Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
আগরবাতি তৈরি করে ১০ হাজার নারীর ভাগ্য বদল ইরানের অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবের রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২ মাগুরায় মহানবী (সাঃ)কে কুটুক্তি করায় দুটি বাড়িতে আগুন সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস শীঘ্রই বাজারে আসছে টেকনো ক্যামন ৩০ সিরিজের ফোন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ছাড়াও যারা মারা গেলেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবাজার বিপণিবিতানের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের কোনো আরোহী বেঁচে নেই ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে উদ্ধারে বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে রাশিয়া

জুমা আক্তার স্পেনে প্রথম বাংলাদেশি চিকিৎসক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৭৫জন দেখেছেন

Image

কবির আল মাহমুদ,স্পেন:স্পেনে বাংলাদেশি কমিউনিটির সূচনা হয় প্রায় ৩৪ বছর আগে। ১৯৮৯ দেশটির রাজধানী মাদ্রিদে তখন হাতেগোনা কজন বাংলাদেশি অভিবাসী  বসবাস করতেন। ধীরে ধীরে কমিউনিটি বড় হতে থাকে। বর্তমানে প্রায় ৭০ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করছেন দেশটিতে। ইউরোপের অন্যতম পর্যটন নির্ভর দেশটির রাজধানী মাদ্রিদে বসবাসরত আছেন প্রায় ৩৫ হাজার বাঙালি অদিবাসী। এদের অনেকেই পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুল কলেজে পড়াশোনা করে। বাবারা অধিকাংশ কল-কারখানা, রেস্তোরাঁ বা পর্যটন সংশ্লিষ্ট চাকরিতে আছেন। কেউ কেউ ব্যবসা-বাণিজ্যও করেন। মায়েদের বড় অংশ ঘর-গৃহস্থলির কাজ করেন। কেউ কেউ চাকরিও করেন।

অভিবাসী বাংলাদেশিদের প্রথম জেনারেশন বা ছেলে-মেয়েদের একটা বড় অংশ এখন পূর্ণ যৌবনে পা দিয়েছে। কেউ কেউ কর্মজীবন শুরু করেছে। অনেকেই পছন্দের মানুষকে বিয়ে করে সংসারও পেতেছে । কিন্তু ছেলে-মেয়েদের একটা বড় অংশ লেখাপড়া শেষ করেনি বা করতে পারেনি। বেশিরভাগই প্রাথমিক এবং 'ও' লেভেল থেকেই তারা ঝরে পড়েছে। সংসারের হাল ধরেছে। পরিবার তথা বাবা-মাকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য কর্মজীবনে নেমে পড়েছে। তাদের মধ্যে যারা লেখাপড়া শেষ করেছেন, তাদের একজন জুমা আক্তার কালাম। স্পেনে প্রথম বাংলাদেশি চিকিৎসক।

রবিবার মাদ্রিদের ঐইতিহ্যবাহি মনক্লোয়া হসপিটালে যোগদান করে চিকিৎসা পেশা শুরু করেছেন। যেখানে অধিকাংস অভিবাসীরা প্রাথমিক শিক্ষা থেকেই কর্মজীবন শুরু করে ঝরে পড়ছেন ছেলেমেয়েরা। সেখানে জুমা আক্তার মেধা তালিকায় উক্তীর্ণ  হয়ে চিকিৎসা পেশা শুরু করায়  বাবা-মা, ভাই, আত্মীয় স্বজন ও অভিবাসীদের মধ্যে বইছে এখন খুশির ঝিলিক। ইউরোপে বাংলাদেশিদের বসবাসের দিক থেকে   দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ডেসটিতে প্রথম বাঙালী নারী চিকিৎসক হওয়ায় প্রবাসীরা ও আনন্দে উচ্ছ্বাসিত। জুমা এখন প্রবাসীদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।

