Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ট্যাক্স অ্যাপ চালু করলো শাপলা ট্যাক্স

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৩৬৩জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :বাংলাদেশ প্রকৃত অর্থেই এখন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এ রূপান্তরিত হচ্ছে। আর তাই কর আদান-প্রদানের জন্য একটি ট্যাক্স-ফাইলিং অ্যাপ অত্যাবশকীয় হয়ে উঠেছে। একটি ডিজিটাল ট্যাক্স-ফাইলিং অ্যাপ করদাতাদের সহজ সমাধানে যেমন সাহয্য করবে তেমনি বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগতভাবে আরো অগ্রসর এবং উন্নত করে তুলবে।

শাপলা ট্যাক্স ইতোমধ্যেই অনলাইনে কর প্রদানের একটি ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে। । ১৮ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটি তাদের সর্বশেষ সংযোজন ‘শাপলা ট্যাক্স অ্যাপ’ এর উদ্ভোধন করেছে । অনুষ্ঠানটি ঢাকায় তাদের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শীর্ষ গণমাধ্যমকর্মী সহ অন্যান্য ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অ্যাপটির কর্মপরিকল্পনা ও দেশের কর ব্যবস্থাপনায় এর ভূমিকা নিয়ে তাঁরা এ সময় নিজস্ব মতামত তুলে ধরেছেন । ১০০০ জনেরও বেশি গ্রাহক গতবছর শাপলা ট্যাক্সের মাধ্যমে কর প্রদান করেছিলো, যা তাদের অসাধারণ সাফল্যেরই প্রমাণ। প্রতিষ্ঠানটির আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, তাদের ফ্রি ট্যাক্স ক্যালকুলেটর। এটি তাৎক্ষণিক কর প্রদানের হিসাব দিতে পারে এবং গ্রাহকের কর দেয়ার প্রক্রিয়াটিকে সহজ করে তোলে।

এই অ্যাপ ৩ টি সহজ ধাপে ট্যাক্স ফাইলিং এর কাজ করবে, যা ব্যবহারকারীকে সর্বোচ্চ ডেটা সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিবে। অ্যাপটির অন্যতম বিশেষত্ব হলো, এটি আইটিপির সার্টিফিকেট প্রাপ্ত পেশাদারদের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততার মাধ্যমে কাজ করবে এবং প্রতিটি ধাপে বিশেষজ্ঞদের নির্দেশনা ও পরামর্শে পরিচালিত হবে। এটি অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস বোর্ড অফ দ্যা আমেরিকান ইন্সটিটিউট ( AICPA) এবং গুগল ক্লাউডের সাথে একত্রিত হয়ে আন্তর্জাতিক মান অক্ষুন্ন রাখবে, সেই সাথে গ্রাহকের নিরাপত্তা প্রোফাইলকে আরো শক্তিশালী করবে। তাই বলা যায়, শাপলা ট্যাক্স অ্যাপ ডিজিটাল কর প্রদানের এক নতুন মানদণ্ড হিসেবে আমাদের সামনে এসেছে।

টিআরপি হিসেবে শাপলা ট্যাক্স আইটিপি ও করদাতাদের মধ্যে একটি সেতুবন্ধনের মতো কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি সার্টিফাইড আয়কর অনুশীলনকারী সাথে একত্রে কাজ করবে এবং দক্ষতার সাথে কর গণনা করার পাশাপাশি আয়কর প্রদানকারীদের জন্য সকল ট্যাক্স সার্ভিস নিশ্চিত করবে। তাদের এই উদ্যোগটি কেবল ব্যক্তিগত কর কিংবা আইটিপি-র জন্য কর প্রদানকেই উৎসাহিত করবে না বরং সকলের কর প্রদান নিশ্চিত করার যে লক্ষ্য বাংলাদেশ সরকারের রয়েছে তাও ত্বরান্বিত করবে। শাপলা ট্যাক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও তাসনিম মোর্তোজা এ বিষয়ে বলেন, “ অ্যাপটি বাজারে আনতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। আমাদের এই অ্যাপ কর ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়াকে সবার জন্য সহজ করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের, এই অ্যাপের মাধ্যমে তা নিশ্চিত হবে” ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অ্যাপটির সার্বিক ডিজাইন এবং ট্যাক্স ফাইলিং এ এর দক্ষতার নানাদিক সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। শাপলা ট্যাক্স অ্যাপের মাধ্যমে ঝামেলামুক্ত ট্যাক্স ফাইলিং এবং সুরক্ষিত ডেটা ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করার অঙ্গীকারসহ অ্যাপটি সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিভিন্নদিক গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরা হয় এ অনুষ্ঠানে। শাপলা ট্যাক্স এর www.shapla.io , ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়ীদের দক্ষতার সাথে কর প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করে চলেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে অনলাইনে কর প্রদানের প্রথমসারির একটি মাধ্যম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে । ব্যবসায়ী ও ব্যক্তি নির্বিশেষে গ্রাহকের সুবিধা অনুযায়ী কাজ করার প্রত্যয় এবং নিত্য নতুন উদ্ভাবনী সেবার মাধ্যমে শাপলা ট্যাক্স দেশের কর ব্যবস্থাপনাকে আমাদের সামনে নতুন করে পরিচয় করিয়েছে।

Shapla Tax App overview link:

https://drive.google.com/file/d/1aUXU4eo_u2wY5eDRSJUaBv71jX0hc4Pb/view?us

p=share_link


আরও খবর



দেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, বলেছেন সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শিগগিরই এর নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেলে সংসদের অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের (সিআরপি) আদলে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের জন্য কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় ১৬০ একর জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গিয়েছে। উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করা হবে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমান সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ সকল পদে জনবল নিয়োগের বিষয়িটি নিশ্চিত করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ও অভিযান পরিচালনার জন্য এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার সংযোজনের কার্যক্রম চলমান আছে।

তিনি জানান, পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। পূর্বে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের পরিবর্তে বর্তমানে ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়াও পুলিশ সদস্যদেরকে ৭ পয়েন্ট ৬২ / ৯ এমএম পিস্তল, ৯ এমএম এসএমজি, পয়েন্ট ৪৫ ইঞ্চি এসএমজি, ১২ বোর শটগান, ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস, গ্যাস গান/লঞ্চারসহ প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম-১ আসনের এমপি মাহবুব উর রহমানের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি ইতিমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) অত্যাধুনিক অস্ত্র, যানবাহন, আকাশযান ও জলযান দ্বারা সুসজ্জিত করা হয়েছে।

অত্যাধুনিক অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে অ্যালকোটেন ৪০টি, এটিজিডব্লিউ ১২টি, স্নাইপার রাইফেল ১৩২টি, এএএমজি ৩টি, এপিসি আর্মস ২৮টি। যানবাহনের মধ্যে রয়েছে এটিভি ২৫৯টি, রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যাল (আরসিভি) ১০টি, আর্মড পার্সোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) ৪০টি, মোটরসাইকেল ১ হাজার ৯৬৫টি, পিকআপ ৫৪৭, অ্যাম্বুলেন্স ৬৯, ট্রাক ২১৮, জীপ ৩২৮, বাস ২৫, মাইক্রোবাস ১২, ওয়াটার ট্রেইলার ৭৩।

আকাশযানের মধ্যে হেলিকপ্টার ৩টি। জলযানের মধ্যে স্পিড বোট ৮৭টি, হাই স্পিড ইঞ্জিন বোট ১২টি, এয়ার বোট ৪টি, লজিস্টিক শিপ ১, পল্টুন ৫টি, মটর লঞ্চ ২৫টি, পেট্রল বোট ৪, রেসকিউ বোট ১৫টি, ওয়াটার ক্যারিয়ার ভ্যাসেল ২টি। এছাড়াও জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) এবং সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর জন্য প্রাইভেট তহবিলের ব্যবস্থাপনায় ২টি স্পিড বোটের বডি ক্রয় করা হয়েছে।

নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রথমবারের মত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর সাতগ্রাম ব্ল্যাক কোকেন উদ্ধার করা হয়েছে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ রুহীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালে ৯৭ হাজার ২৪১টি মামলা দায়েরপূর্বক ১ লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ সময় ৩১ হাজার ৬২২ বোতল ফেনসিডিল, ৭২ দশমিক ৮২৮ কেজি হেরোইন, ১৮৬ দশমিক ৬৩২ কেজি আইস এবং ২ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭১ পিস টাপেন্টাডল ট্যাবেলট জব্দ করা হয়েছে।


আরও খবর



প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন সম্পূর্ণের আহবান চেয়ারম্যান প্রার্থীর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থেকে আসন্ন উপজেলা নির্বাচন সম্পূর্ণ করার আহবান জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো: সেলিম আজাদ। শনিবার দুপুরে কালিয়াকৈর মডেল প্রেসক্লাবের আয়োজনে উপজেলার লতিফপুর এলাকায় ঈদ পুনর্মিলন ও মতমিনিসময় সভায় এ আহবান জানান তিনি।

এসময় উপজেলার ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমি নির্বাচিত হলে দলমত নির্বিশেষে সবাই মিলে এটাকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেসব মিশন নিয়েছেন আমার নেতা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় সেসব উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখবো। এখানকার অসহায় জনগোষ্টিকে স্বাবলম্বী ও বেকারত্ব দূরীকরণে অগ্রনী ভুমিকা পালন করবো। এছাড়া জনগণের ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে উপজেলার প্রতিটি গ্রাম-মহল্লায় গিয়ে উন্নয়ন কাজ করেছি। প্রায় তিন হাজারের বেশি ওয়াজ মাহফিলসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করেছি। আশা করছি এসব কাজের জন্যেই জনগন ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবেন।

কালিয়াকৈর মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমারত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীরের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন- কালিয়াকৈর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল কদ্দুস খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন, দীপ্ত টেলিভিশনের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন- কালিয়াকৈর মডেল প্রেসক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা।


আরও খবর



এসসিবি-চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ -এ ‘সেরা কৃষি প্রতিষ্ঠান’ স্বীকৃতি পেল আইফার্মার

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক অ্যান্ড চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০২৩- এর কৃষি সহায়তা ও বাস্তবায়ন ক্যাটাগরিতে সম্প্রতি ‘সেরা কৃষি প্রতিষ্ঠান’ পুরস্কার পেয়েছে আইফার্মার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আইফার্মারকে এ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (এসসিবি) অ্যান্ড চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে দেশের কৃষিখাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ৯ জন ব্যক্তি ও ২টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।

জলবায়ু অভিযোজন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, লাখো মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মূল্য শৃঙ্খলে (ভ্যালু চেইন) গুরুত্বারোপ, টেকসই নেটওয়ার্ক তৈরি এবং বাসাবাড়ি ও বাণিজ্যিক কৃষি কার্যক্রম ও গবেষণা উদ্যোগে কার্যকর পরিবর্তন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দেয়াই এই পুরস্কারের প্রাথমিক লক্ষ্য।

এ বিষয়ে আইফার্মারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ফাহাদ ইফাজ বলেন, “ক্রমশ পরিবর্তনশীল বাজারে কৃষকদের সফলতায় কৃষি ইকোসিস্টেমের ভিত্তি গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি হিসেবে ২০১৯ সাল থেকে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে আইফার্মার। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আজকের ও  আগামীর কৃষকদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই উদ্ভাবনী প্রযুক্তি নিশ্চিত করতে হবে, যেন তারা কৃষি ও ব্যক্তিজীবনে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন। এসসিবি-চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ডে বেস্ট অ্যাগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশনের এই স্বীকৃতি আমাদের লক্ষ্য অর্জনে আরও বেশি প্রত্যয়ী ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।”

এসসিবি-চ্যানেল আই অ্যাওয়ার্ডে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আবদুর রহমান এমপি। এছাড়া, অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক এবং বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী নাসের এজাজ বিজয়।

আইফার্মারের ‘সেরা কৃষি প্রতিষ্ঠান’ স্বীকৃতির পাশাপাশি আয়োজনে বেস্ট এক্সপোর্টার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে প্রাণ ডেইরি। একইসাথে পুরস্কারপ্রাপ্ত ৯ ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন – মেইল ফার্মার ইব দ্য ইয়ার মো.আবদুল কালাম আজাদ, ফিমেইল ফার্মার ইব দ্য ইয়ার তানিয়া পারভিন, মোস্ট রিজিলিয়েন্ট ফার্মারস ইব দ্য ইয়ার মো. সিদ্দিক হোসেন ও সাবিত্রী বিশ্বাস, হিরো ফর চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড সানোয়ার হোসেন, বেস্ট জার্নালিস্ট ইন দ্য অ্যাগ্রিকালচার সাহানোয়ার সাইদ শাহীন, ক্লাইমেট অ্যাডাপ্টেশন সল্যুশন অব দ্য ইয়ার মৃণ্ময় গুহ নিয়োগী, জুরি স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড মোহাম্মদ আল-মামুন এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট (আজীবন সম্মাননা) ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমএ সাত্তার মণ্ডল।


আরও খবর



সিঙ্গাপুরে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্টের বিনিয়োগ রোডশো

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড সিঙ্গাপুরে বিনিয়োগ রোডশো করেছে। ‌গত ১১ মে, ২০২৪ তারিখে সিঙ্গাপুরের কিচেনার এ হোটেল নভোটেলে এই রোডশো অনুষ্ঠিত হয়। এই রোডশো-এর উপজীব্য ছিল- সিঙ্গাপুর প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের পথ সুগম করার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি তরান্বিত করা।

প্রাইমইনভেস্ট প্রবাসী আয়োজিত এই বিনিয়োগ রোডশোতে উপস্থিত ছিলেন- সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় হাইকমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম-এনডিসি; বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক জনাব মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী; সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বারের সভাপতি, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশী মেরিন কমিউনিটির সভাপতি, প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ এম ওমর তৈয়ব, প্রাইম এক্সচেঞ্জ কোং প্রাঃ লিঃ সিঙ্গাপুরের নির্বাহী পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ সামিউল্লাহ প্রমুখ।

‘প্রাইমইনভেস্ট প্রবাসী’ হলো এমন একটি বিনিয়োগ ব্যবস্থা যেখানে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্টের দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা কমিটি শেয়ারবাজারে প্রবাসীদের অর্থের সুচিন্তিত ও উপযুক্ত বিনিয়োগের মাধ্যমে তাদের জন্য এনে দিবে আকর্ষণীয় মুনাফা।

অনুষ্ঠানে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব সৈয়দ এম ওমর তৈয়ব গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের অবদান অনস্বীকার্য। প্রবাসীদের জন্য রয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ। যার মাধ্যমে তাদের এবং দেশের সামগ্ৰিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থের সুপরিকল্পিত বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে এসেছে প্রাইমইনভেস্ট প্রবাসী যাতে তারা প্রবাসে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারবেন।’

সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের মাননীয় হাইকমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম এনডিসি প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্টের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশে এই প্রথম কোনো ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে এসেছে। অনেক সময় বিনিয়োগ করে প্রবাসীরা অনেক ধরণের ভোগান্তির স্বীকার হন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত প্রবাসীদের মনে আস্থা জাগ্রত করা যাতে তারা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরাসরি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে পৌঁছাতে হবে এবং সকল পেশা ও শ্রেণীর প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে হবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক জনাব মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী, প্রবাসীদের জন্য বিশেষায়িত ইনভেস্টমেন্ট স্কিম- প্রাইমইনভেস্ট প্রবাসী চালু করার জন্য পিবিআইএলকে স্বাগত জানান। তিনি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেমিটেন্সের অবদান স্বীকার করে প্রবাসীদেরকে বৈধ উপায়ে রেমিটেন্স পাঠানোর বিষয়ে গুরত্বারোপ করার পাশাপাশি দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।


আরও খবর



গাংনীতে জমি দখল পেতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৩৯জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধিঃমেহেরপুর আদালত কর্তৃক রায় পাবার পরও জমি দখল পাচ্ছেন না আফতাব উদ্দীন নামের এক ভুক্তভোগি। রায় প্রাপ্ত জমি দখল পেতে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহকারী কমিশনার(ভুমি)সহ বিভিন্ন স্থানে আবেদন করেও কোন সুরাহা পাননি তিনি। অবশেষে আজ রোব্বার বিকেলে গাংনী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই ভুক্তভোগি। 

আফতাব উদ্দীন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর বর্ডার পাড়ার মৃত সাত্তার আলীর ছেলে। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিতভাবে তিনি জানান, অত্র উপজেলার দেবীপুর গ্রামের মোঃ ফজলুর রহমানের ছেলে মোঃ মামনুর রশিদ, মৃত পিয়ার বক্সের ছেলে মোঃ ফজলুর রহমান, মৃত রহমত উল্লাহর ছেলে মোঃ ইউসুফ আলী, মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে মোঃ ছাবদার, কাজিপুর গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে খবির উদ্দীন ও খড়মপুর গ্রামের দলিল লেখক ওমর আলী জাল জালিয়াতির মাধ্যমে গাংনী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল সম্পাদিত ও রেজিস্ট্রি করেন। যার নং- ১২৬৫, তাং- ০৪/০২/২০১০ ইং। 

এ দলিল বাতিলের জন্য আদালতে একটা মোকদ্দমা করা হয়। যার নং- দেং ১২৬/২০১০। উক্ত দলিল হস্তরেখা বিশারদ দ্বারা পরীক্ষাতে দলিল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্ট বলিয়া প্রমানিত হয় এবং তদমর্মে হস্তরেখা বিশারদ রিপোর্ট দাখিল করেন। উক্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ও উভয় পক্ষের সাক্ষ্য প্রমানাদি গ্রহণে  যথাক্রমে ১৬ জানুয়ারী ২০২০, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ৩০ নভেম্বর ২১, ২০ জুন ২২, ২৭ সেপ্টেম্বর ২২, ২৪ অক্টোবর ২২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২৩, ২২ অক্টোবর ২৩, ২১ নভেম্বর ২৩ ও ২৯ জানুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখে চুড়ান্ত শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখে আমার পক্ষে রায় প্রদান করেন।

রায়ে উল্লেখ করেন যে, "মোকদ্দমাটি ১/২ নং বিবাদীর বিরুদ্ধে দোতরফা সূত্রে এবং অন্যান্য বিবাদীর বিরুদ্ধে বিনা খরচায় ডিক্রী হইল। এতদ্বারা নালিশী 'ক' তপশীল বর্ণিত ৬৩ শতক জমির দখল বাদীর বরাবর বুঝিয়ে দেয়ার জন্য বিবাদীপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করা হলো। পাশাপাশি বিগত ০৪/০২/২০১০ তারিখের ১২৬৫ নং দলিল বাতিল করা হলো।

নালিশী দলিলটি বাতিল করণের নোট সংশ্লিষ্ট ভলিয়মে প্রদান করার নিমিত্তে ডিক্রীর অনুলিপি সাব-রেজিস্ট্রার গাংনী, মেহেরপুর বরাবর প্রদান করেন। এমতে আদেশ হওয়ার আমি দরখাস্তকারী প্রতিপক্ষগণকে নিম্ন তপশীল বর্ণিত জমির দখল ছেড়ে দেয়ার জন্য বারংবার অনুরোধ করলেও প্রতিপক্ষগণ মাননীয় আদালতের রায় ডিক্রী থাকা সত্বেও জমির দখল ছেড়ে দিচ্ছেন না এবং ছেড়ে দিবে না বলে স্পষ্ট ভাবে জানান। 

প্রতিপক্ষগণ অর্থাবলে ও জনবলে বলিয়ান ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তারা আরো হুমকি দিচ্ছেন যে, যদি নালিশী নিম্ন তপশীল বর্ণিত জমির দখলে যাওয়ার চেষ্টা করা হয় তাহলে ভুক্তভোগিকে খুন গুম করে ফেলবে। ভয়ে ওই জমিতে যেতে পারেন না তিনি।  এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ‘উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) বরাবর আবেদন করেও কোথাও কোন সুরাহা পান নি বলে অভিযোগ করেছেন ওই ভুক্তভোগি। শেষ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের উচ্চ মহলে বিষয়টি অবগত এবং আমি যাতে উক্ত জমি দখল পেতে পারেন তার সুষ্ঠু সমাধানে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয় যে, জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই বাছাই ছাড়া কিভাবে জমি রেজিস্ট্রি ও সনাক্ত এবং খারিজ হয় তা সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি আশাবাদী। জমি জালিয়াতিতে জড়িতদের মধ্যে সনাক্ত করেছেন কাজিপুরের খবির উদ্দীন যার প্রকৃত পিতার ফহিম হাসলানা অথচ পিতার নাম দেয়া হয়েছে আয়নাল হক। যা সম্পুর্ণ অবৈধ ও আইন বিরোধী বলেও দাবী করেন তিনি।


আরও খবর