Logo
আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মাঠে খসরু চৌধুরী, একমাসেই দেখিয়েছেন সফলতা

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২২৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ যাত্রা শুরু করেছে ২০২৪ সালের ৩০ জানুয়ারি। ফেব্রুয়ারির ২৯ তারিখ একমাস পূর্ণ হয়েছে এই সরকারের। এই ১ মাসে নিজের কার্যক্রমের মাধ্যমে এলাকাবাসীর নজর কেড়েছেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. খসরু চৌধুরী এমপি।

নির্বাচনের আগে খসরু চৌধুরী ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি নির্বাচিত হলে তার প্রথম কাজ হবে সর্বাধিক অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক স্বল্পতম সময়ের মধ্যে টেকসই পরিবর্তন নিশ্চিত করা। এ কাজে তিনি সফল হয়েছেন।

এমপি নির্বাচিত হয়েই খসরু চৌধুরী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে সমন্বয় করে উন্নয়ন কাজ শুরু করেছেন। গত এক মাসে ঢাকা-১৮ আসনে তিনি নতুন করে প্রায় ২০টি রাস্তার উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ শুরু করেছেন। বর্তমান এ আসনের ৭০টিরও অধিক রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ করার জন্য ৩টি রাস্তা পাস করিয়েছেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে কথা বলে নতুন নতুন আরও কিছু উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করার চেষ্টা করছেন।

বিগত দিনে উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকায় গ্যাস সংকট ছিলে চরমে। খসরু চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরে গ্যাস পাইপ লাইন সংস্কারের মাধ্যমে গ্যাস সমস্যার সমাধান করেছেন।

ঢাকা-১৮ আসনকে সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজমুক্ত করতে কাজ করছেন তিনি। ইতোমধ্যে তিনি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। ঢাকা-১৮ আসনের বিভিন্নস্পটকে চাঁদামুক্ত করেছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, যানবাহন থেকে অবৈধ উপায়ে কোন ধরনের চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না। যারা এসব অবৈধ কাজে জড়িত থাকবে, দল-মত-নির্বিশেষে তাদের সকলের বিরুদ্ধেই জিরো টলারেন্স দেখিয়ে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।
 
২০২৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যে অবহেলিত ঢাকা-১৮ আসনের উন্নয়নে পর্যাপ্ত বরাদ্দ চেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ঢাকা-১৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে মোঃ. খসরু চৌধুরী বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-১৮ আসন বিগত বছর গুলোতে ছিলো উন্নয়ন বঞ্চিত। তাই আমি ঢাকা-১৮ আসনের রাস্তাগুলোর দ্রুত উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ চাই। মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত ঢাকা-১৮ আসন গড়ার প্রত্যয়ে খসরু চৌধুরী এমপি বলেন, ঢাকা-১৮ আসনে সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাং ও চাঁদাবাজদের দমনে এবং এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় আপনার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।ঢাকা-১৮ আসনের নাগরিকদের কর ও হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করার বিষয়ে খসরু চৌধুরী বলেন, ঢাকা-১৮ আসনের ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২টি ওয়ার্ড ছাড়া (ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১ ও ৫১ নম্বর ওয়ার্ড) বাকি যে ১২টি ওয়ার্ড ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হয়েছে সেখানের নাগরিকরা নাগরিক সেবা পাচ্ছেন না। এখানের রাস্তা গুলোতে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা নেই। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই। ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই। নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরা নেই। খেলার মাঠ নেই। নাগরিক সুবিধা না থাকায় এখানে ব্যবসা বাণিজ্য করার মতো পরিবেশ এখনও তৈরি হয়নি। এখানে নাগরিক সেবা একদম নেই বললেই চলে। তাই আমি আমার এলাকায় ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ধার্যকৃত সকল কর ও হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করতে অনুরোধ করছি।

মো. খসরু চৌধুরী এমপির এক মাসের কার্যক্রম মূল্যায়ন করতে গিয়ে বৃহত্তর উত্তরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উত্তরখান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মিলন বলেন, বিগত বছর গুলোতে ঢাকা-১৮ আসন ছিলো উন্নয়ন বঞ্চিত। তবে খসরু চৌধুরী ঢাকা-১৮ আসনের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আশাকরি তিনি সফল হবেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী সালাউদ্দিন পিন্টু বলেন, এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে খসরু চৌধুরী যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি তা বাস্তবায়ন করতে কাজ করছেন। তিনি ৫ বছর তথা ৬০ মাসের জন্য এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। মাত্র ১ মাস অতিবাহিত হয়েছে সামনে রয়েছে ৫৯ মাস। তিনি আগে এমপি না হয়েও মানুষের জন্য কাজ করেছেন। এখন এমপি হয়ে দিনের পুরোটা সময়ই মানুষের জন্য কাজ করছেন। তিনি যে ইশতেহার দিয়েছেন তা শতভাগ বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ।


