Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

ভোটাররা কেন্দ্র আসতে পারলে আমিই জয়ী হব ইনশাআল্লাহ: হিরো আলম

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ ডিসেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ২২৭জন দেখেছেন

Image
মনিরুজ্জামান মনির,নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি:বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর শুক্রবার থেকে গণসংযোগ শুরু করেছেন তিনি। এতে 'ব্যাপক সাড়া' পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন হিরো আলম।

সন্ধ্যায় নির্বাচনী এলাকা নন্দীগ্রাম বাসষ্ট্যান্ডে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম ডাব প্রতীকে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেন। এর আগে কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গনসংযোগ শেষে করে সন্ধ্যায় তিনি নন্দীগ্রাম পৌর শহরে গণসংযোগ করেন ।

গণসংযোগ কালে হিরো আলম বলেন, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হলে, ভোটাররা যদি ঘর থেকে বের হয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে, তা হলে আমি জয়ী হব ইনশাআল্লাহ । তিনি আরও বলেন, উপ-নির্বাচনে যেমন সাড়া পেয়েছি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমি মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। ভোটারদের কাছে আরেকবার সুযোগ চেয়েছি, তারাও সুযোগ দিতে চেয়েছে। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তা হলে আমি শতভাগ জয়ী হব। 

এছাড়াও তিনিও  বলেন, নির্বাচনী মাঠে কেবল নেমেছি, অব্যশই চমক থাকবে। মার্কা বা দল কোনো ফ্যাক্টর না, ভোট হয় ব্যক্তি দেখে। আমাকে জনগণ পছন্দ করে তাই হিরো আলমকে দেখেই ডাব মার্কায় ভোট দিবে তারা। তবে এবারও নৌকা প্রতীকের সাথে তার লড়াই হবে বলে জানান তিনি।

এরআগে গত ফেব্রুয়ারী মাসে বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন হিরো আলম। পরে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনেও অংশ নেন তিনি। এবার হিরো আলম বগুড়া-৪ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।


আরও খবর



বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মনীষা আব্রাহাম

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে শেহজাদ মুনীমের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মনীষা আব্রাহাম, যা আগামী ০১ জুলাই ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে। বিএটি বাংলাদেশের ১১৪ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম নারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক হতে যাচ্ছেন তিনি। এফএমসিজি (ফাস্ট-মুভিং কনজ্যুমার গুডস) ও তামাক সহ বিভিন্ন খাতে বিপণন ও সাধারণ ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৩০ বছরের বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে মনীষার।

মনীষা গত বছরের মার্চ থেকে বিএটি বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদে একজন অ-নির্বাহী পরিচালক (নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিএটি গ্রুপের অংশ সিলন টোব্যাকো কোম্পানি পিএলসি থেকে বিএটি বাংলাদেশে যোগ দিচ্ছেন। সিলন টোব্যাকো কোম্পানিতে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

কর্মজীবনে তিনি এশিয়া প্যাসিফিক, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের একাধিক দেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৯৫ সালে আবুধাবিতে কর্মজীবন শুরু করার আগে মনীষা ভারতের জ্যোতি নিবাস কলেজ থেকে বি.কম ও বিরলা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে মার্কেটিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স বিষয়ে এমবিএ সম্পন্ন করেন।

এক বার্তায় নতুন এই দায়িত্বের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মনীষা বলেন, “১১৪ বছর ধরে এই অঞ্চলে কাজ করার ক্ষেত্রে সফলতা ও ইতিবাচক প্রভাবের সমৃদ্ধ পরম্পরা রয়েছে এমন একটি প্রতিষ্ঠান (বিএটি বাংলাদেশ) নেতৃত্বের জন্য আমার ওপর আস্থা রাখায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

বিএটি বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির যাত্রা এগিয়ে নিতে ও সর্বোচ্চ সততার সাথে প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা বজায় রাখতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ করদাতা ও সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অংশীদার হিসেবে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। আমার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সকলের জন্য একটি সম্ভাবনাময় আগামী নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে আশাবাদী আমি।”

