Logo
আজঃ বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তির সংগ্রাম চলছে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তির সংগ্রাম চলছে। তার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছি।

আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সরকার সংবিধানের ওপর আঘাত এনেছে, কলঙ্কিত করেছে। আওয়ামী লীগ সংবিধানের মর্যাদা রক্ষা করে সে আলোকে আগামী নির্বাচনে যেতে চায়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানের পথের বাধা সাম্প্রদায়িক শক্তির বিষবৃক্ষকে উপড়ে ফেলা হবে।

এর আগে, সকাল ৭টার দিকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে সেখানে দাঁড়িয়ে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।

এরপর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতারা ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।


আরও খবর



নাওডোবায় ওরশ এর মেলায় চলছে মাদকের অবাধ ব্যাবহার

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শরীয়তপুর জেলার, নাওডোবা পদ্মা দক্ষিণ থানা এলাকার মজিদ মোড়ল কান্দিতে মরহুম আব্দুল হালিম মিয়া বয়াতির বার্ষিক ওরশ মাহফিল উপলক্ষে ১৯-২১ মার্চ পর্যন্ত ৩ দিনের জন্য ওরশ মাহফিল এর আয়োজন করা হয়।

 গত শনিবার থেকেই দেখা নির্ধারিত সময়ের আগেই মাতাল পাগলদের মাদক সেবনসহ মাদক ব্যবসার অন্যরকম অসামাজিক পাগলামি,ভুলের পাগলের আস্তানায় পাগল মেলার নামে দীর্ঘ দিন ধরে মাদকের রমরমা ব্যবসা, অভিযোগ পাওয়া গেছে ওরশ উদযাপন কমিটি মরহুম আব্দুল হালিম মিয়া বয়াতির বড় ছেলে নিশান এর বিরুদ্ধে, এদিকে ওরশ আয়োজক কমিটি প্রশাসনের অনুমতির নিয়ম নীতিমালার তোয়াক্কা না করেই অদৃশ্য ক্ষমতার বলে স্থানীয় সন্ত্রাসী ও নাওডোবা মজিদ মোড়ল কান্দির,মোতালেব হাওলাদারের জামাতা মোহাম্মদ আবুল,ও নাওডোবা গোল চত্বর সংলগ্ন ফুট এক্সপ্রেস রেস্টুরেন্ট এর মালিক সেনাবাহিনী পরিচয় দানকারী মোঃ তরিক মিয়া সহ উল্লেখিত এলাকার কতিপয় ব্যাক্তিদের ম্যানেজ করে নাওডোবা মজিদ মোড়ল কান্দি এলাকায় বেআইনী ভাবে পাগল মেলা বসিয়ে মাদকের আস্তানা গড়ে তোলায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সচেতন মহল।পদ্মা দক্ষিণ থানার ১ কিলোমিটারের মধ্যে পাগল মেলার নামে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসার ঘটনায় প্রশাসনের নিরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।তথ্য সূত্রে জানা গেছে, নাওডোবাএলাকায় ভূলের পাগলের আস্তানায় ওরশ শরীফ আয়োজন করে উল্লেখিত বাউল সম্রাট ও বাউলশিল্পী মরহুম আব্দুল হালিম মিয়া বয়াতির বড় ছেলে নিশান, ওরশ মোবারক উপলক্ষে প্রশাসনের কাছ থেকে বাউল গান ও মিলাদ মাহফিল এর ৩ দিনের অনুমতি পায়, কিন্তু অনুমতি পত্রে যে সকল নিয়ম এবং শর্ত থাকে তার কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে ১৯ মাচ থেকে নাওডোবা মজিদ মোড়ল কান্দি এলাকায় পাগল মেলা আয়োজন করে। পাগল মেলা বসার আগের দিন থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মাদকাসক্তারা সে ওরশ মাহফিল অনুষ্ঠানে ভিড় করতে দেখা গেছে।নাওডোবা বাজার মসজিদের ইমাম, মাওলানা, মুসল্লী গন, নাওডোবা আমজাদিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক, অন্যান্য শিক্ষকরা এবং এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এবং অভিযোগকারীদের সাথে আলাপ কালে তারা, দৈনিক সময়ের কণ্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক দের, আক্ষেপ ও নিন্দার সাথে জানায় যে মরহুম আব্দুল হালিম মিয়া বয়াতি একজন শিল্পী, হিসেবে দেশবাসী চিনে কিন্তু তার আরো অনেক কিছুই আছে জানার মরহুম আব্দুল হালিম মিয়া বয়াতি দেশ-বিদেশ গান গাইয়া যে অর্থ উপার্জন করতো সেখান থেকে অধিক অংশ টাকা এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিত এবং মরহুম আব্দুল হালিম মিয়া বয়াতি নিজে একজন ধার্মিক ও গুণী ব্যক্তি ছিলেন আমরা এলাকাবাসী প্রতিবছর তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নফল রোজা, নামাজ পড়ে মন থেকে দোয়া করি এবং শোক পালন করি , কিন্তু তার বড় ছেলে নিশান এলাকার কিছু সন্ত্রাসী ,দুষ্কৃতী মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে মিলেমিশে মেলা নামক ৩ দিনের আনন্দ উৎসব গোরে তুলেন, পুতুল নাচের নামে নর্তকী দিয়ে গান এবং নৃত্য পরিবেশন এবং এই মেলায় এমন সব বিনোদন থাকে যে গুলো ফ্যান্টাসি, ও নন্দন পার্কের মত জায়গায় দেখা যায়, আমাদের দেশে এই সমস্ত বিনোদন চালাতে হলে, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ সরকারের আরো বড় বড় কর্মকর্তাদের অনুমতি লাগে, কিন্তু আব্দুল হালিম মিয়া বয়াতির ছেলে নিশান প্রশাসনের কোন তোয়াক্কা না করে এই সকল কার্যকলাপে লিপ্ত, এবং এলাকার কেউ এই সমস্ত মাদক ব্যবসা অসামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বাধা দিতে গেলে, নিশান ক্ষোভের সাথে হুমকি প্রদান করেন যে শরীয়তপুরের সার্কেল এসপি আমার বন্ধু বাড়াবাড়ি করলে মাদক মামলায় চালান করিয়ে দিব,মেলায় ঘুরে আরো দেখা যায় এবং দোকান মালিকরাও অভিযোগ করেন প্রতিটি দোকান হইতে তরিক গং জোর পূর্বক আমাদের কাছ থেকে ,১০০০০-১৫০০০ টাকা আদায় করে নিচ্ছে,সেখানে ওরশ মাহফিল অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন এলাকার পাগল মাস্তানরা নাওডোবা এলাকায় অবস্থান করে সেখানে মাদকের পসড়া বসিয়ে প্রকাশ্যে বিভিন্ন প্রকার মাদক বিক্রি করে আসছে আর সে পসড়ায় ভিড় করছে এলাকার উঠতি বয়েসের যুবকরা,ওরশ মাহফিল অনুষ্ঠানের নামে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি ও মাদক সেবনের ঘটনায় নাওডোবা এর আশে পাশের এলাকা গুলোতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। পাগল মেলার নামে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা বন্ধ করে যুব সমাজকে রক্ষা করার জন্য , শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, এর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নাওডোবা মসজিদ কমিটি, স্কুলের শিক্ষকবৃন্দও স্থানীয় শান্তি প্রিয় এলাকাবাসী।


আরও খবর



কোনো আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর চাপে বিএনপিকে ডাকা হয়নি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ২৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: সংলাপের জন্য নয়, বিএনপিকে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এর সঙ্গে সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন,‘আমরা গণমাধ্যমে দেখলাম অনেকে লিখেছেন, বিএনপিকে চিঠি দেওয়া সরকারের কূটকৌশল। তবে আমি বলছি, বিএনপিকে চিঠি দেওয়ার পেছনে সরকারের কোনো কূটকৌশল নেই। বরং এটা ইসির কূটকৌশল হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘সরকার ইসির ওপর চাপ দিলে যে ডাকা হবে বিষয়টা ওরকম না। এখানে সরকারের কোনো রকম সংশ্লিষ্টতা নেই। সরকারের আজ্ঞাবহ কোনো কাজ নির্বাচন কমিশন করে না।

বিএনপির মতো একটি দলকে নির্বাচনে আনতে পারলে ভালো হয় উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সেজন্যই অনানুষ্ঠানিকভাবে ডেকেছি। কোনো আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর চাপে বিএনপিকে ডাকা হয়নি। সব নির্বাচন কমিশনার বসেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২৩ মার্চ বিএনপি ও সমমনা দলগুলোকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

ওই চিঠিতে সিইসি লেখেন, ‘২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর ধারাবাহিকভাবে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন করে আসছি। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সংসদ নির্বাচনের কথা অনুধাবন করে আসছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বর্তমান কমিশনের প্রতি অনাস্থা ব্যক্ত করে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। আপনারা নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও আপনাদের এমন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও কৌশলের বিষয়ে কমিশনের কোনো মন্তব্য নেই।’

চিঠিতে তিনি আরও লেখেন, ‘আপনাদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হলেও কমিশন মনে করে বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আনুষ্ঠানিক না হোক, অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা বা মতবিনিময় হতে পারে। আপনাদের ইসিতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সদয় সম্মত হলে আলোচনা করে দিনক্ষণ নির্ধারণ করা যেতে পারে। প্রত্যুত্তর প্রত্যাশা করছি।’

তবে সিইসির এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক উত্তর পাঠায়নি বিএনপি।


আরও খবর



অধরা সাধ্যের ব্রয়লার মুরগিও

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;খাবারসহ অন্যান্য ব্যয় বৃদ্ধির পরও এক কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ করপোরেট প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। আর প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে খরচ পড়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। অথচ বাজারে এর দাম ৩০০ টাকা ছুঁইছুঁই। রোজার ঠিক আগ মুহূর্তে এমন দাম দেখে অনেকেরই ‘চক্ষু চড়ক গাছ’ হয়ে গেছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, গরুর পর এবার মুরগির মাংসকেও বিদায় জানাতে বাধ্য হবেন অনেক ক্রেতা।

রাজধানীর রায়েরবাজারে মুরগি কিনতে এসে বেসরকারি চাকরিজীবী মো. হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘ব্রয়লারের কেজি ২৭০-২৮০ টাকা হবে কখনো কল্পনাও করিনি। সুযোগ বুঝে রোজা শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে এক লাফে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। বাজারে যা খুশি চলছে। দেখার যেন কেউ নেই। দ্রব্যমূল্যের এ পাগলা দৌড় কে থামাবে। এত দামে মুরগি কেনা সম্ভব নয়। এখন গরুর মতো মুরগি খাওয়াও ছাড়তে হবে।’

রাজধানীর মালিবাগ বাজারে দেখা গেছে, ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২৬৫ থেকে ২৭০ টাকা পর্যন্ত। মহাখালী, সেগুনবাগিচাসহ কদমতলী এলাকার কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৭৫ টাকায়। কোথাও কোথাও ২৮০ টাকাও নেওয়া হচ্ছে।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, কাপ্তানবাজারসহ রাজধানীর পাইকারি বাজারগুলোয় দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়েছে। পাইকাররা বলছেন, সরবরাহ কমেছে। তাই বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে তাদের। খামার পর্যায়েও দাম বাড়ছে বলে জানান খামারিরা।

অথচ গত রবিবার ভোক্তা অধিদপ্তর জানিয়েছে, মুরগির খাবারসহ অন্যান্য সব ব্যয় বৃদ্ধির পরও এক কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন ব্যয় করপোরেট প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা এবং প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। এ মুরগির বিক্রয়মূল্য সর্বোচ্চ ২০০ টাকা হতে পারে। বাজারে মুরগির দাম কত হওয়া উচিত, তা আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও পোলট্রিশিল্পের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে মুরগির দাম নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশও করেছে সংস্থাটি।

এদিকে প্রান্তিক খামারিরা বলছেন, পোল্ট্রি খাতে প্রতিটি পর্যায়ে অনিয়মের কারণে বাজারে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অব্যবস্থাপনা ও নজরদারির ঘাটতির সুযোগ নিয়ে কয়েকটি চক্র অল্প সময়ে বিপুল মুনাফার চেষ্টা করছে। এর আগেও একবার মুরগি ও ডিমের বাজারে এমনটা হয়েছে। এবার রমজান মাস শুরুকে কেন্দ্র করে আবারও তারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, একদিনের বাচ্চার দাম বাড়তে বাড়তে ৬৫ টাকায় পৌঁছেছে। বাড়তি এ দামেও বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছে না।

চট্টগ্রামের পটিয়া থানার প্রান্তিক খামারি মো. শহীদুল আলম ও জয়পুরহাটের খামারি মিজবাহ-উল-হক জানান, বাচ্চা ও মুরগির দাম মুঠোফোনের এসএমএসের মাধ্যমে হুটহাট বাড়ে-কমে। গতকালও এসএমএসে একদিনের বাচ্চার দর ৬২ থেকে ৬৭ টাকা জানানো হয়েছে। এ দামেও বাচ্চা মিলছে না। সিন্ডিকেটের বাইরের কারও বাচ্চা পেতে প্রতি পিসে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। যারা করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর কন্ট্রাক্ট ফার্মিয়ে যুক্ত রয়েছেন, তারা কম দামে বাচ্চা পাচ্ছেন। অপরদিকে ভোক্তা অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠকের পরই অজানা কারণে ফিডের (মুরগির খাবার) দাম হঠাৎ বাড়িয়ে দিয়েছে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো।

বর্তমানে ব্রয়লারের একদিনের বাচ্চার দাম ৬২ থেকে ৬৭ টাকা। যদিও খামারিরা বলছেন, বাচ্চা সংকট দেখিয়ে ডিলাররা দাম আরও বেশি রাখছেন। অথচ জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেও বাচ্চার দাম ছিল মাত্র ৯ টাকা। ১৫ তারিখে দাম বেড়ে ১৫ থেকে ১৮ টাকা হয়। এরপর ২৫ তারিখে ৩০ টাকা, ২৬ তারিখে ৩৬ টাকা, ৩০ তারিখে হয় ৪০ টাকা। ২ ফেব্রুয়ারি ৩৯ থেকে ৪২ এবং ৫ ফেব্রুয়ারি ৫৩ থেকে ৫৫ টাকায় ওঠে। মার্চে আরও বাড়ে। অর্থাৎ প্রায় আড়াই মাসে দাম ৭ গুণেরও বেশি বেড়েছে। খামারিরা বলছেন, একটি বাচ্চার দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত হলে সেটা স্বাভাবিক।

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, একদিনের বাচ্চার সম্পূর্ণ বাজার বড় করপোরেট কোম্পানিগুলোর হাতে। পাশাপাশি কন্ট্রাক্ট ফার্মিয়ের নামে তারা সিন্ডিকেট গড়ে তুলছেন। গায়েবি এসএমএসে (মুঠোফোন বার্তা) হুটহাট বাচ্চার দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিন্ডিকেটের বাইরের খামারিরা বাচ্চা পাচ্ছেন না। পেলেও অতিরিক্ত দাম রাখা হচ্ছে। সব দিক থেকেই করপোরেট কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত মুনাফা করছে।

পোল্ট্রি খাতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে কারসাজিকারী চক্র ১৮০ কোটি টাকা লোপাট করেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এবারের হিসাব আরও বড় হবে। রোজা ঘিরে আবারও একটি চক্র কারসাজি করছে। এর আগেও ডিম নিয়ে বড় কোম্পানির কারসাজির তথ্য উঠে এলে সরকারি সংস্থা মামলাও করেছে। কিন্তু তার সুরাহা হয়নি। আমরা বহুবার এ তথ্য তুলে ধরছি। অথচ কারও যেন টনক নড়ছে না। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরও যেন চোখ বুজে আছে। ২০১০ সালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ১ মাসের সময় নিয়েছিল পোল্ট্রি ফিড, মুরগির বাচ্চা, ডিম ও মুরগির ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের কৌশলপত্র তৈরির জন্য। কিন্তু তা এখনো হয়নি।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, কারসাজি করে বড় লোকসানে ফেলে ছোট খামারগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। যেগুলো অবশিষ্ট রয়েছে, সেগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বাজার দখল করে নিয়েছে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। এখন তারা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করছে। সিন্ডিকেটের হাতে বাজার চলে গেলে এমনটাই হয়।

তিনি আরও বলেন, ডিম নিয়ে কারসাজির সময় আমরা দেখেছিলাম আমদানির ঘোষণায় দাম রাতারাতি কমে গিয়েছিল। এবার ডলার সংকটের কারণে মুরগি আমদানির সিদ্ধান্ত হয়তো নেওয়া যাবে না। এ কারণেই হয়তো মুরগির বাজারে কারসাজি চলছে।

কারসাজিকারীরা বাজারে নানা অনিয়ম ও মনিটরিংয়ে ঘাটতির সুযোগ নিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্রয়-বিক্রয়ে রসিদ ব্যবহার হচ্ছে না। বাজারে হাত বদলের সংখ্যা কমাতে হবে। বারবার ব্যবসায়ী সমিতির নাম উঠে আসছে। ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফা করার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমনটা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।


আরও খবর



চীন তিন বছর পর আবারও সীমান্ত খুলছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাস শুরুর পর থেকে তিন বছর পর প্রথমবারের মতো বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দিচ্ছে চীন। আগামীকাল বুধবার থেকে সব ধরনের ভিসা ইস্যু করার মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি শুরু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ২০২০ সাল থেকে করোনা মহামারির কারণে টানা তিন বছর বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা বন্ধ ছিল দেশটিতে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত মাসে দেশটির কর্তৃপক্ষ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে বিজয় ঘোষণার পর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অপসারণ করা হলো।

পর্যটন খাতকে উৎসাহিত করার জন্য ১৭ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। দেশটির এই খাত গত বছর প্রায় অর্ধ শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয় বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনের যেসব অঞ্চলে করোনা মহামারির আগে কোনো ভিসার প্রয়োজন ছিল না, সেগুলো আবারও ভিসা-ফ্রির আওতায় আসবে। এর মধ্যে থাকবে দক্ষিণাঞ্চলের পর্যটন দ্বীপ হাইনান ও সাংহাই বন্দরের মধ্য দিয়ে যাওয়া ক্রুজ জাহাজও।

এ ছাড়া হংকং ও ম্যাকাও থেকে বিদেশিদের জন্য দক্ষিণাঞ্চলীয় উৎপাদনকেন্দ্র গুয়াংডং যেতে ভিসা-ফ্রি যাতায়াত আবার চালু করা হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ২০২০ সালের ২৮ মার্চের আগে ইস্যু করা ভিসাধারী বিদেশিরা, যাদের এখনো মেয়াদ রয়েছে, তারাও চীন ভ্রমণ করতে পারবেন।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে সবার জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ায় সামনে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে চীনে ঘুরতে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা। আবারও আলোর মুখ দেখবে চীনা পর্যটন খাত।


আরও খবর



এবার মাহিকে নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক ;ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আজ শনিবার সকালে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরপর গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বর্তমানে মাহি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আর এই সময়ে এসে মাহির সঙ্গে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনা সহজভাবে মেনে নিতে পারছে না তার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষী। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন তিন নির্মাতা শিহাব শাহীন, রেদওয়ান রনি ও আশফাক নিপুণ। এবার কথা বললেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।

তার ভাষায়, ‘অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রেপ্তার করা হয়েছে। মাত্রই খবরে পড়লাম। পুলিশ তাকে রিমান্ডে আনার আবেদন করলেও আদালত তা মঞ্জুর করেননি। মাহি জনপ্রিয় অভিনেত্রী, কিন্তু দেশের সব নাগরিকের মতো তিনিও আইনের অধীন। তবে এই কথাটা বিশেষভাবে মনে রাখা দরকার, তিনি এখন নয় মাসের অন্তঃসত্তা। তার অভিযোগের তদন্ত চলুক, কিন্তু একজন গর্ভধারিণী মায়ের এবং তার সন্তানের যেন কোনো ক্ষতি না হয়।’

পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানিয়ে জয়া বলেন, ‘রিমান্ড মঞ্জুর না করার জন্য বিজ্ঞ আদালতকে ধন্যবাদ জানাই। পুলিশের কর্মকর্তাদেরও অনুরোধ করব, মা আর অনাগত শিশুর যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সে ব্যাপারে যেন সংবেদনশীল থাকবেন।’


আরও খবর