Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

তানোরে ৬৫ বিঘা পুকুর ভরাট করে পার্ক নির্মান হুমকিতে পরিবেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৫১৮জন দেখেছেন

Image
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে ৬৫ বিঘা পুকুর ভরাট ও গাছপালা উজাড় করে পার্ক নির্মান করা হবে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। উপজেলার চান্দুড়িয়া হাড়দহ বিলে ঘটে রয়েছে এমন ঘটনা। এতে করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ফলে জরুরী ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে দ্রুত সময়ের বন্ধ করে পরিবেশ রক্ষার দাবি উঠেছে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার পুকুরের মাটি বহনের জন্য পাকা রাস্তা মাটিতে রুপ নিয়েছে।

মাটি ভরাটের দায়িত্বে থাকা আলিমের ০১৭৬৩ ৩৫৬৭০৬ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জায়গার মালিক বড় মাপের ব্যক্তি সে সবার অনুমতি বা ম্যানেজ করে কাজ করছেন। তাছাড়া প্রকাশ্যে এভাবে কাজ করা যাবে না। কোন দপ্তর থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সেটা আমাদের বিষয়, যখন কাজ করব তখন কথা হবে, কারো ক্ষমতা নেই বন্ধ করার, ডিসি, এসপি ও ইউএনওকে ম্যানেজ করা আছে বলে প্রচুর দম্ভক্তি প্রকাশ করেন তিনি।

রাজশাহী পরিবেশ দপ্তরের সহকারি পরিচালক কবির হোসেন জানান, জমির শ্রেণী কি সেটা দেখে বলা যাবে। শ্রেণী কৃষি শহরের হাসান নামের একব্যক্তি পুকুর ও পার্ক তৈরি করেছেন ও তিনি পুকুরগুলো আরেকজনের কাছে বিক্রি করেছেন তিনি ভরাট করছেন অবহিত করা হলে তিনি জানান এভাবে ভরাট করা যাবে না। সরেজমিনে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার  দেখা যায়, উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউপির হাড়দহ বিলে ও তানোর টু রাজশাহী রাস্তার দক্ষিণে ৬৫ বিঘা পুকুরে ভরাট কাজ চলছে। মাটি টেনে সমান করার মেশিন রয়েছে। ওই বিলে শহরের হাসান নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘ কয়েক যুগ আগে ১৩০ বিঘা কৃষি জমিতে পুকুর করেন। পরে নাইস গার্ডেন নামে পার্ক তৈরি করেন। অবশ্য পার্ক করলেও হাসান কোন পুকুর ভরাট করেননি। কিন্তু হাসান পার্কের  পশ্চিম দিকে ৬৫ বিঘা পুকুর বিক্রি করেন নওগাঁ জেলার পত্নীতলা এলাকার প্রভাবশালী জুয়েল নামের এক ব্যক্তির কাছে। তিনি কিনে পুকুর ভরাট ও শতশত বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নিধন করছেন। প্রায় অর্ধেক ভরাট হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবারে কাজ বন্ধ ছিল।

স্থানীয়রা জানান, বিলের জমি এক দুটি করে চাষাবাদ হত। সেই সব জমিগুলো কিনে হাসান পুকুর করেছিলেন পরে পার্ক করেন। কিন্তু কোন পুকুর ভরাট হয়নি। অথচ জুয়েল দেদারসে শতশত গাছপালা নিধন পুকুর ভরাট করছেন। যার কারনে  খা খা অবস্থা হয়ে পড়েছে আশপাশের এলাকা। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি।  এমনকি হেরো ট্যাক্টরে করে মাটি বহনের কারনে পাকা রাস্তা চরম ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়েছে। অথচ পুরাতন পুকুরের মাটি বহন করতে দেয় না প্রশাসন। একই প্রশাসনের কেন দ্বি মূখী আচরন হবে এমন নানা প্রশ্ন এলাকাবাসীর। নাকি টাকা নামক বস্তুর কাছে সবাই বিক্রি। এমনিতে নাইস গার্ডেনে নিয়োমিত অসাজিক কাজ চলে। তার পাশ্বে পার্ক ও আবাসিক হোটেল হলে অনৈতিক কাজ বেড়েই যাবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য দ্রুত একাজ বন্ধ করা উচিৎ। শুধু এখানেই শেষ না রাস্তার সরকারী নয়নজলিও ভরাট করেছেন। 

গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও তানোর উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউএনও সঞ্জয় কুমার মোহন্ত জানান, পরিবেশের ক্ষতি করে পুকুর ভরাটের কোন সুযোগ নেই। দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে। জেলা প্রশাসক (ডিসি) আব্দুল জলিল জানান,  পুকুর ভরাট করার সুযোগ নাই, লোকেসান কোথায় জানতে চান তিনি, জানানো হয় চান্দুড়িয়া ইউপি হাড়দহ বিলে, জেনে জানান দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে।

আরও খবর



বাংলাদেশ কমার্সিয়াল আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এর দোয়া ও ইফতার মাহফিল

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃবাংলাদেশ কমার্শিয়াল আর্টিস্ট এসোসিয়েশন (বিসিএ)র ইফতার মাহফিল-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ২৯ মার্চ রাজধানীর মতিঝিলের কিচেন ইয়ার্ড নামে একটি রেস্টুরেন্টে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কমার্শিয়াল আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিজানুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি কামাল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক আহমদ উল্লাহ মতিন। দোয়া ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন ও তথ্য ও গণসংযোগ সম্পাদক মনির হোসেন। দোয়া ইফতার মাহফিলে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সংগঠনের সভাপতি মিজানুর রহমান। বিশেষ মোনাজাতে দেশ ও মুসলিম উম্মাহ সহ ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য দোয়া করা হয়। এ সময় সংগঠনটির বিভিন্ন থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



গরমে তৃষ্ণা মেটাতে চাহিদা বেড়েছে শরবত ও ফলের জুসের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ থেকে:সিরাজগঞ্জ সহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েকদিন ধরে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। ফলে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে যারা ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন প্রখর সূর্যতাপে ও ভ্যাপসা গরমে ঘেমে অস্থির হচ্ছেন তারা। গরমে তৃষ্ণা মেটাতে অসংখ্য মানুষকে ফলের জুস ও বরফ মেশানো শরবতের দোকানে ভিড় জমাতে দেখা যায়।

তীব্র গরমের ফলে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলাও বেড়েছে শরবত ও ফলের জুসের দোকান, ঠান্ডা পানিতে লেবুর রস মেশানো শরবতে তৃষ্ণা মেটান অনেক শ্রেণী পেশার মানুষ। স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি তাদের কাছে অনেকটাই অবহেলিত, তাই এই তীব্র গরমে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এ ধরনের ফলের জুস ও শরবতের দোকান। প্রতি গ্লাস শরবতের দাম ১০ টাকা ট্যাং মেশানো গ্লাস ১৫ টাকা, ও ফলের জুস ৪০ টাকা থেকে ১০০ টাকার উপরে পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে হাট, বাজারে, শপিং মলের সামনে ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার পাশে খোলা ভ্যানের ওপর ফিল্টারের মধ্যে বরফ মেশানো পানিতে লেবুর রস ও সামান্য লবণ মিশিয়ে তৈরি করা হয় শরবত। মাত্র তিনটি উপকরণের মিশ্রণে এ ধরনের শরবত বিক্রি হচ্ছে প্রতি গ্লাস ১০ টাকা, ট্যাং মেশানো ১৫ টাকা। তীব্র গরমে সামান্য তৃপ্তি মেটাতে বাধ্য হয়ে সেগুলো খাচ্ছেন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

সদর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড় গুলোতে এদের উপস্থিতি থাকলেও হাট, বাজারে ও শপিং সেন্টারগুলোর সামনে এদের বেশি সংখ্যায় দেখা যায়। প্রচণ্ড গরমে জর্জরিত পথচারীদের নোংরা পরিবেশ কিংবা স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা কারও কারও মনে এলেও বরফশীতল লেবুর শরবতের প্রচণ্ড লোভনীয় প্রশান্তির কথা মনে করে সেসব পান করছেন অনেকে। এভাবেই পথের এসব শরবতের দোকানে ভিড়ও লেগে থাকে সারাক্ষণ।

সিরাজগঞ্জ সদরে কয়েক জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, এসব লেবুর শরবত তৈরির পদ্ধতি সবারই এক। কাঠ কিংবা লোহার একটি যন্ত্রের মাঝে অর্ধেকটা লেবু রেখে চাপ দেওয়া হয়। এতে রস গিয়ে পড়বে নিচে রাখা গ্লাস কিংবা মগে। এবার তাতে যোগ করা হবে বরফ শীতল পানি আর বিট লবণ।

এই বিষয়ে শরবত বিক্রেতা আব্দুল গনি বলেন, গত বছরের ব্যবধানে এই শরবতের দাম একটু বেশি হয়েছে। লেবু বিট লবণ বরফ এগুলোর দাম  বৃদ্ধি হওয়ার। কারণে। কেউ আবার শরবতের রং সুন্দর করার জন্য মেশায় কৃত্রিম রং, অরেঞ্জ পাউডার। স্বাদ মিষ্টি করার জন্য স্যাকারিন, টেস্টিং সল্টও মেশানো হয়। কেউ এর মধ্যে আপেল ও মাল্টার কুচি দিয়ে ৩০ টাকায় স্পেশাল শরবত বিক্রি করছেন। কেউ তোকমা দানা, ইসবগুল, মেথির মতো উপাদানও মেশাচ্ছেন। 

এ বিষয়ে এক ক্রেতা বলেন, এতো গরমে তৃষ্ণার্ত ও শরীর সতেজ রাখতে লেবুর শরবত ভালো লাগে। আমি মানুষকে প্রতিদিন দেখি শরবত খাই। আজকে আমি নিজে খেলাম অনেক ভালো লাগলো।

আরও খবর



ঈদের পর কর্মে ফেরা মানুষের উপচে পরা ভীড়

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:ঈদ উল ফিতর ও বৈশাখ উপলক্ষে টানা ৫ দিনের ছুটি শেষে সোমবার ১৫ এপ্রিল খুলেছে সরকারি বেসরকারি দপ্তর,ব্যান্ক বিমা সহ সকল প্রতিষ্ঠান।গত ৯ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ছুটি ঘোষণার পরও অনেকেই অতিরিক্ত ছুটিতে রয়েছেন বলে একাধিক প্রতিষ্ঠানেই কর্মচান্ঞল্য থাকার কথা নয়।

জানা যায়,৮ এপ্রিল অফিস শেষে করেই সরকারি ছুটি শুরু হয়ে যায়। ১৫ এপ্রিল সোমবার কাজে যোগদানের কথা থাকলেও ঢাকা গামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১৪ এপ্রিল রবিবার বন্ধ থাকায় ১৩ এপ্রিল শনিবার কর্মজীবিরা ঢাকা সহ অনেক জায়গায় যাত্রা শুরু করেন।টানা এ ছুটি শেষে সোমবার সব প্রকার অফিস-আদালত খুলছে বলে জানা যায়। তবে স্কুল কলেজ খুলতে আরো দুই চার দিন লাগতে পারে বলে জানান স্কুল ও কলেজ পরিচালকরা।

মরিয়ম নামের এক নারী যাত্রী জানান, সৈয়দপুর থেকে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকায় যাত্রা যথেষ্ট আরামদায়ক।  সৈয়দপুর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে ঢাকা পর্যন্ত পুলিশি সেবা পাওয়া যায় সার্বক্ষনিক। এর ফলে প্রায় সময় ট্রেনেই যাওয়া আসা করি।

সৈয়দপুর রেলওয়ের সহকারী ষ্টেশন মাষ্টার রানা বলেন,রবিবার ১৪ এপ্রিল নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধ থাকায় ১৩ এপ্রিল কর্মে ফেরা মানুষের উপচে পরা ভীড় হয়েছে। যাত্রীরা যাতে ভালো ভাবে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে এজন্য প্রায় ৪ টি নতুন বগি সংযুক্তও করা হয়েছে। 

স্টেশন মাষ্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন বলেন, যাত্রীদের সুব্যবস্হা ও বগি বৃদ্ধি করায়, তারা আরাম আয়াসে ফিরতে পারছেন নীজ কর্মসংস্থানে। সার্বক্ষনিক দেয়া হচ্ছে পুলিশি সেবা।

দেখা গেছে নারীর টানে প্রিয়জনের সাথে ঈদ আনন্দ করতে কর্মব্যস্ত ঢাকা শহরকে সাময়িক বিদায় জানিয়ে ৮ এপ্রিলের মধ্যে গ্রামে ঈদ করতে আসেন লাখ লাখ মানুষ।

ঈদের আগে ট্রেন ছাড়াও বাস--লঞ্চ সব মাধ্যমেই ছিল বাড়ি ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড়। নানা দুর্ভোগ মাথায় নিয়েই নাড়ির টানে বাড়ি ফেরে মানুষ। আর সেই উৎসব আনন্দ শেষ করে এখন কর্মে ফেরার পালা তাদের।

যদিও ঈদের পর প্রথম কর্ম দিবসে উপস্থিতির সংখ্যা কম থাকাটাই স্বাভাবিক। কেননা অনেকে ঈদের সাধারণ ছুটির সঙ্গে আরো ২/৪ দিন ছুটি বাড়িয়ে গ্রামেই কাটিয়ে দেবেন আরো ৪/৫ দিন। তাই ১৭/১৮ এপ্রিল হতে পারে পূর্ণ কর্ম ব্যস্ততা।সেই সময় পুরোপুরি প্রাণ চাঞ্চল্য হয়ে উঠবে ঢাকা।

গণমাধ্যম কর্মীদের ব্যস্ততা শুরু হবে ১৪ এপ্রিল রবিবার থেকেই। কেন না সোমবার সব প্রকার পত্রিকা চালু হচ্ছে বলে জানা যায়। 


আরও খবর



দুঃস্থদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ ও একসঙ্গে ইফতার করলেন পুলিশ সুপার মুক্তা ধর

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৮জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে  জেলা পুলিশের আয়োজনে অসহায়  ও দুঃস্থদের  মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ  ও একসঙ্গে ইফতার করলেন খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।

শুত্রুবার (৫এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলার  সুপার  মুক্তাধর পিপিএম (বার) এর  সামাজিক সহযোগিতা ও উন্নয়নমূলক কাজে নিয়মিত অংশগ্রহণের ধারাবাহিকতায় পানছড়ি থানায় অসহায় ও দুঃস্থদের  মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন এবং তাদের সাথে একই সঙ্গে ইফতার করেন। 

অসহায়  এবং দুঃস্থ ব্যক্তিরা পুলিশ সুপারের সাথে একসাথে ইফতার করতে পেরে এবং তার থেকে ঈদ উপলক্ষে উপহার সামগ্রী পেয়ে খুবই খুশি হয়েছেন।  এ সময় প্রায় ৩০ জনের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয় এবং একসাথে ইফতার করেন।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার  মুক্তাধর পিপিএম (বার)  বলেন,  আমরা চাই সব সময় আমাদের আনন্দ  গুলোকে ভাগাভাগি করে নিতে। এখন সিয়াম সাধনার মাস চলতেছে এবং কিছুদিন পরেই ঈদুল ফিতর, মুসলমানদের অন্যতম  আনন্দের দিন। সমাজের অসহায় ও দুঃস্থ মানুষজন এই সিয়াম সাধনার সময় একটু ভালো করে সেহরি করবে, ইফতারি করবে, এ সুযোগগুলো খুব কমই হয়। আবার সামনে ঈদুল ফিতরে প্রত্যেকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ঈদ আনন্দের জন্য কেনাকাটা করবে। আনন্দগুলোকে উদযাপন করবে। এক্ষেত্র সমাজের অসহায় এবং দুস্থ মানুষ গুলো অনেক পিছিয়ে। সমাজের এ শ্রেণীর মানুষ গুলোর দিকে যদি আমরা একটু তাকাই, তাদেরকে একটু সুযোগ করে দেই আনন্দ করার জন্য, একটু ভালো করে ইফতার করার জন্য, তাহলে তাদের আর আনন্দের কোন সীমা থাকেনা। এভাবেই আমরা আমাদের আনন্দগুলি তাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে পারি। 

একজন দুঃস্থ পুরুষ  ঈদ উপহার  সামগ্রী পেয়ে  ও একই সাথে  ইফতার করার পর তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে যেয়ে বলেন,  আজ আমি খুবই খুশি খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মত একজন বড় অফিসারের সাথে ইফতার করতে পেরেছি তিনি আমাদেরকে ঈদ উপহার দিয়েছেন। আমাদেরকে একটু আনন্দ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমরা এ রমজান মাসে একটু ভালো খাবার মাধ্যমে  ইফতার করতে পারি না। ঈদের সময় পুরাতন জামা কাপড় পড়তে হয়। কিন্তু স্যারের কল্যাণে এতটুকু দুঃখ মুছে গেল। স্যারের আল্লাহ ভালো করুন। 

এ সময় খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) জনাব মোঃ জসীম উদ্দিন পিপিএম, পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



প্রথম ধাপে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।সম্ভব্য প্রার্থীরা মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩০৭জন দেখেছেন

Image

গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রথম ধাপে(৮মে) অনুষ্ঠিত হবে।নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভব্য প্রার্থীরা গণসংযোগ ও ইফতার মাহফিলে ব্যস্ত সময় পার করছে।বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রাণ কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত গোদাগাড়ী উপজেলা ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপজেলাটি জাতীয় পাটি,আওয়ামীলীগ ও বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিল।গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের জাহাঙ্গীর আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়।বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ছাড়াও সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে গণসংযোগ ও মতবিনিময় করছেন গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি ও ব্যবসায়ী রবিউল আলম,দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বেলালউদ্দীন সোহেল,সাবেক সহকারী কমিশনার(কাস্টমস)সুনন্দন দাস রতন,জামায়াত ইসলামীর রাজশাহী জেলা(পশ্চিম) আব্দুল খালেক,জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন(এনডিএম)এর ধর্ম,সংখ্যালঘু এবং পার্বত্য বিষয়ক সম্পাদক ড.আব্দুর রহমান মুহসেনী ও বিএনপি নেতা সাজেদুর রহমান মার্কনী।আওয়ামীলীগের সম্ভব্য চার প্রার্থী স্থানীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারক চৌধুরীর ঘনিষ্ট। তবে তিনি(এমপি)বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে সমর্থন জানিয়ে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে ভোটের মাঠে জাহাঙ্গীর আলমের জন্য কাজ করতে। সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে গোদাগাড়ী পৌর এলাকায় বাড়ী জাহাঙ্গীর আলম,রবিউল আলম, ড.আব্দুর রহমান মুহসেনী ও আব্দুল খালেকের।আর দেওপাড়ায় বেলালউদ্দীন সোহেল ও মাটিকাটায় সুনন্দন দাস রতনের।গত নির্বাচনে সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বদিউজ্জামানকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন ক্লিণ ইমেজের জাহাঙ্গীর আলম।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি সুফিয়া বেগম মিলি,সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সাবেক সদস্য কৃঞ্চাদেবী,জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক উম্মে কুলসুম মেমোরী।গত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বীদ্বিতায় নির্বাচিত হন নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসাবে পরিচিত সুফিয়া খাতুন মিলি।ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুল সরকার,পৌর আওয়ামীলীগরে যুগ্ন-সম্পাদক নাজমুল হক ও পৌর যুবলীগ সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন,জাতীয় আদিবাসী পরিষদের জেলা বিমল চন্দ্র রাজোয়াড়,জামায়াতের মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।গত নির্বাচনে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মালেকের কাছে পরাজিত হন শফিকুল সরকার।বাকী তিনজন নির্বাচনে নতুন।


আরও খবর