Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

সাত মাস পর ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সের রেকর্ড দেশে

প্রকাশিত:রবিবার ০২ এপ্রিল 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৩৫৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রবাসী বাংলাদেশিরা রমজান মাসে পরিবার-পরিজনের বাড়তি ব্যয়ের কথা মাথায় রেখে বেশি বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন। এ ধারাবাহিকতায় সদ্য শেষ হওয়া মার্চ মাসে প্রবাসীরা ২০১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। এটি গত সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এর আগে সবশেষ ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল গত বছরের আগস্টে। ওই মাসে আসে ২০৩ কোটি (২.০৩ বিলিয়ন) ডলার। আজ রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে ২০১ কোটি ৭৭ লাখ ডলার রে‌মিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় (প্র‌তি ডলার ১০৭ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ২১ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। রেমিট্যান্সের এই পরিমাণ আগের মাসের চেয়ে ৪৫ কোটি ৭২ লাখ ডলার বেশি। ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলার। এছাড়া আগের বছরের মার্চের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে ৮ দশ‌মিক ৪৯ শতাংশ বা ১৫ কো‌টি ৮০ লাখ ডলার। গত বছরের মার্চে প্রবাসী আয় ছিল ১৮৫ কোটি ৯৭ লাখ ডলার।

মার্চ মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৩ কোটি ৪৬ লাখ মার্কিন ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪ কোটি ৫০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭৩ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম (জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত) ৯ মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৬৩০ কোটি মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৫২৯ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে গত বছরের তুলনায় ৭৪ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স বেশি এসেছে।

বিদায়ী ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।


আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কেন্দ্র দখলে ব্যর্থ হয়ে পোলিং অফিসারকে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৭৪জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ-

 ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসরিনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চাতলপাড় ইউনিয়নের এক ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টার সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন পোলিং অফিসার গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।বুধবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কেন্দ্র দখল করে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে চশমা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান  শেখ হুমায়ুন কবীর ও তার কর্মী সমর্থকরা।


এ ঘটনায় একজন পোলিং অফিসার গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং অফিসার পলাশ সরকার। আহত পোলিং অফিসারের নাম মো. ফয়সাল আহমদ। তিনি চাতলপার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।স্থানীয় ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাতলপাড় ইউনিয়নের রতনপুর কেন্দ্রে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শেখ হুমায়ূন কবীরের পক্ষের লোকজন পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে কেন্দ্র দখল নিতে চায়। সকাল ১০ ঘটিকার সময় কেন্দ্র দখল করতে গেলে পোলিং অফিসার  বাধা দেন।


তখন তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ওই কেন্দ্রের পোলিং অফিসারের উপর। এ ঘটনায় কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ প্রায় ৩০ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়।স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুল করিম রানা সহ আরো অনেকেই বলেন, কেন্দ্রের ভেতরে অনৈতিক সুবিধা না নিতে পেরে পোলিং অফিসারকে মারধর করা হয়েছে। এটা খুবই অন্যায়।নাসিরনগর উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ভোট কেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার কথা শুনেছি। এখন নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



রেলওয়ের জমি,কোয়ার্টার ওপানির পাম্প দখল অব্যাহত,রেলকর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমি, কোয়ার্টার ও পনির পাম্প রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্যের কারণে রেলওয়ের কোয়ার্টার ও ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে পানির পাম্প ও দখল করে সেখানে স্হাপনা নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে।  এই দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী রেলওয়ে জমিতে স্থাপনাকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে থাকেন বলে দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েও মিলছে না কোনো প্রতিকার। এতে সৈয়দপুর রেলবিভাগ হারাচ্ছে পুরোনো দিনের ঐতিহ্য। যার ফলে প্রায় প্রকাশ্যেই চলছে কোয়ার্টারসহ কোয়ার্টার ভেঙে ঘরবাড়ি নির্মাণ,ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ ও পানির পাম্প দখল। গত ৫০ বছরে সৈয়দপুর রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে প্রায় সারে ৪ শত একর সম্পত্তি ও ১২৩৮কোয়ার্টার।

