Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

তানোরে প্রতিবন্ধী নেতাকে পিটিয়ে আহত করলেন মেয়র সাইদুর ও রাব্বানী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২৩২জন দেখেছেন

Image
তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে আস্থা প্রতিবন্ধী সংস্থার সভাপতি জাতীয় তৃনমুল প্রতিবন্ধী সংস্থার সাংস্কৃতিক বিষয় সম্পাদক শামসুল আলমকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছেন মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান ও সাবেক মেয়র সাবেক আওয়ামীলীগ  সভাপতি গোলাম রাব্বানী বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে মুন্ডুমালা বাজারে ঘটে হামলার ঘটনাটি। এঘটনায় প্রতিবন্ধী শামসুল মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা ধীন রয়েছেন। তার বাড়ি মুন্ডুমালা পৌর এলাকার চিনাশো গ্রামে। সে ইউসুফ আলীর পুত্র। সাবেক ও বর্তমান মেয়রের এমন হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। সেই সাথে হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছেন প্রতিবন্ধী সংস্থা থেকে শুরু করে সচেতন মহল।

মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান জানান, শামসুল ফেসবুকে বাজে কথা লিখে পোষ্ট করেন। একারনে বুধবার মুন্ডুমালা বাজারে তার উপর হামলা করে আনাদের লোকজন। খবর পেয়ে ছুটে আসি। আমি না আসলে তাকে মেরে ফেলত। আপনি তার মুখে আংটি পরা হাত দিয়ে  কিল মেরে ক্ষত করে দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন আমি মারলে তার বেচে থাকার কথা না। তবে ঠেলাঠেলি করতে গিয়ে লাগতে পারে। ফেসবুকে বাজে কিছু লিখলে আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে একজন প্রতিবন্ধী নেতাকে কিভাবে মারেন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন, সে দীর্ঘ দিন ধরে আমার ও রাব্বানী ভাইয়ের বিরুদ্ধে লিখে এজন্য উচিত শিক্ষা দেওয়া হয়েছে বলেও দম্ভক্তি প্রকাশ করেন তিনি।

সাবেক মেয়র ও সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানী জানান, মুন্ডুমালা বাজারের ডাক্তার হাসানের মায়ের জানাযা শেষে বাজারে যাওয়ার সময় হট্রগোল দেখে কাছে যায়। গিয়ে দেখি শামসুলকে মারছে। উত্তেজিত লোকজনকে থামায়। আমি কেন মারব। আপনিও নাকি কিল ঘুষি মেরেছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, মিথ্যা বলব না, আমি একটি চড় মেরেছি। কি কারনে হামলা জানতে চাইলে তিনি জানান, ফেসবুকে পরিবারকে নিয়ে টানা হেছড়া করেছে এজন্য অনেকে মানতে পারেনি। শামসুল ফেসবুকে পোষ্ট করেনি তাকে কেন মারলেন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন, আমি গাড়িতে উঠছি পরে কথা বলছি।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান,  ডাক্তার হাসানের মায়ের জানাযা শেষ করে বাজারে এসে দেখি শামসুলকে পেটাচ্ছে মেয়র সাইদুর ও রাব্বানী। শামসুলের দুই পা অচল, সে ভালো ভাবে হাটতে পারে না। আর মেয়র সাইদুর ও রাব্বানী কি ভাবে শামসুলের মত ব্যক্তির গায়ে হাত তুলেন। সাইদুরের যে হাতে পাথরের আংটি ছিল সেই হাত দিয়ে মুখে কিল মারার সাথে সাথে চামড়া উঠে গর্ত হয়ে প্রচুর রক্ত বের হতে থাকে। তারপর পাইকাড়ি ভাবে কিল ঘুষি মারতে থাকেন।

এর চেয়ে লজ্জার ঘৃনার কি হতে পারে। তারা নাকি সেবক, জনতার খাদেম, এটাই তাদের প্রকৃত রুপ, যা মুন্ডুমালা বাজারের ব্যবসায়ীরা দেখল। তাকেই পিটিয়ে পুলিশকে মেয়র সাইদুর হুমক দিচ্ছেন জেলে দেওয়ার জন্য। শামসুল যদি ফেসবুকে পরিবার নিয়ে বাজে কিছু লিখে তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। আবার জানতে হবে এটা কোন ফেক আইডি কিনা, যাচাই বাছাই না করে তাকে ফিল্মি স্টাইলে মারা ঠিক হয় নি, মানবতা বিরোধী। এর কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার।

আহত শামসুল মেডিকেলের বেডে সুয়ে থেকে কাতরাতে কাতরাতে বলেন, ফেসবুকে পোষ্ট হয়েছে তানোরের উন্নয়ন নামে ফেক আইডি থেকে। আমি মেয়র সাইদুর ও রাব্বানীকে বারবার বলছি, আমি লিখিনি বা পোষ্ট করিনি, যদি প্রমান হয় যে শাস্তি দিবেন মেনে নিব। কিন্তু কোন কথা না শোনে সাইদুরের হাতের আঙ্গুলে পাথরের আংটি ছিল, সেই হাত দিয়ে মুখের ডান সাইডে চোখের নিচে কিল মেরে ক্ষত করে দিয়েছে। অল্পের জন্য চোখে লাগেনি। শুধু মেয়র সাইদুর না গোলাম রাব্বানীও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি মারে। বাজারে সিসি ক্যামেরা যেখানে যাবেনা সেখানে টেনে হিছড়ে নিয়ে গিয়ে মেরেছি। মুখের জখম দিয়ে রক্ত বের হতেই আছে। আমার মোবাইল কেড়ে নিয়েছে তারা। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। থানার ওসি দেখতে এসেছিল মেডিকেলে। আমার কেউ নেয়, একটু রক্ত বের হওয়া বন্ধ হলে থানায় অভিযোগ করব।

সেখানেই ছিলেন শামসুলের স্ত্রী নুরনাহার বেগম, তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, যে মানুষটি ভালো করে হাটতে পারেনা, তার গায়ে কিভাবে অমানুষের মত মারতে পারে। এখন টাকা ওয়ালা হয়েছে, এজন্য দাম্ভিকতা। আল্লাহ তাদের বিচার করবেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আপাতত ক্ষত জায়গায় ব্যান্ডিজ করা হয়েছে, রক্ত বন্ধ না হলে উন্নত চিকিৎসা নিতে হবে এবং পরিক্ষা নিরিক্ষার পর শরীরের কোথায় কি অবস্থা বলা যাবে।

জাতীয় তৃনমূল প্রতিবন্ধী সংস্থার প্রচার সম্পাদক রাসেল জানান, ঘটনা শোনার পর ঊর্ধ্বতন নেতাদের জানানো হয়েছে। জনপ্রতিনিধি হয়ে প্রতিবন্ধী কে মেরে রক্তাক্ত করতে পারে এই প্রথম। তাকে মারতে হাত কাপল না। এর প্রতিবাদে, বিচারের দাবিতে কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মানববন্ধন সহ নানা কর্মসূচি দিয়ে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান, সংবাদ পেয়ে আহত প্রতিবন্ধী নেতা শামসুলকে মেডিকেলে দেখে এসেছি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা

আরও খবর



ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নিউইয়র্ক সিটি

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি ও আশপাশের অঞ্চল শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে।

ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুসারে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১০টা ২০ মিনিটের কিছু পরেই ৪ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পন অনুভূত হয়। খবর-দ্য নিউইয়র্ক টাইমস

ইউএসজিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ম্যানহাটন থেকে ৫০ মাইল উত্তরের নিউজার্সির লেবানন নামক এলাকায়।

নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল এক্সে লিখেছেন, ‌‘পূর্ব ম্যানহাটনে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে এবং এটি পুরো নিউইয়র্কে অনুভূত হয়েছে। কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না সেটি নিরূপণ করছে আমার দল। আমরা এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে আরও অবহিত করব।

ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর নিউইয়র্কের পূর্বঞ্চলীয় বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে পুরো শহর জুড়ে ভূমিকম্পের সাইরেন বেজে ওঠে।


