Logo
আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম
মধুপুরে কৃষকের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মে‌শিন বিতরণ ‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করলো এনার্জিপ্যাক উপজেলা নির্বাচনে সৎ যোগ্য প্রার্থীদের জনগন বেছে নেবে: সাকিব আল হাসান এমপি মাগুরায় তীব্র তাপদাহে ঝরে পড়ছে লিচুর গুটি ১শ' কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা কৃষকদের সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন নেভাতে সুন্দরবনে হেলিকপ্টার থেকে পানি ছিটাচ্ছে বিমানবাহিনী মিল্টন সমাদ্দার ৪ দিনের রিমান্ডে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে ডিএমপি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত: ওবায়দুল কাদের ঢাকা সেনানিবাসে দুই ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

‘তৃণমুলের উন্নয়নে জনম্পৃক্ততায়’ ষষ্ঠবার এমপি হলেন শেখ হেলাল উদ্দীন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image

ফকিরহাট (বাগেরহাট) সংবাদদাতা:বাগেরহাট ১ আসনে বিগত দিনে সকল উন্নয়ন কাজে সর্বস্তরের জনগনকে সম্পৃক্ত করে সচ্ছতা ও জবাবদীহিতার মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনে মডেল পুরুষ রুপে আত্মপ্রকাশ করেছেন শেখ হেলাল উদ্দীন। বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল ৫জন প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বিন্দ্বিতা করে বিপুল ভোরে ব্যবধানে ষষ্ঠবারের মত এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।

ফকিরহাট মোল্লাহাট ও চিতলমারি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনের ইউনিয় পরিষদের ওয়ার্ড সভায় প্রস্তাবিত সাধারন মানুষের চাহিদা অগ্রাধীকার ভিত্তিতে পুরন করেছেন তিনি। নেতা নয় নিতি বাছাই করে আওয়ামী লীগের অপ্রতিরোদ্ধ দুর্গে রুপান্তর হয়েছে এ আসনটি বলে মন্তব্য করেন অভিজ্ঞজনেরা।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে বিনাভোটে বিএনপির প্রার্থী মুজিবুর রহমান কয়েক মাসের জন্য এমপি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ওই বছরের ১২ জুন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা এই আসন থেকে ৭৭ হাজার ৩৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।তার নিকটতম বিএনপি প্রার্থী মুজিবুর রহমান পেয়েছিলেন ৪৭ হাজার ২৯৯ ভোট।

পরবর্তীতে শেখ হাসিনা আসনটি ছেড়ে দিলে তাঁর চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দীন উপনির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়ে বাগেরহাটের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দীন বিএনপির প্রার্থী মুজিবুর রহমানকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন। ২০০৬ সালে ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপুকে হারিয়ে শেখ হাসিনা নির্বাচিত হন।

তিনি পুনরায় আসনটি ছেড়ে দিলে শেখ হেলাল উদ্দীন উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হেলাল উদ্দীন এ আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রাথী মাসুদ রানাকে ২ লাখ ২৪ হাজার ১৬১ ভোটে হারিয়ে পঞ্চমবারের মতো শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি নির্বাচিত হন। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থির মধ্যে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের মনোনিত নৌকার প্রার্থী শেখ হেলাল উদ্দীন ষষ্ঠ বারের মত ২ লক্ষ ১৯ হাজার ৯শ ৩৯টি ভোট পেয়ে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জাতীয় পার্টির মোঃ কামরুজ্জামা লাঙ্গল প্রতিকে পেয়েছেন ৫হাজার ২শ’১০ভোট। এছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল মুভমেন্টের (বিএনএম) মোঃ মঞ্জুর হোসেন শিকদার নোঙ্গর প্রতিকে ২৭৯৬টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির বাসুদেব গুহ আম প্রতিকে ২০৬২ টি, তৃণমুল বিএনপির মাহফুজুর রহমান সোনালী প্রতিকে ১৭৮৫টি ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের আতাউর রহমান আতিকী ডাব প্রতিকে ১১৭৫টি ভোট পেয়েছেন।

শেখ হেলাল উদ্দীন বলেন, নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করেছেন তাদের সকলের প্রতি জানায় কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন।

তিনি আরো বলেন, আমি নেতা নই, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ন্যায় জনগণের সেবক। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সর্বস্তরের জনতার অংশগ্রহণে এ অঞ্চলের মানুষকে নিয়ে স্মার্ট সোনার বাংলা বিনির্মাণে হতে চাই অংশীদার।