মনীষা আব্রাহাম শেহজাদ মুনীমের স্থলাভিষিক্ত হবেন, যিনি ব্যবসায়িক সফলতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে বিএটি বাংলাদেশে একটি দৃঢ় পরম্পরা তৈরি করেছেন। শেহজাদ মুনিম বিএটি বাংলাদেশের একজন টেরিটরি অফিসার হিসেবে ১৯৯৭ সালে যোগদান করেন এবং ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম বাংলাদেশি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। অবিচল নেতৃত্বের মাধ্যমে শেহজাদ কেবল তার প্রতিষ্ঠানের মানুষদেরই অনুপ্রাণিত করেননি, একইসাথে দেশের করপোরেট খাতের বাকিদের মধ্যেও স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার বুনন করেছেন। মনীষা আগামী ০১ জুলাই থেকে বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন। অসাধারণ জ্ঞান ও দক্ষতার পাশাপাশি তার নেতৃত্ব গুণাবলী প্রতিষ্ঠানের সাফল্য ও দেশের প্রবৃদ্ধি অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।


আরও খবর



শিগগির আসছে আরিফিন শুভর ‘নীলচক্র’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ২৭জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি:ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক আরিফিন শুভ। গতবছর ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা মুক্তির পর দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পেয়েছেন প্রশংসা। আর এবারে নতুন সিনেমার খবর দিলেন শুভ।

আজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন সিনেমার ফাস্টলুক পোস্টার প্রকাশ করেছেন তিনি। সিনেমার নাম ‘নীলচক্র’।

পোস্টারে প্যাজেলের মাঝে দেখা গিয়েছে শুভর মুখ। কালো শার্টে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তালিয়ে আছেন তিনি। তার এক পাশে অসংখ্য খবরের কাগজ, তবে সেগুলো ঝাপসা। 

কী রহস্য আছে সিনেমাটি ঘিরে- তা অবশ্য এখনই বলছেন না অভিনেতা। নতুন সিনেমার খবর দিয়ে শুভ একটু রহস্য রেখে দিলেন। কারণ পোস্টারের সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘নীলচক্র কি নীল হবে না রক্তের রঙ লাল হবে সেটা দেখার অপেক্ষায়। শিগগির আসছে নীলচক্র।’ 

গতবছরই সিনেমাটির খবর জানিয়েছিলেন অভিনেতা। সিনেমাটির অ্যানাউন্সমেন্ট পোস্টার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন তিনি। ‘নীলচক্র’ পরিচালনা করেছেন মিঠু খান। চিত্রনাট্য ও কাহিনি বিন্যাস করেছেন নাজিম উদ দৌলা ও মিঠু খান। 

বরাবরই শুভ চুপচাপ কাজ করতে পছন্দ করেন। তাই গতবছর শুটিং শুরুর আগে নতুন সিনেমার খবর দিলেও এর বেশি কিছু বলেননি।

অভিনেতা বলেন, ‘দর্শক সমসাময়িক একটি গল্প দেখতে পাবেন। গল্পের প্যাটার্ন ডার্ক, সঙ্গে আরো কিছু আছে।’

ফিল্ম ফায়োস প্রোডাকশন প্রযোজিত ও ফিল্ম লাইফ প্রোডাকশন নিবেদিত এই সিনেমায় আরিফিন শুভর সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী, ফজলুর রহমান বাবু, দীপান্বিতা মার্টিন, শাহেদ আলী, টাইগার রবি, মনির আহমেদ শাকিল, প্রিয়ন্তী ঊর্বী, মাসুম রেজওয়ান, ডলার প্রমুখ।


আরও খবর



ব্যবসায়ীর ২৪ লক্ষ টাকা লুট, ৬ লাখ টাকাসহ মূল হোতা গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৭০জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:জুসের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তা খাইয়ে এক ব্যবসায়ীর ব্যাগে থাকা নগদ ২৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা লুট হওয়ার ঘটনায় মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নোয়াখালী জেলার চর জব্বর থানা থেকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে প্রেরণ করেছে মিরসরাই থানা পুলিশ। তার নাম ইয়াকুব আলী মাসুদ (৬৫)। সে নোয়াখালী জেলার চর জব্বর থানার চর জব্বর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মফিজ মিয়ার বাড়ির মৃত আবদুল হালিমের ছেলে। এসময় তাঁর কাছ থেকে নগদ ৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা, স্বর্ণের তাবিজ ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

