Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
যাত্রাবাড়িতে ছিনতাই হতে যাওয়া মালামাল উদ্ধার করলেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পবিত্র বিশ্বাস টাঙ্গাইলের মধুপুরে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের গন সংবর্ধনা নবীনগরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তাঁর ছিঁড়ে একজনের মৃত্যু যাত্রাবাড়ীতে অঞ্জাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার রূপগঞ্জে নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প রেলপথ মন্ত্রী কতৃক মাগুরার নির্মানাধীন রেলপথ নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন প্রচারণায় জমে উঠেছে আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট

যে হাতে আগুন আসবে, সে হাত পুুড়িয়ে দেবো: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৪৯১জন দেখেছেন


আরও খবর



নবীনগর শ্যামগ্ৰাম বাজারে অগ্নিকাণ্ডে দুইটি দোকান পুড়ে ছাই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ  নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়া: নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্ৰাম বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দুইটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়‌। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

বুধবার (১৫ মে) রাত দুইটার দিকে রুবেল চন্দ্র সরকার ও প্রদীপ দেবের দোকানে এই ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

খবর পেয়ে নবীনগর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। মাদার ড্রাগ হাউসের স্বত্বাধিকারী রুবেল চন্দ্র সরকার বলেন, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়।রাত দুইটার দিকে বাজার থেকে আমাকে ফোন করে বলে আমার দোকানে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে সাথে সাথে বাজারে গিয়ে দেখি আমার দোকানে আগুন লেগে আছে। স্থানীয়রা প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আমার দোকানের মালামালসহ মোটরসাইকেল পুড়ে যায় ‌। এতে করে আমার প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ইলেকট্রনিক্স দোকানের মালিক প্রদীপ দেব বলেন, অনেকে টিভি সার্ভিসিং এর জন্য আমার দোকানে টিভি দিয়ে গেছে, তাদের মালামালসহ আমার দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে প্রায় এক থেকে দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

   -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



গোদাগাড়ীতে নামের মিলে জেল খাটলেন কলেজছাত্র, আসল আসামি ভারতে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৩২জন দেখেছেন

Image

মুক্তার হোসেন,গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মাদক মামলার আসামির সঙ্গে নিজের ও বাবার নামের মিল থাকায় বিনা দোষে একদিন জেল খাটলেন এক কলেজছাত্র। গতকাল সোমবার ভোরে এই কলেজছাত্রকে ধরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে আসামি শনাক্তে ভুল হওয়ার ব্যাপারে পুলিশ বুঝতে পেরে আদালতে একটি প্রতিবেদন দিলে মঙ্গলবার(১৪মে) আদালত এই কলেজছাত্রকে মুক্তি দিয়েছেন। এই কলেজছাত্রের নাম ইসমাইল হোসেন (২১) তিনি গোদাগাড়ী পৌরসভার ফাজিলপুর মহল্লার আব্দুল করিমের ছেলে।

তাঁর মায়ের নাম মনোয়ারা বেগম। ইসমাইল হোসেন গোদাগাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।মাদক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক ওই আসামির নামও ইসমাইল হোসেন (২০)।তাঁর বাড়ি গোদাগাড়ী পৌরসভার লালবাগ হেলিপ্যাড মহল্লায়। বাবার নাম আবদুল করিম। তাঁর মায়ের নাম মোসা. বেলিয়ারা। আসামি ইসমাইল পেশায় কাঠমিস্ত্রি। মাদক মামলায় জামিন নেওয়ার পর তিনি ভারতের চেন্নাই গিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করছেন। মাদক মামলার এই আসামি এবং ওই কলেজছাত্রের দুজনের নিজের নাম এবং তাদের বাবার নামও একই। মহল্লা এবং মায়ের নাম আলাদা হলেও পুলিশ এই কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।কলেজছাত্র ইসমাইল হোসেনের ভাই আব্দুল হাকিম রুবেল জানান, গত রোববার (১২ মে) এশার নামাজের সময় গোদাগাড়ী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান তাদের বাড়ি যান। এ সময় তিনি একটি মাদক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখিয়ে তার ভাই ইসমাইল হোসেনকে ধরে নিয়ে যান। ওই সময় তাঁরা পুলিশকে জানান, তার ভাইয়ের নামে কোনো মাদক মামলা নেই। কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও নেই।

