Logo
আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ‘টয়লেট পেপার’ বলল রাশিয়া

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ২৪৪জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ‘আইনত মূল্যহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।

শুক্রবার পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘রাশিয়া রোম সংবিধির আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কোনো সদস্য নয় এবং এর নির্দেশ মানার জন্য বাধ্য নয়। রাশিয়া এ আদালতকে কোনো সহযোগিতা করে না। আন্তর্জাতিক আদালত থেকে আসা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইনগতভাবে আমাদের কাছে ‘টয়লেট পেপার’-এর মতো মূল্যহীন।

এর আগে যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

শুক্রবার নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আইসিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, জোরপূর্বক ইউক্রনের নাগরিকদের (শিশুদের) নিয়ে যাওয়া এবং রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের অঞ্চলগুলো থেকে জোরপূর্বক নাগরিকদের (শিশুদের) রাশিয়ার নিয়ে যাওয়ার মতো যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে পুতিনের বিরুদ্ধে। উপরেল্লিখিত অপরাধের সঙ্গে পুতিনের সংশ্লিষ্টতা থাকার বিষয়টি বিশ্বাস করার পর্যাপ্ত কারণ রয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পুতিনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি বিষয়ে যুদ্ধাপরাদের অভিযোগ তুলেছে আইসিসি। এর মধ্যে রয়েছে বেআইনিভাবে ইউক্রেন থেকে শিশুদের রাশিয়ায় নির্বাসন। একই অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দপ্তরের শিশু অধিকার বিষয়ক কমিশনার মারিয়া আলেক্সেভনা লোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা করার পর থেকেই দেশটিতে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগ ওঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। তবে এসব অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছে মস্কো।

পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির প্রসিকিউটর জেনারেল আন্দ্রি কোস্টিন আইসিসির প্রশংসা করে বলেছেন, ‘বিশ্ব একটি সংকেত পেয়েছে— রাশিয়া হলো একটি অপরাধী দেশ ও এর নেতারা এবং তাদের সহায়তাকারীদের তাদের সংঘটিত অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এটি ইউক্রেন এবং আন্তর্জাতিক আইনের জন্য একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।’


আরও খবর



স্বাচ্ছন্দ নিরাপদ ঈদযাত্রা জনগণকে উপহার দিবো: হাইওয়ে এআইজিপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫১জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:সড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে হাইওয়ে পুলিশের এডিশনাল আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, নিরাপত্তার দিক থেকে বাংলাদেশ পুলিশ সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে প্লান করে প্রস্তুত রয়েছে। আশা করি বিগত ২-৩টা ঈদযাত্রা যেমন সুন্দর, নিরাপদ ও যানজটমুক্ত হয়েছে, এবার তার চেয়ে আরেকটু ভাল ঈদযাত্রা করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সবাই মিলে যেন এবারের ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘœ করতে পারি, সে প্রচেষ্টা আমাদের আছে। আশা করি এবার আমরা সুন্দর একটা স্বাচ্ছন্দ নিরাপদ যানজটমুক্ত ঈদযাত্রা জনগণকে উপহার দিবো।

তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় টকিং ড্রোনের কার্যক্রম উদ্বোধন ও পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- হাইওয়ে পুলিশের এডিশনাল আইজি মাহফুজুর রহমান, এডিশনাল ডিআইজি মোস্তাফিজুর রহমান, গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশ সুপার সীমা রানী, এডিশনাল পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান সাকিব, কালিয়াকৈর থানার ওসি এএফএম নাসিম, নাওজোড় হাইওয়ে থানার ওসি শাহাদাত হোসেনসহ আরো অনেকে।

