Logo
আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম
মধুপুরে কৃষকের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মে‌শিন বিতরণ ‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করলো এনার্জিপ্যাক উপজেলা নির্বাচনে সৎ যোগ্য প্রার্থীদের জনগন বেছে নেবে: সাকিব আল হাসান এমপি মাগুরায় তীব্র তাপদাহে ঝরে পড়ছে লিচুর গুটি ১শ' কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা কৃষকদের সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন নেভাতে সুন্দরবনে হেলিকপ্টার থেকে পানি ছিটাচ্ছে বিমানবাহিনী মিল্টন সমাদ্দার ৪ দিনের রিমান্ডে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে ডিএমপি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত: ওবায়দুল কাদের ঢাকা সেনানিবাসে দুই ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সাঈদ খোকন ঢাকা-৬ আসনে বিজয়ী

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন।

রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

সাঈদ খোকন নৌকা প্রতীক নিয়ে মোট ৬১ হাজার ৭০৩ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ঐক্য জোটের প্রার্থী রবিউল আলম মজুমদার মিনার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন এক হাজার ১০৯ ভোট।

আসনটিতে ভোট পড়েছে ২৩ দশমিক ২৬ শতাংশ।


আরও খবর



মাগুরায় মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ২৮জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টারা মাগুরা থেকে:মাগুরায় ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ বা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে এ আয়োজন করে মাগুরা জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক (এমজেএন)। সংগঠনের সদস্য সচিব রূপক আইচের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কলিমুল্লাহ। ‘গ্রহের জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবেলায় সাংবাদিকতা’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য অনুযায়ী আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক কাজী আশিক রহমান। সাংবাদিকদের পাশাপাশি আলোচনায় অংশ নেন  মাগুরা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সাইদুর রহমান, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম শফিক, শরিফ তেহরান টুটুল, , শেখ ইলিয়াস মিথুন, মাগুরা সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু সাঈদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলা সভাপতি এটিএম আনিসুর রহমান,  আইনজীবী শাহেদ হাসান টগর, নদী পরিব্রাজক দলের সভাপতি এ বি এম আসাদুর রহমান,  পরিবেশ অধিকার কর্মী আবু ইমাম বাকেসহ সুধি সমাজের প্রতিনিধিরা। আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন। বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে আছেন মফস্বলে কাজ করা সংবাদকর্মীরা। তাঁদেরকে স্থানীয় ক্ষমতাধর নানা শক্তির মোকাবেলা করতে হয়।  বিদ্যমান এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা মেনে কাজ করার উপর জোর দেন বক্তারা। পাশাপাশি সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করে এমন আইন বাতিলের দাবি তোলেন বক্তারা।

আরও খবর



ঢাকায় মাদকবিরোধী অভিযান গ্রেপ্তার ৩৯

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৫০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

শনিবার (৪ মে) সকাল ছয়টা থেকে রোববার (৫ মে) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৪৬৮৯ পিস ইয়াবা, ৪ গ্রাম ২০ পুরিয়া হেরোইন ও ১১ কেজি ৪১০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩০টি মামলা রুজু হয়েছে।


আরও খবর



তিতাস গ্যাসের সিবিএ সভাপতি মরহুম কাজিম উদ্দিন প্রধানের স্মরনসভা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃতিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) সভাপতি প্রয়াত কাজিম উদ্দিন প্রধানের স্মরনসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন এর উদ্যোগে ২৪ এপ্রিল বুধবার সকাল ১১ টায় কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে এ স্মরনসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে সভাপতিত্ব করেন তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ.কে.এম কামাল উদ্দিন। স্মরণ সভায় শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন ক্বারী মোঃ আবুল কালাম আজাদ। এ সময় প্রয়াত সভাপতির স্মরনে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।  শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন তিতাস গ্যাসের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আয়েজ উদ্দিন আহমদ। এ সময় প্রয়াত সভাপতির কর্মময় জীবনের নানান বিষয় তুলে ধরেন সৈয়দ আয়েজ উদ্দিন আহমেদ। স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনুর রশিদ মোল্লাহ, জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর কুতুব আলম মান্নান,সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম আযম খসরু, সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, কার্যকরী সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া,আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এইচএম মোতালেব, তিতাস গ্যাস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ সেলিম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম তারেক, পেট্রো বাংলার সিবিএ নেতা মোঃ লিয়াকত আলী, পেট্রোবাংলা ফেডারেশন লীগের সভাপতি সাহেব আলী মিয়া,তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী রতন বসু, অর্থ সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন শেখ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম,  প্রয়াত সভাপতি মরহুম কাজীম উদ্দিন এর বড় ছেলে মোঃ সাজ্জাদ উদ্দিন অপু ।