জুমা আক্তার ১৯৯৯ মাদ্রিদের ১৬ জানুয়ারী মাদ্রিদের ঐইতিহ্যবাহি মনক্লোয়া হাসপাতালে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার  আবুল কালাম সেলিম। তিনি মাদ্রিদে বাংলাদেশী কমিউনিটির পরিচিত মুখ ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তার আদিনিবাস বাংলাদেশের কুমিল্লায়। তিনি (জুমা আক্তার) স্থানীয় স্কুলে পড়া -লেখা শেষ করে মেডিসিন বিষয় নিয়ে ভর্তি হন উনিভারসিদাদ অটোনোমো মাদ্রিদ বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রযুক্তির এই যোগে মূলতঃ মেডিসিন ও চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রতি আগ্রহ থেকেই স্বপ্ন দেখেন চিকিৎসক হওয়ার। অবশেষে তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত যেই হাসপাতালে ১৯৯৯ সালে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন, সেই হাসপাতালে চিকিৎসক হওয়ার মাধ্যমে।

বাবা-মা, বড় বোন আর ছোট ১ বোনকে নিয়ে মাদ্রিদে বসবাস করেন জুমা আক্তার। তার বড় বোন সুমা নাহিদা আক্তার স্থাপত্য ও নগরায়ন নিয়ে উনিভার্সিটি অফ আর্কিটেচার আলকালা দে হেনারেসে অধ্যনরত রয়েছেন। ছোট বোন জান্নাত আক্তার লন্ডন কিং লো বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন।

জুমা আক্তার বলেন,  'ছেলে-মেয়েদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হলে বাবা-মার উৎসাহ থাকতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া সামাজিক গুজব কিংবা অপ্রপচারবে কর্ণপাত না করে অর্থিক ও মানসিকভাবে ছেলে-মেয়েকে সহযোগিতা করতে হবে। আর ছেলে-মেয়েদের মধ্যেও চেষ্টা, সাধনা থাকা প্রয়োজন।''অভিবাসী বাবা-মায়েদের অক্লান্ত পরিশ্রমের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য হলেও আমাদের যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। লেখাপড়া করে তাদের ও কমিউনিটির মুখ উজ্জ্বল করতে হবে', যোগ করেন তিনি।

এই সাফল্যে কমিউনিটর মধ্য়ে যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখেছেন তাতে তিনি আপ্লোত উল্লেখ করে বলেন, আমি ফুল টাইম চিকিসা সেবার পাশাপাশি আরো বেশি লেখাপড়ার মাধ্যমে ডিগ্রি অর্জন করে চিকিসা বিষয়ে একজন প্রফেসার হতে চান বলেন তিনি।

জুমা বলেন, 'আমি জন্মসূত্রে স্প্যানিশ হলে বাবা মার সাহায্যে বাংলা ভাষার (কঠিন শব্দ ব্যাতিত) কথা বলার পাশাপাশি বাংলাদেশ ও বাংলা সংস্কৃতির প্রতি রয়েছে গভীর আগ্রহ । আমি বাংলা এবং স্প্যানিশ উভয় সংস্কৃতির মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা পেতে চাই। তাদের সেবা করে যেতে চাই।'

দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের প্রাচীন সভ্যতার চিত্রকর্ম ও সাহিত্য,রৌদ্রোজ্জ্বল জলবায়ু, সমুদ্রসৈকত এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলোর জন্য পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষ এই দেশে বাংলাদেশিদের বসবাসের দিক থেকে স্পেনের অবস্থান দ্বিতীয়। তবে পড়ালেখা শেষ করে ডাক্তার চিকিৎসা সেবা শুরু করেছেন জুমা আক্তারই প্রথম।জুমারব এই সাফল্যে তাঁর পিতা আবুল কালাম সেলিম বাংলাদেশী মানবাধিকার সংগঠন আসোসিয়েশন ভালিয়েন্তে বাংলার সভাপতি মোঃ ফজলে এলাহীসহ কমিউনিটির তার কর্মস্থল মনক্লোয়া হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে তার সফলতা কামনা করে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় তারা স্পেনে বেড়ে উঠা এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা ও অভিভাবকরা আরো উৎসাহিত হবেন বলে আশা করছেন অনেক প্রবাসী।