পার্বতীপুর ৭ নং রেলওয়ের কাছারি ফিল্ড কানুনগো সাজ্জাদ হোসেন দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তৎকালীন রেল কর্তৃপক্ষ এ শহরে রেলকে ঢেলে সাজাতে প্রায় ৮৫০ একর ভূসম্পত্তি অ্যাকুয়ার করে নেন। ১৮৭০ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত রেলওয়ের এসব অ্যাকুয়ারকৃত জমি সুরক্ষিত ছিল। এরপর থেকে শুরু হয় রেলওয়ের জমি দখল বিক্রয়। যেসব জমি বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে খতিয়ান ভুক্ত বা দখল হয়েছে,সেগুলির রেকর্ড সংশোধনী মামলা ও দখলদার উচ্ছেদের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। 

রেলওয়ে কারিগরি পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান জানান,  সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কজন কর্মকর্তার ঢিলামি ও সেলামী নেয়ার কারণে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় সারে ৪ শত একর জমি ও প্রায় ১২৩৮ কোয়ার্টার বেদখলে চলে যায়। দখলবাজরা ওই কজন রেল কর্মকর্তা রেলের জমি দখল বিক্রয় কারিদের সেলামি নিয়ে লাখ লাখ টাকার মালিক হলেও রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে ৪২৭ একর সম্পত্তি ।

শহরের মুন্সিপাড়ার ইসলামিয়া স্কুল সংলগ্ন তন্ময় নামের এক ব্যাক্তি বলেন,ওই এলাকার ফটিক নামের এক ব্যক্তি রেলওয়ের কোয়ার্টার ভেঙে ও পতিত জমিতে একাধিক স্থাপনা নির্মাণ করেছেন এবং তার ছত্র ছায়ায় আশপাশ এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে। এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পকেট ভারী হওয়ায় প্রতিকার বা লাভবান হয়নি অভিযোগকারীসহ রেল বিভাগ। 

জানতে চাইলে ফটিক নামের ব্যাক্তিটি বলেন,মুন্সিপাড়ার কেউই কোয়ার্টার ভেংগে ঘরবাড়ি বানাতে রেলওয়ের লাইসেন্স বা অনুমতি নেয়নি। সবাই যেভাবে ঘরবাড়ি বানাচ্ছেন,আমিও সেভাবেই নির্মান করছি।

 এ ছাড়া শহরের রেললাইনের দুপাশ, ড্র্রেনসংলগ্ন এলাকা ও অফিসার্স কলোনি, রসুলপুর হাওয়াদ পাড়াও গার্ডপাড়া এলাকায় রেলওয়ের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্প দখল করে সেখানে নির্মান হচ্ছে পাকা দোকানপাট। 

স্থানীয়রা বলেন , সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও রেল বিভাগ যেমন লোকসান ভুগছেন তেমনি অভিযোগকারীরা দখলদারদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। তারা বলেন, বাস্তুহারার নামে সৈয়দপুরের কোটি কোটি টাকার মালিকরাও রেলের জমি দখল করে বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ করেছেন। বাস্তুহারাদের বাদ দিয়ে রেলওয়ের ঐতিহ্য রক্ষায় দখল হওয়া সব জমি উদ্ধার করে অপ্রয়োজনীয় সব জমি বিক্রি করা হলে সে টাকা দিয়ে পদ্মা সেতুর মতো সেতু নির্মাণের অর্ধেক অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তারা।