আরও খবর

ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




পুলিশের ইউনিফর্ম আমার কাছে পবিত্র আমানত--সার্জেন্ট মাসুদ রহিম

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃডেমরা ট্রাফিক জোনে কর্মরত পুলিশ সার্জেন্ট মাসুদ রহিম বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যদের জন্য একটি প্রেরণার বাতিঘর বললে হয়তো বা ভুল হবে না। ট্রাফিক পুলিশের এই  অফিসার বর্তমানে ডিএমপির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা মাতুয়াইল ইউলুপ এলাকায় সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও সড়ক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। তার মেধা, যোগ্যতা, সাহসীকতা ও দক্ষতা সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়েছে।সততাও নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে থেকে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে পুলিশ বাহিনীর মুখ উজ্জ্বল করতে সক্ষম হয়েছেন।পেশাদারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতায় স্বপ্রনোদিত হয়েও কাজ করতে দেখা যায় তাকে। রাস্তা পারাপারে পথচারীদের সার্বিক সহযোগিতা, বয়স্ক ও নারী শিশুদের সড়ক পারাপারে সহায়তা করতেও দেখা গেছে তাকে। মানুষকে ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করতে উৎসাহিত করে থাকেন সার্জেন্ট মাসুদ রহিম। রাস্তায় অবৈধ পার্কিং রোধে চালক হেলপারদের সচেতন করতে ও ট্রাফিক আইন মেনে চলতে কাজ করেন সবসময়।চাকুরী জীবনের প্রতিটি ধাপে কঠোর পরিশ্রম আর নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমে সফলতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন তিনি।

তিনি ডিএমপি ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগের ডেমরা জোনের পুলিশ সার্জেন্ট হিসেবে সফলতার মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে সড়কে যানচলাচল নির্বিঘ্ন করতে ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণনে রেখেছেন। তার কর্মকালীন সময়ে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সড়কে দুর্ঘটনা রোধে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটে। তার সার্বক্ষনিক দ্বায়িত্বপালন ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে সড়কে বিশৃঙ্খলা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে এবং সড়ক আইন ভঙ্গ কারীদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে পুলিশের প্রতি আস্থা বেড়েছে বহুগুন। কর্মজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে  তিনি রেখেছেন পেশাদারিত্বের স্বাক্ষর।মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও পারিবারিক নানা সমস্যার সম্মুখিন হলেও কখনোই পিছু পা হননি তিনি। একশ্রেণীর অসংবেদনশীলতা ক্রমান্বয়েই এই সমস্যা গুলো প্রকট করলেও দমাতে পারেননি তাকে। 

বর্তমান প্রচন্ড দাবদাহে রোদে পুড়ে প্রতিকূল পরিবেশেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষভাবে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখছেন সার্জেন মাসুদ রহিম।

কখনো ক্লান্ত হন কিনা? জিজ্ঞেস করলে হাসি মুখে জবাব দেন “যতদিন বেঁচে আছি মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই, পুলিশের ইউনিফর্ম আমার অহংকার"।

মাসুদ রহিম  একজন নির্ভীক মানবিক পুলিশ অফিসার, বাংলাদেশ পুলিশের গর্ব তিনি। সৎ, পরিশ্রমী ও নিষ্ঠার সাথে দেশের একজন সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। কখনোই কুসুমাস্তীর্ন ছিলো না এই কর্মবীর এই পুলিশ অফিসারের পথচলা। বাঁধা এসেছে বারংবার তবে অদম্য মনোবলে জয় করেছেন সকল বাঁধার দেয়াল।

তিনি আরো বলেন কর্মক্ষেত্রে, পেশাগত দায়িত্বকে সর্বোচ্চ সম্মান ও ভালোবাসার জায়গায় অধিষ্ঠিত রেখেছি।  কাজের স্বীকৃতি থাকুক বা না থাকুক কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আরো অনেক দূর যেতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সহকর্মীদের সহযোগীতায় বহুদূর এগিয়ে যেতে চান তিনি।পুলিশের পেশায় যোগদানের পর  ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের বিভিন্ন বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড পৌনে ৮ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:এবার রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা,কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে পাওয়া গেছে। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ সাড়ে ১৮ ঘণ্টায় এ টাকা গণনা কাজে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স খুলে পাওয়া রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা মসজিদের দোতলায় এনে গণনার কাজ চলে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ শনিবার দিবাগত রাত ২টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টাকাগুলো পুলিশি নিরাপত্তায় রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানা যায়, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়ে। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাঙ্ক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়। তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। দানবাক্সে পাওয়া টাকার পরিমাণ এবার অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

