Logo
আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

সুনামগঞ্জে একদিকে কয়লা পাচাঁর অন্যদিকে চিনিসহ ৪ জন গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ১৫৮জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্তে জমজমাট হয়ে উঠেছে চোরাচালান বাণিজ্য। সরকারের লাখলাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে অবাধে মদ, গাঁজা, ইয়াবা, কয়লা, পাথর, চিনি, সুপারী, গরু, মহিষ, ছাগল, পেয়াজ, ফুছকা, কসমেটিকস, নাসিরউদ্দিন বিড়ি, মোটর সাইকেল, অস্ত্র ও কাপড়সহ বিভিন্ন মালামাল অবৈধ ভাবে পাচাঁর শুরু করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের মৌলারপাড় এলাকার সড়কে অভিযান চালিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে আসা ২লাখ ১০হাজার টাকা মূল্যের ৪২বস্তা ভারতীয় চিনির চালানসহ সীমান্ত চোরাকারবারী হারুন অর রশিদ (৩২), আশ্রব আলী (২২),আব্দুন নূর (২৩) ও হ্নদয় মিয়া (২০)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (৪ মার্চ) সকালে তাদেরকে কারাঘারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে গত রবিবার (৩রা মার্চ) ভোর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলার তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন বজলু মুন্সির ডিপুতে মজুত রাখা ৬০মেঃটন চোরাই কয়লা, সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী বাবুল মিয়া বাড়ি থেকে ৪০টন, সাদ্দাম মিয়ার বাড়ি থেকে ২০টন, মঙ্গল মিয়ার বাড়ি থেকে ৩৫টন, ডালিম মিয়া বাড়ি থেকে ১৫টন, নিজাম মিয়ার বাড়ি থেকে ১৮টন, লালচাঁন মিয়া বাড়ি থেকে ১২টন, আশরাফুলের বাড়ি থেকে ১০টনসহ আরো একাধিক বসতবাড়িতে মজুত করে রাখা প্রায় ৩শ মেঃটন চোরাই কয়লা ১০াট ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে পাটলাই নদীপথে ওপেন নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা নিয়ে যায় গডফাদার তোতলা আজাদ ও তার সোর্স রফ মিয়া। পরে পাচাঁরকৃত প্রতিটন অবৈধ চোরাই কয়লা থেকে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের নামে ৮শত টাকা চাঁদা উত্তোলন করে সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী চোরাকারবারী বাবুল মিয়া, আইনাল মিয়া, সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া ও লেংড়া জামাল। আর থানা-পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে প্রতিটন ১২শত টাকা চাঁদা উত্তোলন করে থানার সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী রফ মিয়া। কিন্তু এব্যাপারে কেউ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। অথচ এক সপ্তাহ আগে নায়েক সুবেদার বিল্লাল চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকাকালীন সময় পৃথক অভিযান চালিয়ে সোর্স বাবুলের বাড়িসহ একাধিক বাড়ি থেকে চোরাই কয়লা বোঝাই ৫টি ট্রলি জব্দ করেছেন। কিন্তু এই ক্যাম্পে নায়েক সুবেদার আবু রায়হান ও ভিআইপি যোগদান করার পর থেকেই চোরাকারবারী, সোর্স ও তাদের গডফাদারের তৎপরতা বেড়ে যায়।

প্রতিদিন ভারত থেকে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে দিয়ে সোর্স বাবুল মিয়ার বাড়িসহ একাধিক ডিপুতে নিয়ে ওপেন মজুত করা হচ্ছে। একই ভাবে পাশের বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট ও লাকমা এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবাধে কয়লা ও মদ, গাঁজা ও ইয়াবা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত দুধেরআউটা, বানিয়াগাঁও, তেলিগাঁও, জামালপুর গ্রামের নিয়ে মজুত করে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, সাবজল মিয়া, ইয়াবা কালাম, রতন মহলদার ও কামরুল মিয়া। পরে তারা বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত পাটলাই নদীতে চোরাই কয়লা ও মাদকদ্রব্য ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে নদী পথে নিয়ে যায়। আর এই চোরাচালান করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে বালিয়াঘাট সীমান্তে সম্প্রতি ৭জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তারপরও চিহ্নিত চোরাকারবারী ও সোর্সদের গ্রেফতারের জন্য নেওয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ। তাই এব্যাপারে সংশ্লিস্ট প্রশাসনের উপরস্থ কর্মকর্তাদের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ৩শুল্কস্টেশনের বৈধ ব্যবসায়ীরা।

এব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার ওসি বদরুল হাসান জানান-পাচাঁরকৃত অবৈধ চিনিসহ গ্রেফতারকৃত ৪জন চোরাকারবারীর বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত এলাকায় থানা-পুলিশের কোন সোর্স নাই। সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বন্ধ করার দায়িত্ব বিজিবির। এবিষয়ে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবু রায়হানের সরকারী মোবাইল নাম্বার (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) ও সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল নাম্বারে (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) বারবার কল করার পরও কেউ ফোন রিসিভ না করার কারণে কারো বক্তব্য জানা যায়নি।


আরও খবর



গাংনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের গাংনীর ভাটপাড়া ইকোপার্ক নামক স্থানে ইজিবাইক ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে জিন্নাতুজ্জামান চঞ্চল(১৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ৩ টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। জিন্নাতুজ্জামান চঞ্চল গাংনীর চৌগাছা পশ্চিম পাড়ার রকিবুজ্জামানের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জিন্নাতুজ্জামান চঞ্চলসহ ৬জন যাত্রী একটি ইজিবাইকে করে ধলা মোড় থেকে গাংনীর দিকে আসছিলেন। ইজিবাইকটি ভাটপাড়া ইকোপার্কের সামনে পৌছুলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী ট্রাক সামনা সামনি ধাক্কা দিলে ইজিবাইকটি দুমড়ে মুসড়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে। এতে মারাত্মক আহত হয় জিন্নাতুজ্জামান চঞ্চল। সহযাত্রী ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমাইয়া ইয়াসমীন পাপড়ি তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটিকে আটকের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



মধুপুরে দিন ব্যাপি দুগ্ধ উৎপাদন প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৩৮জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প(এল.ডি.ডি.পি) এর আওতাধীন প্রডিউসার গ্রুপ (পিজি)এর সদস্যদের নিয়ে ১দিন ব্যাপি দুগ্ধ উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (১৫মে) সকালে মধুপুর উপজেলাধীন আশ্রা প্রাণিসম্পদ কৃষক স্কুল মাঠে এ দুগ্ধ উৎপাদন প্রশিক্ষনের আয়োজন করেন মধুপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। 

মধুপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বিপ্লব কুমার পাল এর সভাপতি ত্বেউক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ মাহবুবুল ইসলাম। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সোহেল রানা ও জেলা ট্রেনিং কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শহীদুল আলম।

এসময় আরও অন্যান্য কর্মকর্তা সহ উক্ত পিজির ৪০জন সদস্য ও খামারিগন উপস্থিত ছিলেন। বক্তরা, দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং গাভীর বিভিন্ন রোগ ও রোগের প্রতিকার বিষয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জাহিদুল ইসলাম।

    -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



বেনাপোল কাস্টমসে ল্যাগেজ বাণিজ্যে হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে চলছে অবৈধ ল্যাগেজ বাণিজ্য। দেশের অভ্যন্তরে বিনা শুল্কে অবৈধ পণ্য প্রবেশ করায় মারাত্মক হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য। স্থানীয় ল্যাগেজ পারাপারকারী চোরাই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তাদের রমরমা ঘুষ বাণিজ্য চলতে থাকায় প্রতিদিন সরকার হারাচ্ছে পণ্য চালান বাবদ কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। একই সাথে চলছে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স ফাঁকির মহোৎসব।

বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ভারতের পশ্চিমবাংলার রাজধানি কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। এখান থেকে দু'দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বিজনেস, ট্যুরিস্ট, মেডিকেল ও স্টুডেন্ট ভিসার সিংহভাগ যাত্রী এ পথেই যাতায়াত করে থাকেন। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াতের এই চেকপোস্ট থেকে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার রাজস্ব আসার কথা। যা ইমিগ্রেশন এন্ট্রি কাউন্টার থেকে প্রতিদিনের যাত্রী সংখ্যা আর কাস্টমসের রাজস্ব আয়ের হিসাব মেলালে শুভঙ্করের ফাঁকি বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন সচেতনমহল।

সুত্র মতে জানা যায়, ল্যাগেজ পারাপারকারী যাত্রীর কাছ থেকে প্রতিদিন ইমিগ্রেশনে কর্মরত অধিকাংশ ঘুষখোর কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদমর্যাদার মান বুঝে নগদ ঘুষ বাণিজ্য হয় সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত। সেখানে নাম মাত্র দু-একজন ননটেকার নামধারী কর্মকর্তা থাকলেও তাদের বিভিন্ন কাজের মাঝে চুরি করে ল্যাগেজ পণ্য পারাপার করেন এসব টেকার নামধারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া দেশের সর্ববৃহৎ স্থল প্রবেশপথ বেনাপোল দিয়ে যাতায়াতে স্ক্যানিং মেশিন থেকে শুরু করে পথে পথে অহেতুক ব্যাগ তল্লাশির নামে হয়রানি করেন এসব কর্মকর্তা। লোভ তাদের এমনভাবে ঘিরে ফেলেছে যেখানে ব্যাগপ্রতি অবৈধ চাহিদার টাকা না দিলে ব্যবহারের জন্য ভারত থেকে নিয়ে আসা সামান্য কেনাকাটার পণ্যসামগ্রী ডিএম করে এবং তা কাস্টমসে জমা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন অগণিত পাসপোর্ট যাত্রী। এছাড়া তাদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। যে কারণে এ পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত কমতে শুরু করেছে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল। সরকার হারাতে বসেছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, ভারত থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ ট্রাক আমদানি পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করত। এখন ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের অবাধ বিচরণে তা কমে ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাকে পরিণত হয়েছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক ঘুষ লেনদেনে রমরমা ল্যাগেজ বাণিজ্য চলছে। ভারত-বাংলাদেশের সহস্রাধিক চোরাকারবারি বেনাপোল চেকপোস্টের কয়েকটি শক্তিশালী ল্যাগেজ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ ব্যবসাটি পরিচালনা করছে। এরা কাস্টম সহ কয়েকটি সংস্থার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য পাচার করছে। সেই সঙ্গে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স জালিয়াতি করে প্রতিদিন সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তারা সব যাত্রীকে চোরাকারবারি ভেবে তাদের শরীর ও ব্যাগে নোংরাভাবে তল্লাশি করায় হয়রানির ভয়ে এ পথ ছাড়ছেন অনেকে। যে কারণে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রী যাতায়াত আগের ৮-১০ হাজার থেকে ৩-৪ হাজারে নেমে এসেছে।

জানা যায়, বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিনে কর্মরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) নাঈম, ইমরান ও  দিদারের সঙ্গে স্থানীয় ল্যাগেজ সিন্ডিকেটসহ অন্যান্য শুল্কফাঁকি চক্রের ঘুষ চুক্তিতে চলছে এখানকার রমরমা সব অবৈধ বাণিজ্য। সপ্তাহের প্রতিদিন তারা ব্যাগপ্রতি সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ চুক্তিতে তল্লাশিবিহীন ৫০০ থেকে ৬০০ যাত্রীর ল্যাগেজ পাচার করছে।

বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানিকারকরা সরকারি আমদানিনীতির প্রতিটি শর্ত পূরণ করে পণ্য আমদানি করে। যা বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ১ থেকে ২ মাস সময় লাগে। বন্দরে আসার পর তা কাস্টমসে পরীক্ষণ, শুল্কায়ন নির্ধারণ, রাজস্ব পরিশোধ, ছাড়করণ, লোড-আনলোড, পরিবহনসহ ইত্যাদি খরচ যোগ হয়, এরপর লভ্যাংশ।তাতে অবৈধ ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের পণ্য প্রায় দুমাস আগেই কমমূল্যে ঢাকাসহ বড় বড় বাজার দখল করে নেয়ায় ব্যবসায় মারাত্মক হিমশিম খেতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। অনেকে লোকসান ঠেকাতে বাধ্য হচ্ছে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ করতে। তাতে সরকার হারাচ্ছে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব।

সরজমিনে বিষয়টি জানতে স্থানীয় এক সাংবাদিক পাসেপার্ট যাত্রী হয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ল্যাগেজ পণ্য পাচারের মহোৎসব চলতে থাকায় তার ভিডিওচিত্র ক্যামেরায় ধারণ করতে গেলে স্ক্যানিং মেশিনের সামনে থেকে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন এআরও নাঈম, সুপার জাহাংগীর ও সুপার মোখলেছুর রহমান। তিনি হুংকার দিয়ে তেড়ে আসেন এবং এ প্রতিবেদকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে বার বার উদ্ধত হন। পাসপোর্ট সাথে থাকা ছোট একটি ল্যাগেজ ছিনিয়ে নেয়া সহ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। এ সময় নীরব দর্শকের মতো তার পাশে তাকিয়ে ছিলেন দায়িত্বরত রাজস্ব কর্মকর্তারা। বিভিন্ন ভঙ্গিতে আরো উপস্থিত ছিলেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা, আনসার সদস্য, ইমিগ্রেশন পুলিশ, ব্যাটালিয়ন পুলিশ এবং বিভিন্ন শ্রেণির দালাল নামধারী বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও বড় বড় টিভি'র সাংবাদিকরা। দালাল নামধারী কতিপয় দুই ব্যক্তি দিনের বেশিরভাগ সময় ইমিগ্রেশন কাস্টমস ভভ্যন্তরে থাকেন বলে স্থানীয়দের অভিযােগ। সে সময় উক্ত সাংবাদিককে শারিরিকভাবে লাঞ্চিতও করা হয়। ইমিগ্রেশন কাস্টমসের সিসি ফুটেজ ঘাটলে বেরিয়ে আসবে কাস্টম কর্মকর্তাদের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার আসল চরিত্র। কথা হয় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কাস্টমসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমানের সঙ্গে। তিনি সব অভিযোগ সঠিক না বলে জানান। পরে অবশ্য উক্ত সাংবাদিকের ল্যাগেজ সহ পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেন।


আরও খবর

আজ ১৫৬ উপজেলায় ভোট

মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪




সরগরম তানোরের নির্বাচনী মাঠ, এগিয়ে ময়না

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:তীব্র তাপদহে প্রার্থীদের দিনরাত প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার নির্বাচনী মাঠ। আগামী ৮ মে বুধবার প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে তানোর উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ। তবে সকাল ১১ টা থেকে বিকেল তিন টা পর্যন্ত প্রচন্ড তাপদহের কারনে প্রার্থীরা প্রচারণা তেমন ভাবে করছেন না। কিন্তু শেষ বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিরামহীন প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে এলেও ভোটারদের মাঝে নির্বাচন নিয়ে তেমন একটা আগ্রহ নেই বললেই চলে। কারন ভোটে ক্ষমতা সীন দলের একাধিক  নেতারাই প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপি ও জামায়াত ভোটে অংশগ্রহণ না করার কারনেই তেমন একটা আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। আবার তীব্র গরম ও বোরো ধান কাটা মাড়ায় চলছে ভরদমে।
জানা গেছে, গত নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করে প্রথমবারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তবে এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন না করার কারনে ক্ষমতা সীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে উন্মুক্ত করে দেন ভোটের মাঠ ।। এরই প্রেক্ষিতে এবারে দলীয় প্রতীক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন।  আগামী ৮ মে বুধবার অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ধাপে তানোর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ। চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি  লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীকে নিয়ে ভোট করছেন। ময়না বিগত ২০১১ সালে উপজেলার কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির)  চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে উপজেলা বাসীকে তাক লাগিয়ে দেন। তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনগণের মাঝে নির্বিঘ্নে সেবা প্রদান করার কারনে ২০১৬ সালে পুনরায় কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তবে ২০১৯ সালে তার রাজনৈতিক ও সামাজিক দক্ষতার কারনে দলীয় প্রতীক নৌকা প্রতীক পেয়ে প্রথম বারের মত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 

দলীয় নেতাকর্মী জানান, লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না আওয়ামী লীগের পরিক্ষিত সৈনিক। বিগত স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে কখনো নৌকার বিরুদ্ধে বা দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন নি। যার কারনে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে ভোটের মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। 

বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা তালন্দ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, আমি তালন্দ ইউনিয়নের দায়িত্বে আছি। ইউপির প্রায় প্রতিটি পাড়া মহল্লায় গণসংযোগ করেছি। দলমত নির্বিশেষে সবাই কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিতে মরিয়া হয়ে আছেন। সবার মাঝে ময়নার আলাদা গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে। আসা করছি ময়নার কাপ পিরিচ প্রতীক বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করবে।
সিনিয়র একাধিক নেতারা জানান, তানোরে আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বের মুলেই আব্দুল্লাহ আল মামুন। সে সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় বিগত ২০০৯ সালে প্রথম উপজেলা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দল থেকে ওই সময়ের উপজেলা সভাপতি গোলাম রাব্বানী কে চেয়ারম্যান পদে  মনোনায়ন দেয়া হয়। কিন্তু তাকে পরাজিত করতে আব্দুল্লাহ আল মামুন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে রাব্বানীর পরাজয় নিশ্চিত করেন। এভাবেই মামুন দলে ভাঙ্গন সৃষ্টি করেছেন। এখন পদ পদবি হারিয়ে এবার উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। অথচ মামুন কে তানোরের মাটিতে দেখায় যায় না। যারা গত জাতীয় নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করেছিলেন তারাও ভুল বুঝতে পেরে ময়নার কাপ পিরিচ কে সমর্থন জানিয়ে ভোটের মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। তাহলে বুঝতে হবে মামুনের গ্রহণ যোগ্য তা কতটুকু। 

কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, আমি বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। কারন আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে ভোটের মাঠে জোরালো ভূমিকা পালন করছেন। মুলত একারনেই আশা করা যায় বিজয়ের ব্যাপারে। তবে কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে উপজেলার আপামর জনতা কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয় করবেন।আব্দুল্লাহ আল মামুন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তিনিও বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। 

এছাড়াও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তার মধ্যে একজন সোহেল রানা। তার বাড়ি তানোর পৌরসভার হরিদেবপুর গ্রামে। সে পৌর মেয়র ইমরুল হকের ছোট ভাই। রানা বিগত ২০১৯ সালে চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট করে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি এবারের নির্বাচনে তালা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কলমা ইউপির সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তানভীর রেজা। তার বাড়ি কলমা ইউপির আজিজপুর গ্রামে। তিনি প্রথম বারের মত চমশা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 

এদিকে মহিলা  ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তাদের মধ্যে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি সোনিয়া সরদার। সে গত ২০১৯ সালে কলস প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবারো তিনি কলস প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী যুব মহিলা লীগ সভাপতি সাগরী ভৌমিক। তিনি ফ্যান প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। নাসিমা নামের আরেক জন সেলাই মেশিন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 

আরও খবর



মেট্রোরেল শুক্রবারও চালু রাখার সিদ্ধান্ত আসছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৮৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মেট্রোরেল রাজধানীতে যানজটমুক্ত গণপরিবহন হিসেবে দ্রুতই জনপ্রিয়তা পেয়েছে । বর্তমানে মেট্রোরেল সপ্তাহে ছয় দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলাচল করছে। সাপ্তাহিক বন্ধ রাখা হয় শুক্রবার।

সম্প্রতি যাত্রীরা সাপ্তাহিক ছুটির দিনও মেট্রোরেল সুবিধা পেতে চাচ্ছেন। এছাড়া যাত্রী বাড়ায় দ্রুতই শুক্রবারেও এ সুবিধা চালুর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, আগামী জুলাই মাস থেকে শুক্রবারেও অন্যান্য দিনের মতো মেট্রোরেল চলাচলের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।

মেট্রোরেল সূত্র জানায়, যাত্রীর চাপ বাড়ায় সকাল ও সন্ধ্যায় পিক আওয়ারের হেডওয়ে সময় (দুই ট্রেনের মধ্যবর্তী অপেক্ষমাণ সময়) কমানো হবে বলেও জানা গেছে। এটি জুনে কার্যকর হতে পারে। এক্ষেত্রে হেডওয়ে সময় কমিয়ে ৫ মিনিট করা হতে পারে; যা বর্তমানে ৮ মিনিট আছে।

এদিকে মেট্রোরেলের জনবল বাড়াতে শিগগিরই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেবে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। তবে এক্ষেত্রে স্থায়ী নয় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হতে পারে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের কোম্পানি সচিব (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, নিয়োগের বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। যদি এরকম কোনো সিদ্ধান্ত হয় তাহলে হয়ত কয়েকদিন পরে আমাদের এমডি এম এ এন ছিদ্দিক সংবাদ সম্মেলন করে জানাবেন।


আরও খবর

আজ ১৫৬ উপজেলায় ভোট

মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