আরও খবর



মঙ্গল শোভাযাত্রা তিমির বিনাশের প্রত্যয়ে

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলা ১৪৩১ সনের মঙ্গল শোভাযাত্রা। ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ স্লোগানের এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টায় শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে শুরু হয়। এর পর শাহবাগের ঢাকা ক্লাবের সামনে দিয়ে ঘুরে টিএসসি মোড় হয়ে ফের চারুকলার সামনে গিয়ে পৌনে ১০টার দিকে শেষ হয় শোভাযাত্রা।

অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রাণের উৎসব বর্ষবরণ। বাংলা নববর্ষ বরণে বাঙালির নানা আয়োজনের মধ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা অন্যতম।

এ বছর বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার ৩৫ বছর পূর্তি হয়েছে। এবারের শোভাযাত্রার স্লোগানটি কবি জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’ কাব্যগ্রন্থের ‘তিমিরহননের গান’ কবিতা থেকে নেওয়া।

এবারের শোভাযাত্রার শিল্প-কাঠামোগুলোর মধ্যে ছিল ময়ূর, হাতি, গন্ধগোকুল, টেপা পুতুল, মাছ, রাজা-রানির মুখোশ। শোভাযাত্রায় আরও ছিল মা ও শিশু এবং বাঘের মুখোশ।

শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল। শোভাযাত্রায় সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।

ঢাক-ঢোলের বাদ্যের তালে তালে তরুণ-তরুণীদের নৃত্য, হৈ-হুল্লোড় আর আনন্দ-উল্লাস মাতিয়ে রেখেছিল পুরো শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই টিএসসি, দোয়েল চত্বর, শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় মানুষ জড়ো হতে থাকে। সকাল ৯টার মধ্যেই পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। লাল-সাদা পোশাকে উচ্ছল নারীদের মাথায় শোভা পায় নানান রঙের ফুলের টায়রা। তরুণদের পরনে ছিল লাল-সাদা পাঞ্জাবি।

শোভাযাত্রা উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো ছিল পুরো এলাকা। শোভাযাত্রা ঘিরে ছিল কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। পুলিশ, র‌্যাবের সঙ্গে ছিল সোয়াত সদস্যরা। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও তৎপর ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে ড্রোনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানস্থল পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে।

পথিমধ্যে কেউ মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারেননি। কারণ, চতুর্দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে মানবপ্রাচীর গঠন করা হয়। নিরাপত্তার জন্য বন্ধ রাখা হয় রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকা ও কেন্দ্রীয় রাস্তা।


আরও খবর



পুলিশের ইউনিফর্ম আমার কাছে পবিত্র আমানত--সার্জেন্ট মাসুদ রহিম

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃডেমরা ট্রাফিক জোনে কর্মরত পুলিশ সার্জেন্ট মাসুদ রহিম বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যদের জন্য একটি প্রেরণার বাতিঘর বললে হয়তো বা ভুল হবে না। ট্রাফিক পুলিশের এই  অফিসার বর্তমানে ডিএমপির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা মাতুয়াইল ইউলুপ এলাকায় সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও সড়ক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। তার মেধা, যোগ্যতা, সাহসীকতা ও দক্ষতা সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়েছে।সততাও নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে থেকে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে পুলিশ বাহিনীর মুখ উজ্জ্বল করতে সক্ষম হয়েছেন।পেশাদারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতায় স্বপ্রনোদিত হয়েও কাজ করতে দেখা যায় তাকে। রাস্তা পারাপারে পথচারীদের সার্বিক সহযোগিতা, বয়স্ক ও নারী শিশুদের সড়ক পারাপারে সহায়তা করতেও দেখা গেছে তাকে। মানুষকে ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করতে উৎসাহিত করে থাকেন সার্জেন্ট মাসুদ রহিম। রাস্তায় অবৈধ পার্কিং রোধে চালক হেলপারদের সচেতন করতে ও ট্রাফিক আইন মেনে চলতে কাজ করেন সবসময়।চাকুরী জীবনের প্রতিটি ধাপে কঠোর পরিশ্রম আর নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমে সফলতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন তিনি।

তিনি ডিএমপি ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগের ডেমরা জোনের পুলিশ সার্জেন্ট হিসেবে সফলতার মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে সড়কে যানচলাচল নির্বিঘ্ন করতে ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণনে রেখেছেন। তার কর্মকালীন সময়ে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সড়কে দুর্ঘটনা রোধে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটে। তার সার্বক্ষনিক দ্বায়িত্বপালন ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে সড়কে বিশৃঙ্খলা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে এবং সড়ক আইন ভঙ্গ কারীদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে পুলিশের প্রতি আস্থা বেড়েছে বহুগুন। কর্মজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে  তিনি রেখেছেন পেশাদারিত্বের স্বাক্ষর।মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও পারিবারিক নানা সমস্যার সম্মুখিন হলেও কখনোই পিছু পা হননি তিনি। একশ্রেণীর অসংবেদনশীলতা ক্রমান্বয়েই এই সমস্যা গুলো প্রকট করলেও দমাতে পারেননি তাকে। 

বর্তমান প্রচন্ড দাবদাহে রোদে পুড়ে প্রতিকূল পরিবেশেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষভাবে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখছেন সার্জেন মাসুদ রহিম।

কখনো ক্লান্ত হন কিনা? জিজ্ঞেস করলে হাসি মুখে জবাব দেন “যতদিন বেঁচে আছি মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই, পুলিশের ইউনিফর্ম আমার অহংকার"।

মাসুদ রহিম  একজন নির্ভীক মানবিক পুলিশ অফিসার, বাংলাদেশ পুলিশের গর্ব তিনি। সৎ, পরিশ্রমী ও নিষ্ঠার সাথে দেশের একজন সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। কখনোই কুসুমাস্তীর্ন ছিলো না এই কর্মবীর এই পুলিশ অফিসারের পথচলা। বাঁধা এসেছে বারংবার তবে অদম্য মনোবলে জয় করেছেন সকল বাঁধার দেয়াল।

তিনি আরো বলেন কর্মক্ষেত্রে, পেশাগত দায়িত্বকে সর্বোচ্চ সম্মান ও ভালোবাসার জায়গায় অধিষ্ঠিত রেখেছি।  কাজের স্বীকৃতি থাকুক বা না থাকুক কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আরো অনেক দূর যেতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সহকর্মীদের সহযোগীতায় বহুদূর এগিয়ে যেতে চান তিনি।পুলিশের পেশায় যোগদানের পর  ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের বিভিন্ন বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।


আরও খবর



ফুলবাড়ী উপজেলার সমশের নগরে বালু তোলায় বাঁধা দেওয়ায় কৃষককে মারপিট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের বুজরুক শমসের নগর গ্রামস্থ ছোট যমুনা নদী সংলগ্ন কৃষক আজিজুল ইসলাম (৪০) এর জমির ধার থেকে বালু উত্তোলন কারীদেরকে বাঁধা দিতে গেলে সমশের নগর গ্রামের মৃত জয়বার আলীর পুত্র মোঃ বেলাল হোসেন কৃষক আজিজুল ইসলামকে বেদম মারপিট করেন।

ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপির বুজরুক শমসের নগর গ্রামের মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র মোঃ আজিজুল ইসলাম (৪০) এর গত ২৩/০৪/২০২৪ ইং তারিখে ফুলবাড়ী থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিবনগর ইউপির শমসেরনগর গ্রামের মৃত জয়বার আলীর পুত্র মোঃ বেলাল হোসেন (৩৫), মোঃ ফয়জুল ইসলাম (৩৯), মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (২৭), তারা গত ২৩/০৪/২০২৪ ইং তারিখে সকাল ৯ ঘটিকার সময় শমসের নগর গ্রামস্থ ছোট যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন শুরু করে। নদীর পাড় সংলগ্ন মোঃ আজিজুল ইসলামের আবাদি জমি রয়েছে, সেই জমি বালু তোলার কারণে ভেঙ্গে পড়ে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতে আবাদি জমি পর্যায়ক্রমে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বালু তোলার কারণে। সকাল সাড়ে ৯টায় কৃষক মোঃ আজিজুল ইসলাম তাদেরকে বাঁধা দিতে গেলে উল্লেখ্য ব্যক্তিরা আজিজুল ইসলামকে একা পেয়ে বেদম মারপিট করেন। এই ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুর ১টায় কৃষক আজিজুল ইসলাম ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারঃ) ও সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ জাফর আরিফ চৌধুরীর কাছে গেলে তিনি তাদেরকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক কৃষক আজিজুল ইসলাম ফুলবাড়ী থানায় ০৩ (তিন) জনকে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভার) ও সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ জাফর আরিফ চৌধুরীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, তারা আমার কাছে এসেছিল, আমি তাদেরকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিবনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ছামেদুল ইসলাম (মাস্টার) এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, শ্মশান ঘাটের পার্শ্বে ছোট যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে সেখানে আমার ট্রলি চলছে। তবে আমার ট্রলির ড্রাইভার বালু উত্তোলন করছে কিনা বলতে পারব না। সরকারি কাজে বালুর প্রয়োজন হওয়ায় সেখান থেকে প্রশাসনকে বলে কিছু বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তবে কৃষক আজিজুল ইসলামকে কারা মারপিট করেছে আমি বলতে পারব না। এদিকে কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, শ্মশান ঘাটি যমুনা নদী সংলগ্ন পাড়ের ধাঁরে আমার আবাদি জমি রয়েছে। সেই জমি ভেঙ্গে পড়ছে, আমি বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাকে মারপিট করে। আমার স্ত্রী ও আমার পিতা সেখানে গেলে তাদেরকেও বালু উত্তোলনকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দেন। আমি ন্যায় বিচারের আশায় থানা ও উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেছি।


আরও খবর



রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের আহ্বান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ,চলমান দাবদাহ ও গ্রীষ্ম মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে। এছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবহারে গ্রাহকদের সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, বিগত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন সত্ত্বেও চলমান দাবদাহে বিদ্যুতের চাহিদা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। তা সত্ত্বেও গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। একই সঙ্গে গ্রাহকদের আরও পরিমিত ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারে আহ্বান জানাচ্ছে।

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে গ্রাহকের প্রতি কিছু আহ্বান জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

সেগুলো হলো- রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা। নিম্নহারে বিদ্যুৎ বিল সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে দোকান, শপিংমল, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অতিরিক্ত বাতি ব্যবহারে বিরত থাকা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী হলিডে স্ট্যাগারিং প্রতিপালন করা।

এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর ওপরে রাখা। দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে হুকিং বা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিরত থাকা। বেআইনিভাবে ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশার ব্যাটারি চার্জিং থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এছাড়া বিদ্যুতের অপচয় রোধে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

বিদ্যুৎ সেবা প্রাপ্তিতে যে কোনো অভিযোগ বা তথ্যের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের হট লাইন নম্বর ১৬৯৯৯ যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।


আরও খবর



সবাইকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৮৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:কারো যাতে ডেঙ্গু না হয় সেজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে, বলেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা হাসপাতালগুলোকে বলে রেখেছি। এখন চিকিৎসকরা ডেঙ্গু চিকিৎসা সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন। স্যালাইনের যে সংকটের কথা ভাবা হয়েছে, সেটা নিয়েও আমি বৈঠক করেছি। স্যালাইনের কোনো সংকট হবে না। তবে ডেঙ্গু না হোক; সেটা আমাদের সবার প্রার্থনা। বিপর্যয় না হওয়ার জন্য কী করতে হয়; সেটা আপনারা ভালো করে জানেন।

তিনি বলেন, বাসাবাড়ি সব কিছু পরিষ্কার রাখতে হবে। অসুখ হলে তখন চিকিৎসা করতে হয়। কিন্তু কারো যাতে ডেঙ্গু না হয়; সেজন্য আমাদের কাজ করতে হবে। ঈদের ছুটিতে চিকিৎসকদের দায়িত্ব নিয়ে আমি ঢালাওভাবে বলতে চাই না। আমি কী করেছি আপনারা নিজেরাই বলবেন। আমরা কতটা মনিটরিং করতে পেরেছি তা আপনারাই দেখছেন। যতটুকু সম্ভব যথাসাধ্য চেষ্টা আমি ঈদের সময়ে করেছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মন্ত্রী হওয়ার আগেও এমন কোনো ঈদ নেই, যেদিন আমি হাসপাতালে যাইনি। এমন কোনো দুর্গাপূজা নেই যেদিন হাসপাতালে যাইনি। আগে হাসপাতালে যেতাম, তারপরে উৎসবে যেতাম। ওই চিন্তা করে এবারও সেই ধারা বজায় রেখেছি। আগে আমি একটা হাসপাতালে যেতাম, এবার অনেকগুলো হাসপাতালে গিয়েছি। আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে, দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের উৎসাহ দেওয়া। তারা যাতে ঠিকমতো কাজ করেন। এছাড়া সবকিছু ঠিকমতো হচ্ছে কিনা; তাও দেখতে গিয়েছি।

তিনি বলেন, আমি এবার না বলেই হাসপাতালে গিয়েছি। ঈদের আগের দিন যে কয়েকটি হাসপাতালে গিয়েছিলাম, আমি কাউকে বলেনি। সেখানে গিয়ে চিকিৎসকদের উপস্থিত দেখতে পেয়েছি। সিনিয়র ও জুনিয়র সব চিকিৎসক ছিলেন। ঈদ উদযাপন ও নববর্ষের ছুটিতে হাসপাতালের কার্যক্রম সব ভালোভাবে চলেছে।


আরও খবর