Logo
আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম
জয়কে হত্যাচেষ্টার মামলা

শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানের ৭ বছর কারাদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৭ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ২৮৪জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ ৫ জনকে ৭ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ড পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

দণ্ডপ্রাপ্তদের একটি ধারায় পাঁচ বছর এবং আরেক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলগুলোর উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয় নিজে আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।


আরও খবর

স্বর্ণের দাম আরও কমল

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ২৫জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়” এর শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় বিদ্যালয় হলরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ডোমার পৌর কাউন্সিলর আখতারুজ্জামান সুমন এর সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ১৯১৯ সালে ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালে বিদ্যালয়টির বয়স শত বছর হলেও বিভিন্ন কারনে সেই সময় শত বছর উদযাপন করতে পারেনি। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরামর্শে বিদ্যালয়ের শত বছর উদযাপনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। আগামী ঈদুল আযহা এর ৩য় দিনে শতবর্ষ উদযাপন করা হবে। বর্তমানে রেজিস্ট্রেশনের কাজ চলছে যার শেষ সময় আগামী ২০ মে পর্যন্ত। শতবর্ষ উদ্যাপনের রেজিস্ট্রেশন ফি ১৯১৯-২০১৫ ব্যাচ ১০০০ টাকা। ২০১৬/২০১৭/২০১৮ ব্যাচ ৭০০ টাকা এবং ২০১৯ থেকে ২০২৪ ব্যাচ ৫০০ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান সফল করতে কেউ চাইলে নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফির অতিরিক্ত দিতে পারবেন, সেক্ষেত্রে যত টাকা দিবেন সেই পরিমান রশিদে লিখে রশিদ সংগ্রহ করতে হবে।যারা আগে ৩০০ টাকা দিছে তারা রশিদ সহ বুথে বা প্রতিনিধির নিকট রেজিস্ট্রেশন করবে, রশিদ না থাকলে স্কুলে গিয়ে

রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ফরমের সাথে ছবি ও মোবাইল নম্বর সহ নির্ধারিত ফর্ম নিজ দায়িত্বে পুরন করে জমা দিতে হবে।বর্তমানে স্কুলে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী ৫০০ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। এ সময়ের বিদ্যালয়ের সকল বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আহ্ধসঢ়;বান জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্ধসঢ়;বায়ক ও অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রুহুহুল আমিন, কমিটির সহযোগী শিক্ষক হারুন অর রশিদ, ম্যােিনজিং কমিটির সদস্য বেলাল হোসেন, উজ্জল কাঞ্জিলাল, মামুনুর রশিদ বসুনিয়া সজিব, প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



জনগণের সেবা নিশ্চিত করলে ভবিষ্যতে ভোটের চিন্তা থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৬৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে ভোটের চিন্তা থাকবে না,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । জনগণের উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে আওয়ামী লীগ। লক্ষ্য স্থির রেখে পরিকল্পনার জন্যই দেশে দারিদ্র্যতা হ্রাস পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটির মেয়র কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য জাতির পিতা প্রথমে ইউনিয়ন পর্যায়ে দশ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করার ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। তিনি সম্পন্ন করতে পারেননি। আমি সরকারে আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিক করলাম। স্থানীয় লোক সেখানে জমি দেয়, আমরা ভবনের ব্যবস্থা করা, চিকিৎসার সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা, স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ দিয়ে সেখানে নিয়োগ দেই। ৩০ ধরনের ওষুধ আমরা বিনামূল্যে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, আপনারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে এসবের দিকে নজর দেবেন। স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো সঠিকভাবে চলছে কিনা তার খবর রাখবেন। মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে কিনা। মানুষ সেবা পাওয়াটাই বড় কথা।

নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে ভোটের কোনো চিন্তা থাকবে না। মানুষ আপনাদের ওপর আস্থা রাখবে, বিশ্বাস রাখবে। এই কথাটা আপনারা মাথায় রাখবেন। জনসেবার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন, সেটাই আমরা চাই।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে শপথ নেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ইকরামুল হক (টিটু) ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার সূচনা। এ সময় শপথ নেন কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, ব্রাক্ষণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের কাছে শপথ নেন ময়মনসিংহ সিটির ৪৪ জন কাউন্সিলর।