পুলিশ কোনো কথা না শুনেই ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৯ আগস্ট রাত পৌনে ১১টার দিকে গোদাগাড়ীর মাদারপুর জামে মসজিদ মার্কেটের সামনে থেকে রাজমিস্ত্রি ইসমাইল হোসেনকে ৫০ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করে রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল। রাতেই তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা করেন ডিবির এসআই ইনামুল ইসলাম। এরপর দিন তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর এক মাস পর গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরপর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ইসমাইল হোসেন জামিনে মুক্তি পান। কিছুদিন পর তিনি কাঠমিস্ত্রির কাজে চেন্নাই চলে যান। তার বাবা ছয় বছর ধরেই সেখানে আছেন।

এই মামলায় কলেজছাত্র ইসমাইলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিনকে পরিবারের সদস্যরা অবহিত করলেও তিনি তাকে ছাড়েননি। তিনি তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। পরে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানাকে অবগত করেন। পরে সোহেল রানা বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ খোঁজখবর নিয়ে দেখতে পায়, আসামি ইসমাইলের বদলে অন্য ইসমাইলকে ধরা হয়েছে।গোদাগাড়ী থানার ওসি আবদুল মতিন বলেন, ‘আমরা সোমবার(১৩ মে) এই ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠাই। দুজনের নিজের এবং বাবার নাম একই থাকার কারণে ভুলটা হয়ে গেছে। পরে ভুল বুঝতে পেরে সোমবার বিকেলেই আমরা একটা প্রতিবেদন দিয়েছি। আজ আদালত এই ইসমাইলকে মুক্তি দিয়েছেন। আসল আসামি ভারতে পালিয়ে আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। দেশে ফিরলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।


আরও খবর



তানোরে রাস্তার কার্পেটিং কাজে ব্যাপক অনিয়ম

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে রাস্তার কার্পেটিং কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার তালন্দ ইউনিয়ন (ইউপির) আড়াদিঘি গ্রামের রাস্তায় ঘটেছে অনিয়মর ঘটনাটি। গত বৃহস্পতিবারে রাস্তাটিতে কার্পেটিং করা হয়েছে।  নিম্মমানের কাজে গ্রামবাসীর বাধা উপেক্ষা করে কার্পেটিং দেয়া হয়েছে। এতে করে রাস্তার টিকসই নিয়ে সন্ধিহান গ্রাম বাসী।

আড়াদিঘি গ্রামের তোফাসহ  কয়েকজন ব্যক্তি জানান, রাস্তাটি ট্যাক্টর দিয়ে উল্টিয়ে পুরাতন খোয়া ও রাস্তার ধূলা মাটি দিয়ে বেড তৈরি করা হয়। তিল পরিমান নতুন খোয়া বালি ব্যবহার করা হয়নি। দীর্ঘ প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রাইম কোর্ড করে রাখা হয়। একারনে রাস্তার বেশির ভাগে প্রাইম কোর্ড উঠে যায়। উঠে যায় জায়গায় নতুন ভাবে পিচ বা বিটুমিন না দিয়ে গত বৃহস্পতিবার কার্পেটই করা হয়েছে। কার্পেটিং করার আগ মুহূর্তে কোন ধরনের যান চলাচল করতে দেয়া হয়নি। অথচ ড্রাম ট্রাকে করে পিচ পাথর আনা হয়েছে। একারনে বেশির ভাগ জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হলেও তার উপরেই পিচ দেয়া হয়েছে। আমরা বাধা দিলে ঠিকাদারের লোক জন সরকারি কাজে বাধা দেয়ার মামলার ভয় দেখায়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অফিসের লোকজন ছিল। তবে দুপুরের পর থেকে অফিসের লোক না থাকার কারনে ইচ্ছে মত দায় সারা কাজ করেছে ঠিকাদারের লোকজন।
জানা গেছে, VRRP প্রকল্পের আওতায় তানোর আমনুরা রাস্তার আড়াদিঘি সড়কের মেরামত কাজের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ ফারুক চৌধুরী। উদ্ধোধন করলেও তারিখ দেয়া নাই। ১৩০০ মিটার রাস্তার কাজের বিপরীতে বরাদ্দ  ৭২ লাখ ৩৭ হাজার ৭২৯ টাকা,  চুক্তি মূল্য  ৬৯ লাখ ১০ হাজার ৪২ টাকা। দরপত্রে কাজটি পায় এক ঠিকাদার তার নিকট হতে এলজিইডি অফিসকে ম্যানেজ করে অগ্রিম কয়েক পারসেন লাভ দিয়ে কিনে নেয় রাজশাহীর ঠিকাদার রেবেল বলে নিশ্চিত করেন তার ম্যানেজার মনির ও এলজিইডি অফিসের কার্যসহকারী রাকিবুল হাসান এবং শরিফুল ইসলাম।