এআইজিপি আরও বলেন, এক দেড় মাস আগে থেকে ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে যতধরণের প্রতিবন্ধকতা থাকে। যেমন কোথাও মেরামতের প্রয়োজন হয়, কোথাও হাটবাজার বসে একধরণের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। সেগুলো আমরা সম্প্রসারণের কাজ করে যাচ্ছি। মেরামতের কাজও হয়েছে। কোথাও কোথাও নতুন রাস্তা, মহাসড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। সে সমস্ত জায়গাতে এমনভাবে রাখা হয়েছে, যাতে প্রতিবন্ধকতা না হয়। এবারের ঈদযাত্রার জন্য সমম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছি। আমরা ওয়াচ টাওয়ার করেছি। পুলিশের সাথে বডি অন ক্যামেরা থাকবে। সেই সাথে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। যা কন্ট্রোলরোম থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এবার ড্রোনের সংখ্যা ও তার মানও বাড়িয়েছি। এবারের ড্রোন দিয়ে কথা বলে ট্রাফিক নিদের্শনা দিতে পারবো। ফলে সহজেই যানজট রোধ করা সম্ভব হবে।তিনি বলেন, এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে অন্যবারের মতোই বাংলাদেশ পুলিশ, হাইওয়ে, জেলা, মেট্রোপলিটন পুলিশ সমন্বিত নিরাপত্তা মুলক একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এবারের ঈদযাত্রা যাতে ঘরমুখো মানুষ গন্তব্যে তাদের স্বজনের কাছে যেতে পারে। সে যাত্রা যেন নিরাপদ, স্বাছন্ন ও আনন্দদায়ক হয়, সেজন্য আমাদের সরকার সব সময় গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। সরকারী সকল সংস্থাগুলোর মধ্যে একটা সমন্বয় হয়। এরকম অনেকগুলো সমন্বয় মিটিংয়ের মাধ্যমে সড়ক সংশ্লিষ্ট সকলের তরফ থেকে মহাসড়কগুলোতে কোথায় কোথায় চ্যালেঞ্জ আছে? যানজট হতে পারে। সেগুলো আমরা চিহিৃত করে সেই যানজটের জায়গাগুলোতে সমস্যা সমাধান কল্পে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন এআইজিপি।


আরও খবর



দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান কত?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দিন দিন মেগাসিটি ঢাকায়ও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বায়ুদূষণ। মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়। অবশ্য কয়েক দিনের তীব্র গরমের মধ্যেও ঢাকার বাতাসের মান কিছুটা উন্নতির দিকে রয়েছে। তবে বাতাসে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছেই।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১২৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১০ নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

আগের দিন সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে ১৩০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৫ নম্বরে ছিল শহরটি। তার আগের দিন রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে ৯২ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ২০ নম্বরে ছিল ঢাকা।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৮৯ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এছাড়া ১৬৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতারের দোহা শহর, ১৬৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের শহর চিয়াং মাই, ১৬৬ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরের স্কোর ১৬১।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।


আরও খবর



থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৪ এপ্রিল ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের (এসকাপ) অষ্টম অধিবেশনে যোগ দিতে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন। এসকাপ সম্মেলনটি আগামী ২২ থেকে ২৬ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হবে।

এতে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন অর্থমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, সফরকালে একটি দ্বিপক্ষীয় উপাদান যুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে, যাতে অর্ধডজন দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নথি সই হতে পারে। আগামী ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আটতম অধিবেশনটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে এই অঞ্চলে সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করার একটি সুযোগ তৈরি করবে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে অবদান রাখতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনার লক্ষ্যে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারি নেতা ও মন্ত্রী এবং অন্যান্য মূল স্টেকহোল্ডারদের এই অধিবেশনে মিলিত করবে।

আয়োজকরা বলছেন, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা ডিজিটাল উদ্ভাবনের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে উন্মোচনের সুযোগগুলো চিহ্নিত করা এবং টেকসই উন্নয়নে তাদের অবদান জোরদার করার পন্থাগুলো নিয়েও আলোচনা করতে সক্ষম হবেন।


আরও খবর



নাসিরনগরে ধর্ষণের শিকার চার বছরের শিশু

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭২জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার  নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নে  চার বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৬ মার্চ ২০২৪ রোজ  মঙ্গলবার বেলা অনুমান দুই ঘটিকার সময়।এ ঘটনায় জড়িত ধর্ষক বকুল মিয়া কে আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে মামলা করা হয়েছে। যার মামলা নং পি১৩২/২৪ তারিখ ৩১ মার্চ ২০২৪।জানা গেছে, উপজেলার পূর্বভাগ উত্তরপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে বকুল মিয়া (১৯) প্রতিবেশী চার বছরের এক  শিশুটিকে  চকােলেটের লোভ দেখিয়ে একই গ্রামের হাবিব মিয়ার পরিত্যক্ত  ঘরে ডেকে নেয়।

