Logo
আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

যশোর ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শতভাগ পাস করেছে, ৭ কলেজে ফেল

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৩২৮জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:শোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শতভাগ পাস করেছে। একই সাথে ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করতে পারেনি। যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ এই তথ্য জানিয়েছেন।

গতবছর (২০২২ সালের পরীক্ষা) শতভাগ পাস করেছিল ৩৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ১১৬ এবং ২০২০ সালে এই সংখ্যা ছিল ৫৭৫। আর ২০২২ সালে ৬টি প্রতিষ্ঠান শূন্যভাগ পাসের হারের রেকর্ড গড়লে তার আগের দু’বছরে শূন্যভাগ পাসের হারের লজ্জাজনক রেকর্ড ছিল না কোনো প্রতিষ্ঠানের।

এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ড থেকে শতভাগ পাসের হারের রেকর্ড গড়েছে, খুলনার খুলনা পাবলিক কলেজ (৩১৭ জনের সবাই পাস), যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভবদহ মহাবিদ্যালয় (১২২ শিক্ষার্থী), ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ (৪৬ শিক্ষার্থী), খুলনার ফুলতলা জামিরা বাজার আসমতিয়া কলেজিয়েট স্কুল (১১৭ শিক্ষার্থী), যশোরের কেশবপুরের সাউথ বেঙ্গল কলেজ (২ জন শিক্ষার্থী), খুলনার মিলিটারি কলেজিয়েট স্কুল (৮৩ শিক্ষার্থী), খুলনার সোনাডাঙ্গার ইসলামাবাদ কলেজিয়েট স্কুল (৫৭ শিক্ষার্থী), বাগেরহাটের ফকিরহাটের লাখপুর আলহাজ আম্বিয়া ইসহাক কলেজিয়েট স্কুল (৭৯ শিক্ষার্থী), খুলনার খালিশপুরের নেভি অ্যাঙ্করেজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৪২ শিক্ষার্থী) ও খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলস্ স্কুল অ্যান্ড কলেজ (২ জন শিক্ষার্থী)।

অপরদিকে, এবার যশোর বোর্ডের শতভাগ শূন্য পাসের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৭টি হলো, কুষ্টিয়ার মিরপুরের কেএম আইডিয়াল কলেজ (একজন পরীক্ষার্থী), খুলনার তেরখাদার শাপলা কলেজ (একজন পরীক্ষার্থী), সাতক্ষীরা সদরের ইসলামিয়া মহিলা কলেজ (৩ জন পরীক্ষার্থী), মাগুরা সদরের দক্ষিণ নওয়াপাড়া সম্মিলনী কলেজ (১০ জন পরীক্ষার্থী), নড়াইল সদর উপজেলার গোবরা মহিলা কলেজ (দু’জন পরীক্ষার্থী), সাতক্ষীরা সদরের সাতক্ষীরা কমার্স কলেজ (দু’জন পরীক্ষার্থী) ও গোবরদাড়ি জোরদিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ (দু’জন পরীক্ষার্থী)।

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৫৭৬টি কলেজের মধ্যে এবার ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শতভাগ পাস করেছে। একই সাথে ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করতে পারেনি।

তিনি আরও জানান, ফলাফলের জন্য শূন্যভাগ পাসের প্রতিষ্ঠানকে সর্তক ও শো’কজ নোটিশ পাঠানো হবে। একই সাথে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সেবায় সন্তষ্ট সেবাগ্রহীতারা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

সোহরাওয়ার্দীঃনারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে বেড়েছে কাজের গতি। নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের বর্তমান উপপরিচালক রোকনুজ্জামানের হস্তক্ষেপে সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বর্তমান উপপরিচালক রোকনুজ্জামান একজন কর্মবীর মানুষ। তার হস্তক্ষেপে কমেছে দালালদের উপদ্রব। নিয়মতান্ত্রিকভাবে যথাসময়ে পাসপোর্ট এর সেবা পাচ্ছে সাধারণ সেবা গ্রহীতারা।

নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক অফিসে পাসপোর্ট করতে আসা গ্রাহকরা কোন দালাল চক্র বা অসাধু ব্যাক্তির খপ্পরে না পরে সে জন্য নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ঢুকতেই আপনার চোখে পড়বে অফিস ভবনের প্রত্যেক তলায় ও সিঁড়িতে কোন কর্মকর্তা কোথায় বসেন সে নির্দেশনা। এ ছাড়া নিচ তলাতেই কোন কাজের জন্য কোথায় যেতে হবে তা উল্লেখ করে বড় করে বোর্ড লাগানো হয়েছে। আর এভাবেই পাসপোর্ট আবেদনকারীদের পরিপূর্ণ সেবা দেওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিজের পাসপোর্টের আবেদন পত্র নিজে জমা দিয়ে সহজেই সঠিক সময়ে পাসপোর্ট হাতে পেয়ে খুশি সেবা গ্রহণকারী সাধারণ মানুষ।আঞ্চলিক এই পাসপোর্ট অফিসকে দালালমুক্ত করতে কড়াকড়ি নির্দেশ প্রদান করেছেন কর্মকর্তারা।

নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক রোকনুজ্জামান জানান,এনআইডি কার্ড এবং নাগরিকত্বের প্রমানাদি পেলে আবেদন কারীকে যথা সময়ে পাসপোর্ট ডেলিভারি দেই, এখানে জটিলতার কোন অবকাশ নেই।

আনসার বাহিনীর চৌকস সদস্যদের সর্বদা সচেষ্ট থাকতে দেখা যায় অফিস চলাকালীন সময়ে। কোন ব্যক্তি নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া ভেতরে প্রবেশে করতে পারবে না । ক্লোজ সার্কিট সিসি ক্যামেরা মনিটরিং স্টেশন। যে কেও যখন তখন কোন অপরাধ করলে সাথে সাথে তাদের সনাক্ত করা হবে। তারপরেও সাধারণ মানুষের ব্যাপক প্রশান্তি পাচ্ছেন বলে জানা যায়। পাসপোর্ট আবেদনকারীরা নিজেদের ঝামেলামুক্ত রাখার সরাসরি নিজের পাসপোর্ট এর কাজ স্বাছন্দ্য ভাবে নিজেই করতে পারছেন গ্রাহকরা।

এছাড়া সরেজমিনে দেখা যায় নিজের পাসপোর্ট সরাসরি আবেদন করতে পারছেন বলেই আগের মত দীর্ঘসময় ব্যয় করতে হচ্ছে না পাসপোর্টের সেবাগ্রহীতাদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে পাসপোর্ট গ্রাহকরা নিজের পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে ১০ বছর মেয়াদে- ৬৪ পৃষ্ঠার জন্য ব্যাংক জমা ৮ হাজার ৫০ টাকা। আর জরুরি ভিত্তিতে করলে সেটা-১০ হাজার ৩৫০ টাকা। একই সংখ্যক পাতায় ০৫ বছরের মেয়াদে ৬ হাজার ৩২৫ টাকা। আর জরুরি ভিত্তিতে করলে জমা দিতে হয় ৮ হাজার ৬২৫ টাকা। এছাড়া ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টে ১০ বছরের জন্য ৫ হাজার ৭৫০, আর জরুরি পাসপোর্ট করলে ৮ হাজার ৫০ টাকা করে পাসপোর্ট গ্রাহকরা জমা দিচ্ছেন সরকারি চার্জ অনুযায়ী এক টাকাও বাড়তি টাকার নেওয়া হয় নাহ।

০৫ বছরের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের আবেদন ফি ৪ হাজার ২৫ টাকা। আর জরুরি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা।

এসব সরকারী ফি এর বাইরে কোন অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কোন সুযোগ নেই এই অফিসে।


আরও খবর



জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি ২৩ নাবিক মুক্ত

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:৩১ দিন পর মুক্তি পেলেন সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ও জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিক।নাবিকরা সুস্থ আছেন।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিনগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটে কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি বিমান বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরবর্তীতে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন ‘এমভি আবদুল্লাহ’ আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সরাসরি খারিজের রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট। রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেও আঘাত করেনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রকাশিত ৩৭ বছর আগে করা এক রিট খারিজের পুর্ণাঙ্গ রায়ে এই পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী ও জগলুল হায়দার আফ্রিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

