Logo
আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ, লাইটার-দিয়াশলাই না নিয়ে যাওয়ার আহ্বান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ এপ্রিল ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৩০৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদুল ফিতরের জন্য জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে দেশের প্রধান ঈদ জামাতের সার্বিক প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমরা আশা করছি মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাদের সঙ্গে ঈদের জামাতে অংশ নেবেন। পাশাপাশি মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, সংসদ সদস্যরা, সচিব, কূটনৈতিকরা ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা অংশ নেবন। ঢাকাবাসী ও সাধারণ মুসল্লিদের সবার জন্য সুষ্ঠু আয়োজন করা হয়েছে। ওজুখানাসহ মহিলাদের জন্য আলাদা পথ রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত খাবার পানির ব্যবস্থা রেখেছি যাতে করে এই ভ্যাপসা গরমে কেউ যেন কষ্ট না পায়।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘সবদিক বিবেচনা করে হঠাৎ করে ঝড়-বৃষ্টি হলে যাতে পানি জমতে না পারে বা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত না হতে পারে, তাই পুরোটাই আমরা ত্রিপল দিয়েছি এবং পর্যাপ্ত পাখা ও চিকিৎসা সহযোগিতার ব্যবস্থাও রেখেছি। গতবারের তুলনায় এবার স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র বেশি রাখা হয়েছে, চিকিৎসক বেশি রাখা হয়েছে। কারণ, যে তীব্র দাবদাহ চলছে তাতে কেউ অসুস্থ হলে যেন সেবা দেওয়া যায়, সেজন্য সিভিল সার্জন অফিসসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আলাদা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করেছে।

ব্যারিস্টার তাপস বলেন, ‘আর যেহেতু মহামান্য রাষ্ট্রপতি আসবেন, তাই এসএসএফসহ আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন। আমরা আশাবাদী, একটি সুন্দর, সুষ্ঠু পরিবেশে ব্যাপক মুসল্লির অংশ্রগহণে আমরা ঈদের মূল জামাত আয়োজন করতে পারছি। সুতরাং আমরা পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছি। জাতীয় ঈদগাহে সবাইকে সাদরে অভ্যর্থনা জানাতে আমরা অপেক্ষায় আছি।

মুসল্লিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি, বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে এবং তীব্র দাপদাহ রয়েছে। সুতরাং সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন-সতর্ক থাকবে আহ্বান করছি। দয়া করে কেউ কোনো দিয়াশলাই অথবা লাইটারজাতীয় কোনো বস্তু আনবেন না। নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা এ ব্যাপারে সজাগ থাকবে, সতর্ক থাকবে। তাই সবাইকে বিনয়ের সঙ্গে আহ্বান করছি, আপনারা কেউ এ ধরনের বস্তু আনবেন না।’

জাতীয় ঈদগাহে সবাইকে নামাজ আদায়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মহিলাদের নামাজের জন্য এখানে যেমন আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে তেমনই বের হওয়ার জন্যও আলাদা গেটেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। নামাজ শেষে মুসল্লিরা বের হওয়ার সময় যেন কোনো হুড়োহুড়ি না হয়, সে কারণে বের হওয়ার জন্য আমরা পর্যাপ্ত পথ রেখেছি। ঝড়-বৃষ্টি হলে ভেতরে যেন পানি ঢুকতে না পারে তার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সুতরাং আমরা সবাই মিলে খুব সুন্দর একটা পরিবেশে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করব। ঢাকাবাসীসহ সবাইকে আহ্বন করব, আপনারা আসবেন। জামাতে অংশগ্রহণ করবেন। আমরা একইসঙ্গে সবাই মিলে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করব।

এ সময় জানানো হয়, ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের প্যান্ডেলে এক সঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাতে শরিক হতে পারবেন। এছাড়া প্যান্ডেলের বাইরে চারপাশের রাস্তাগুলোতেও আরও অর্ধ-লক্ষাধিক ব্যক্তিবর্গ ঈদ জামাতে অংশগ্রহণ করে থাকেন।

পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. হায়দর আলী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. ফজলে শামসুল কবির, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তর, পুলিশ এবং র‍্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



তানোরে চেয়ারম্যান পদে ময়না, ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর রেজা ও চেয়ারম্যান সোনিয়া নির্বাচিত

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে বিপুল ভোটে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে তানভীর রেজা এব মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সোনিয়া সরদার কে বে সরকারী ভাবে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়েছে ।  কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না  ভোট  পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৩৯৫ টি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন ২০ হাজার ০৭৯  ভোট পেয়েছেন। কাপ পিরিচ প্রতীক কে ২৬ হাজার ৩১৬ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার কামরুজ্জামান। 
 
এদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া সরদার ৩০ হাজার ৮৮৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বৈদ্যুতিক ফ্যান প্রতীকের প্রার্থী সাগরী ভৌমিক ২৩ হাজার ৪৫৭ ভোট পেয়েছেন। 

অপর জন সেলাই মেশিনের প্রার্থী নাসিমা বেগম ৮ হাজার ২১৭ ভোট পেয়েছেন। ৭ হাজার ৪২৯ ভোট পেয়ে বে সরকারী ভাবে সোনিয়া সরদার কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।  পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকের সর্বকনিষ্ঠ  তানভীর রেজা ৩৮ হাজার ৫৩৭  ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীকের প্রার্থী সোহেল রানা ২৪ হাজার ৬০১ ভোট পেয়েছেন । ১৩ হাজার ৯৩৬ ভোটে বিজয়ী তানভীর কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় । 

এর আগে বুধবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গ্রহণ শেষে উপজেলা পরিষদের হলরুমে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা । এসময় টিএইচও বার্নাবাস হাসদাক, কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ, সমাজ সেবা অফিসার মোহাম্মদ হোসেন, পিআইও এটিএম কাউসার আলী সহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা    বলেন ভোটের দিন যে ভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ ও শেষ হয়েছে আমি আসা করব বিজয়ী প্রার্থীরা সেই পরিবেশ বজায় রাখবেন।

আরও খবর



তানোরে কৃষি প্রণোদনায় অনিয়ম, হয়না আউশ চাষ, পেল কারা?

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ২৪জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। বিগত ২০২৩ সালের ২০ মার্চ সোমবার কৃষি প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর কাছে কৃষকেরা মৌখিক অভিযোগ করেন। এদিকে ২০২৪ সালের কৃষি প্রণোদনার তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদের অভিযোগের তীর কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের দিকে। তবে কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ কৃষকদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কারন উপজেলায় আউশ চাষ হয়না তাহলে কাদের দেয়া হল প্রণোদনা এমন প্রশ্ন প্রকৃত প্রান্তিক কৃষকদের। 

জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খরিপ-১ মৌসুমে উপশী আউশ আবাদ  বৃদ্ধির লক্ষে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় উপজেলার ৭ হাজার ৬৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের  মাঝে বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনার সার-বীজ বিতরণ করা হয়েছে।এদিকে প্রণোদনা বঞ্চিত কৃষকদের অভিযোগ তালিকা প্রণয়নে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। একই পরিবারের একাধিক সদস্য এমনকি জমি নাই বা কখানোই আউশের আবাদ করে না। এমন কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হলেও অনেক প্রকৃত আউশ চাষি প্রণোদনা সুবিধা বঞ্চিত হয়েছে। অথচ কৃষি বিভাগ থেকে তালিকা প্রণোয়নে কৃষকদের যাচাই-বাছাই করার কথা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, গত ১১মে শনিবার কৃষি প্রণোদনা বিতরণ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। এদিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব রাখেন সাংসদ প্রতিনিধি ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। 