আরও খবর



নওগাঁয় ৩দিন ধরে নিখোঁজ এনজিও কর্মকর্তার স্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ:নওগাঁর মান্দায় ৩দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন শতাব্দী আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূ। তিনি বেসরকারি সংস্থা ভিলেজ এডুকেশন রিসোর্স সেন্টার (ভার্ক) এর শাখা ব্যবস্থাপক হিজবুল ইসলামের স্ত্রী। 

সম্ভাব্য সকল স্থানে খুঁজেও গৃহবধূ শতাব্দী আক্তারের কোন প্রকার হদিস মিলেনি। ঘটনায় মান্দা থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করা হয়েছে।

ভার্ক কর্মকর্তা হিজবুল ইসলাম উপজেলার দেলুয়াবাড়ি বাজার শাখায় শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরাবাদ এলাকার মোকলেছুর রহমানের ছেলে। 

তাঁর স্ত্রী শতাব্দী আক্তার একই এলাকার বাসিন্দা লাভলু প্রধানের মেয়ে। পারিবারিকভাবে প্রায় ১০বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। এ দম্পতির ঘরে মেঘামনি নামে ৭বছরের একজন কন্যাসন্তান রয়েছে। 

ভার্ক কর্মকর্তা হিজবুল ইসলাম বলেন, প্রায় সাত বছর ধরে আমি এই সংস্থার দেলুয়াবাড়ি শাখায় কর্মরত আছি। এ বছরের জানুয়ারি মাসে বাজারের সোলাইমান আলীর বাসা ভাড়া নেই। এরপর স্ত্রী ও একমাত্র কন্যাসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছি। 

ভার্ক কর্মকর্তা আরও বলেন, গত রোববার (২১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে বাজারে কেনাকাটার কথা বলে স্ত্রী শতাব্দী আক্তার ভাড়াটিয়ার বাসা থেকে বেরিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খুঁজেও তাঁর কোনো খোঁজ মিলছে না। এ বিষয়ে সোমবার রাতে মান্দা থানায় সাধারণ ডাইরি করেছি।

এ বিষয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, গৃহবধূ শতাব্দী আক্তারের নিখোঁজের বিষয়ে বিভিন্ন থানায় বার্তা দেওয়া হয়েছে। তাঁকে উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ।


আরও খবর



ঢাবি'র অধ্যাপক ড.জিয়া রহমান এর প্রয়ানে স্মরনসভা ও দোয়া মাহফিল

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩০জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃ ঢাবি'র অধ্যাপক ড.জিয়া রহমান এর প্রয়ানে স্মরনসভা ও দোয়া মাহফিলঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ক্রিমিনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম অধ্যাপক ড.জিয়া রহমানেরপ্রয়ানে স্মরনসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ৩০ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ মিলনায়তনে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড.আতিয়ার রহমান।পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া,ও সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা, ঢাবি পদার্থ বিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক কামরুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজওয়ানুল ইসলাম, সাংবাদিকতা ও গণ যোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক সায়ন্তি, ডিবিসি টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম, অপ্রয়াত অধ্যাপক ড. জিয়ার স্ত্রী ফৌজিয়া খান (শীলা) সহ ক্রিমিনোলজি বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থী,ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক বৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন,জিয়া রহমান সকলের সাথে হাসি মুখে কথা বলতেন, সবার সাথে চলাফেরা করতেন। তিনি আমার বন্ধু ছিলেন, খুব ক্লোজ চলাফেরা ছিলো আমাদের। আমরা সকলেই চলে যাবো, কিন্তু কোনো কোনো মৃত্যু একটা বড় ক্ষতি করে যায় আমাদের জন্যে ও প্রতিষ্ঠানের জন্যে। জিয়া রহমানের মৃত্যু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় ক্ষতি। 

অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, ক্রিমিনোলোজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সিনেট সদস্য, শিক্ষক সমিতি ও নীলদলের সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।ড. জিয়া রহমান গত ২৩ মার্চ রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।