১৯৮৮ সালে হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংযুক্ত করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তখনই হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন ১৫ বিশিষ্ট ব্যক্তি।

রিট আবেদনের ২৩ বছর পর ২০১১ সালের ৮ জুন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন। ওই রুল জারির প্রায় পাঁচ বছর পর ২০১৬ সালের মার্চে শুনানি শেষে রিট সরাসরি খারিজ করে দেন বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বে ৩ বিচারপতি।

আদালত বলেন, এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করার এখতিয়ার রিটকারীদের নেই।


আরও খবর



শুধু বিএনপি নয়, পুরো দেশ দুঃসময় পার করছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৭২জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:  শুধু বিএনপি নয়, পুরো দেশ একটা দুঃসময় পার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় দেশের মানুষ সংগ্রাম করে চলছে, জনগণের আন্দোলন বৃথা যায় না।

সরকার পরিকল্পিতভাবে অর্থনীতি ধ্বংস করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেউলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। আমরা দেশের মানুষের গণতন্ত্রের অধিকার, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেই ছাড়ব।

সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্নের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে
বান্দরবানের ঘটনা প্রমাণ করে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর
বাংলাদেশকে রাষ্ট্র বলে মনে হয় না : মির্জা ফখরুল
বর্তমান সরকারকে না সরিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশকে পরনির্ভরশীল করার ম্যান্ডেট দিয়েই এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এরই অংশ হিসেবে পরিকল্পিতভাবে বিডিআর বিদ্রোহ ঘটানো হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকারের রোষানলের শিকার বলে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। কঠিন দুঃসময় পার করছে বিএনপি।

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, জয়নুল আবদীন ফারুক, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াছিন আলী, ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা হাবীবুর রশীদ হাবীবসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



ঢাকা সফরে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শনিবার বাংলাদেশে সফর করতে পারেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা। ওই সফরে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক দিক নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি।

একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব। তবে তার সফরের বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি।

গত মার্চে পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে বিনয় কোয়াত্রার কার্যকালের মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়েছে ভারত সরকার। ১৯৮৮ সালে ভারতীয় পররাষ্ট্র পরিষেবায় যোগ দেওয়া কোয়াত্রা ২০২২ সালের ১মে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান।

এর আগে, ২০২৩ সালে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হয়। এফওসি হলো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিস্তারিত আলোচনা নিয়ে দুটি দেশের পররাষ্ট্র সচিবের মধ্যে একটি প্রাতিষ্ঠানিক সংলাপ প্রক্রিয়া। দ্বিপক্ষীয় সংলাপে উভয় পক্ষ সাধারণত সীমান্ত ও নিরাপত্তা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ, পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, জনগণের মধ্যে সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতাসহ বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকে।

এদিকে কূটনৈতিক সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভারতে জাতীয় নির্বাচন শেষ হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটিতে সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে সাতটি ধাপে ১৯ এপ্রিল লোকসভার ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে ১ জুন পর্যন্ত। আর আগামী ৪ জুন ভোট গণনা করা হবে। প্রাক-নির্বাচনি জরিপে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন জোট আবারও নির্বাচিত হতে পারে।

সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) ভারত সফর অবশ্যই হবে। তবে এটি ভারতের নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে। সফরটি ঠিক কবে হবে তা নিয়ে সরকারি পর্যায়ে এখনও আলোচনা হয়নি।

জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান মোদি। সে সময় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অব্যাহতভাবে জোরদার করার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে জি-২০ লিডারস সামিটে বাংলাদেশ অতিথি দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করলে সেখানে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়।

আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রী মোদি তার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশীয় ও বিমসটেক দেশের নেতাদের আমন্ত্রণ জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।


আরও খবর