Logo
আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু হিলিতে নসিমনের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই বন্ধুর মৃত্যু রাণীশংকৈলে ইসতিসকার নামাজ আদায় তাহিরপুরে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজদের রামরাজত্ব : দেখার কেউ নাই পানি-স্যালাইন বিতরণ করে প্রশংসায় ভাসছে কাফরুল থানা পুলিশ আমরা আইন শৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে চাই-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী টেকনো স্পার্ক ২০সি এখন পাওয়া যাচ্ছে অভাবনীয় নতুন দামে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট গ্যাসের অবৈধ গ্রাহকদের বিষয়ে যে নির্দেশ দিলেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী থাইল্যান্ডের রাজা-রানীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন ৯৮ বার পেছাল

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৩৯জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:৯৮ বারের মতো পেছাল সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ। আগামী ২২ জুন প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

আজ সোমবার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন ।

মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আট জন। অপর আসামিরা হলেন, বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।


আরও খবর



মঙ্গল শোভাযাত্রা তিমির বিনাশের প্রত্যয়ে

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলা ১৪৩১ সনের মঙ্গল শোভাযাত্রা। ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ স্লোগানের এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টায় শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে শুরু হয়। এর পর শাহবাগের ঢাকা ক্লাবের সামনে দিয়ে ঘুরে টিএসসি মোড় হয়ে ফের চারুকলার সামনে গিয়ে পৌনে ১০টার দিকে শেষ হয় শোভাযাত্রা।

অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রাণের উৎসব বর্ষবরণ। বাংলা নববর্ষ বরণে বাঙালির নানা আয়োজনের মধ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা অন্যতম।

এ বছর বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার ৩৫ বছর পূর্তি হয়েছে। এবারের শোভাযাত্রার স্লোগানটি কবি জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’ কাব্যগ্রন্থের ‘তিমিরহননের গান’ কবিতা থেকে নেওয়া।

এবারের শোভাযাত্রার শিল্প-কাঠামোগুলোর মধ্যে ছিল ময়ূর, হাতি, গন্ধগোকুল, টেপা পুতুল, মাছ, রাজা-রানির মুখোশ। শোভাযাত্রায় আরও ছিল মা ও শিশু এবং বাঘের মুখোশ।

শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল। শোভাযাত্রায় সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।

ঢাক-ঢোলের বাদ্যের তালে তালে তরুণ-তরুণীদের নৃত্য, হৈ-হুল্লোড় আর আনন্দ-উল্লাস মাতিয়ে রেখেছিল পুরো শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই টিএসসি, দোয়েল চত্বর, শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় মানুষ জড়ো হতে থাকে। সকাল ৯টার মধ্যেই পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। লাল-সাদা পোশাকে উচ্ছল নারীদের মাথায় শোভা পায় নানান রঙের ফুলের টায়রা। তরুণদের পরনে ছিল লাল-সাদা পাঞ্জাবি।

শোভাযাত্রা উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো ছিল পুরো এলাকা। শোভাযাত্রা ঘিরে ছিল কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। পুলিশ, র‌্যাবের সঙ্গে ছিল সোয়াত সদস্যরা। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও তৎপর ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে ড্রোনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানস্থল পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে।

পথিমধ্যে কেউ মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারেননি। কারণ, চতুর্দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে মানবপ্রাচীর গঠন করা হয়। নিরাপত্তার জন্য বন্ধ রাখা হয় রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকা ও কেন্দ্রীয় রাস্তা।


আরও খবর



সভাপতি ফেরদৌস, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৮৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃঅর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো: ফেরদৌস আলমকে সভাপতি এবং 

পুলিশের (পিবিআই) অতিরিক্ত ডিআইজি জাহাঙ্গীর আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে কলাপাড়া উপজেলা সমিতি ঢাকার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ২০২৪-২০২৬ সালের জন্য ৫১ সদস্যের নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়েছে।

৩০ মার্চ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে সমিতির প্রধান পৃষ্টপোষক পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং

 দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী 

মোঃ মহিববুর রহমান এ কমিটি ঘোষনা করেন এবং প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তৌহীদুর রহমান সিআইপি সহ এ কমিটি অনুমোদন করেন।