সেখানে তাকে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত করে।  এতে শিশুটির চিৎকারে আশপাশের  লোকজন এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে। পরিবারের লোকজন শিশুটিকে গুরুতর অবস্থায়  ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।জানা গেছ ধর্ষণের শিকার শিশুটির ইনফেকশন দেখা দিয়েছে এবং সে খুবই সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালের গাইনি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।ভিকটিমের মা আসামী বকুল মিয়ার  অভিভাবকগণের নিকট বিচারপ্রার্থী হলে তারা বাদিনী ও তার লোকদের হুমকি ধামকি দিয়ে বিদায় করে দেয়।নিরূপায় হয়ে বাদিনী গত ৩১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ নারী ও  শিশু নির্ষাতন দমন ট্রাইবুন্যালে-১ এ  মামলা দায়ের করে।বিজ্ঞ আদালত থানায় মামলাটি এফ আই আর  হিসেবে গন্য করার  জন্য ওসি নাসিরনগর থানাকর নির্দেশ প্রদান করেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ঘোষণা দিয়েছেন, সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে অনিবন্ধিত ও অবৈধ নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওনাব) কার্যনির্বাহী সদস্যদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) বলছেন নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সরকার নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করে না, বরং আপনারাই বলছেন কিছুটা দরকার ডিসিপ্লিনের (শৃঙ্খলা) জন্য। অর্থাৎ নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বাইরেও অনেকে অনলাইন সংবাদমাধ্যম পরিচালনা করছেন।

তিনি বলেন, এখানে গণমাধ্যম এতোটাই মুক্ত, উন্মুক্ত এবং স্বাধীন যে, নিবন্ধন ছাড়াও চলতে পারে এবং নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের কথা পেশাগত সাংবাদিকরাই বলছেন এটা করা দরকার। যেটা প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সংবাদমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।

তবে একইসঙ্গে আমি মনে করি, এটা মুক্ত না, উন্মুক্ত। স্বাধীনতা এমন পর্যায়ে চলে গেছে, যেটা লিমিটলেস (সীমাহীন)। যে কারণে কিছুটা ডিসিপ্লিনের অভাবও হয়ে গেছে। আমি আবারও বলব, নিয়ন্ত্রণ কিংবা নজরদারির প্রশ্ন আসে না। আমরা এগুলোর পক্ষে না, আমরা করতে চাই না। আমরা এগুলোতে বিশ্বাস করি না। আমরা মুক্ত গণমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনাদের দাবির সঙ্গে আমি একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং পোষণ করছি একটা ডিসিপ্লিন আনা দরকার। যেহেতু নিবন্ধনের একটা প্রক্রিয়া আছে, সেটাকে কার্যকর করা দরকার। যারা নিবন্ধিত, তাদের কিছুটা প্রণোদনা ও সহায়তা দেওয়ার দরকার আছে, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাকে প্রমোট (এগিয়ে) করার জন্য।

তিনি বলেন, অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালগুলোর মাধ্যমে অনেক চটকদার, অসত্য, মানহানিকর ও ডিসইনফরমেশন ক্যাম্পেইন হয়। এটা একটা ভালো দিক সাংবাদিক মহলই চাচ্ছেন একটি শৃঙ্খল ডিসিপ্লিনযুক্ত সাংবাদিকতার বিকাশ। এখানে পূর্ণাঙ্গভাবে আপনাদের সঙ্গে একমত।

সংবাদমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা ও সব ধরনের নজরদারির বাইরে আমরা এখানে প্রমোট করতে চাই এমন তথ্য জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। আমাদের এখন ৪২৬টি নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল আছে। এরমধ্যে ২১৩টির মূলধারার গণমাধ্যমে আছে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া। আর ২১৩টি কেবল অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আরও কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।

তিনি জানান, নতুন কেউ অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিয়ে আসতে চাইলে তাদের নিজেদের প্রমাণ করার সময় দেওয়া দরকার। আর যারা অনিবন্ধিত, আমি মনে করি, অবৈধভাবে কোনো কিছু সঠিক না, তারা সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে না। সেগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবো। আর এটা আপনাদের (সাংবাদিক) দাবি। আমি কিন্তু বলছি না। কাজেই আমি সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আপনাদের দাবি পূরণের ঘোষণা দিচ্ছি।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমি চাই না, সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমি ঘোষণা দিলাম যে, অনিবন্ধিত অনলাইন বন্ধ করে দেবো, কালকে হেডলাইন করে পরের দিন আলাপ হবে, সরকার তো গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরছে। সেটা আমি চাই না। সাংবাদিকরাই এমনটা বলছেন।


আরও খবর