আরও খবর



মেহেরপুরে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌ চাষিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, গাংনী(মেহেরপুর:মেহেরপুরে লিচু বাগানগুলোতে মুকুলের সমারোহ। চারদিকে মুকুলের মিষ্টি মৌ মৌ গন্ধ। গাছে গাছে দোল খাচ্ছে লিচুর মুকুল। গাছের প্রতিটি ডাল থেকে মুকুলের সুবাস ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। মুকুলের সুগন্ধে পাখা মেলে গুণ গুনিয়ে এক ফুল থেকে অন্য ফুলে ছুটছে মৌমাছিরা। লিচু চাষিরা যেমন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে গাছের পরিচর্যায়। অন্যদিকে মৌচাষিরা মধু সংগ্রহে শ্রম ব্যয় করছে দিনরাত। মধু সংগ্রহে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন মৌচাষিরা। গাছের ফাঁকে ফাঁকে বাক্স বসিয়ে সংগ্রহ করছেন সুস্বাদু মধু।

মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার রশিকপুরে লিচুবাগানগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে গাছের মুকুল ভালো হওয়ার মধু সংগ্রহে খুশি মৌচাষিরাও। মার্চ মাসের শুরু থেকে মধু সংগ্রহ করার ধুম পড়ে। দূর থেকে আসা মৌচাষিরা বিভিন্ন স্থানীয় বাগান মালিকদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে মৌ চাষ শুরু করে। একটি বাগানে মধু সংগ্রহ করার কাজে ২-৩ জন শ্রমিক কাজ করে। দেখা যায়, লিচুর উৎপাদন বাড়াতে বাগানে বাগানে চাষিরা মৌমাছির ’মৌ বাক্স’ বসিয়েছে। পাশেই নিজেদের তৈরি ছোট কুঁড়েঘর থাকে বাক্সের তদারকি করছে মৌ চাষিরা।

লিচু গাছের নিচে সারি সারি করে সাজিয়ে রেখেছেন কাঠের তৈরি বাক্সগুলো। সেখান থেকে দলে দলে মৌমাছির ঝাঁক বসছে লিচুর মুকুলে। মুকুল থেকে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছির দল নিজ নিজ বক্সে মৌচাকে মধু এনে জমা করছে। ৭-৮ দিন পর পর প্রতিটি বাক্স থেকে চাষিরা মধু সংগ্রহ করছেন। লিচুর বাগান থেকে সংগ্রহ করা মধু যেমন খাঁটি তেমনই সুস্বাদু। মানের দিক থেকে ভাল হওয়ায় এর চাহিদা অনেক বেশি। প্রতি বছর দেশের নানান প্রান্ত থেকে মৌচাষিরা মধু সংগ্রহ করতে মেহেরপুরের বিভিন্ন বাগানে আসে। এদিকে বাগান থেকেই সুস্বাদু মধু ক্রয় করছেন স্থানীয় ও দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ীরা।

মধু কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন, মধু চাষিরা এখানে মধু সংগ্রহের পাশাপাশি বিক্রিও করছেন। আমরা বাজারে যে মধু কিনি, সেগুলোয় কেমিক্যাল বা ভেজাল থাকে। তবে এখানকার মধু খাঁটি। এক মাস সময় নিয়ে দিনাজপুর থেকে এখানে এসেছেন মৌ চাষি রনি হাসান ও তার দল। রনি হাসান দীর্ঘ ১৪ বছর এই পেশায় যুক্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, বছরে ৬ মাস আমাদের কাজ হয়। আমরা মাসে ৩-৪ বার মধু সংগ্রহ করতে পারি।

মৌ চাষি রনি হাসান আরো বলেন, আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে আরো বেশিও সংগ্রহ করা যায়। এখানে ১৫০টি বক্স রয়েছে। প্রতিটি বক্সে ৪টি-১৬টি ফ্রেম আছে। প্রতিটি ফ্রেম থেকে ২৫০ গ্রাম থেকে ২ কেজি পর্যন্ত মধু আমরা সংগ্রহ করে থাকি। ইতোমধ্যে আমরা ২’শ ৯০ কেজি মধু সংগ্রহ করেছি। আরও ২শ কেজি মধু সংগ্রহের সম্ভবনা রয়েছে। এখানে সংগ্রহের কাজ শেষ হলে আবার অন্যত্র মধু সংগ্রহের কাজ শুরু হবে।

স্থানীয় পর্যায়ে প্রতি কেজি মধু ৬শ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। মধু সংগ্রহ করা শেষ হয়ে গেলে তারা সাথে করে মৌমাছিদের নিয়ে যায় বলে জানান মৌ চাষিরা। প্রতিটি বাক্সে একটি রানী মৌমাছি, একটি পুরুষ মৌমাছিসহ অসংখ্য এপিচ জাতের কর্মী মৌমাছি রয়েছে। কর্মী মৌমাছিরা ঝাঁকে ঝাঁকে লিচুর মুকুলে ছুটে গিয়ে মধু সংগ্রহ করে।কৃষিবিদ শফিউল ইসলাম বলেন, মৌমাছির মাধ্যমে মুকুলের পরাগায়ণ ঘটানোর মাধ্যমে লিচুর ফলন ভাল হয়।