কমিটির অন্যরা হলেন:সহ-সভাপতিঃ

গাজী মো. মনিরুল ইসলাম, মো. আবুল কালাম আজাদ, শাহ মো.আলমগীর, আসাদুজ্জামান সোহেল, গাজী মিজানুর রহমান,

মো. আব্দুর রব, 

মো. রেজাউল করিম বাবলা, 

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকঃ


গনেশ চন্দ্র হাওলাদার,

 মো. শহীদুল ইসলাম খান, মো. শহীদুল ইসলাম,

 মো. নুরুজ্জামান, 

এ কে এম শাহাবুদ্দিন শাহীন,


 অর্থ সম্পাদকঃ

 মো. ছিদ্দিকুর রহমান, 

সহ অর্থ সম্পাদক 

মো. আমিনুর রহমান রুবেল,  


দপ্তর সম্পাদকঃ 

ইঞ্জি. সাইফুল্লাহ আল মামুন, 

মো. মেহেদী হাসান, 

তরিকুল ইসলাম, 


শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদকঃ

সাইফুল ইসলাম শাহীন, 


মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকাঃ


নীলিমা বিশ্বাস, 

নিগার সুলতানা লাইজু, মুক্তা ব্যাপারী,

 

সমাজকল্যাণ সম্পাদকঃ হাবীবুর রহমান বাবুল,


প্রচার সম্পাদকঃ

বদরুল আলম নাবিল, 

সহ প্রচার সম্পাদক

মো. মহিবুল্লাহ মুহিব, 


আইন ও মানবাধিকার সম্পাদকঃ

 মো. এরশাদুল কায়সার,


সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদকঃ

 মো. জাহিদ ইসলাম, 


যুব ও ক্রীড়া সম্পাদকঃ

 মো. কামরুজ্জামান, 


স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদকঃ গাজী মোহাম্মদ নাঈম,


 তথ্যপ্রযুক্তি ও গবেষনা সম্পাদকঃ

এস, এম, মাকসুদুল ইসলাম,


দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ 

মো. অহিদুল ইসলাম, 


ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকঃ

 মো. হেলালুর রহমান,


সাংগঠনিক সম্পাদকঃ


নূরে আলম আজাদ, 

মো. আল আমিন, 

মো. মনিরুজ্জামান (মারুফ),

মো. হান্নান হোসেন তালুকদার,


নির্বাহী সদস্যঃ


এ্যাডভোকেট আবুল কালাম, 

রাফসান মাহমুদ কাজল, মোসাঃ আফিফা বেগম লাইলী,

 মেহেদী হাসান রুম্মান, 

মো. রোকনুজ্জামান পান্নু, জাকির হোসেন (মোল্লা), জোবায়ের শাকিল, 

মো. কামাল হোসেন, জাকির হোসেন, 

করিম আকন, 

গোলাম মোস্তফা মিরাজ, মো. মনিরুল ইসলাম (ব্যাংকার), 

মো. মনিরুল ইসলাম (শিক্ষক) এবং

 তৌসিফুর রহমান নিপুন।


অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী কুয়াকাটায় আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর করার বিষয়ে সরকার বিবেচনা করছে বলে জানান এবং কলাপাড়াকে জেলা করার বিষয়ে তার পরিকল্পনার কথা জানান, সমিতির সকল সদস্যকে এব্যাপরে তার পরিকল্পনামতো কাজ করার আহ্বান জানান। সমিতির প্রধান উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তৌহীদুর রহমান সিআইপি তার বক্তব্যে কলাপাড়ার যে কোনো উন্নয়নে গত ত্রিশ বছরের ন্যায় ভবিষ্যতেও সব সময় সহায়তা করার কথা বলেন এবং সমিতির স্থায়ী অফিস করার জন্য পনের লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষনা করেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন পিএসসির আইন উপদেষ্টা সিনিয়র জেলা জজ খাদেমুল কায়েস, সিনিয়র জেলা জজ মঞ্জুরুল হোসাইন, আইনজীবি ও ঢাকা জজ কোর্টের অতিরিক্ত প্রসিকিউটর বিমল সমাদ্দার, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকার্তা মিজানুর রহমান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর খন্দকার আবুল কালাম প্রমুখ। এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় ঢাকাস্থ পটুয়াখালী জার্নালিস্ট ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। দোয়া মাহফিল ও ইফতারের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।


