যা আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে কার্যকর হবে। চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সকল প্রকার চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন উল্লেখ থাকতে হবে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিলগেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনটির ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।


আরও খবর