আরও খবর

স্বর্ণের দাম আরও কমল

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




সাসটেইনেবিলিটি এক্সিলেন্সের জন্য ‘ইকোভাডিস সিলভার মেডেল’ পেল সিগওয়ার্ক

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পরিবেশে টেকসই উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য আবারও ইকোভাডিস সিলভার মেডেল রেটিং পেয়েছে প্রিন্টিং কালি ও কোটিং প্রস্তুতকারী কোম্পানি সিগওয়ার্ক ড্রাকফারবেন এজি অ্যান্ড কোং কেজিএএ।   এর আগে ২০২২ সালেও এই মেডেল অর্জন করে জার্মান এই কোম্পানিটি। 

এর মধ্য দিয়ে বর্তমান ইকোভাডিস রেটিংয়ে সিগওয়ার্ক নিজের শিল্প খাতের শীর্ষ ১৮% কোম্পানির মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। এই উন্নতি ব্যবসায়িক ইউনিট ও অঞ্চল জুড়ে টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠানের দৃঢ়  প্রতিশ্রুতির বিষয়টি তুলে ধরে।

ইকোভাডিস একটি বৈশ্বিক সাসটেইনেবিলিটি রেটিং প্রদানকারী সংস্থা। বিভিন্ন কোম্পানির পরিবেশগত, সামাজিক ও নৈতিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে তাদের মূল্যায়ন করে সংস্থাটি। পরিবেশগত প্রভাব, শ্রম ও মানবাধিকার, নৈতিকতা এবং টেকসই উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের পারফরম্যান্সের বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে থাকে ইকোভাডিস। 

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৩ সালের স্কোরকার্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল পরিবেশগত উন্নয়ন। এই অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে টেকসই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, নিঃসরণ কমানো এবং সার্কুলার প্যাকেজিং সমাধান। এই ক্যাটাগরিতে সিগওয়ার্ক ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ৮০ পয়েন্ট অর্জন করেছে।

অনুমোদিত বিজ্ঞান-ভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা উদ্যোগের (এসবিটিআই) ক্ষেত্রেও বৈধতা অর্জন করেছে সিগওয়ার্ক। এতে দেখা যায়, সিগওয়ার্ক গ্রিনহাউজ গ্যাস হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা বিজ্ঞানসম্মতভাবে কমিয়েছে, যা বৈশ্বিক জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও সমানভাবে অবদান রাখে।   

সিগওয়ার্কের সিনিয়র গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি ম্যানেজার সারাহ মাহ বলেন, “কালি ও কোটিং শিল্পে টেকসই ব্যবসায়িক অনুশীলনের ওপর আমরা যে প্রচেষ্টা ও গুরুত্ব দিয়েছি, এই বর্ধিত রেটিং পারফরম্যান্স তারই একটি প্রমাণ।” 

তিনি আরও জানান, “আমরা আমাদের অর্জন নিয়ে গর্বিত। একইসাথে আমাদের কার্যক্রম ও ভ্যালু চেইনে সাসটেইনেবিলিটি বৃদ্ধির বিষয়েও আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

সিগওয়ার্কের সাসটেইনেবিলিটি সংক্রান্ত উদ্যোগ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে সিগওয়ার্কের সাসটেইনেবিলিটি পেইজ এবং সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট ভিজিট করুন।


আরও খবর



হোমনায় ছেলের হাতে মা খুন, ঘাতক ছেলে আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:কুমিল্লার হোমনায় ছেলের হাতে মা খুন হয়েছেন। নিহত মায়ের নাম রায়জনের নেছা (৬৭)।বুধবার বিকেলে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে হোমনা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে মো. বেলায়েত হোসেন তার ছোট ভাই ঘাতক আবুল হোসেনকে (৪৫) আসামী করে হোমনা থানায় মামলা করেছেন। ঘাতক ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘাতক ছেলে আবুল হোসেন দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন। গত চার বছর আগে সেখানে জেল খেটে বাড়ি চলে আসেন তিনি। বাড়িতে আসার পরে তার মধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীনতা ও অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করেন স্বজনরা। দেখা দেয় পারিবারিক অশান্তি। এর ফলে স্ত্রী ও ছেলে মেয়েরা তাকে ছেড়ে চলে যান।তাদের ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। স্ত্রী পুত্র-কন্যাহারা আবুল হোসেন তখন থেকেই তার বৃদ্ধ মাকে নিয়ে থাকতেন। পারিবাবারিক কলহের জেরে মঙ্গলবার রাতে খাবার খাওয়ার সময় মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মায়ের মাথায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করেন। সকালে ওই বৃদ্ধার ঘুম থেকে উঠতে দেরি হওয়ায় প্রতিবেশী লোকজন ডাকাডাকি করেন। এতে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে তার মৃতদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ঘাতক ছেলে আবুল হোসেন দীর্ঘদিন সৌদি আরবে থাকার পর সেখানে জেল খেটে চার বছর আগে দেশে চলে আসেন। এর পর থেকে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এর ফলে তার স্ত্রী- সন্তানরাও তাকে ছেড়ে অনত্র চলে যায়। এরপর থেকে তিনি তার মার সঙ্গেই থাকতেন। মঙ্গলবার রাতে খাবার খেতে গিয়ে মায়ের সঙ্গে রাগারাগি ও তর্কবিতর্ক হয়। পরে রাতের যেকোনো এক সময় পারিবারিরক কলহের জেরেই ধারালো কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাকে হত্যা করেন।মাথায় জখমের চিহ্ন রয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বড় ছেলে মো. বেলায়েত হোসেন বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত ছেলে আবুল হোসেনকে আটক করা হয়েছে।


আরও খবর



নতুন বছর অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১০১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলা নতুন বছর ১৪৩১ আমাদেরকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘শুভ নববর্ষ’ ১৪৩১। উৎসবমুখর বাংলা নববর্ষের এই দিনে আমি দেশবাসীসহ সব বাঙালিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’

শেখ হাসিনা বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এটি সর্বজনীন উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। আবহমান কাল ধরে নববর্ষের এই উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণ স্পন্দনে, নব-অঙ্গীকারে। সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে বাঙালি রচনা করে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে ‘পহেলা বৈশাখ’ বিশেষ স্থান দখল করে আছে। বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত মুগল সম্রাট আকবরের সময় থেকে। কৃষিকাজের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসেবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন, তা কালের পরিক্রমায় সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখ বাঙালিয়ানার প্রতিচ্ছবি। এই উদযাপন আমাদের শেকড়ের সন্ধান দেয়, এর মধ্য দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় জাতিসত্তার পরিচয়।

তিনি বলেন, বাঙালির প্রতিটি ঘরে, জনজীবনে এবং আর্থসামাজিক সংস্কৃতিতে পহেলা বৈশাখ এক অনন্য উৎসব। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে হালখাতার পাশাপাশি যাত্রাগান, পালাগান, পুতুলনাচ, অঞ্চলভিত্তিক লোকসংগীত, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন পসরা নিয়ে মেলার বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে যেমন লোকজ-সংস্কৃতি প্রাণ ফিরে পায় তেমনি দেশের অর্থনীতি তথা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমৃদ্ধ হয়, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ পূর্ণপ্রাণ নিয়ে অবারিতভাবে বেড়ে ওঠার বাতায়ন। এটি ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করতে শেখায়। অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পহেলা বৈশাখ আমাদের মনে আনে নতুন তেজ। একারণেই আমরা দুর্বার প্রতিরোধে রুখে দিতে পেরেছি পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক অপশক্তিকে, যারা বাঙালির ঐতিহ্য নস্যাৎ করতে চেয়েছিল।

তিনি বলেন, আত্মপরিচয় ও স্বীয় সংস্কৃতির শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম মুক্তির সংগ্রামে। সংস্কৃতি ও রাজনীতির মিলিত স্রোত পরিণত হয়েছিল স্বাধিকার ও স্বাধীনতার লড়াইয়ে। এভাবেই বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি লালনের মাধ্যমে বিশ্বসমাজে বাঙালি শ্রেষ্ঠ জাতি হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো ২০১৬ সালে পহেলা বৈশাখের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নববর্ষের-এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সারাবিশ্বের বাঙালির জন্য নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক, উদারনৈতিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের ভাবাদর্শে আজীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন তার মূলমন্ত্র জাতিগত ঐতিহ্য ও অহংকার। একারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং দেশ পুনর্গঠনে কাজ করেছে তাঁর অভিন্ন চেতনা। আমরা বীরের জাতি, এ জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কাল থেকে কালান্তরের পথ পরিক্রমায় বাঙালির অর্জন ও অগ্রগতি চির ভাস্বর হয়ে থাকবে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে চলি। সুখী, শান্তিময়, আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। কবিগুরুর ভাষায়...

‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা। রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি, আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক। এসো হে বৈশাখ এসো, এসো...’


আরও খবর

স্বর্ণের দাম আরও কমল

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