Logo
আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে শোকজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ২০৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে রাজশাহী-৬ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে শোকজ (কারণ দর্শানোর নোটিশ) করা হয়েছে।

প্রতীক বরাদ্দের আগেই জনসভা করা ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থীদের সমর্থকদের ‘কুলাঙ্গার’ বলার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজশাহী সদরের সিনিয়র সহকারী জজ ও রাজশাহী-৬ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মো. সেফাতুল্লাহ স্বাক্ষরিত নোটিশে এ আদেশ দেওয়া হয়।

নোটিশে বলা হয়েছে- আপনি (শাহরিয়ার আলম) গত ২ ডিসেম্বর (শনিবার) রাতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রতীক বরাদ্দের আগেই চারঘাটের ফরহাদ আলাউদ্দীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জনসভা করেন। জনসভায় আপনি (শাহরিয়ার আলম) রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পাকুড়িয়া ইউপির চেয়ারম্যান এবং রাজশাহী-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা রাহেনুল হকের কর্মী ও সমর্থক মো. মেরাজুল ইসলামকে জনসমক্ষে ‘কুলাঙ্গার’ বলে অপবাদসহ বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন। এছাড়া ১৭ ডিসেম্বরের পর তাকে দেখে নেওয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। আপনার (শাহরিয়ার আলম) উক্ত আচরণের মাধ্যমে আপনি (শাহরিয়ার আলম) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৬(গ) ও বিধি ১১(ক) এবং বিধি ১২ লঙ্ঘন করেছেন যা নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য হয়।

এমতাবস্থায়, সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৬(গ) ও বিধি ১১(ক) এবং বিধি ১২ লঙ্ঘনের দায়ে আপনার বিরুদ্ধে কেন নির্বাচন কমিশনে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না তৎমর্মে আগামী রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় নিম্নস্বাক্ষরকারীর (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ চেয়ারম্যান নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) মো. সেফাতুল্লাহ) কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।


আরও খবর



কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী সনদ বাণিজ্যের অভিযোগে গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে এবার গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি সূত্র।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, কারিগরি বোর্ডের সনদ বাণিজ্য মামলার প্রধান আসামি এ টি এম শামসুজ্জামান এবং সহযোগী আসামি সানজিদা আক্তার ওরফে কলি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এই জবানবন্দির ভিত্তিতে শেহেলা পারভীনকে শনিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে আনা হয়েছে।

এদিকে প্রাথমিকভাবে শেহেলার বিরুদ্ধে এ টি এম শামসুজ্জামানের সঙ্গে টাকা-পয়সা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানায় ডিবি।

এর আগে একই মামলায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান, সাবেক কর্মচারী ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের সনদ তৈরির নিজস্ব কারখানায় নিয়োজিত কম্পিউটারম্যান ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার ওরফে কলি, হিলফুল ফুজুল নামের কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল সরদার গোলাম মোস্তফা ও যাত্রাবাড়ীর ঢাকা পলিটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মাকসুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন বর্তমানে রিমান্ডে আছেন।

গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জানান, গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের একাধিক দল ১ এপ্রিল ভোররাত থেকে নজরদারিতে রেখে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুরের দক্ষিণ ও মধ্য পীরেরবাগ এবং আগারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান এবং তার সহযোগী ফয়সাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের সময় কাছাকাছি দুটি বাসায় তাদের হেফাজত থেকে একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেওয়া হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্লাঙ্ক কপি, তৈরি করা শতাধিক সনদ এবং ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল উদ্ধার করা হয়েছে।

এসব কম্পিউটার, প্রিন্টার ও ল্যাপটপ দিয়ে গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি আসল সনদ, মার্কশিট বানিয়ে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান ডিসি মশিউর রহমান।

এছাড়া সরকারি ওয়েবসাইট, সরকারি পাসওয়ার্ড ও অথরাইজেশন ব্যবহার করে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা সনদগুলোকে বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোনো দেশে বসে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বরগুলোকে সার্চ করলে সার্টিফিকেটগুলো সঠিক বলে প্রমাণিত হবে।


আরও খবর



মধুপুরে ইউপি মেম্বার ফোরামের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইলঃটাঙ্গাইলের মধুপুরে মেম্বার ফোরাম এর আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী  অনুষ্ঠান ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা ইউপি মেম্বার ফোরাম এর আয়োজনে  উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত জলই মহুয়া  কটেজে রবিবার (২১ এপ্রিল) দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মেম্বার ফোরামের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সোহেল। 

ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটি এক মিলন মেলায় পরিনত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ( মেম্বার) মৃতুবরণ করায় তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করে অনুষ্ঠান শুরু হয়। 

উক্ত অনুষ্ঠানে  আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে  উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছরোয়ার আলম খান আবু, চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট ইয়াকুব আলী, চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ডাঃ মীর ফরহাদুল আলম মনি। 

ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলাল উদ্দিন, খন্দকার সামছুল আরেফিন শরিফ, সজীব আহমেদ, আবুল খায়ের মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যষ্ঠিনা নকরেক, নিগার সুলতানা রুবি, মিনারা বেগম,সন্ধা সিমসাং সহ আউশনারা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, অরণখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম, বেরীবাইদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুলহাস উদ্দিন।

উক্ত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে মেম্বার ফোরামের  কার্যকরী কমিটির সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রোস্তম আলী, মিঃ প্রবীর বর্মন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সহ-সম্পাদক শরাফত আলী, আবুল হোসেন,  সাংগঠনিক সম্পাদক মিঃ তুষার রেমা সহ অন্যান্য কার্যকরী কমিটির সদস্য সহ ফোরামের সকল সদস্যগন উপস্হিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা  করেন মেম্বার ফোরামের সহ-সভাপতি মিঃ প্রবির বর্মন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ডেমরায় ১৫ বছরের পুরনো রাস্তা বন্ধ করে উঁচু দেয়াল নির্মাণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ২৪২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃরাজধানীর ডেমরা থানাধীন ভুট্টোচত্বর এলাকায় দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের পুরনো রাস্তা বন্ধ করে উঁচু দেয়াল নির্মাণ করায় প্রায় ৪০ পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এতে স্কুল পড়ুয়া সন্তানদের নিয়ে পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর পক্ষে আব্দুল কাদের নামক এক ব্যক্তি এ বিষয়ে ডেমরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ভুক্তভোগী আব্দুল কাদের জানান গত ২০০৯ সালে মাতুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মিয়ার উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ কন্ট্রাকটার কে সাথে নিয়ে জনসাধারণের চলাচলের জন্য ১২ ফুট রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। মাতুয়াইল নিউটনের গুগল ম্যাপে রাস্তাটি দৃশ্যমান আছে। লিপি আক্তার নামে একজন মহিলা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে গত কয়েকদিন আগে টিনের ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তার উপরে উঁচু দেয়াল নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। রাস্তাটি দেয়াল তুলে বন্ধ করে দেয়ায় ভুক্তভোগী চল্লিশটি পরিবার বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই রাস্তার নিচ দিয়ে স্থানীয়দের গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রতিষ্ঠান ওয়াসার পানির পাইপ পয়ঃনিষ্কাশনের সুয়ারেজ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এ রাস্তাটি এই চল্লিশটি পরিবারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এ রাস্তার ভেতরে বেশকিছু বহুতল ভবন অবস্থিত যেখানে শত শত যানবাহনও চলাচল করে আসছিল দীর্ঘদিন যাবৎ। এছাড়াও বর্তমানে আরো কিছু বহুতল ভবন নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে।রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবিতে ভুক্তভোগীরা কয়েক দফা প্রতিবাদ করেছেন। সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের  ৬৬নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরকেও বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ডেমরা থানাধীন বাদশামিয়া রোড সংলগ্ন ভুট্টো চত্বর এলাকার আয়েশা  হক ট্রেড সেন্টার সংলগ্ন এলাকায় জনৈক লিপি আক্তার চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সড়কের প্রধান প্রবেশদ্বারে উঁচু দেয়াল তুলে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। লিপি আক্তার সন্ত্রাসীদের দাঁড় করিয়ে রেখে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে এই স্থানে উচু প্রাচীর নির্মাণ করে। লিপি আক্তারের মা আয়েশা খাতুন ২০০৯ সালে এই জায়গাটি রাস্তার জন্য ছেড়ে দেয়। লিপি আক্তারের মা একই খতিয়ানভুক্ত এই জমি সহ আশেপাশের বিভিন্ন জমি এসব ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর কাছে বিক্রয় করেন। সেই সময় এই রাস্তাটিকেই চলাচলের রাস্তা হিসেবে দলিলে দেখানো হয়েছিল।সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে রাস্তাটি দৃশ্যমান আছে। লিপি আক্তার ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে ও রাস্তা বন্ধের প্রতিবাদ করতে আসা লোকজনকে কাপড় উঁচিয়ে নারী নির্যাতন মামলার ভয় ভীতি দেখিয়ে দমন করার চেষ্টা করছে।

ভুক্তভোগী আব্দুল কাদের গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, রাস্তাটি আমাদের ৪০টি পরিবারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটি বন্ধ করে দেয়ায় আমাদের জন্য বিষয়টি গোঁদের ওপর বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মশিউর রহমান মোল্লা সজল এই বিষয়ে সাংবাদিকদের মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি আমার নলেজে নেই তবে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো আসলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লিপি আক্তারের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, জমিটা আমার মায়ের দুই পাশের ফ্যাক্টরির জন্য এতদিন এই রাস্তাটি খোলা ছিল, কিন্তু আমার প্রয়োজনে বর্তমানে আমি রাস্তাতেই বন্ধ করে দিয়েছি, কিছু দিন আগে ৬৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে জোরপূর্বক আমার এই রাস্তার দেয়ালটি ভেঙ্গে দিয়েছিল।

এ বিষয়ে ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল  ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি অবশ্যই স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করব।