এর আগে সবশেষ ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স। তখন রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায়।

২০২৩ সালে চারবার খোলা হয়েছিল কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। চারবারে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া যায়। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ।

মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ-সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। এছাড়া করোনাকালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেওয়া হয়েছিল এ দানের টাকা থেকে।

মসজিদটিতে এবার আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।


আরও খবর



ফারদিন খান ফিরছেন ১৪ বছর পর নবাবি মেজাজে

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪০জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি;নতুনভাবে ১৪ বছর পর ক্যামেরার সামনে ফিরেই চমকে দিলেন অভিনেতা ফারদিন খান। সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘হীরামাণ্ডি’র লুকে তাকে দেখে মুগ্ধ অনুরাগীরা। এর আগে গ্ল্যামার দুনিয়ার মূলস্রোতে ফিরেছেন সানি দেওল, ববি দেওল। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্ত হলেন ফারদিন খান।

সোনাক্ষী সিনহা, মণীষা কৈরালা, রিচা চাড্ডা, অদিতি রাও হায়দরি, সানজিদা শেখ, শর্মিন সেহগালের মতো অভিনেত্রী রয়েছে ওয়েব সিরিজে। এদের সঙ্গেই অভিনয় করেছেন ফারদিন।

সিরিজে ওয়ালি মহম্মদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারকা। চোখে সুরমা লাগিয়ে বেশ নবাবি মেজাজেই দেখা যাচ্ছে তাকে।

বাবা ফিরোজ খানের পরিচালনায় সিনেমার জগতে সফর শুরু করেছিলেন ফারদিন। ১৯৯৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘প্রেম আগন’। এর পর ‘জঙ্গল’, ‘প্যায়ার তুনে ক্যায়া কিয়া’, ‘খুশ’, ‘ভূত’, ‘হে বেবি’র মতো একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

চকোলেট হিরো হিসেবে একসময় জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন। কিন্তু ২০১০ দশ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দুলহা মিল গ্যায়া’র পর গ্ল্যামার জগৎকে বিদায় জানান অভিনেতা।

রুপালি পর্দা থেকে দূরে চলে যাওয়ার পর যতবারই ফরদিনকে দেখা গিয়েছে, অবাক হয়েছেন তার ভক্তরা। অনেকখানি ওজন বাড়িয়ে ফেলেছিলেন এ অভিনেতা। কিন্তু তার পর আবার চেনা চেহারায় ফিরে চমকে দেন।


আরও খবর



মাঝরাতে অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করলেন কাফরুল থানা পুলিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৭জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:রাত তখন ১ টা  বাজে।  হঠাৎ করেই সে সময় কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুকুল আলম এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে ধরতে অভিযানে বের হলেন । ২ জন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী কে আটক করলেন । এতে করে প্রশংসায় ভাসছে কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুকুল আলম। রাতের বেলায় এমন উদ্যোগ অনেক স্থায়ী মানুষ স্বাগতম জানিয়েছেন। যাদের গ্রেফতার করেছেন তারা ওই এলাকা তার সৃষ্টি করেছিলেন। 

কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুকুল আলম জানান, মাদকের ব্যাপারে আমাদের কমিশনার স্যারের নির্দেশনা হলে জিরো টলারেন্স। তাই আমরা সাধারণত মাদক ব্যবসায়ী ধরতে রাতে বের হই। যারা মাদকের ব্যবসা করে তারা রাতের বেলায় বেশি বিক্রি করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি ওইখানে মাদক  বিক্রি হবে তখন আমরা তাদের হাতে নাতে গ্রেফতার  করি। এ সময় কাফরুল থানা  অফিসারগান উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর