Logo
আজঃ বুধবার ২২ মে ২০২৪
শিরোনাম
রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শঙ্কা রূপ নিল বাস্তবে, প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী রানুর ভরাডুবি বিপুল ভোটে বিজয়ী হাবিব গোদাগাড়ীতে আবারোও রাসেল ভাইপারের দেখা, আতঙ্কে কৃষকরা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মুখ খুললেন সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল, অনিয়ম তদন্তের নির্দেশ ডেসকোর প্রিপেইড রিচার্জ সেবা দুই দিন বিঘ্নিত হবে আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমার মন্তব্য নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ২৯ মে ১১১ উপজেলায় সাধারণ ছুটি জুরাইনে টিআই ইসমাইল ফুটপাত দখলমুক্ত করে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছেন দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় চলছে ভোট সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

শরণখোলায় মা-মেয়ে হত্যার রহস্য উদঘাটন: পিবিআই

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:বাগেরহাটের শরণখোলায় চাঞ্চল্যকর মা ও শিশু মেয়েকে কুপিয়ে নিঃশংসভাবে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মামলার এজাহারভুক্ত আসামী ওই নারীর স্বামী জাফর হাওলাদার পরকিয়া সন্দেহের জের ধরে ভাড়াটিয়া খুনি দ্বারা নিজেই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে এমন তথ্য উদঘাটন করেছে পিবিআই। এদিন বিকেলে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে বাগেরহাট জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: আছাদুল ইসলামের আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন আবু জাফর হাওলাদার।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (পিবিআই) আব্দুর রহমান বলেন, তদন্তের সূত্র ধরে পাপিয়ার স্বামী মোঃ আবু জাফর হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদে সে স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যাকান্ডের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। আবু জাফরের স্বীকারোক্তি মতে, আবু জাফর হাওলদার লোক দিয়ে তার স্ত্রীকে মেরেছে। তবে তার মেয়েকে মারার কথা ছিলো না। সে জানায় তার স্ত্রী এর সাথে পারিবারিক টানপেড়ন চলছিল। তার বউ সব সময় মোবাইলে কার সাথে কথা বলে বিষয়টি জানতে চাইলে তার স্ত্রী ভিকটিম পাপিয়া তাকে জুতা দিয়ে প্রহার করে এবং বাড়ি থেকে বের করে দেয়। স্ত্রী পাপিয়া এর আগেও স্বামীকে ঝাড়ু দিয়ে প্রহার করেছিল। এসব বিষয় নিয়ে স্ত্রীর প্রতি সংক্ষুব্ধ ছিল আবু জাফর হাওলাদার।  মনির তাকে জিজ্ঞেস করে "কী জাফর ভাই, তোমাকে নাকি তোমার বউ জুতা দিয়ে মেরেছে, তখন মনির প্রস্তাব দেয় তাকে ১ লক্ষ টাকা দিলে সব সমস্যার সমাধান করে দেবে। তখন আবু জাফল বলে "চিন্তা করে দেখি”। পরে আবু জাফর তার ভাই আবু তালেবের মাধ্যমে মনিরকে ৩০ হাজার টাকা দেয়। মনির টাকা পেয়ে আবু জাফরকে তার সাথে যোগাযোগ করতে নিষেধ করে, কাজ হলে বাড়ির লোকজন তাকে জানাবে বলে জানায়। কথা অনুযায়ী ২০২৩ সালের ১১ আগস্ট আবু জাফরের স্ত্রী পাপিয়া ও মেয়ে সওদা জেনিকে কুপিয়ে হত্যা করে মনির হাওলাদার।

ঘটনার পরের দিন মনির হাওলাদারসহ তার তিন ভাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু মনির জামিনে বের হলে,আবু জাফর মনিরকে জিজ্ঞেস করে তার বউকে মারার কথা ছিলো, সে কেন তার মেয়েকে মেরে ফেলল। মনির জবাবে  তাকে জানায় তার মেয়ে তাকে চিনে ফেলেছিল তাই তাকে মেরে ফেলেছে। তার লাশ কেন টুকু মাষ্টারের বাড়ি নিলো সে প্রশ্নের জবাবে মনির আবু জাফর কে বলে টুকু মাষ্টারের সাথে তার অন্য বোঝাপড়া আছে।