আরও খবর



রাণীশংকৈলে ২ ইটভাটা মালিককে কাঠ পোড়ানোর দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৬জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ইট-ভাটায় কাঠ খরি  পোড়ানোর অপরাধে দুই ভাটা মালিককে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের ফকিরটলি ও রাতোর ইউনিয়নের শখের টাউন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুল হাসান। 
 
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ইটভাটায় কাঠ,খরি পোড়ানো হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও  এক্সিকম্যাজিস্ট্রেট।  উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের এনইবি ব্রিকস ও রাতোর ইউনিয়নে পদ্ম ইটভাটায় জ্বালানী হিসেবে কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানোর বিষয়টির সত্যতা পাওয়ায়। দুই ইটভাটা মালিককে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 
 
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুল হাসান বলেন,  ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এর আইন অমান্য করে কয়লার পরিবর্তে কাট খরি পোড়ানোর দায়ে ২ ইটভাটা মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। পরিবেশ রক্ষার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

আরও খবর



নয় মাস ধরে আমতলী-ঢাকা নৌ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ: দুর্ভোগে লঞ্চ যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১১০জন দেখেছেন

Image

আব্দুল্লাহ আল নোমান,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:যাত্রী সংঙ্কটে গত নয় মাস ধরে আমতলী-ঢাকা রুটে নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চ যাত্রী ও অল্প খরচে মালামাল আনা-নেয়ার নিরাপদ সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পরেছে। এর প্রভাব পরছে দ্রব্য মুল্যের উপরে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও লঞ্চঘাটে কর্মরত অর্ধ শতাধিক মানুষ কর্মহীন হয়ে পরেছে। তারা খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছে। দ্রুত এ রুটে লঞ্চ সার্ভিস চালুর দাবী জানিয়েছেন তারা।

জানাগেছে, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পর যাত্রী সংঙ্কটে পড়ে লঞ্চ মালিকরা। এতে আমতলী-ঢাকা নৌ রুটে লঞ্চ সার্ভিস চলাচলে বিঘœ ঘটে। যাত্রী সংঙ্কট চরম আকার ধারন করায় আমতলী-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল অনিয়মিত হয়ে পড়ে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ছয় মাস ধরে অনিয়মিতভাবে একটি লঞ্চ চলাচল করলেও গত বছর ২০ জুলাই মালিক কর্তৃপক্ষ একেবারেই বন্ধ করে দেয়। এতে দক্ষিণাঞ্চল আমতলী, তালতলী, বরগুনা, কলাপাড়া ও পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার নৌপথের যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পরছে। বাধ্য হয়েই তারা সড়ক পথে চলাচল শুরু করে। এদিকে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে স্বল্প খরচে দক্ষিণাঞ্চলে মালামাল আনা- নেয়া করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। ফলে বেশী খরচ দিয়ে তাদের মালামাল আনতে হচ্ছে। এতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উপরে এর প্রভাব পরছে। অপর দিকে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। দক্ষিনাঞ্চলের যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা দ্রুত লঞ্চ সার্ভিস চালুর দাবী জানিয়েছেন।

এছাড়াও লঞ্চঘাটে কর্মরত অর্ধ শতাধিক মানুষ কর্মহীন হয়ে পরেছে। তারা খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছে। বুধবার আমতলী লঞ্চঘাট ঘুরে দেখাগেছে, সুনসান নিরাবতা। নেই কোন যাত্রীর কোলাহল। লঞ্চ টামিনাল ফাঁকা। টার্মিনালে জেলেরা নৌকা ও বালু ব্যবসায়ীরা বলগেট বেঁধে রেখেছে। লঞ্চঘাটের সিঁড়িতে ছাগল শুয়ে আছে।