মিরসরাই থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ মার্চ বিকাল সাড়ে ৩ টায় চট্টগ্রামের গরিবুল্লাহ শাহ থেকে ছেড়ে আসা সেন্টমার্টিন ইয়াছিন এক্সপ্রেস বাসযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে ব্যবসায়িক কাজে রওয়ানা হন আবুল কালাম। পথিমধ্যে মিরসরাই থানার মিঠাছড়া বাজার এলাকায় পৌঁছলে পাশের সিটে বসা অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে জুসের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ালে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তার সাথে ব্যাগে থাকা নগদ ২৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল সেট হাতিয়ে নেয় ওই ব্যক্তি। এরপর ভুক্তভোগী আবুল কালাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মিরসরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি হাতে পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ সহিদুল ইসলামের নির্দেশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজ করেন মিরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) দীপ্তেশ রায়। নোয়াখালী জেলার ডিবি পুলিশের সহায়তায় গত ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। ভুক্তভোগী আবুল কামাল চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া উপজেলার থান্ডাচড়ি ইসলামপুর ইউনিয়নের আবুল কালাম আজাদের বাড়ির মৃত আবুল হাশেমের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম শহরের টেরিবাজারে কাপড়ের ব্যবসা করেন।

আবুল কালাম বলেন, সেদিন আমি চট্টগ্রাম নগরীর গরিবুল্লাহ শাহ এলাকার বাস স্টপেজ থেকে সেন্টমার্টিন এক্সপ্রেস এসি বাসযোগে ব্যবসায়িক কাজে ঢাকা যাচ্ছিলাম। শহর থেকে আমার পাশে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিও বসেন। মিরসরাইয়ের মিঠাছড়া বাজার এলাকায় পৌঁছলে কিছু বুঝে উঠার আগে তিনি আমাকে একটি জুস পান করান। সেটা খেয়ে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে আমার সাথে থাকা নগদ ২৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল সেট হাতিয়ে নেয় সেই ব্যক্তি। এই ঘটনায় আমি মিরসরাই থানায় মামলা দায়ের করি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরসরাই থানার ওসি তদন্ত দীপ্তেশ রায় জানান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা কাজ করতে থাকি। সনাক্তপূর্বক গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নোয়াখালীর চর জব্বর থানা এলাকায় ডিবি পুলিশের সহায়তায় আমরা ইয়াকুব আলী মাসুদ নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। পরবর্তীতে আসামীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার নিজ বাড়িতে রাতে অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত নগদ ৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা, একটি সুজুকি ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল ও একটি সোনার তাবিজ, হারসহ উদ্ধারপূর্বক জব্দ করেছি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



ডিএমপির কর্মকর্তাদের নিয়ে ইন্টিলিজেন্স ভিত্তিক পুলিশিং বিষয়ক কর্মশালা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃ২৩ এপ্রিল এবং ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ঢাকা- ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তাদের নিয়ে ইন্টিলিজেন্স ভিত্তিক পুলিশিং বিষয়ক কর্মশালা আয়োজন করেছে গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ(জিআরএসপি)। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই কর্মশালা আয়োজন করা হয়। ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে, জিআরএসপি ২৩ এপ্রিল ও ২৪ এপ্রিল মোট ৬২ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। 

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রশিক্ষণ কর্মশালাটির উদ্বোধন করেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন) জনাব এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার। তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, “ডিএমপিকে আধুনিক ও সর্বশেষ কলাকৌশল সম্পর্কে আপডেট রাখা এবং প্রশিক্ষণ দেয়া গুরুত্বপূর্ণ। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে পুলিশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। আমি নিশ্চিত যে, এই কর্মশালা, আমাদের অফিসাদের সক্ষমতা আরও উন্নত করবে এবং ঢাকার নাগরিকদের জন্য নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার জন্য সাহায্য করবে। 

জিআরএসপি’র সিনিয়র রোড পুলিশিং উপদেষ্টা রাসেল নাইমান প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি পরিচালনা করেন। যুক্তরাজ্য পুলিশের বিভিন্ন পদে ৩০ বছরের বেশি সময় কাজ করেছেন তিনি। কর্মশালায় বৈশ্বিকভাবে অনুশীলন করা ‘সেফ সিস্টেম এপ্রোচ’ অনুসারে সড়ক নিরাপত্তার ঝুঁকিসমূহ মোকাবেলায় পুলিশ সদস্যদের সক্ষমতা বুদ্ধিতে জোর দেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষণের ফলে পুলিশ কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক ও জাতীয় রোড পুলিশিং কৌশলগুলি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং সড়ক নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট আইনসমূহ আরও কার্যকরভাবে প্রয়োগ করার মাধ্যমে সড়ক-সংঘর্ষজনিত মৃত্যু ও হতাহত কমাতে সক্ষম হবেন। কর্মশালার সময় তিনি গুরুত্ব দিয়ে বলেন “ এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুলিশ অফিসারদের সক্ষমতা বাড়বে। তারা তথ্য বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে এবং সড়কে মৃত্যু হ্রাসে যথাযথ ভূমিকা নিতে পারবে।