স্মরন সভায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ সিবিএর প্রয়াত সভাপতি মরহুম কাজিম উদ্দিন প্রধানের স্মৃতিচারণ করে বলেন, সিবিএ সভাপতি মরহুম কাজিম উদ্দিন প্রধান ছিলেন একজন অনন্য চরিত্রে অধিকারী, সিবিএ ম্যানেজম্যান্টের সাথে যে ব্যাবহার করে তিনি তা করতেন না, কখনও আমাকে বলেননি যে এটা করতেই হবে, বিনয়ের সাথে বলতেন স্যার এই কাজটি করলে কোন সমস্যা হবে কি না, আসলে তিনি ছিলেন একজন অমায়িক মানুষ, মানুষ কে তিনি খুব ভালো বাসতেন, আমার আড়াই বছরের তিতাস গ্যাসের এমডি থাকা অবস্থায় তিনি এমন কোন কাজ করেননি যা কষ্টদায়ক,অত্যন্ত ভালো একজন বক্তা ছিলেন তিনি।

এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন তিতাস গ্যাসের বিভিন্ন আঞ্চলিক অফিসের কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও নেতা কর্মীরা। স্মরণ সভায় প্রয়াত সভাপতি কাজিম উদ্দিন প্রধানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান।


আরও খবর



ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে তখনকার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়। পাশাপাশি এ দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়। ১৭৫৭ সালে পলাশির আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। ২১৪ পর একাত্তরের ১৭ এপ্রিল পলাশি থেকে ৭০ কি. মি. দূরে বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগর আম্রকাননে বাংলার সূর্য় উদিত হয়েছিল।

দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসুচী গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন।

মেহেরপেুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উৎযাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে অবদান রাখবে।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যার পর বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা সমবেত হন। যুদ্ধের গতি বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ে একটি সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা সর্বসম্ততিক্রমে অনুমোদিত হয়। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের নিরষ্কুশ জয় পান। এ নির্বাচনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ১০ এপ্রিল একটি সরকার গঠন করার সিদ্ধান্তে উপণিত হন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচরেরা।

পাকিস্তানের কারাগারেবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেন। আরও সিদ্ধান্ত হয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম হবেন উপ-রাষ্ট্রপতি, যিনি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। তাজউদ্দীন আহমদ যুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।

সেদিনই গভীর রাতে (১১ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের কোনো এক অজ্ঞাত স্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদের রেকর্ড করা একটি ভাষণ গোপন বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এই বেতার ভাষণের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সরকার বিশ্ববাসীর সামনে আত্মপ্রকাশ করে।

অস্থায়ী সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল ১৪ এপ্রিল ১৯৭১, চুয়াডাঙ্গায়। কিন্তু সেই গোপন সিদ্ধান্তটি সংবাদপত্রে ফাঁস হয়ে যায়। ফলে পাকিস্তানি সেনারা প্রবল বোমাবর্ষণ করে ওই স্থানে। আর এতে ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা।

মুজিবনগরে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার প্রদানকারী ১২ মধ্যে বেঁচে আছেন মাত্র ২ আনসার সদস্য। মেজর আবু উসমান চৌধুরীর পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় ক্যাপ্টেন মাহবুব উদ্দীন আহমেদ ইপিআর আনছারের একটি ছোট্ট দল নিয়ে নেতৃবৃন্দকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