লঞ্চযাত্রী জুয়েল, কামরুল, সাকিলা ও মামুন বলেন, কাজের সন্ধানে ঢাকা যেতে হয়। কিন্তু লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ার যেতে খুব সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত আমতলী-ঢাকা নৌ রুটে লঞ্চ সার্ভিস চালু করার দাবী জানান তারা।কেয়ামনি বলেন, অসুস্থ্য থাকায় গাড়ীতে উঠতে পারি না। তাই লঞ্চে ঢাকায় যেতাম কিন্তু লঞ্চের নিরাপদ যাত্রা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুবই সমস্যা পরেছি।

আমতলী মাতৃছোয়া বস্ত্রালয়ের মালিক জিএম মুছা বলেন, লঞ্চে অল্প খরচে ঢাকা থেকে মালামাল আনা যেত কিন্তু সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেশী খরচে সড়ক পথে মালামাল আনতে হচ্ছে। এর প্রভাব পরছে দ্রব্য মুল্যের উপরে। দ্রুত লঞ্চ সার্ভিস চালুর দাবী জানান তিনি।

আমতলী লঞ্চঘাট সুপার ভাইজার শহীদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় আমতলী লঞ্চঘাটের অন্তত অর্ধ শতাধিক শ্রমিক কঠিন সঙ্কটে পরেছে। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

ইয়াদ লঞ্চ মালিক মামুন-অর রশিদ বলেন, যাত্রী সংঙ্কটে লোকসানের মুখে গত নয় মাস ধরে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ করে রেখেছি। লঞ্চ চালালে ওই রুটে দৈনিক এক লক্ষ টাকা লোকসান গুনতে হয়। এতো লোকসান আর গুনে পারছি না। তিনি আরো বলেন, যাত্রীদের দাবীর মুখে আগামী শুক্রবার ঢাকা থেকে লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হবে।

বরগুনা বিআইডব্লিউটি’র সহকারী নৌ বন্দর কর্মকর্তা নিয়াজ মোহাম্মদ খাঁন মুঠোফোনে (০১৮১৯৬৬১৬৪৩) বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে লঞ্চ সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।


আরও খবর

ভোলায় ইস্তিস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




অগ্নি নিরাপত্তা নিয়ে রেস্টুরেন্ট ও দোকান মালিক সমিতির সাথে ফায়ার সার্ভিসের মতবিনিময়

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃ 

অগ্নিঝুঁকি হ্রাস ও অগ্নি নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারণে রেস্টুরেন্ট ও দোকান মালিক সমিতির সাথে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩ এপ্রিল বুধবার সকাল ১১:৩০ ঘটিকায় অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিল; পরিচালকবৃন্দসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাগণ এবং দোকান মালিক সমিতির সভাপতি জনাব হেলাল উদ্দিন, মহাসচিব জনাব মোঃ জহিরুল হক ভূঁইয়া; রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি জনাব মোঃ ওসমান গণি, মহাসচিব জনাব ইমরান হাসানসহ সমিতির অন্য প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  


মতবিনিময় সভায় সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক জনাব মোঃ ছালেহ উদ্দিন। এরপর উপপরিচালক (অপাঃ ও মেইনঃ) জনাব মোঃ কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া দোকান ও রেস্টুরেন্টের অগ্নিঝুঁকি এবং তা নিরসনে করণীয় বিষয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। প্রেজেন্টেশন শেষে সকলের কাছে উন্মুক্ত মতামত ও বক্তব্য আহ্বান করা হয়। এ সময় বক্তারা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত উপস্থাপন করেন। দোকান ও রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সকল স্টেকহোল্ডারের সমন্বয়ে রেস্টুরেন্ট, মার্কেট ও দোকানসমূহে অগ্নিনিরাপত্তা বৃদ্ধিতে আন্তরিকতার সাথে কাজ করার বিষয়ে সদিচ্ছা পোষণ করা হয়। রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বিভিন্ন বিষয়ে সরকারি অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করার এবং সেফটি ইকুইপমেন্টের ট্যাক্স কমানোর বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা পাওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।


ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন অগ্নিঝুঁকি নিরসণে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন এবং ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, “আমরা নিরাপদ দেশের পক্ষে। কেউ আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। আমরা সকলকে সাথে নিয়ে দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাই।”


আরও খবর