আরও খবর



ফুলবাড়ী জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ দিবসের শুভ উদ্বোধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৫০জন দেখেছেন

Image

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুর ফুলবাড়ীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ দিবস উদ্বোধন। এ বারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল, “স্মাট বাংলাদেশ বিনির্মাণে খাবার খাবো পুষ্টিগুনে”। সারা দেশের ন্যায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সভাকক্ষে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপত্ত্বিত করেন এবং সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা: মশিউর রহমান। 

জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ফুলবাড়ী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু রায় চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নীরু সামসুন্নাহার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নুর আলম, উপজেলা ভারপাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আতিকুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ডেন্টাল সার্জেন ডা: সাজেদুর ইসলাম, খয়েরবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ এনামুল হক, ফুলবাড়ী থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আফজাল হোসেন, সি.এইচ.সিপি ও পরিসংখ্যানবিদ সঞ্জয় কুমার রায়, মোঃ সাইফুল ইসলাম সহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং সিনিয়র সকল সেবিকাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আয়োজনে ছিলেন, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান। বাস্তবায়নে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ফুলবাড়ী, দিনাজপুর।


আরও খবর



দেশে ৫২ বছরের ইতিহাসে যশোরে সবোর্চ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা যশোরে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত এটিই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশে ৫২ বছরের ইতিহাসে যশোরে সবোর্চ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড এবার। এর আগে রাজশাহীতে ১৯৭২ সালের ১৮ মে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়।

আবহাওয়া আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মঙ্গলবার যশোরে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটিই চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর ঢাকার তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

যশোর অধিদপ্তর জানায়, যশোরে ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে ৪৩.০২, ২০১৪ সালে এপ্রিল মাসে ৪২.০৪, ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল ৪২.০৮ ও ৩০ এপ্রিল ৪৩.০৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড।

রাজশাহীতে ১৯৭২ সালের ১৮ মে ৪৫ দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। এটি ৫২  বছরের ইতিহাসে সবোর্চ্চ। এবার যশোরে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। ১৯৭২ সালের পর এটিই সবোর্চ্চ তাপমাত্রা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ৪২  দশমিক ৭ ডিগ্রি, শনিবার (২৭ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি, রোববার (২৮ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বশেষ সোমবার (২৯ এপ্রিল) ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

প্রসঙ্গত,  দেশের ইতিহাসে ১৯৭২ সালে রাজশাহীতে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। তারপর আজকের ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।


আরও খবর



হিলিতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১০২জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:চলছে বৈশাখ মাস সারাদেশে প্রচন্ড তাপদহ ও তীব্র গরম। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে রোদ ও গরমের তীব্রতা। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহির হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। ঠিক সেই সময়ে দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলিতে রিকসা,ভ্যান, ইজিবাইক চালক ও পথচারীদের মাঝে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় হাকিমপুর উপজেলার চারমাথা মোড়ে প্রায় ২০০ জন শ্রমিক ও পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেন হাকিমপুর উপজেলা শাখার শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দরা।এসময় সেখানে দিনাজপুর জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সেক্রেটারি মোঃ মোসলেম উদ্দিন,হাকিমপুর উপজেলা শাখার উপদেষ্টা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম,সভাপতি সবিরুল ইসলাম,সদস্য ডাঃ সাইদুর রহমান, মেহেদী হাসানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

রিকসা চালক মফিদুল ইসলাম বলেন, প্রচন্ড তাপ ও তীব্র গরম এর কারণে ঘর থেকে মানুষ বিনা প্রয়োজনে বাহির হচ্ছে না। পেট তো আর এসব বুঝে না। তাই রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। সকাল থেকে যাত্রী ও তেমন পাচ্ছি না। চারমাথা মোড়ে বসে আছি এমন সময় হঠাৎ আমার হাতে পানির বোতল ও খাবর স্যালাইন তুলে দেন। আমি খুব খুশি। আমি তাদের জন্য মন থেকে দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের ভালো করেন।ইজিবাইক চালক নাজমুল হোসেন বলেন,প্রচন্ড রোদ ও তীব্র গরমে তারা পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করছেন। আমি তাদের উদ্যোগকে সাদুবাদ জানাই।হাকিমপুর উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপদেষ্টা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, তীব্র গরম ও প্রচন্ড তাপদহে পুড়ছে সারাদেশ।

