Logo
আজঃ বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করব: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১৫০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আইন প্রয়োগ করে নির্বাচন করব। এই প্রতিশ্রুতি ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে দিতে চাই।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকরা ভোটদানের হার কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে ইসি আলমগীর বলেন, ‘যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেগুলোর নানান রকম পরিস্থিতি ছিল। একটি বড় রাজনৈতিক দল কোনো নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করছে না। স্বাভাবিকভাবেই তাদের যারা সাপোর্টার তারা তো ভোট দিতে আসেন না। এজন্য ভোটের কাস্টিং কমে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে করোনার মধ্যে আমাদের কিছু নির্বাচন করতে হয়েছে। স্বাভাবিক কারণে তখন অনেকে ভয়ে ভোট দিতে আসেননি। উপনির্বাচনগুলো যখন হয়, উপনির্বাচনের মেয়াদ থাকে অল্প এবং এতে সরকারের কোনো পরিবর্তন হয় না। তাই ভোটদানে আগ্রহ কম থাকে।

জাতীয় নির্বাচনে ভোটদানের হার বাড়বে আশা করে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সামনের যে জাতীয় নির্বাচন হবে সে নির্বাচনে কিন্তু সরকার পরিবর্তন হতে পারে। সেই সুযোগ যেহেতু এখানে রয়েছে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যে দলকে ভোট দেবে, সেই দল সরকার গঠন করবে। সে ক্ষেত্রে ভোটার ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।

ইসি আলমগীর বলেন, ‘আমরা আশা করব, সকল রাজনৈতিক দলের আমাদেরকে আস্থায় নেওয়া উচিত। কারণ দায়িত্ব নেওয়ার পর যতগুলো নির্বাচন করেছি কেউ বলতে পারবে না, আমরা কোনো পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছি। প্রত্যেকটা নির্বাচনই আমরা সুষ্ঠুভাবে করার চেষ্টা করেছি। আমরা আশা করি সংসদ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। আমাদের পক্ষ থেকে যত রকম ব্যবস্থা নেওয়া দরকার নির্বাচন কমিশন থেকে আমরা নেব। পার্টিসিপেটরি (অংশগ্রহণমূলক) নির্বাচন হবে বলে আমরা মনে করি।

সব দলকেনির্বাচনে আনার জন্য শেষ পর্যন্ত আপনাদের কোনো ভূমিকা থাকবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখনো আছে, শেষ পর্যন্ত থাকবে। বুঝতে হবে আমাদের ভূমিকা কি। আমরা আশাও করি, সব দল নির্বাচনে আসবে। আমাদের কাজ হলো নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করা। আমরা যদি নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করি, তাহলে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসবে। যারা আসছে না তারা বলছে, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে এটা তারা মনে করেন না। এই মনে করার পেছনে অন্তত আমাদের কোনো ভূমিকা নেই।

ইসি আলমগীর বলেন, ‘স্বাধীন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আমাদের সংবিধান দায়িত্ব ও ক্ষমতা দিয়েছে তার পুরোটা প্রয়োগ করে সুষ্ঠু নির্বাচন করব। সেই প্রতিশ্রুতি আমরা ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে দিতে চাই।’


আরও খবর



সৌদিতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে ১৩

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১৮জন দেখেছেন

Image

কূটনৈতিক প্রতিবেদক ;সৌদি আরবের আসির প্রদেশে বাস দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রী নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত আরও ১৭ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নিহত ১৩ বাংলাদেশি হলেন- নোয়াখালীর সেনবাগের মো. শরিয়ত উল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আওয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদনগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি, চাঁদপুরের কালু মিয়ার ছেলে রুক মিয়া, কক্সবাজারের মহেশখালীর সিফাত উল্লাহ, কুমিল্লার দেবীদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কাওসার মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ নাজমুল, যশোর ইস্কান্দারের ছেলে রনি ও কক্সবাজারের মোহাম্মদ হোসেন।