ফলে যে গাছে মৌমাছির বেশি আগমন ঘটে সে গাছে লিচুর যেমন বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকে, তেমনই মৌ চাষিরা বেশি মধু সংগ্রহ করে বাণিজ্যিকভাবে বিপুল পরিমান অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়।


আরও খবর



রামগড়ে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর উদ্যোগে ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫০জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পবিএ ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধিদের মাঝে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর উদ্যোগে প্রতিবন্ধি  তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মাঝে ঈদ উপহার  ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে রামগড় থানা প্রাঙ্গণের সামনে জেলা পুলিশের আয়োজনে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত হতদরিদ্র ও তৃতীয় লিঙ্গ এবং প্রতিবন্ধীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ করেন খাগড়াছড়ি জেলার মানবিক পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।

ঈদ উপহার সামগ্রী পেয়ে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধি উপকার ভোগীরা খাগড়াছড়ি জেলার মানবিক পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)কে ধন্যবাদ জানাতে ভূলেননি।

রামগড় থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, রামগড় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক মো. নিজাম উদ্দিন লাভলু, রামগড় উপজেলা প্রতিবন্ধি কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য তিশা প্রমূখ।

প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে, খাগড়ছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন,জেলার  আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জেলা পুলিশ সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টিদের  বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে।তারই ধারাবাহিকতায়  পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে রামগড় থানা এলাকার ৩০ জন অসহায়- হতদরিদ্র ও তৃতীয় লিঙ্গ ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে ইফতার ও ঈদ বস্ত্র হাতে তুলেদিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। প্রতিবন্ধি, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী  আমাদের সমাজেরই একটি অংশ। তাই তাঁদেরকে পৃথক করে দেখার সুযোগ নেই। যদিও নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝে এই গোষ্ঠী পিছিয়ে আছে। তবে সঠিক প্রশিক্ষণ ও সুযোগ পেলে তারাও সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। জানিয়ে তিনি আরো বলেন এধরনের কার্যক্রম জেলা পুলিশের অব্যাহত রয়েছে। যা ভবিষ্যতে  এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান।

এসময় খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো, জসীম উদ্দিন পিপিএম, রামগড় সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.নাজিম উদ্দিন, রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেব প্রিয় দাশ,
রামগড় স্থল বন্দর ইমিগ্রেশন ইনচার্জ (ওসি) মো.মনির হোসেন সহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা, সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



অসচ্ছল ২২ নারীকে স্বাবলম্বী করতে সেলাই মেশিন দেবে বারইয়ারহাট পৌর কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট পৌর এলাকার অসচ্ছল ২২ নারীকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ করবে বারইয়ারহাট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে বারইয়ারহাট পৌরসভা সম্মেলন কক্ষে সকাল ৯ টায় পৌর মেয়র রেজাউল করিম খোকনের সম্মতিক্রমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র নিজাম উদ্দিন। বারইয়ারহাট পৌরসভা দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচী বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কমিটির তত্বাবধানে এই প্রশিক্ষণ ১৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে চলবে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। ১৫ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষনের প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছেন আফসানা ইয়াসমিন ও প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছেন লিপি আক্তার। বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন বিতরণের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচীর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আলোচনা পর্ব তানভীর আহমেদের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কান্তি চাকমা। পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও দারিদ্র বিমোচন বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আরিফ উদ্দিন মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী সমর মজুমদার, পৌর হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মুলকুতের রহমান হেলাল, কাউন্সিলরবৃন্দ, দারিদ্র বিমোচন কমিটির সদস্যবৃন্দ, ট্রেইনার ও প্রশিক্ষণার্থীরা। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত চলবে প্রশিক্ষণ, প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের সার্টিফিকেট, যাতায়াত ভাতা ও বিনামূল্যে সেলাই মেশিন প্রদান করা হবে।

বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকন বলেন, বর্তমান সরকার নারীদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। অসচ্ছল নারীদের সাবলম্বী করতে নানা কর্মসূচিও বাস্তবায়ন করছে। তারই ধারাবাহিকতায় বারইয়ারহাট পৌরসভা দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচী বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কমিটির তত্বাবধানে প্রথমবারের মতো ২২ জন অসচ্ছল নারীদের বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষন দিয়ে সেলাই মেশিন বিতরণের কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।


আরও খবর