এসময় সবচেয়ে কষ্টে থাকে রিকসা, ভ্যান, ইজিবাইক চালক ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তাই আমরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার হিলি চারমাথা মোড়ে ২০০ জন শ্রমিক ও পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছি। আমি সমাজের বিত্তবান ও সকল রাজনৈতিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতি আহবান জানাই তারাও যেন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ায় !।সভাপতি সবিরুল ইসলাম বলেন,কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা হিলি চারমাথা মোড়ে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করলাম। আমাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ৩ মে পর্যন্ত শ্রমিকদের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



নবীনগরে নিখোঁজ সুমাইয়া আক্তার এসএসসি পরীক্ষায় পেলেন জিপিএ ৪.২৭

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৯৬জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ  নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মেঘনা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ সুমাইয়া আক্তার এসএসসি পরীক্ষায় হাজী ছোট কলিম স্কুল এন্ড কলেজ মুলাইদ,মাওনা, শ্রীপুর, গাজীপুর থেকে জিপিএ ৪.২৭ পেয়েছে।

প্রায় ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো সন্ধান মিলেনি পরিবারের সদস্যদের চোখের পানি থামানো যাচ্ছে না। মেঘনা নদীর পাড়ে দিন রাত বসে তাকিয়ে আছে পরিবারের সদস্যরা সুমাইয়া আক্তার কে শেষ দেখা দেখতে।

উল্লেখ্য নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্ৰাম ইউনিয়ন মানিকনগর বাজারের পশ্চিম পাশে মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে সুমাইয়া আক্তার (১৬) নামে এক কিশোরী নিখোঁজ হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নাছিরাবাদ গ্রামের হোরন ফকিরের বাড়ি সংলগ্ন মেঘনা নদীতে তলিয়ে যায় সে। সুমাইয়া শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার মেয়ে। সে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল।

স্বজনরা জানায়,নবীনগর উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে সুমাইয়ার পৈত্রিক বাড়ি হলেও তার বাবা বাবুল মিয়া গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার মাওনায় ব্যবসার করার কারণে গাজীপুরের মাওনায় বসবাস করতো,নাছিরাবাদ গ্রামে গত (০১ মে) বুধবার মামাতো বোনের বিয়েতে অংশ নিতে মামার বাড়ি এসেছিল সুমাইয়া।

গত (৩ মে)শুক্রবার দুপুরে মামাতো বোন রাকিবাকে নিয়ে নদীতে গোসল করতে যায় সে। এসময় নদীর পাড়ে বসে ছিল সুমাইয়া আক্তারের ছোট ভাই পানির স্রোতে দুজনেই তলিয়ে যেতে থাকলে  তাদের চিৎকারে পাশে থাকা বেদে সম্প্রদায়ের কয়েক জন ও স্থানীয়রা রাকিবাকে উদ্ধার করা হয়। তবে সুমাইয়া এর আগেই পানিতে তলিয়ে যায়।

গত (৩ মে)শুক্রবার খবর পেয়ে নবীনগর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে ডুবুরী দলকে খবর দেয়। পরে চাঁদপুর থেকে ৫ সদস্যের একটি ডুবুরী দল এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট থেকে ৭.৩০ মিনিট পর্যন্ত অভিযান চালালেও সুমাইয়ার কোন হদিস পাওয়া যায়নি।  পরদিন (৪ মে)শনিবার সকাল আটটার দিকে ডুবুরী দল অভিযান শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সন্ধান মিলেনি পারে স্বজনদের বলেন আপনারা নৌকা দিয়ে নদীর আশেপাশে খোঁজ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

নিখোঁজ সুমাইয়া আক্তারের মামা নবীনগর থানা প্রশাসন  ফায়ার সার্ভিসের ও ডুবুরী দলের সকল সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি আরো বলেন আমার ভাগ্নির জন্য দেশ বাসীর কাছে দোয়া চাই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন আমার পরিবারের সদস্যদের সুমাইয়া আক্তার কে শেষ দেখার সুযোগ করে দিন।

    -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



খাগড়াছড়িতে সাড়ে ৬কোটি টাকা ব্যয়ে পিসি গার্ডার ব্রীজ উদ্বোধন করেন-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৪জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার বীজিতলা বাজার খাগড়াছড়ি সদর হেডকোয়ার্টার (বটতলী) এলাকায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে চেংগী নদীর উপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর খাগড়াছড়ি এলজিইডির বাস্তবায়নে নবনির্মিত   ৯৬ মিটার দৈর্ঘ্য পিসি গার্ডার ব্রীজ উদ্বোধন করা হয়েছে। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরের দিকে বীজিতলা বাজার সংলগ্ন চেঙ্গীনদীর উপরে  নবনির্মিত ৯৬মি: পিসি গার্ডার ব্রীজ  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ফিতা কেটে ব্রিজের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় এর প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল এিপুরা এমপি।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো.রাজু আহম্মেদ এর সঞ্চালনায় খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.শানে আলম,খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাঈমা ইসলাম, খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর এলজিইডির সিনিয়র  সহকারী প্রকৌশলী মো.বেলাল হাসান, খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি মো.তানভীর হাসান, ঠিকাদার এস অনন্ত বিকাশ এিপুরা, কমলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারসহ এলাকার  গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির অর্থায়নে  তিন পার্বত্য জেলায় দুর্যোগে ক্ষতিগ্রন্থ পল্লী সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প (DDRRIP-3HD) প্রকল্পের সাড়ে ৬ কোটি ৪৭হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে  খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার বীজিতলা বাজার সংলগ্ন চেঙ্গী নদীর ওপর ৯৬ মিটার দৈর্ঘ্য পিসি গার্ডার ব্রিজ।২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে  ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এস অনন্ত বিকাশ এিপুরা ৯৬ মিটার দৈর্ঘ্য গার্ডার ব্রিজের কাজ সম্পন্ন করেছেন বলে জানান খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো:রাজু আহমেদ।

খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার  প্রকৌশল অধিদপ্তর এর  নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা বলেন, বর্তমান সরকার সারা দেশে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)'র অর্থায়নে খাগড়াছড়ি জেলার চেঙ্গী নদীর উপর অবস্থিত। সেতুটি রাঙ্গামাটি আরএইচডি (বীজিতলা বাজার) থেকে শুরু করে গড়গজ্যাছড়ি- গুগড়াছড়ি হয়ে খাগড়াছড়ি সদরের বটতলী পর্যন্ত সড়কটিকে সংযোগ সাধন করেছে। ফলশ্রুতিতে কমলছড়ি ইউনিয়ন ও খাগড়াছড়ি সদর হেডকোয়ার্টার গমনকারী ব্যক্তি সহজে যাতায়াত করতে পারবে। ব্রীজটি নির্মিত হওয়ার ফলে গড়গজ্যাছড়ি- গুগড়াছড়ি এলাকার জনগন সহজেই কম সময়ে (প্রায় ৮কি:মি: দুরত্ব কমে যায়) যাতায়াত করতে পারবে। ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণে কৃষি জমি ও ফলজ বাগান থাকায় উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণ বর্তমানে সহজতর হবে যা সংলগ্ন এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়  প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল এিপুরা এমপি
বলেন, পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট জাতি গঠনের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।ব্রীজটি নির্মিত হওয়ার ফলে গড়গজ্যাছড়ি- গুগড়াছড়ি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার  উন্নয়ন সাধিত হবে। কৃষক তার উৎপাদিত পন্য যথা সময়ে বাজার জাত করতে পারবে। মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে- নবদিগন্তের দ্বার উম্মোচিত হবে।

আরও খবর