ঠিকাদারের ম্যানেজার মনির জানান, এঠিকাদার কোন অনিয়ম করে কাজ করেনা। একাজে ঠিকাদারের প্রচুর লোকসান। তাহলে কিনে কেন করতে হবে জানতে চাইলে তিনি জানান, যারা কাজ করে বসে থাকতে পারেনা। লাভ ও লোকসানের কথা সব সময় ভাবা যায়না।
কার্যসহকারী রাকিবুল হাসান ও শরিফুল জানান, ড্রাম ট্রাকে করে অনেক দূর থেকে মালামাল এনে কার্পেটিং করা হচ্ছে। সব কিছুই সিডিউল অনুযায়ী হচ্ছে। ড্রাম ট্রাকে মালামাল আনার কারনে রাস্তার দুপাশের প্রাইম কোর্ড উঠে গেছে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন ওই সব জায়গায় সিল কোর্ট করা হবে। তবে সিল কোর্ট করা হয়নি, তার উপরেই কার্পেটিং করা হয়েছে। 

উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে, যদি কোন অনিয়ম হয় বিল দেয়া হবে না।

আরও খবর



জলঢাকা পৌরসভা উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে কমেট চৌধুরীকে হারিয়ে নোভার জয়

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

জলঢাকা, নীলফামারী,প্রতিনিধিঃনিলফামারী জলঢাকা পৌরসভায় উপ- নির্বাচন  সম্পূর্ণ হয়েছে। এ নির্বাচনে  প্রয়াত মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু’র ছেলে নাসিব সাদিক নোভা (নারিকেল গাছ) প্রতীক নিয়ে  প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের  হারিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে  জয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১২ হাজার ৫৯১ভোট। তাঁর  নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী  প্রার্থী সাবেক মেয়র বিএনপি থেকে সদ্য বহিস্কৃত নেতা ফয়সাল কমেট চৌধুরী (রেল ইঞ্জিন) প্রতীকে ভোট   পেয়েছেন ৮ হাজার  ৭৬৭ ভোট  ও জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী প্রভাষক ছাদের হোসেন ( মোবাইল ফোন ) প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৫৮টি  ভোট। 

২৮এপ্রিল/২০২৪ (রোববার)  অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে জেলা রিটার্নিং   কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর অলম জানায়,  সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পযর্ন্ত ভোট গ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে, কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।  পৌরসভার  ৯টি ওয়ার্ডে ১৮ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৭ হাজার ১৯১ জন। ইভিএমে ভোট গ্রহণের প্রাপ্ত  ভোটের ফলাফলে  নাসিব সাদিক নোভা ১২হাজার ৫৯১ ভোট পেয়ে তিনি  বেসরকারীভাবে  নির্বাচিত হয়েছেন। উল্লেখ্য, মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু গত ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ রাতে কম্বল বিতরণকালে  হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে আকষ্মিকভাবে  মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে এ পদ শুন্য ঘোষনা করা হয়। শুন্যপদে তারই ছেলে উপ-নির্বাচনে  মেয়র পদে বিপুল ভোটে   নির্বাচিত হয়েছে। , বয়সে নবীন, তারুণ্যদীপ্ত  এ নেতার বিজয়ে হাজার হাজার জনতা ও শুভাকাঙ্ক্ষী উচ্ছ্বসিত,তারা তাদের প্রিয়  নেতাকে বিজয়ের মালা পড়িয়ে দিয়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেন পৌরশহরে।


আরও খবর



আফতাবনগরের গরুর হাটের ইজারার নিয়ে যত তালবাহনা !

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আফতাব নগরের কুরবানির পশুর হাটের ইজারা নিয়ে চলছে নানান নাটকিয়তা। এছাড়াও রয়েছে অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ। গত কয়েক বছর ধরেই সিটি কর্পোরেশনের কিছু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ও প্রভাব খাটিয়ে হাট বাগিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া আফতাব নগরের গরুর হাটের টেন্ডার দেওয়ার কিছুদিন আগ থেকেই সম্পত্তি বিভাগের সামনে এবং আঞ্চলিক অফিসে প্রতিদিন ক্ষমতা দেখিয়ে ‘মহড়া’দেয় মেহেদীর ক্যাডারবাহিনী বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে যাদের ক্যাডারবাহিনী নেই সেসব ইজারা প্রার্থীর পক্ষে নির্বিঘ্নে দরপত্র জমা দেয়া সম্ভব হয় না বলে অভিযোগ করা হয়েছে।


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গরুর হাটগুলো ইজারার ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীনদের আয়ত্বে রাখতে সব সময়ই নেওয়া হয় নানা কৌশল। ঘুরে ফিরে একই সিন্ডিকেটের সদস্যরা পশুরহাটের ইজারা পাচ্ছেন। কারণ একই ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন নামে-বেনামে নামমাত্র মূল্য দিয়ে দরপত্র জমা দিয়ে থাকেন। যে কারণে নিজেদের কাঙ্ক্ষিত দামে ইজারা পেতে সহজ হয়ে যায়। এতে প্রতি বছর সিটি কর্পোরেশন কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারায়।

এদিকে পবিত্র ঈদুল আজহা-২০২৪ উপলক্ষে রাজধানীর আফতাবনগরে পশুর হাট বসাতে দেওয়া পৃথক ইজারা বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ৮মে রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন এ আদেশ দেন।

গত ৪ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তার সই করা এক ইজারা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অস্থায়ী পশুর হাটের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আফতাব নগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক-ই থেকে এইচ পর্যন্ত এবং সেকশন ১ ও ২–এর খালি জায়গাসহ ১১টি স্থানে অস্থায়ীভাবে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য ইজারা আহ্বান করা হয়। ঈদুল আজহার দিনসহ পাঁচ দিন হাট বসার কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

জানা গেছে, গত বছর সিটি কর্পোরেশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও ক্ষমতাসীনদের সিন্ডিকেটের কারণে রাজধানী ঢাকার অস্থায়ী ২৬টি কুরবানি পশুর হাট থেকে শত কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে ডিএনসিসি-ডিএসসিসি। হাটগুলো থেকে কমপক্ষে ১৫০ কোটি টাকা হাসিল উত্তোলন করেছে ইজারাদাররা। অথচ হাটগুলোর ইজারা থেকে পেয়েছে মাত্র সাড়ে ১৭ কোটি টাকা। এছাড়াও হাট নিয়ে রয়েছে দুই সিটির মধ্যে টানাপড়েন। আফতাব নগরে অস্থায়ী পশুর হাটও রয়েছে।

দুই সিটি কর্পোরেশনের দাবি- হাটের এলাকা তাদের সীমানায় পড়েছে। মূলত জায়গাটি দুই সিটি কর্পোরেশনের সীমান্ত এলাকায় পড়েছে। সামনের জায়গা ডিএনসিসির এবং পেছনের জায়গা ডিএসসিসির।

এ প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো.মাহে আলম বলেন, সীমানা নির্ধারণী গেজেট অনুযায়ী যেখানে আফতাব নগর হাট বসানো হয়, তার বেশির ভাগ অংশ ডিএসসিসির আওতাভুক্ত। এজন্য আমরা এবার ডিএনসিসিকে ওই স্থানে হাট ইজারা না দেয়ার অনুরোধ করেছি।ডিএনসিসি যদি আমাদের অনুরোধ না শোনে তাহলে ওই এলাকার দুটি হাট ব্যবস্থাপনা কঠিন হবে। 

ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মাহে আলম বলেন, আফতাব নগর হাট বহু বছর ধরে ডিএনসিসি ইজারা দিচ্ছে। গত বছর বিশেষ কারণে ডিএনসিসি বরাদ্দ দেয়নি, তবে এবার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১২টি হাটের জন্য প্রথম দফার ইজারা কার্যক্রম শেষ হয়ে গেলেও দক্ষিণ সিটির ১৪টি হাটের ইজারা নিয়ে এখনো চলছে ইঁদুর-বিড়াল খেলা। এ হাটগুলোর জন্য টেন্ডার আহ্বানের পর থেকেই আগ্রহী প্রার্থীরা চালান কাটা শুরু করলেও তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে সিডিউল সংগ্রহ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।

সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্টরা জানান, দক্ষিণ সিটির ১৪ হাটের জন্য ৩০ এপ্রিল টেন্ডার আহ্বান করেছে। অন্যদিকে উত্তর সিটির ১২টির অস্থায়ী হাটের টেন্ডার বাক্স খোলা হয়েছে গত ৩০ এপ্রিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, গত তিন বছর ধরেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অস্থায়ী হাট ইজারা নিয়ে চলছে অনিয়ম আর দুর্নীতি।

ইজারা মূল্যের চেয়ে সে বছর ওই পশুর হাট থেকে ১ কোটি ৪০ লাখ ২৫ হাজার টাকা বেশি হাসিল আদায় হয়। ডিএসসিসি গত বছর এ হাটের ইজারামূল্য নির্ধারণ করে মাত্র ১০ লাখ ৩ হাজার টাকা। এবারো হাট ইজারা একই প্রক্রিয়ায় শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। যাতে করে সরকার বড় অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম এর কাছে জানতে তার ব্যক্তিগত নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেন নি।

আরও খবর