শহরের মিস্ত্রি পাড়া মোড়ের বাবু নামের এক ব্যাক্তি বলেন, সেখানকার পানির পাম্প সংলগ্ন কিছু জমি বরাদ্দের জন্য শহীদ সন্তান শেখ জামিল ও নিয়াজ আহমেদ বাবলু পাকশি রেলবিভাগে আবেদন করেন। কিন্ত সেখানে পানির পাম্প বরাদ্দ দেয়া হয় না বলে জানানো হয়। এর পরপরই ঈদের আগে রমজান মাসে সরকারি বেসরকারি সব অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যায়। ছুটি শেষে অফিস খোলার আগেই বাবলু নামের ওই যুবদল নেতা বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্পটি দখল নিয়ে স্হাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে দেন। তিনি আরো বলেন,শেখ জামিল হলেন শহীদ সন্তান। কিন্তু এরপরেও তাঁকে বরাদ্দ না দেয়ায় অভিযোগ দেয়া হয় স্হানীয় উপসহকারী প্রকৌশলীর দপ্তরে। কিন্তু ওই দপ্তরের উপসহকারী আবাসিক প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম  ঘটনাস্থল প্রদর্শন করার পরও কার্যকর কোন পদক্ষেপই নেননি। একজন যুবদল নেতা কিভাবে রেলওয়ের পানির পাম্প ও জমি বরাদ্দ পায়, এবং তার বিরুদ্ধে কিসের স্বার্থে ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে না সেটি ভাবার বিষয়। বিষয় টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেয়ার জোড় দাবী জানান তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে সৈয়দপুর রেলওেয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যাই, সেখানে নিয়াজ আহমেদ প্রথমে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে রাজস্ব প্রদানের কাগজ দেখান, এটাকেই তিনি লাইসেন্স মনে করেন। পরে তার বরাদ্দের কাগজ চাইলে  স্হাপনা নির্মাণের একটি বানিজ্যিক লাইসেন্স প্রদর্শন করেন। তিনি আরো বলেন, যেহেতু জায়গাটি রেলওেয়ের এবং সেখানে পানির পাম্প বিদ্যমান,সেহেতু যদি লাইসেন্স দেয়া হয়, তাহলে সেটি বাতিল করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ষ্টেট বিভাগ পাকশির বিভাগীয় প্রধানের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত লাইসেন্স বাতিল করে পাম্প টি রেলওয়ের নিজ দখলে নিতে পারবো না, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষান্ত হবেন না।  একই সাথে বেদখল হয়ে যাওয়া ভুসম্পত্তি দখলে নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। 


আরও খবর



চাকরির বয়সসীমা নিয়ে সুপারিশের কার্যকারিতা এখন আর নেই: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার সুপারিশের আর কার্যকারিতা নেই , মাত্র এক শতাংশ শিক্ষার্থী ত্রিশ বছর বয়সে চাকরি পাচ্ছেন। যেখানে এক শতাংশ মাত্র, সেখানে ৩৫ করলে আর কতই-বা বাড়বে?

রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল সংক্রান্ত’ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমার দেওয়া সুপারিশপত্রের কার্যকারিতা এখন আর নেই। এটা নিয়ে জলঘোলা করে নানা জায়গায় দাঁড়িয়ে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা কখনোই কাম্য না।

তিনি আরও বলেন, আমি আলোচনা করে জানতে পেড়েছি, মাত্র এক শতাংশ শিক্ষার্থী ত্রিশ বছর বয়সে চাকরি পাচ্ছেন। যেখানে এক শতাংশ মাত্র, সেখানে ৩৫ করলে আর কতই-বা বাড়বে? সেটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার সুপারিশ প্রসঙ্গে মহিবুল হাসান বলেন, কিছু চাকরিপ্রার্থী বিষয়টি নিয়ে অনুরোধ করেছিলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনাকালে মনে হয়েছিল, এ বিষয়ে একটা সুপারিশ করা যেতে পারে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেই সুপারিশপত্র পুঁজি করে অনেকেই জলঘোলা করার চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জাতীয় সংসদে পরিষ্কার করে বলেছেন, যে সরকারের বা রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্ত কী। এই বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে এই মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত নেই, সেটা তিনি (জনপ্রশাসন মন্ত্রী) বলে দিয়েছেন।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, কিন্তু একটি পক্ষ দেখা যাচ্ছে, সেই সুপারিশপত্র পুঁজি করে সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। সেখানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। আমি তাদের বলব, তারা একটি খারাপ কাজ করার চেষ্টা করছেন। এখানেই বিষয়টির সমাপ্তি ঘটেছে।


আরও খবর



হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের এশিয়া প্যাসিফিক পর্বে তৃতীয় রুয়েট

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের এশিয়া প্যাসিফিক (এপিএসি) পর্বে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ছাত্রদের একটি দল তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এপিএসি অ্যাওয়ার্ড সিরিমনিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

গত বছর শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারেরও বেশি স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এই প্রতিযোগিতায় নেটওয়ার্ক ট্র্যাক, ক্লাউড ট্র্যাক, কম্পিউটিং ট্র্যাক ও ইনোভেশন ট্র্যাক এই চারটি গ্রুপে অংশ নেয়ার সুযোগ ছিল। প্রতিটি ট্র্যাক থেকে ১০ জন শিক্ষার্থীকে তাদের অধ্যয়ন ও পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

