নিজস্ব প্রতিবেদক:১ ডিসেম্বর বিজয়ের মাসে 'মুক্তিযোদ্ধা দিবস' সরকারীভাবে ঘোষনার দাবীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আগামী প্রজন্মের সমন্বয়ে- আলোচনা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান।
পবিত্র কোরআন থেকে তিলওয়াত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। অদ্য ১ ডিসেম্বর/২০২৩ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়ের প্রথম প্রহর। সরকারী ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবসটি পালনের নিমিত্তে- দীর্ঘদিন যাবৎ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান- ন্যাশনাল এফ. এফ. ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আগামী প্রজন্মের সমন্বয়ে পথসভা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চলছে। অদ্য আলোচনা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান- প্রফেসর ডাঃ আবদুস সালাম খান। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহা-সচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- ড. এস. এম. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহ্য তথা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের কথা আগামী প্রজন্মের নিকট সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার লক্ষ্যে- ১ ডিসেম্বর কে সরকারী ভাবে 'মুক্তিযোদ্ধা দিবস' রাষ্ট্রীয় ভাবে ঘোষনা প্রদান করার বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষন কামনা করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন যুদ্ধকালীন গ্রুপ কমান্ডার- সুবেদার আবদুল ওহাব (অবঃ), বীর প্রতীক, ড. আবদুল ওয়াদুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও জনাব মোঃ সালাউদ্দিন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। আগামী প্রজন্ম তথা মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ডের পক্ষে বক্তব্য রাখেন- মোঃ নজরুল ইসলাম বাচ্চু।
অনুষ্ঠান শেষে- করোনাকালে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রজন্মদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে জনগনের পাশে থাকার জন্য আহবান জানানো হয়। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক নিযুক্ত হওয়ায় ন্যাশনাল এফ, এফ, ফাউন্ডেশন ও আগামী প্রজন্মের সন্তানরা অত্যন্ত গর্বিত এবং আনন্দিত।
উপস্থিত সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা আগামী প্রজন্মকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা- জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডকে বেগবান করারu দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।