আহত ১৭ বাংলাদেশির মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন- চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের আবুল বাশারের ছেলে সালাহউদ্দিন, ভোলার বুরহান উদ্দিন উপজেলার আল আমিন, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের সিরাজুল্লাহর ছেলে মিনহাজ, চাঁদপুরের কচুয়ার মো. জয়নালের ছেলে জুয়েল, মাগুরার শালিকার জাকির মোল্লার ছেলে আফ্রিদি মোল্লা (পাসপোর্ট নং: EA0231718), লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের আবু সাইদের ছেলে মো. রিয়াজ, মো. সেলিম (পাসপোর্ট নং: A03459571), কুমিল্লার লাকসামের আইয়ুবি আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসাইন, মুরাদনগর উপজেলার আব্দুল মালেকের ছেলে ইয়ার হোসাইন, মো. জজ মিয়ার ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম, নোয়াখালীর সেনবাগের আব্দুল লতিফের ছেলে মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, মাগুরার মোহাম্মদপুরের ফজলুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান ও যশোর সদরের কাজী আনোয়ার হোসাইনের ছেলে মো. মোশাররফ হোসাইন।

এ ছাড়া প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন আব্দুল হাই, রানা, হোসাইন আলী ও কুদ্দুস।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানিয়েছেন, সৌদি আরবে যে বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই বাসে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন ৩৫ জন। বাস দুর্ঘটনায় ১৮ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৭ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত হয়েছেন ১৩ বাংলাদেশি।

এ ছাড়া বাসে ভিন্ন দেশি ১২ জন যাত্রীর মধ্যে পাঁচজনকে মৃত এবং সাতজনকে আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

সূত্র জানায়, সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় ওমরাহ যাত্রীরা নিহত হয়েছেন। গত ২৭ মার্চ ওমরাহ যাত্রী বহনকারী বাসটি একটি সেতুতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। একপর্যায়ে বাসটি উল্টে আগুন ধরে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রেক কাজ না করায় একটি সেতুর সঙ্গে সংঘর্ষে উল্টে গিয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কায় যাচ্ছিলেন।


আরও খবর



ত্রিশালে খাদে পড়ে মাইক্রোবাসে আগুন, নিহত ৪

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার রাঙামাটি এলাকায় যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে পড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। এতে মাইক্রোবাসের চার যাত্রী আগুনের পুড়ে অঙ্গার হয়ে যান। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মাইক্রোবাসের অগ্নিদগ্ধ সাত আরোহীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। 

হতাহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। তবে আহত এক যাত্রী জানান, মাইক্রোবাসের সবাই জেলার ধোবাউড়া উপজেলা থেকে রওনা হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দ হয়, এরপর আর কিছু বলতে পারেননি তিনি।

ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবুল কালাম জানান, খবর পেয়ে তারা প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ও উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া দুই নারীসহ পুড়ে যাওয়া চারজনের মরদেহ গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চারজনের মরদেহ শনাক্তে পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে।



আরও খবর



গুলিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ,নিহত ১৪, আহত অর্ধশতাধিক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

বহুতল ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি । তবে, বিস্ফোরণের কারণ ও হতাহতের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। 

ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের পাঁচটি টিম সেখানে কাজ করছে। হতাহতের সংখ্যা ও বিস্ফোরণের কারণ এখনও নিশ্চিত নয়।’ স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, ভবনটির এসি থেকে এই বিস্ফোরণ থাকতে পারে।

নর্থ সাউথ রোডের সুরিটোলা স্কুলের কাছাকাছি ওই ভবনটির আশপাশ এখন ধোঁয়ায় পরিপূর্ণ। ঘটনাস্থলে রয়েছেন আমাদের প্রতিনিধি। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে—এসি থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে। বংশাল থানার পক্ষ থেকেও স্থানীয়দের বরাতে একই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, বিকট আওয়াজের বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে ধোঁয়ায় ছেঁয়ে যায়। বিস্ফোরণে ইট-পলেস্তারা, কাঠের টুকরা বহু দূর ছিটকে পড়ে। এতে অনেকে আহত হন। গুরুতর আহতও আছেন।

বংশাল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘আমরা গুলিস্তানের একটি ভবনে বিস্ফোরণের খবর পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের টিম  ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে—এসি থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে। আমাদের টিম গেলে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে। তবে, হতাহতের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।




আরও খবর



সার্জেন্ট মুজাহিদের অনাগত সন্তানের মুখ দেখা হলো না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন মো. মুজাহিদ নামের এক পুলিশ সার্জেন্ট। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হালিশহর থানার আউটার রিং রোডে এ ঘটনা ঘটে।

তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। তিনি চট্টগ্রাম নগর পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। অনাগত সন্তানের মুখ দেখা হলো না তার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হালিশহর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক হারুনুর রশিদ বলেন, মুজাহিদ পতেঙ্গা এলাকায় ডিউটি শেষে করে মোটরসাইকেলে আউটার রিং রোড দিয়ে বাসায় যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন থেকে একটি প্রাইভেটকার ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুজাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন।

মুজাহিদ ২০১৭ ব্যাচের সার্জেন্ট ছিলেন বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশে কর্মরত সার্জেন্ট সাইফুল ইসলাম। 


আরও খবর



ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যা বললেন শাকিব খান

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে চার ঘণ্টা অবস্থান করেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়ক শাকিব খান। আজ রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তিনি সেখানে যান। আর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কার্যালয় থেকে বেরিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

শাকিব খান বলেন, ‘গতকাল রাতে ভুয়া-প্রতারক নামধারী প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করতে আমি গুলশান থানায় গিয়েছিলাম। আপনার জানেন, আপনারও গিয়েছিলেন সেখানে। অনেক চেষ্টার পর আমি ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছি। কিন্তু গতকাল ওসি সাহেব আমার মামলাটা নিলেন না। তিনি বললেন, “আপনি যেখানের খুশি গিয়ে অভিযোগ করতে পারেন যে, আমি আপনার মামলাটা নিলাম না।” আমি সেখান থেকে বেড়িয়ে আসলাম।

ওই প্রযোজক সম্পর্কে নায়ক শাকিব খান বলেন, ‘এই বাটপার-প্রতারক রহমত উল্লাহ শুধু আমার সঙ্গে প্রতারণা করেনি, এই দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এই দেশের লাখো মানুষ যারা আমাকে ভালোবাসে, তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমার মনে হয়, এই রহমত উল্লাহ একা ছিল না। এই রহমত উল্লাহর পেছনে অনেক লোক জড়িত। না হলে এই রহমত উল্লাহর মতো এমন ভুয়া প্রযোজক নামধারী বাটপার, ভুয়া প্রযোজক সেজে আমার নামে বিচার চেয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। এ কারণে আমি ভুয়া প্রযোজকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব। প্রযোজক নামধারী এ প্রতারক যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সেই কারণে আইনি ব্যবস্থা নিতে এখানে এসেছি।

ডিএমপির ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের থেকে আশ্বাস পেয়েছেন জানিয়ে শাকিব খান বলেন, ‘ডিবির মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমার সকল অ্যাভিডেন্স দেখেছেন। আমার সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলেছেন। প্রতারণ রহমত উল্লাহর সকল অ্যাভিডেন্স দেখেছেন। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, অতিদ্রুত এই অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে এই প্রতারণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। আমি ডিবি অফিসে লিখিত মামলা করেছি। তারা আমার মামলা আমলে নিয়ে দ্রুত একটি ব্যবস্থা নেবেন।

শাকিব খানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিংয়ে শিডিউল ফাঁসানো ও সহনারী প্রযোজককে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ তোলেন রহমত উল্লাহ নামের সহপ্রযোজক। এই অভিযোগ তোলার পর তার নামে মামলা করতে গতকাল গুলশান থানায় যান শাকিব খান। থানায় মামলা না নেওয়ায় সেই প্রযোজকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আজ ডিবি কার্যালয়ে আসেন এই সুপারস্টার।


আরও খবর