পরবর্তীতে তাঁদের মধ্য থেকে শীর্ষ বারোজন চারটি দলে ভাগ হয়ে এপিএসি পর্বে যোগ দেয়। রুয়েটের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি একটি দল যোগ দেয় নেটওয়ার্ক ট্র্যাকে, আরেকটি দল যোগ দেয় কম্পিউটিং ট্র্যাকে। এই ট্র্যাকে প্রতিযোগিতা করে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) আরও একটি দল। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি দল যোগ দেয় ক্লাউড ট্র্যাকে। এই চার দলের মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্র্যাক গ্রুপে অংশগ্রহণকারী রুয়েটের তিনজনের দলটি এপিএসি পর্বের ১৪টি দেশের ৬৪০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শীর্ষ তিনে জায়গা করে নিয়েছে।

বিজয়ী দলে রয়েছে রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শুভাম আগারওয়ালা, রাকেশ কার এবং মো. মাজহারুল ইসলাম। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় তাঁদের হাতে পুরষ্কার ও সনদপত্র তুলে দেয়া হয়। আগামী মাসে দলটি চীনের শেনজেনে অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল রাউন্ডে অংশ নেবে।

রুয়েটের বিজয়ী দলের সদস্য শুভাম আগারওয়ালা বলেন, “এই প্রতিযোগিতা আমাদের আইসিটি এবং নেটওয়ার্ক সেক্টর সম্পর্কে নতুন কিছু শেখার অনেক সুযোগ দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা এই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মেও আসতে পেরেছি। ষ্টেজে সবার সামনে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে দাঁড়ান আমাদের জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা ছিলো। এমন অভাবনীয় সুযোগ তৈরি করার জন্য আমরা হুয়াওয়ের কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমরা গ্লোবাল রাউন্ডে আরও ভালো কিছু অর্জনের চেষ্টা আমাদের থাকবে।“

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার বোর্ড সদস্য লিজংশেং (জেসন) বলেন, ”হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে, তরুণরা যেকোনো দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। বাংলাদেশে যে বিশাল সংখ্যক তরুণ রয়েছে তাঁদের সম্ভাবনা অসীম। আর সেই বিশ্বাস নিয়েই হুয়াওয়ে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের আইসিটির জ্ঞান বৃদ্ধি করতে নানা ধরনের উদ্যোগের নিয়ে আসছে। বিজয়ী দলকে আমি অভিনন্দন জানাই। আমরা বাংলাদেশে প্রতিভা বিকাশের জন্য একটি দায়িত্বশীল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবো।”

রুয়েটের সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আজমাইন ইয়াক্কীন সৃজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জাকার্তার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “আমার ছাত্ররা এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শুধু বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বই করছে না, তারা সকলের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করে নিয়েছে। এতে আমি খুবই গর্বিত বোধ করছি। আমি লক্ষ্য করেছি যে, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার ফলে তাদের জ্ঞান যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমন আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। তাদেরকে এমন একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই।”

গ্লোবাল রাউন্ডে প্রায় ৪০টি দেশের ৫০০-এরও বেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি ১৭০টিরও বেশি দল অংশগ্রহণ করবে। শুরুর পর এটি হুয়াওয়ে আইসিটি প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় অফলাইন গ্লোবাল ফাইনালে পরিণত হতে যাচ্ছে। “কানেকশন, গ্লোরি, অ্যান্ড ফিউচার” থিমের এই ইভেন্টে দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছে।


আরও খবর



নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সেচ মটরে সংযোগ তোপের মুখে ডিজিএম!! মাসিক সভায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৩২জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অধিক টাকার বিনিময়ে সেচ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম জহুরুল ইসলাম। নিষেধ থাকার পরও বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কারনে উপজেলা মাসিক সাধারণ সভায় তোপের মুখে পড়তে হয় ডিজিএমকে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলা পরিষদের হলরুমে সাধারণ মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাহী অফিসার ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান। 

