Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

সোনালী শীষেই দুলছে তানোরের কৃষকের স্বপ্ন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৩০৩জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:দিগন্ত মাঠ জুড়ে সোনালী শীষ হাওয়ায় দুলছে, সেই শীষে রয়েছে হাজারো কৃষকের স্বপ্ন। রাজশাহীর তানোর উপজেলা জুড়ে রোপা আমন ধানে পাক ধরেছে। এক সপ্তাহের আগেই কৃষকের রক্ত ঘামের রোপা আমন ধান কাটা শুরু হবে। উপজেলার আনাচে কানাচে রোপা আমনের চাষ হয়ে থাকে। ধান কাটা শুরু হবে এজন্য কৃষানীরা বাড়ির খৈলান পরিস্কার করা শুরু করেছেন। কারন রোপা আমনের ফলন সারা বছরের খরচের জোগান দাতা। প্রতিটি মাঠে ধানের পাতা লাল ও শীষে সোনালী কালার ধারন করেছে। সব মাঠেই কমবেশি একসাথে কাটা শুরু হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।তালন্দ এলাকার তরুন কৃষক মিলন মৃধা এবার ৩৫ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ধানের শীষে পাক ধরেছে। ৩৫ বিঘায় সুবন স্বর্না জাতের ধান লাগিয়েছেন। ১২/১৪ দিনের মধ্যে কাটা শুরু হবে। অন্য বারের তুলনায় এবার খরচ হয়েছে দ্বিগুন টাকা।

নারায়নপুর গ্রামের কৃষক মইফুল বলেন এবারে ২০ বিঘা জমিতে রোপা আমনের চাষ করেছি। সব ধানে পাক ধরেছে। ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে কাটা শুরু হবে।
মালার মোড়ের হোটেল ব্যবসায়ী আইয়ুব জানান, ৫ বিঘা জমিতে ধান রয়েছে। তেমন রোগবালা নাই। তবে রোপনের পরে সময় মত বৃষ্টির পানি হয়নি। রোপন ও তার পরে তীব্র খরতাপ থাকলেও পরে থেকে আবহাওয়া অনুকুলে রয়েছে। কমবেশি সবার ধান এক সাথে কাটা পড়বে। 
সরেজমিনে, উপজেলার চান্দুড়িয়া, রাতৈল, জুড়ানপুর, গাগরন্দ, সরনজাই, কাজিপাড়া, সরকারপাড়া, মন্ডলপাড়া, ভাগনা, সিধাইড়, মানিক কন্যা, শুকদেবপুর, আমশো, জিওল, চাদপুর, বুরুজ, ভদ্রখন্ড, কাশিমবাজার, কালিগঞ্জ, মোহর, আকচা, দেবিপুর, লাললুর,বিনোদপুর, বিলশহর, নারায়নপুর, কালনা, পাক চাদপুর, ইলামদহী, দুবইল, সাহাপুর, যোগিশো, কৃঞ্চপুর, কচুয়া, মোহাম্মাদপুর, পাচন্দর, চুনিয়াপাড়া, চিমনা, যশপুর, মুন্ডুমালা, বাধাইড়, জুমারপাড়া, তানোর পাড়া, আড়াদিঘি, সিন্দুকাই, গোল্লাপাড়া, গুবিপাড়া, ধানতৈড়, চাপড়া, তালন্দ, সুমাসপুর, হরিপুর, কুযিশহর, আজিজপুর, চন্দনকোঠা, দরগাডাংগা, কলমা, বিল্লি, চৌরখৈর, নড়িয়াল, হরিপুর, ছাঐড়, হাতিশাইল, হাতিনান্দা, কামারগাঁ, বাতাসপুর, মাদারিপুর, পারিশো দূর্গাপুর, ধানুরা, মালশিরাসহ উপজেলা প্রতিটি মাঠে ধানের শীষে সোনালী কালার হয়ে আছে।
কৃষকরা জানান,  রোপা আমন রোপনের পর এক দেড় মাস চরম প্রতিকুল আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে। প্রচন্ড খরার কারনে ব্যাপক আগাছা হয়েছিল। বিঘায় নিম্মে ৪ হাজার উর্ধ্বে ৬ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে। এটা শুধু খরার কারনে। আবার সার কীটনাশকের দামও বাড়তি। রোপন থেকে উত্তোলন পর্যন্ত প্রকার ভেদে ১৪ হাজার থেকে ১৭/১৮ হাজার টাকা খরচ হবে। বর্তমান বাজার অনুযায়ী ২০ মন ফলন হলে খরচের টাকা উঠবে। তবে খড়টা লাভ।
কৃষি শ্রমিক মোস্তফা জানান, প্রায় এক মাস ধরে কোন কাজ নেই। ৭/৮ দিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু হবে। ধান কাটা শুরুও হবে আবার দ্রুত শেষও হবে। কারন এধান জমি থেকে তুলামাত্রই আলু রোপনের জন্য জমি চাষ শুরু হবে।তানোর পৌরসভার বিএস এমদাদ, তালন্দ ইউপির বিএস শৈয়ব ও মাদারিপুর এলাকার বিএস আকবর আলী জানান, এবারো ধানের বাম্পার ফলন হবে। কারন সার্বক্ষণিক কৃষকদের মাঝে থেকে পরামর্শ মাঠ দিবস করে সচেতন করা হয়েছে ব্যাপক ভাবে। এজন্য রোগবালা নাই।উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন,   চলতি মাসের শুরুতে ভারি বর্ষনের কারনে নিচু এলাকার রোপা আমন ধান কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এবারে উপজেলায় রোপা আমন চাষ হয়েছে ২১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে। যেখানেই সমস্যার কথা শোনা হয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিকার করা হয়েছে। যার কারনে রোগবালা নেই। আশা করছি রেকর্ড পরিমাণ ফলন হবে।


আরও খবর



কোনাপাড়া আল আমিন রোডে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃডেমরায় অসহনীয় গরম থেকে বাঁচতে বৃষ্টির আশায় আল্লাহর কাছে দোয়া ও ক্ষমা চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন কোনাপাড়া  আল-আমিন রোড এলাকার মুসল্লিরা। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ডেমরা থানা এলাকার কোনাপাড়া  আল-আমিন রোড প্রধান সড়কে সালাতুল ইসতিসকারের নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।

এলাকার মানুষের সার্বিক সহযোগিতায় ইসতিসকার সালাত আদায় ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন কোনাপাড়ার দোতলা মসজিদ খ্যাত বাইতুল তাকওয়া জামে মসজিদের  ইমাম ইমামুল হাসান।

সালাত আদায়ের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই দলে দলে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা নামাজে অংশগ্রহণ করতে আল আমিন রোড প্রধান সড়কে একত্রিত হন।সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায়ের জন্য এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রধান সড়ক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নসহ আগত মুসল্লিদের জন্য সুপেয় পানি ও শরবতের ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় কোনাপাড়া, ডগাইর এলাকাসহ আশপাশের মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন ও মুসল্লিরা সালাতুল ইসতিসকার নামাজে অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৭৪জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ইসরায়েলি বাহিনী আবারও অসহায় ফিলিস্তিনিদের উপরে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করেছে। এতে আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক  প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮৬ জন আহত হয়েছেন।

গাজা অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের একটি অস্থায়ী রায়কে লঙ্ঘন করে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ কোনো ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান এবং স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইসরায়েলি এই হামলায় ফিলিস্তিনের শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জা, হাসপাতাল ও স্কুলসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এর ফলে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৪,২৫০ জন নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।


আরও খবর



রানা প্লাজা ধস: সাক্ষ্যগ্রহণেই পার ১১ বছর

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৮৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:১১ বছর ধরে সাক্ষ্যগ্রহণেই ঘুরপাক খাচ্ছে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির অবহেলাজনিত হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় । এ মামলায় মোট ৫৯৪ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র ৮৫ জন। ফলে সর্বোচ্চ আদালতের বেঁধে দেওয়া ৬ মাসের মধ্যে মামলা শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় আইনজীবীদের।

রানা প্লাজার দুর্ঘটনা পুরো বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছিল। এরপর কারখানার কর্মপরিবেশ ঠিক করতে চাপ পড়ে দেশের পোশাক শিল্পের ওপর।

এ ঘটনায় অবহেলায় হত্যার অভিযোগের প্রমাণ মেলে। ২০১৫ সালে সিআইডি ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। বিচার শুরু হয় পরের বছর। এরপর একের পর এক আসামি হাইকোর্টে যাওয়ায় মামলাটির বিচার থমকে থাকে ২০২২ সাল পর্যন্ত।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল সমদ্দার জানান, মূল আসামি রানা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকেন। আবার তাকে জেলখানা থেকে আনলে তার পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে চিৎকার-হট্টেগোল করেন।

রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় সাক্ষী করা হয় ৫৯৪ জনকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র ৮৫ জন। ফলে বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দিয়েছে। কবে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে কেউ জানে না।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল সমদ্দার আরও জানান, সাক্ষী যদি না আসে তাহলে বিচারকের কিছু করার থাকে না। এখানে আদালত নিরূপায়। তারপরও আমরা সবরকম চেষ্টা করছি, যতো দ্রুত সম্ভব মামলা শেষ করতে।

এদিকে গেলো ১৫ জানুয়ারি রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার পক্ষে আপিল বিভাগে জামিন চান তার আইনজীবী। সেখানে আপিল বিভাগ সাফ জানিয়ে দেন জামিন হবে না রানার। তবে এ মামলা ৬ মাসে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।

সঠিক বিচারে সবার সাজা হবে জানিয়ে অবস্থায় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলছেন, এখানে জড়িত মালিক থেকে শুরু করে দেখভালের দায়িত্বে থাকা পৌরসভা সবার বিচার হবে। কেউ ছাড় পাবে না। তাদের গাফিলতিতে এতো মানুষের প্রাণ গেছে।

রানা প্লাজা মামলায় আসামিদের পক্ষে কথা বলতে রাজি হয়নি কোনো আইনজীবী। গেলো ২১ এপ্রিল এ মামলায় সবশেষ ৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়। ২৮ জুন এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৫ জন নিহত এবং ১ হাজার ১৬৯ জন গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গু হয়ে যান। এ ঘটনায় মোট মামলা হয় ২০টি। এর মধ্যে তিনটি হচ্ছে ফৌজদারি মামলা। শ্রমিক নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা করে পুলিশ। অন্যদিকে ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। খুনের মামলা ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। ইমারত আইনের মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে। এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে।


আরও খবর



বগুড়ার শাজাহানপুর ইউএনও অফিসে রহস্যজনক চুরি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ২৫জন দেখেছেন

Image
লতিফ-বগুড়া-বিশেষ প্রতিনিধি:বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় অফিসে রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটেছে।

ইউএনও বিদায় আগের দিন তার অফিস থেকে ৪টি হার্ডডিস্ক,১ টি ল্যাপটপ সহ ২টি সিসি ক্যামেরা উধাও হয়েছে বলেছে জানা গেছে।রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে শাজাহানপুর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করতে উপজেলা প্রশাসনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম থানায় অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম।

সম্প্রতি ইউএনও তাহমিদা আক্তারকে নানা সমালোচনার মুখে শাজাহানপুর উপজেলা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলায় বদলী করা হয়েছে।গত সোমবার (৮ এপ্রিল) রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মাঠ প্রশাসন শাখা থেকে সিনিয়র সহকারী কমিশনার প্রিয়াংকা দাস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য পাওয়া যায়।স্থানীয় সচেতন এলাকাবাসী জানায়, ইউএনও বিদায়ের আগেরদিন অনিয়ম দুনীতি তথ্য মুছে ফেলতে তার রুমে অফিস থেকে ৩ টি কম্পিউটার হার্ডডিস্ক,১ ল্যাপটপ ও ২টি সিসি ক‍্যামরাসহ হার্ডডিস্ক উধাও হওয়ার মিথ্যা অভিযোগ উঠতে পারে।সঠিক তদন্তের দাবী জানিয়েছে তারা।

আরও খবর



মোরেলগঞ্জে ১০২ তম বারুনী স্নানোৎসবে লাখ ভক্তের ঢল

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

শেফালী আক্তার রাখি, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট):বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে শ্রীধাম লক্ষীখালী গোপাল সাধু ঠাকুরের সেবাশ্রামে ১০২ তম বারুনী স্নানোৎসব ও গোপাল চাঁদ মেলায় নারী-পুরুষ পুজারী লাখ ভক্তের ঢল। ঢাক, ঢোল, নিশান বাদ্যযন্ত্র সহকারে “হরিবল, হরিবল” নামে মূখরিত ভক্তদের বসেছে যেন এক মিলন মেলা।

৩ দিনব্যাপী মেলা শনিবার সকাল থেকেই মেলায় স্ননোৎসবকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, বেতাগী, বামনা, মির্জগঞ্জ, ঝালকাঠী, কাঠালিয়াসহ বিভিন্ন প্রান্তের মতুয়া ভক্তরা সমবেত হয়েছেন। প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যেও এবারে এ উৎসবকে ঘিরে নানা আয়োজন প্রসাদ বিতরণ, ভক্তদের উৎসবে যেন কোন কমতি নেই। দলে দলে হাজার হাজার মতুয়া ভক্তরা পায়ে হেটে, নৌ ও সড়ক পথে পাড়ি জমিয়েছে লক্ষীখালী বারুনী স্ননোৎসবে।

এ দিকে প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও শ্রী শ্রী হরিগুরু চাঁদ ঠাকুরের ২০১৩ তম শুভ জয়ন্তী জন্ম স্বরনে বাংলা ১৩২৮ সালে থেকে মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের লক্ষীখালী গ্রামে তারই ভক্ত গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুরের শ্রীধামে ৩দিন ব্যপি বারুনী ¯স্নানোৎসবে মতুয়া ভক্তদের মিলন মেলা বসেছে। দিনরাত অবিরাম প্রসাদ বিতরণ চলছে।

ত্রায়দশী তিথি অনুয়ায়ী সোমবার পর্যন্ত চলবে। এ অনুষ্ঠানে ভক্তদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক সহযোগীতায় প্রশাসন কাজ করছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও সহযোগীতা করছে।

এ মেলায় রবিবার সকাল ১০ টায় উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের সংসদ সদস্য এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, দুপুর ১২ টায় সহকারি হাই কমিশনার ইন্দ্রজিৎ সাগর, বাংলাদেশ মতুয়া সংঘের কার্যকরী সভাপতি শ্রী সুব্রত ঠাকুর।

বারুণী স্নানউৎসবে মতুয়া মেলায় নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছেন বলে শ্রীধাম লক্ষীখালীর গদীনশিন সেবাইত সাগর সাধু ঠাকুর জানিয়েছেন।


আরও খবর