গার্ড অব অনার শেষে স্থানীয় শিল্পীদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বাকের আলীর কোরআন তেলাওয়াত এবং ভবরপাড়া গ্রামের পিন্টু বিশ্বাসের বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

এরপর আওয়ামী লীগের চিফ হুইফ অধ্যাপক মো. ইউসুফ আলী বাংলার মুক্ত মাটিতে স্বাধীনতাকামী কয়েক হাজার জনতা এবং শতাধিক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের সামনে দাঁড়িয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

ঐতিহাসিক সেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে চিফ হুইফ অধ্যাপক ইউসুফ আলী রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্র প্রধান হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শপথবাক্য পাঠ করান।

এরপর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজ উদ্দীন আহমেদের নাম ঘোষণা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শক্রমে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য আইন, সংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে খন্দকার মোশতাক আহমদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এএইচএম কামরুজ্জামান এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং শপথ পাঠ করান।

মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে কর্নেল এম এ জি ওসমানী এবং সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ পদে কর্নেল আব্দুর রবের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত সকলের সামনে ৩০ মিনিটের এক উদ্দীপনাময় ভাষণ দেন।

তিনি বলেন, আজ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী হবে এ বৈদ্যনাথতলা এবং এর নতুন নাম হবে মুজিবনগর। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে নতুন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিদান ও সামরিক সাহায্যের আবেদন জানান। সেদিন থেকেই বৈদ্যনাথতলা মুজিবনগর নামে পরিচিত।

বক্তৃতা এবং শপথগ্রহণ পর্ব শেষে নেতৃবৃন্দ মঞ্চ থেকে নেমে এলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন মেজর আবু উসমান চৌধুরী। উপস্থিত জনতার মূহুর্মূহু জয়বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মুজিবনগরের আম্রকানন। সব মিলিয়ে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই টানা ৯ মাস যুদ্ধ শেষে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা। বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁই করে নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।


আরও খবর



নাসিরনগরে সালীশে কথা কাটা কাটি ছুঁড়ি ঘাতে আহত দুই

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃনাসিরনগরে জমি ও পুকুর নিয়ে সালীশে কথা কাটা কাটির জের ধরে সালীশ কারকদের সামনেই দুই সহোদর পাবেল ও রুবেলকে  ধারালো ছুঁড়ি দিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।আহতরা এখন হাসপতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।ওই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার  পূবর্ভাগ ইউনিয়নের পূর্বভাগ গ্রামে।জানা গেছে  গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমানের সাথে প্রতিবেশী ওসমান,জমসু,মারুফ ও ফরুকের পুকুর ও জমি নিয় সংঘর্ষ হয়।এ সংর্ষ শেষ করতে ঘটনার তারিখে গ্রামের ও পাড়ার সর্দার মাতাব্বররা  মিলে একটি সালীশের আয়োজন করে।সালীশের শেষ পর্যায়ে,জমসুর মিয়ার ছেলে এংরাজ মিয়া, এংরাজের ছেলে তারেক মিয়া,আহাদ মিয়া, আহাদ মিয়ার ছেলে সেলিম মিলে তাদের হাতে থাকা ধারালো ছুঁড়ি দিয়ে হাবিবুর রহমানের দুই ছেলে পাবেল ও রুবেলকে সালীশকারকদের সামনে ধারালো ছুঁড়ি দিয়ে পিটে মারাত্বক ভাবে আহত করে।আহত দুই সহোদর এখন নাসিরনগর সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সরে জমিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে এমনই চিত্র।

হাবিবুর রহমান জানায় তারা প্রভাবশালী হওয়া দীর্ঘদিন যাবৎ আমার জমি ও পুকুর দখল করে রেখেছে।আমি দুর্বল মানুষ।আমার ছেলেরা বাড়িতে থাকে না।তারা ঢাকায় কেউ চাকুরী আর কেউ ব্যবসা বাণিজ্য করে।তারা বড় গোষ্টির লোক ও প্রভাবশালী হওয়া দীর্ঘদিন যাবৎ আমার পরিবারের লোকজনের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছে।এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা চায়।

- খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর