Logo
আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃ 

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে কর্মসূচি পালন করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। এ উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়।


মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্। এ সময় কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ও সিবিএ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


এছাড়া তিতাস গ্যাস আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।



আরও খবর



২৩ নাবিক জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্ত, বিস্তারিত জানাল মালিকপক্ষ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ার পর নানা আলোচনা চলছিল বিভিন্ন মহলে। এতে জাহাজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তবে নানা দেনদরবার শেষে দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা হয় জাহাজের মালিকপক্ষের। এরপর মুক্ত হয় জাহাজ ও ২৩ বাংলাদেশি নাবিক।

বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

এ নিয়ে রোববার (১৪ এপ্রিল) চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় কেএসআরএমের করপোরেট কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জাহাজে অস্ত্রধারী গার্ড না থাকার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান।

তিনি বলেন, একটা কথা বার বার আসছে, কেন আমরা আর্মড গার্ড নেইনি। এটার কারণ হচ্ছে আমরা হাই রিস্ক অ্যারিয়ার বাইরে ছিলাম। সাধারণত ২০০ নটিক্যাল মাইলের ভেতর হাইরিস্ক অ্যারিয়া হিসেব করা হয়। কিন্তু আমরা যাচ্ছিলাম মোটামুটি ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে দিয়ে। গত ৮-৯ বছরে ওই এলাকায় এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি, যেখানে আর্মড গার্ড নিতে হয়। একারণে আমরা আর্মড গার্ড নেইনি।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর



ডাঃ শরীফুর রহমান রৌমারী যাতে না আসে এরবিরুদ্ধে মানববন্ধণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিনিধিঃকুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতে করে অদক্ষ কোন ডাঃ কে বদলী না করে এজন্য রৌমারীর সচেতন নাগরিকরা এরবিরুদ্ধে মানববন্ধণ করেন। মানববন্ধণের পাশাপশি সদয় অবগতির জন্য মাননীয় স্বাস্থমন্ত্রী ঢাকা-সচিব-সংসদ সদস্য-জেলা প্রশাসক,উপজেলা পরিষদ-উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেন সচেতন নাগরিকরা। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে প্রকাশিত খবরে উল্লেখ্য করা হয়েছে শরীয়তপুর সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক শরীফুর রহমান এর অবহেলায় একজন শিশুর অকালে মৃত্যু হয়। এমন অমানবিক চিকিৎসক যাতে রৌমারীর মত চরাঞ্চলে বদলী না করে এজন্যই এই মানববন্ধণের আয়োজন করা হয়। রৌমারী সচেতন নাগরিকদের দাবী এধরনে অমানবিক ডাঃ রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমরা চাইনা। অপরদিকে উপজেলাটি ব্রক্ষপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপ উপজেলায় প্রায় তিন লক্ষাধিক অসচ্চল মানুষের বসবাস। স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রর্জাপ্ত চিকিৎসক ও জনবলের ঘাটতি রয়েছে।

এদিকে চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি থাকলেও টেকনিশিয়ানের অভাবে যন্ত্রপাতি গুলো অযতেœ বিনষ্ট হয়ে পড়ে আছে। মানববন্ধণে সচেতন মহলের দাবী অবিলম্বে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্প্রজাপ্ত চিকি’সক ও জনসার্থে জনবল প্রদান করা হোক। স্বারকলিপিতে উল্লেখ্য করা হয়েছে শরীয়তপুর কর্মরত চিকিৎসক রৌমারীতে বদলী না করা। রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি সচল করাহস কয়েকটি দাবী তুলে ধরেন মানববন্ধণে। এসময় বক্তব্য রাখেন রৌমারী মহিলা কলেজে প্রভাষক আক্তার হোসেন,রৌমারী ডিগ্রী সরকারি কলেজের প্রভাষক ফেরদৌস,রৌমারী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আব্দুস ছামাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান, শাহ মমেনসহ আরও অনেকেই।


আরও খবর



বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ): উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার প্রতিটি মাঠে এখন বোরো ধানের সবুজ আভা কেটে হলুদ বরণ ধারণ করতে শুরু করেছে। পাকতে শুরু করেছে বোরো ধান। বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। পাকা ধান ঘরে তুলতে জায়গা প্রস্তুতিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।

কৃষকরা বলছেন ধানের চারা রোপণ থেকে শুরু কওে প্রায় শেষ সময় পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূল রয়েছে। এ কারণে ধানক্ষেতে রোগ-বালাই ছিল কম। ধান কাটা-মাড়াই পর্যন্ত এমন আবহাওয়া থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।

কৃষি অফিসের তথ্যমতে এবার উপজেলার ৮ ইউনিয়নে প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। ধান নির্ভরশীল এলাকা হিসেবে আত্রাইয়ের প্রধান আবাদই বোরো ধান। বিশেষ করে উপজেলার মানিয়ারী, বিশা, ভোঁপাড়া, শাহাগোলা ও পাঁচুপুর ইউনিয়ন বোরো ধানের জন্য খ্যাত। এছাড়াও অন্যান্য ইউনিয়েনে বোরো ধানের চাষ হয়ে থাকে। এবারে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। ধান বোপনের শুরু থেকেই অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় এবারের বোরো ধান মাঠে মাঠে দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। বেশ কিছু এলাকায় আগাম জাতের ধান পাকতেও শুরু করেছে। অধিকাংশ এলাকার মাঠ জুড়ে সোনালী রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে বোরো ধানের শীষ। আর এ সোনালী শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন।

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আজম প্রামানিক, শাহাগোলা গ্রামের আজাদ সরদার,বজ্রপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, মুলত আমাদের এলাকার প্রধান আবাদই হলো বোরো ধান। বোরো ধানের মধ্যে আমরা জিরাসাইল ধানের আবাদ সর্বাধিক পরিমাণ জমিতে করে থাকি। কিছু কিছু জমিতে নতুন অন্য জাতের ধানের চাষও করা হয়েছে।শুরু থেকেই আবহাওয়া ভাল থাকায় ধানের শীষগুলো দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে এবারে বাম্পার ফলন হবে বলে আমরা আশাবাদি।

কৃষকরা আরও বলেন, উপজেলার বিভিন্ন মাঠে আগাম রোপণকৃত ধান ৮-১০ দিনের মধ্যে কাটামাড়াই শুরু হবে। কাটামাড়াই পুরোদমে শুরু হতে আরও এক সপ্তাহ লাগতে পারে। এ সময় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করে তারা বলেন, ঝড়ো আবহাওয়া ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা মাথায় নিয়ে কৃষকরা মাঠে রয়েছেন। স্বপ্নের ধান কেটে ঘরে তুলতে পারলে এ ফসলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।

এ ব্যাপারে শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান জানান, বিশেষ করে অধিক ফলেন জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার আত্রাই উপজেলার কোথাও মাঝড়া পোকার আক্রমণ নেই। এবং উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, চলতি  মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। অল্প খরচে অধিক ফলনের জন্য আমরা কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করেছি। বিশেষ করে বোরো ধান বোপনের শুরু থেকেই আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায় কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করেছেন।

তিনি আরও বলেন, এ সময় রাত ও দিনের তাপমাত্রা উঠানামা করছে। এটি অত্যন্ত ক্রিটিক্যাল। কোনো কোনো সময় দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস  অতিক্রম করছে। এটি অব্যাহত থাকলে ধানের শীষ হিটশকে আক্রান্ত হতে পারে। এজন্য কৃষকদের সবরকম পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। 


আরও খবর



ওয়াপদা কলোনি কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৯৫জন দেখেছেন

Image

মুশফিকুর রহমানঃরাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন  ওয়াপদা কলোনি কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে  ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার ৫ এপ্রিল এই কর্মসূচি পালিত হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন ওয়াপদা কলোনী কল্যাণ সমিতির সভাপতি গাজী আজিজুর রহমান,প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা- ৫ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মশিউর রহমান মোল্লা সজল । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মাসুম মোল্লা। অন্যান্যর মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন  যাত্রাবাড়ী ওয়াপদা কলোনি কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিলু ,সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মোঃ ইউনুস  , সাবেক সভাপতি আলমগীর  সহ কল্যাণ সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।ইফতার ও  দোয়া  মাহফিল অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন মজিবুল হক। এ সময় ইফতার মাহফিলে আগত অতিথিদের নিয়ে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।



আরও খবর



মাদক কারবারে সাবেক এমপি বদির ২ ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে সিআইডি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) থেকে জানানো হয়েছে,মাদক ব্যবসার সঙ্গে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগের সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

‘সিআইডির জালে মাদকের গডফাদাররা: বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সিআইডি ৩৫টি মামলা তদন্ত করে মাদক মামলার মূল হোতা তথা গডফাদারদের মাদক ব্যবসা থেকে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ (ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা), ক্রয়কৃত জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পায়। এসব মামলায় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭৮.৪৪ কোটি টাকা। সিআইডি ইতোমধ্যে উল্লিখিত মামলাসমূহের মধ্যে ৩টি মামলায় গডফাদারদের ৯.১৪ একর জমি ও ২টি বাড়ি যার মূল্য ৮.১১ কোটি টাকা ক্রোক এবং মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে রাখা ১ কোটি ১ লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করেছে। আরও ৩৫ দশমিক ১৭৩ একর জমি, ১২টি বাড়ি ও ১টি গাড়ি যার মূল্য ৩৬ দশমিক ৮২ কোটি টাকা ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া আরও বলেন, মাদকের গডফাদার হিসেবে কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির নাম বার বার উঠে এসেছে। ৩৫ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি বদি বা তার ভাইয়ের মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। মাদক মামলার মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। বদির বিরুদ্ধেও যদি আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাই তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। যার বিরুদ্ধেই তথ্য-প্রমাণ পাব ধরা হবে, ছাড় দেওয়া হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কক্সবাজারে পর্যায়ক্রমে মাদকের সব গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক ব্যবসায় যারা অবৈধভাবে সম্পদ ও অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন তাদের অবৈধ সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারি কোষাগারে চলে যাবে। দেশ প্রেমিক নাগরিকদের প্রতি মাদক গড ফাদারদের তথ্য সিআইডিকে প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।


আরও খবর