উল্লেখ, ২০২৩ সালের ১১ আগস্ট সন্ধ্যায় শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে পাপিয়া আক্তার (৩৮) ও তার মেয়ে ছাওদা জেনি (০৫)কে কুপিয়ে হত্যা করে মনির হাওলাদার ও তার লোকজন। হত্যার পরের দিনই মনিরসহ তার তিন ভাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনমাস কারাভোগের পরে তারা জামিনে মুক্ত হয়। পরবর্তীতে পিবিআই বাগেরহাট মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায়। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামী পাপিয়ার স্বামী মোঃ আবু জাফর হাওলাদার (৩৯), ভাসুর আবু তালেব হাওলাদার (৫৫) ও তার স্ত্রী আসমা বেগম (৪৫) এবং পাপিয়ার আরেক ভাশুর মোঃ আবু বক্কার হাওলাদার আদালতে আত্মসম্পর্ন করেন। পরে পিবিআই এর তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদেরকে হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। 


আরও খবর



পেঁয়াজ আমদানি করেও বিপাকে আমদানিকারক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:প্রায় ৫ মাস ৬ দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। সেই পেঁয়াজ নিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারক। এদিকে হিলি বাজারে দেশীয় পেঁয়াজ পাইকারী ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে হিলি বাজারের ঘুরে দেখা গেছে, দেশীয় পেঁয়াজ ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর তা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। 

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা ময়নুল ইসলাম বলেন,আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৬৪ পাইকারী কিনে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হবে। কিন্তু ক্রেতারা একই দামে ভারতীয় পেঁয়াজ কিনবেন না। তাই আমরা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি।

পেঁয়াজ আমদানিকারক মেসার্স আরএসবি এন্টার প্রাইজের প্রতিনিধি আহম্মেদ সরকার জানান, সম্প্রতি বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা গেলো মঙ্গলবার (১৪ মে) ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করি। কিন্তু ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম পড়েছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা। এর সঙ্গে আছে বাংলাদেশ সরকারের শুল্ক,পরিবহন খরচ,লেবার খরচসহ অন্যান্য খরচ। সবমিলিয়ে ৬০ টাকা কেজি পড়ে গেছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি না করলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে। তাই আমদানির ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বন্দর থেকে খালাস করে গুদামজাত করে রেখেছি। পচনশীল পণ্য হওয়ায় নিয়মিত ফ্যানের বাতাস দিতে হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ আর দেশি পেঁয়াজের দাম সমান। এ কারণে গত দুই দিনেও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়নি।

৫ মাস ৬ দিন বন্ধ থাকার পর গেলো মঙ্গলবার (১৪ মে) ভারতীয় একটি ট্রাকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেন মেসার্স আরএসবি এন্টার প্রাইজ।

হিলি স্থলবন্দরের ২০ জন আমদানিকারক ২৭ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। যারা আইপি (আমদানির অনুমতি) পেয়েছেন তারা এলসি খুলে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।


আরও খবর



চেয়ারম্যান ময়নাকে গণসংবর্ধনা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৪১জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না দ্বিতীয় বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় গণসংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার পরে প্রকাশনগর স্কুল মাঠে  মুন্ডুমালা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড এর আয়োজনে ও মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেন আমিনের সভাপতিত্বে এবং পৌর যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক কাওসার আলী রয়েলের সঞ্চালনায় বিশাল সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শরিফ খান, বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন, বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি সভাপতি আতাউর রহমান, পাঁচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি দক্ষিণের সভাপতি আব্দুল মতিন, পৌর সহসভাপতি সাজেমান, কাউন্সিলর নাহিদ হাসান, ডালিম, যুবলীগ নেতা দুলাল প্রমুখ। এসময় দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও প্রকাশনগর গ্রামের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য শেষে আদিবাসী সম্প্রদায়ের কিশোরীরা গানের তালে তালে নেচে চেয়ারম্যান কে বরন করে নেয়। পরিশেষে দেশ ও জাতির কল্যানে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

আরও খবর



দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় চলছে ভোট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ১৫৬টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ চলছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।

ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি থাকলেও এই ধাপে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সংশয় থাকছে। এর আগে ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট পড়ার হার ছিল ৩৬ শতাংশ, যা গত দেড় দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন ভোটের হার।

এবার ৪৬১টি উপজেলায় চার ধাপে নির্বাচন হচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন বর্জন করেছে। তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে প্রার্থী দেয়নি। প্রায় সব উপজেলায় ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। কিছু উপজেলায় বিএনপির নেতারাও দলীয় নির্দেশ অমান্য করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

গতকাল নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ভোটের দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, প্রার্থীর জনপ্রিয়তা কেমন, এসবের ওপর ভোটার উপস্থিতি নির্ভর করবে। ভোটের হার বেশি হলে ইসি খুশি, কিন্তু না হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

সব মিলিয়ে অনেকটা একতরফা স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপেও ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সংশয় আছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনাররা ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে প্রার্থী ও নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে কোথাও কোথাও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অনেকে ভোটার উপস্থিতি এবং তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়ের কথা তুলে ধরেন।

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ ওয়াহিদুজ্জামান ইসিতে লিখিত অভিযোগ দেন, সেখানকার দুজন পুলিশ কর্মকর্তা তাঁর তিনজন কর্মীর বাসায় গিয়ে হুমকি দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার ফকিরহাট উপজেলার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম এবং বাগেরহাট জেলার ডিবির ওসি স্বপন রায়কে সরিয়ে নতুন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেয় ইসি।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ভোটের দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, প্রার্থীর জনপ্রিয়তা কেমন, এসবের ওপর ভোটার উপস্থিতি নির্ভর করবে। ভোটের হার বেশি হলে ইসি খুশি, কিন্তু না হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

দ্বিতীয় ধাপে আজ ভোট হচ্ছে ১৫৬টি উপজেলায়। এর মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে ২৪টি উপজেলায়। দ্বিতীয় ধাপে মোট প্রার্থী আছেন ১ হাজার ৮২৪ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী আছেন ৬০৩ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৬৯৩ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী আছেন ৫২৮ জন।

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাতটি উপজেলায়, ভাইস চেয়ারম্যান পদে আটটি উপজেলায় এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতটি উপজেলায় একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামের রাউজান ও কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় ভোট গ্রহণের দরকার হচ্ছে না। এ দুই উপজেলার সব পদেই একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।


আরও খবর



আনারুল ভাইয়ের এজেন্ট ছাড়া আর কোন এজেন্ট থাকতে পারবেনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image
মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর বড় ভাই ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল বলেছেন, আগমী ৮ তারিখের নির্বাচনে শুধুমাত্র আনারুল ইসলামের (মোটরসাইকেল) প্রতীক ছাড়া অন্য কোন এজেন্ট থাকতে পারবে না। এই আশরাফপুর গ্রামে কোন এজেন্ট থাকবে না। শুধু আনারুল ভায়ের মার্কায় সিল মারা হবে। আর কোন মার্কায় সিল মারতে দেওয়া হবে না।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যা ৬টায় সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামের স্কুল পাড়া ৭নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আয়োজনে মতবিনিময় সভাতে ইকবাল হোসেন তাঁর ২ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড বক্তব্যে তিনি এমন কথা বলেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

মতবিনিময় সভাতে ইকবাল হোসেন বলেন, আনারুল ভাইসহ আরো প্রার্থী আছে। আনারুল ভাই যদি নির্বাচনে না দাড়াতো তা হলে আমি ভোট করতে আসতাম না। আনারুল ভাই একজন যোগ্য প্রার্থী। উপজেলা চেয়ারম্যান এমন একজনকে করতে হবে যে টোটাল উপজেলা আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখতে পারে। যে ব্যাক্তি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ জনগনের সুখে দুখে পাশে থাকতে পারবে। যে নিজের জমি বেঁচে আওয়ামী লীগকে টিকাতে পারবে সেই ধরণের লোক আমরা উপজেলাতে চাই। আনারুল ভাই ছাড়া এই ধরণের কোন লোক নেই। আর কোন প্রার্থী নেই। তাই আজকে সেই ১৯৭০ সালের নির্বাচনে মত ওই রকম ভোট চাই আনারুল ভাইয়ের জন্য। এক চেটিয়া ভোট হবে শুধু মোটরসাইকেলে। প্রত্যেকটি সেন্টারে মোটরসাইকেল জিতবে। আমরা শহরের লোকজন বুঝেছি যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে। আনারুল ভাইকে আমরা প্রতিটি সেন্টারে ব্যাপক ভোটে বিজয়ী করবো। এই আশরাফপুর গ্রামে কোন এজেন্ট থাকবে না। শুধু আনারুল ভাইয়ের মার্কা মোটরসাইকেল মার্কায় সিল মারতে হবে। অন্য কোন মার্কায় সিল মারতে দেওয়া হবে না। 

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধরাণ সম্পাদক ইব্রাহিম শাহীন বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রীর ভাই ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি যদি এমন বক্তব্য দেয় তাহলে উপজেলা নির্বাচন জনগণের কাছে কতটুকু গ্রহনযোগ্য হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এগুলো নির্বাচনী আচরণবীধি লঙ্ঘন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আকারে অভিযোগ জানানো হবে। 

এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ইকবাল হোসেন বলেন, আমদহ এলাকায় সাবেক চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম ওই এলাকায় খুব জনপ্রিয় নেতা। আমি এই কারণে অন্য কোন প্রার্থীর এজেন্ট পাওয়া যাবে না বলে কথা বলতে গিয়ে এমন কথা বেরিয়ে গেছে। বিষয়টি ওইভাবে মনে করার কিছু নেই।

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি হাসেম আলী (আনরস), জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম শাহীন (কাপ পি‌রিচ), জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান (ঘোড়া) এবং আমদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সদস্য আনারুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) প্রতীকে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছেন। 

সদর উপজেলা পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসেম আলী (চশমা) এবং মোঃ শাহিন (টিউবওয়েল) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মেহেরপুর সদর উপজেলায় দুজন প্রার্থীর মধ্যে লতিফুন্নেসার লতা (বৈদ্যুতিক পাখা), সামিউন বাছিরা পলি (হাস)। আগামী ৮ মে প্রথম দফায় সদর এবং মুজিবনগর এবং দ্বিতীয় দফায় ২১ মে গাংনী উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আরও খবর



সৈয়দপুরে মা ও মেয়ে একসাথে উত্তির্ন এস এস সি পরিক্ষায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুর পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরর ও প্যানেল মেয়র-৩ সাবিয়া সুলতানা ও তার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তির্ন হয়েছেন।

ওই পরিক্ষায় প্যানেল মেয়র সাবিয়া সুলতানা পেয়েছেন জিপিএ-৩.৬৪ ও মেয়ে মোহিনী পেয়েছেন ৩.৫০ পয়েন্ট।মা পড়াশোনা করেছেন আসমতিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে আর মেয়ে শহরের ইসলামিয়া স্কুল থেকে। 

শিক্ষার যে কোন বয়স নেই তার প্রমান করলেন মা সাবিহা সুলতানা। এঘটনায় সৈয়দপুর শহর আলোচনায় মুখরিত। 

সাবিহা সুলতানা বলেন, আমার মা ছিলেন সৈয়দপুর পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিল। নবম শ্রেনিতে যখন পড়তাম তখন আমার বিয়ে দেয়া হয়। স্বামী চাকরি করতেন পৌর পরিষদের অধিনে। তার ইচ্ছে ছিল আমাকে পড়াশোনা করাবে কিন্তু  শ্বশুর বাড়ির লোকজন চাইতেন না বলেই পড়াশুনা করতে পারিনি।  প্রায় দশ বছর আগে আমার মা মারা যাওয়ায় জনগনের চাপের মুখে আমি সংরক্ষিত আসনে নির্বাচন করি। ওই নির্বাচনে জনগণ আমাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত করেন। পরপর দুইবার  কাউন্সিল নির্বাচিত হলে বর্তমান পৌর মেয়র ও এলাবাসী আমাকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বলে।  সবার অনুমতি নিয়ে আবার পড়াশুনা শুরু করি। কারন, পড়াশুনার যে কোনো বয়স বা বিকল্প নেই বলে তা আমি জানতে পেরেছি । ভর্তি হই আসমতিয়া দাখিল মাদ্রাসায়। মেয়ে এস এস সির ফরম ফিলাপ করে ইসলামিয়া স্কুল থেকে, আর আমি আসমতিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে। মা ও মেয়ে একসাথে এস এস সি পরিক্ষায় উত্তির্ন হয়ে খুব ভালো লাগছে।  তিনি সকল মা দের বয়স না দেখে শিক্ষিত হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। 


আরও খবর