ইউএনও পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমকে বলেন মার্চ মাসের সভায় সিদ্ধান্ত হয় নতুন ভাবে কোন সেচ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাবেনা। কিন্তু আপনি সেই নিষেধ অমান্য করে কেন বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন জানতে চাইলে ডিজিএম কোন সদ উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে গিয়ে বলেন বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রত্যায়ন দিয়েছেন বলেই সংযোগ দেয়া হয়েছে। ডিজিএমের এমন কথায় ইউএনও বলেন, সভার সিদ্ধান্ত অমান্য করার কোন সুযোগ নেই। আপনি ক্ষমতা প্রয়োগ করে সংযোগ দিয়েছেন। আপনি সভার সিদ্ধান্ত অমান্য করে কিসের ভিত্তিতে সংযোগ দিলেন সেটা সভায় পরিস্কার করে বলেন, তানাহলে আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইউএনওর এমন কথায় কোন জবাব দেননি ডিজিএম। ইউএনও বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলীর কাছে জানতে চান সংযোগ দেয়ার ব্যাপারে আপনি অবহিত কিনা, তিনি জানান আমি কিছুই জানিনা। এসব নিয়ে আমার দপ্তরেও অভিযোগ আসছে। ইউএনও উপজেলা চেয়ারম্যান কে এবিষয়ে বলার জন্য অনুরোধ করেন। চেয়ারম্যান বলেন, গভীর বা অভীর নলকূপের স্কীমের এরিয়ায় সংযোগ দেয়া সঠিক না। আপনারা বিভিন্ন খামারের নামে বানিজ্যিক সংযোগ দিয়েছেন সেই সংযোগ নিয়ে সেচ দিচ্ছে। বানিজ্যিক সংযোগ কতট আছে, অনুমোদিত কতটা এবং আবাসিক সংযোগ থেকে সেচ দেয়া হয় সব মিলে কত সংযোগ আছে ডিজিএমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান এমুহূর্তে এতথ্য দেয়া অসম্ভব। পুনরায় ইউএনও ডিজিএমকে বলেন আগামী সভায় এসব সংখ্যার হিসেব দিবেন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম, কলমা ইউপির চেয়ারম্যান খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরী, পাঁচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, সরনজাই ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খাঁন, তালন্দ ইউপি চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন বাবু, টিএইচও বার্নাবাস হাসদাক, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমান, কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: ওয়াজেদ মিয়া, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিরা বেগম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এম ফজলুর রহমান, তানোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আরব আলী, কামারগাঁ ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন প্রামানিক প্রমুখ। এসময় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ভূগর্ভের পানি দিনের দিন তলিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ভূগর্ভের পানি রক্ষার জন্য বিগত ২০১৩-১৪ সালের দিকে কৃষি মন্ত্রণালয় সেচ পাম্প বসানো নিষিদ্ধ করে দেন। কিন্তু পল্লী বিদ্যুতের একশ্রেণী অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপজেলা জুড়ে খামার ও বাগানের নামে শতশত সেচ মটরে সংযোগ দিয়েছেন। জাতীয় নির্বাচনের আগে ইউএনও হিসেবে যোগদেন বেলাল হোসেন। তিনি অতিগোপনে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে প্রায় ৫০ টির মত সেচ মটর বা ( STW) এর অনুমতি দেন। বিষয়টি প্রকাশ পেলে ভূগর্ভের পানি রক্ষার জন্য স্থানীয় সংসদ বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে নিষেধ করেন কর্তৃপক্ষকে। সংসদের নির্দেশ ও উপজেলা মাসিক সভায় সিদ্ধান্ত অমান্য করে পল্লী বিদ্যুৎ তানোর জোন সংযোগ দিতেই আছেন।
নাম প্রকাশে না করে বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানান, সংসদের কথা অমান্য এবং সভার সিদ্ধান্ত অপেক্ষা করে কোন ক্ষমতা বলে সংযোগ দিলেন ডিজিএম। যারা এসবের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার। আর উপজেলায় যে পরিমান জমি আছে সে অনুযায়ী গভীর অগভীর পাম্প আছে। বরং গভীর নলকূপ গুলো রিবোরিং করলে কোন সেচ সংকট হবেনা। নতুন ভাবে সেচ মটর দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই। এসব নিয়ে মোটা বানিজ্য হয়েছে বলেই সব নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন। 

ডিজিএম জহুরুল বলেন, আমি ৫১ অনুমোদিত মটরের চিঠি পেয়েছে। কে কি বললো সেটা কোন বিষয় না, আমি আইনগত ভাবে সঠিক আছি।

আরও খবর