এদিন উপজেলার  ৭ হাজার ৬৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি পটাশ ও ৫ কেজি করে উচ্চ ফলনশীল ধানবীজ দেয়া হয়েছে। কিন্ত্ত তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের কারনে অবস্থা সম্পন্ন এবং (ভুয়া) কৃষক প্রণোদনা পেলেও প্রকৃত কৃষকেরা বঞ্চিত হয়েছে। আবার একই পরিবারের একাধিক সদস্য প্রণোদনার কৃষি উপকরণ পেয়েছে। কতিপয় কৃষি কর্মকর্তার মদদে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে প্রকৃত কৃষককে বঞ্চিত করে (ভুয়া) কৃষকের তালিকা করেছেন বলে কৃষকদের মাঝে আলোচনা রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন অধিকাংশ (ভুয়া) কৃষক প্রণোদনার উপকরণ পেয়ে বাজারের এক সার ব্যবসায়ীর দোকানে বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে সরকারের মহতী উদ্যোগ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হতে চলেছে। কৃষকদের অভিযোগ কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের দায়িত্ব  অবহেলার কারণে সরকারের দেয়া সহায়তা থেকে প্রকৃত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি এখানে দায়িত্ব নেবার পর থেকে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ডালপালা মেলেছে। এদিকে কৃষি কর্মকর্তার কাছে প্রণোদনার কৃষকের তালিকা চাইলে তিনি সাংবাদিকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে তালিকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তবে এসব কৃষকের নামের তালিকা যাচাই-বাছাই করলেই তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া যাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাঠপর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ইতিপুর্বে উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন পেয়াঁজ চাষের জন্য ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে দুই ধাপে মোট ১৫০ জন কৃষককে ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৩৫০ টাকা প্রণোদনা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কৃষক প্রতি নগদ ২ হাজার ৮০০ টাকা করে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং কৃষক প্রতি উপকরণ ২ হাজার ৪৪৯ টাকা করে মোট ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৫০ টাকা। কিন্ত্ত সেখানেও কৃষি কর্মকর্তা নানা অনিয়ম করেছেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে।এসব নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল।

উপকারভোগী একাধিক কৃষকের অভিযোগ, প্রণোদনার তালিকায় কৃষক নয় এমন ব্যক্তিসহ স্বজনপ্রীতি, এবং অল্প কিছু কৃষককে নামেমাত্র প্রণোদনা দেয়া হয়েছিল। তারা বলেন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের প্রণোদনার প্রকল্পে যেখানে কৃষক প্রতি বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ২৪৯ টাকা। বরাদ্দের টাকা কৃষকদের বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো হয়। কিন্তু প্রতিটি কৃষককে বিকাশে ২৮০০ টাকা করে পাঠানোর কথা থাকলেও তালিকার অনেক কৃষক সে টাকা পায়নি। আর তালিকায় নেই প্রকৃত কৃষক। কৃষকরা বলছেন, বরাদ্দের বাকী ২৪৪৯ টাকার মধ্যে বালাইনাশক বাবদ ২১০০ টাকা, নায়লন সুতলি বাবদ ১৫০ টাকা, অন্যান্য খরচ বাবদ ১৪৪ টাকার ভাউচার প্রদান করা হয়। প্রকৃতপক্ষে কৃষককে দেওয়া হয়, ৫০০ টাকার পলিথিন, ৮০ টাকার বালাইনাশক (৫০ গ্রাম অটোষ্টিন), ৪৫ টাকার সুতলি। প্রতিটি কৃষক পায় ৬২৫ টাকার মালামাল। বাঁকী টাকা আত্মসাৎ করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা টাকার পরিমাণ ২ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা বলেও কৃষকের মাঝে আলোচনা রয়েছে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কীটনাশক ব্যবসায়ী বলেন, 

কৃষি প্রযুক্তি মেলা আয়োজনের জন্য সরকারিভাবে দুলাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। কিন্তু তার পরেও প্রতিটি কীটনাশক ব্যবসায়ীর কাছে থেকে আনুঃপাতিকহারে চাঁদা আদায় করা হয়েছিল। অথচ তারা দায়সারা আয়োজন করে অতিথিদের নাস্তাও ছিল নিম্নমাণের যা অত্যন্ত দুঃখজনক।  এমনকি উপজেলার দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল না।
 এছাড়াও 

অফিস সময় মেনে অফিস না করা, স্টেশনে না থাকা, সরকারি গাড়ী ব্যবহার করে রাজশাহী থেকে যাতায়াত, অফিসে এসি ব্যবহার ও বিভিন্ন ফসলের প্রদর্শনীতে নানা অনিয়ম নিয়মে পরিণত হয়েছে বলেও জনশ্রুতি রয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, আমি জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, অথচ কৃষি প্রযুক্তি মেলায় আমাকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল না, এটা শুধু আমাকে নয়, যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন তাদের সকলকে অবজ্ঞার সামিল ছিলো। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম। তিনি বলেন, কেউ সুবিধা না পেলেই নানা অভিযোগ করেন।

আরও খবর



সড়কের শৃংখলা নিয়ে মতবিনিময় করেছেন ওয়ারী ট্রাফিক পুলিশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ২৩৯জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসান:সড়কের শৃংখলা নিয়ে মতবিনিময় করেছেন ওয়ারী ট্রাফিক পুলিশ।

শুক্রবার ১৭ মে সকালে এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ারী ট্রাফিক পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম।

এসময় তিনি ৬৮৪টি লেগুনা গাড়ীতে লুকিং গ্লাস লাগাতে উদ্বুদ্ধ করেন। 

ওয়ারী বিভাগের অধীনে কাপ্তান বাজার, দয়াগঞ্জ, জুরাইন, পোস্তগোলা, লাল মসজিদ, ঢাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরি, মুন্সিখোলা, যাত্রাবাড়ী, কাজলা, স্টাফ কোয়াটার, কুতুবখালী এবং দনিয়া এলাকায় লেগুনা স্ট্যান্ড রয়েছে। এই এলাকার চালকদের তিনি সড়কের শৃঙ্খলা বিষয়ে সড়কের সকল আইন তুলে ধরেন। 

পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মেগা সিটি ঢাকার যানজটকে সহনীয় পর্যায়ে রেখে এবং নগরবাসীর সড়কে চলাচলকে নির্বিঘ্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে সকল ট্রাফিক বিভাগ। যানজটকে নিয়ন্ত্রণের জন্য সৃজনশীলতা ও বিভিন্ন কল্যাণমূলক পদক্ষেপ নিয়ে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। 

তিনি আরো বলেন, ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগে জনসংখ্যার ঘনত্ব অধিক হওয়ায় এবং অধিক সংখ্যক যানবাহনের তুলনায় রাস্তাঘাট অপ্রতুল হওয়ায় মাঝে মাঝেই বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকে পরিবহনের চালক, হেলপার, যাত্রী এবং সড়কের পথচারীবৃন্দ। 

এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ প্রধান সড়কে ব্যাটারি রিকশা এবং লেগুনার চলাচল। দুর্ঘটনার কারণ যাচাই করে দেখা যায়, লেগুনার লুকিং গ্লাস না থাকা, অপরিপক্ক চালক দিয়ে লেগুনা চালানো এবং যান্ত্রিক ত্রুটি থাকা।

এসময় তিনি ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের লেগুনা গুলোকে সড়কে যান চলাচলের উপযোগী করার লক্ষ্যে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের পক্ষ থেকে সকল লেগুনার মালিককে তিন দিন বা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লুকিং গ্লাস লাগানোর জন্য কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়। 

ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের সহ উপ পুলিশ কমিশনার সুলতানা ইশরাত জাহান, এসি (ট্রাফিক ওয়ারী) জোন কপিল দেব গাইন, এসি (ট্রাফিক যাত্রাবাড়ী) জোন তানজিল আহমেদ এবং এসি (ট্রাফিক ডেমরা) জোন মোস্তাইন বিল্লাহ ফেরদৌস।

     -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে দুই ছাত্রের মৃত্যু,একজনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৮৮জন দেখেছেন

Image

মুক্তার হোসেন,গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যজন এখনো নিখোঁজ। রোববার গোদাগাড়ী পৌরসভার রেলবাজার খেয়াঘাটে এ ঘটনা ঘটে। উদ্ধার হওয়া শিশুর নাম উসমান আলী (১৩), সে মহিশালবাড়ি সাগরপাড়া মহল্লার ওমর আলীর ছেলে। অপর নিখোঁজ শিশু সুলতান মুহাম্মদ সাইফ (১৫), সে একই এলাকার প্রবাসী নাসির উদ্দিনের ছেলে। দুজনই মহিশালবাড়ি আল-ইসলাহ ইসলামি একাডেমির সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। স্থানীয়রা জানান, সকালে আল-ইসলাহ ইসলামি একাডেমির পাঁচ ছাত্র পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামে। এ সময় দুজন ডুবে যায়। পরে অন্য তিনজনের কান্নাকাটি দেখে স্থানীয়রা এগিয়ে যান। তারা উসমান আলীর মরদেহ উদ্ধার করে।

সাইফকে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়।রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তিনজন ডুবুরি বেলা ১টা থেকে নদীর তলদেশে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (বেলা সাড়ে ৩ টা) নিখোঁজ সাইফের সন্ধান পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের প্রধান আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘নিখোঁজ শিশুকে খুঁজে পেতে সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালানো হবে। এরপরও সন্ধান না পাওয়া গেলে পরদিন অভিযান শুরু হবে।’গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে শিশু উসমানের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হবে।জানা যায়, চলতি মাসে তীব্র গরমে রাজশাহীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল শনিবার মোহনপুরে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। এর আগে ২৩ এপ্রিল পবা উপজেলার শ্যামপুর বালুঘাট এলাকায় পদ্মায় ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়। ২১ এপ্রিল একই উপজেলার হরিপুরে নদীতে ডুবে এক কিশোর ও এক তরুণের মৃত্যু হয়। ২০ এপ্রিল বাঘা উপজেলায় নদীতে ডুবে এক কিশোরের মৃত্যু হয়। ১৯ এপ্রিল একই উপজেলায় এক শিশু নদীতে ডুবে মারা যায়। তার আগে ১৪ এপ্রিল আরও দুই শিশু পদ্মা নদীতে ডুবে মারা যায়। সবশেষ গোদাগাড়ী পৌরসভার রেলবাজার খেয়াঘাট এলাকায় নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়।


আরও খবর



ডোনাল্ড লুর সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, জানালেন পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৬৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা সফররত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠকে জলবায়ু, টেকসই উন্নয়ন ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে কথা হয়েছে, রাজনীতি নিয়ে কোনো কথা হয়নি,বলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

তিনি বলেন, দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিভাবে সম্পর্ক আরও গতিশীল ও উন্নত করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) সকালে সচিবালয়ে ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু ফান্ড নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর কাজ থেকে ফান্ডিং ও সাপোর্ট পাওয়ার বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করার নানা বিষয়সহ বিদ্যমান প্রযুক্তিগত সহায়তা সেবা পাবার বিষয়ে আমরা আমেরিকার সমর্থন চেয়েছি। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক স্যাটেলাইট প্রযুক্তির ডেটা সহায়তাও চেয়েছি। আমরা জলবায়ু বিষয় নিয়ে কিভাবে কাজ করছি সে সংক্রান্ত কাজের তথ্যগুলো উপস্থাপন করেছি। আগামী দিনে গ্রিন প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য একযোগে কাজ করার বিষয়ে সহায়তা চেয়েছি।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের অব্যাহত সমর্থন করার ওপর জোর দিয়েছি। জলবায়ু সহায়তার বিষয়ে আমরা কোনো অংকের কথা বলিনি, আমরা সবখাতে আমাদের চাহিদা ও অগ্রাধিকারগুলো জানিয়েছি। গ্রিন প্রকল্পে যৌথভাবে কাজের কথা বলেছি।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়নসহ কোনো চুক্তি আজ হয়নি। তবে, নানা বিষয়ে চুক্তিতে পৌঁছানোর কাজ চলছে, যাতে করে আমরা যৌথভাবে কাজ করতে পারি। বন্যা, বনধ্বংস, লস অ্যান্ড ড্যামেজ নানা বিষয়ে আমেরিকা প্রযুক্তিগত, স্যাটেলাইটগত ডেটা সহায়তা করবে সে বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন ডোনাল্ড লু। আমরা বলেছি প্লাস্টিক দূষণ এখন দেশে মারাত্মক পর্যায়ে আছে, সেটা কমাতে কিভাবে যৌথভাবে কাজ করব সে বিষয়ে জোর দিয়েছি।

বৈঠক শেষে ডোনাল্ড ল্যু সাংবাদিকদের বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে এবং পরিবেশ রক্ষার বিভিন্ন খাতে এক হয়ে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।


আরও খবর