আরও খবর



ঈদের পর কর্মে ফেরা মানুষের উপচে পরা ভীড়

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:ঈদ উল ফিতর ও বৈশাখ উপলক্ষে টানা ৫ দিনের ছুটি শেষে সোমবার ১৫ এপ্রিল খুলেছে সরকারি বেসরকারি দপ্তর,ব্যান্ক বিমা সহ সকল প্রতিষ্ঠান।গত ৯ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ছুটি ঘোষণার পরও অনেকেই অতিরিক্ত ছুটিতে রয়েছেন বলে একাধিক প্রতিষ্ঠানেই কর্মচান্ঞল্য থাকার কথা নয়।

জানা যায়,৮ এপ্রিল অফিস শেষে করেই সরকারি ছুটি শুরু হয়ে যায়। ১৫ এপ্রিল সোমবার কাজে যোগদানের কথা থাকলেও ঢাকা গামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১৪ এপ্রিল রবিবার বন্ধ থাকায় ১৩ এপ্রিল শনিবার কর্মজীবিরা ঢাকা সহ অনেক জায়গায় যাত্রা শুরু করেন।টানা এ ছুটি শেষে সোমবার সব প্রকার অফিস-আদালত খুলছে বলে জানা যায়। তবে স্কুল কলেজ খুলতে আরো দুই চার দিন লাগতে পারে বলে জানান স্কুল ও কলেজ পরিচালকরা।

মরিয়ম নামের এক নারী যাত্রী জানান, সৈয়দপুর থেকে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকায় যাত্রা যথেষ্ট আরামদায়ক।  সৈয়দপুর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে ঢাকা পর্যন্ত পুলিশি সেবা পাওয়া যায় সার্বক্ষনিক। এর ফলে প্রায় সময় ট্রেনেই যাওয়া আসা করি।

সৈয়দপুর রেলওয়ের সহকারী ষ্টেশন মাষ্টার রানা বলেন,রবিবার ১৪ এপ্রিল নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধ থাকায় ১৩ এপ্রিল কর্মে ফেরা মানুষের উপচে পরা ভীড় হয়েছে। যাত্রীরা যাতে ভালো ভাবে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে এজন্য প্রায় ৪ টি নতুন বগি সংযুক্তও করা হয়েছে। 

স্টেশন মাষ্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন বলেন, যাত্রীদের সুব্যবস্হা ও বগি বৃদ্ধি করায়, তারা আরাম আয়াসে ফিরতে পারছেন নীজ কর্মসংস্থানে। সার্বক্ষনিক দেয়া হচ্ছে পুলিশি সেবা।

দেখা গেছে নারীর টানে প্রিয়জনের সাথে ঈদ আনন্দ করতে কর্মব্যস্ত ঢাকা শহরকে সাময়িক বিদায় জানিয়ে ৮ এপ্রিলের মধ্যে গ্রামে ঈদ করতে আসেন লাখ লাখ মানুষ।

ঈদের আগে ট্রেন ছাড়াও বাস--লঞ্চ সব মাধ্যমেই ছিল বাড়ি ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড়। নানা দুর্ভোগ মাথায় নিয়েই নাড়ির টানে বাড়ি ফেরে মানুষ। আর সেই উৎসব আনন্দ শেষ করে এখন কর্মে ফেরার পালা তাদের।

যদিও ঈদের পর প্রথম কর্ম দিবসে উপস্থিতির সংখ্যা কম থাকাটাই স্বাভাবিক। কেননা অনেকে ঈদের সাধারণ ছুটির সঙ্গে আরো ২/৪ দিন ছুটি বাড়িয়ে গ্রামেই কাটিয়ে দেবেন আরো ৪/৫ দিন। তাই ১৭/১৮ এপ্রিল হতে পারে পূর্ণ কর্ম ব্যস্ততা।সেই সময় পুরোপুরি প্রাণ চাঞ্চল্য হয়ে উঠবে ঢাকা।

গণমাধ্যম কর্মীদের ব্যস্ততা শুরু হবে ১৪ এপ্রিল রবিবার থেকেই। কেন না সোমবার সব প্রকার পত্রিকা চালু হচ্ছে বলে জানা যায়। 


আরও খবর