আরও খবর



মাগুরার শালিখায় এক দারোগা পত্নীর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরার শালিখায় রুনা খাতুন (৩৬) নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নতুন বাজার রোড এলাকার কাজী গোলাম মোস্তফা টুকুর মেয়ে। তার স্বামী সাইফুল ইসলাম মাগুরা সদর থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত আছেন।

শনিবার সকালে শালিখা থানা পুলিশ ভাড়াবাড়ির শয়ন কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত রুনার লাশ উদ্ধার করে। লাশের  সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে রুনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত প্যাথেডিন নেওয়ার অসংখ্য চিহ্ন দেখতে পেলেও মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।

নিহত রুনা খাতুনের স্বামী এসআই সাইফুল এবং তার সন্তানেরা এটিকে আত্মহত্যা বলে জানালেও সন্তানদের কেউ মাকে হত্যা করতে পারে বলে দাবি করেছেন নিহত রুনার ভাই-বোন সহ বাবার বাড়ির লোকেরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাগুরা সদর থানায় কর্মরত এসআই সাইফুল ইসলাম শালিখা উপজেলার গোপালগ্রামে প্রবাসী তাহের উদ্দিনের দ্বিতল বাসায় স্ত্রী রুনা এবং দুই সন্তান রাতুল (২০), মহম্মদ আলি (১৫) ও রাতুলের স্ত্রী হৃদরি (১৮) কে নিয়ে বসবাস করতেন। কিন্তু শুক্রবার রাতে তিনি মাগুরা সদর থানা এলাকায় ডিউটিরত ছিলেন। এ অবস্থায় শনিবার ভোর ৫টার দিকে বড় ছেলে রাতুল থানায় খবর দেয় তার মা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে শালিখা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ সময় ঘরের মধ্যে লাশের অবস্থা এবং পরিবারের সদস্যদের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা থাকায় নিহতের ছেলে রাতুল, মহম্মদ আলি এবং রাতুলের স্ত্রী হৃদরিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

রুনা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়ে স্বামী এসআই সাইফুলের সাথে বারবার মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে রুনার বড় বোন সারমিন সুলাতানা সীমা জানান, সপ্তাহ খানেক আগে বোন বাবার বাড়ি থেকে কোটি টাকার জমি বিক্রি করেছে। এর আগেও ৫-৭ কোটি টাকার জমি বিক্রি করে ছেলেদের দিয়েছে। তারপরও বোনকে তারা মেরে ফেলেছে।নিহতের ভাই কাজী মেহেদি হাসান বলেন, বোনের মৃত্যুর খবর পেয়েই গোপালগঞ্জ থেকে এসেছি। এর আগে অনেকদিনই এদের কারো সাথে আমাদের যোগাযোগ নেই। বোনের ছেলেরা মাদকাসক্ত। টাকা পয়সা ছাড়াও নানা কারণে ছেলেরা মায়ের উপর অত্যাচার করতো। এসব বিষয়ে বোন জামাই সাইফুলকে জানানো হলেও তিনি আমলে নেননি। শেষ পর্যন্ত তারা পরিকল্পিতভাবে বোনকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে।

এদিকে রাতের বেলা মিজানুর রহমান নামে এক প্রতিবেশি ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে নারী কণ্ঠের চিৎকার শুনতে পেলেও সেখানে গিয়ে বাড়ির গেট বন্ধ দেখেন এবং কারো কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ফিরে আসেন বলে জানান তিনি।

পুলিশ পরিবারের সদস্য গৃহবধূ রুনা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়ে শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, নিহতের স্বামী এবং সন্তানেরা এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে জানালেও লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্তে জানা যাবে। 


আরও খবর



ডোমারে বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফল হক ফাউন্ডেশনের ঈদ উপহার প্রদান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে বাংলাদেশ আ’লীগ ডোমার থানা শাখার প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন সভাপতি প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফল হক এর ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার ও মেধাবী কৃতি ছাত্রীকে সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (০৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় ডোমার মহিলা ডিগ্রী কলেজ হলরুমে বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফল হক ফাউন্ডেশনের সভাপতি আনজারুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডোমার পৌর মেয়র আলহাজ্ব মনছুরুল ইসলাম দানু।

শিক্ষক রেজওয়ানুল হক উৎপলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরননবী, পৌর কমান্ডার ইলিয়াস হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফল হক ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্টপোষক অবঃ প্রাপ্ত সহকারী বন সংরক্ষক আনিছুল হক গোল্ডেন, ডোমার মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ লতিফুল মোস্তাকীম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে এলাকার কৃতি সন্তান সাবিহা বিনতে বৃষ্টি মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষায় জাতীয় মেধা তালিকায় ৩৮তম স্থান অর্জন করায় ফাউন্ডেশনের পক্ষথেকে বিশেষ সম্মাননা ও সহায়তা প্রদান করা হয়। আলোচনা শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এলাকার ৩ শতাধীক অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী হিসাবে খাদ্য ও শাড়ী লুঙ্গি বিতরণ করা হয়।


আরও খবর