Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু হিলিতে নসিমনের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই বন্ধুর মৃত্যু রাণীশংকৈলে ইসতিসকার নামাজ আদায় তাহিরপুরে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজদের রামরাজত্ব : দেখার কেউ নাই পানি-স্যালাইন বিতরণ করে প্রশংসায় ভাসছে কাফরুল থানা পুলিশ আমরা আইন শৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে চাই-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী টেকনো স্পার্ক ২০সি এখন পাওয়া যাচ্ছে অভাবনীয় নতুন দামে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট গ্যাসের অবৈধ গ্রাহকদের বিষয়ে যে নির্দেশ দিলেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী থাইল্যান্ডের রাজা-রানীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনও বদলে যায়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২২১জন দেখেছেন

Image

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। দুই মাস পরপর ঋতু বদলায়। প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনও বদলে যায়। যে কারণে তারা (বিরোধীরা) ভুলে যায় আমরা কী কী উন্নয়ন কাজ করেছি।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ৫ম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী

স্বাস্থ্যখাতে সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আমরা করে দিয়েছিলাম। এখন প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। আমাদের দেশে মাতৃ মৃত্যুহার, শিশু মৃত্যুহার বেশি ছিল। মাতৃমৃত্যু কমানোর জন্য বিনা পয়সায় ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের কিছু ধনী লোক সর্দি-কাশি হলেই বিদেশে চলে যায়। করোনার সময় তারা বিদেশে যেতে না পেরে বাধ্য হয়েই দেশে চিকিৎসা নিয়েছে।

করোনা টিকার পেছনে সরকারের ব্যয়ের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভ্যাকসিনের পেছনে টাকা ব্যয় নিয়ে নানা কথা বলা হচ্ছে। অথচ টিকা বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। প্লেন ভাড়া করে টিকা আনা হয়েছে। সেগুলো দিতে চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দিতে হয়েছে।

স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় আওয়ামী লীগ ও স্বাচিপের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন শেষে ডা. জামালউদ্দিন চৌধুরীকে স্বাচিপের নতুন সভাপতি এবং ডা. কামরুল হাসান মিলনকে মহাসচিব করা হয়।


আরও খবর



সাসটেইনেবিলিটি এক্সিলেন্সের জন্য ‘ইকোভাডিস সিলভার মেডেল’ পেল সিগওয়ার্ক

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পরিবেশে টেকসই উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য আবারও ইকোভাডিস সিলভার মেডেল রেটিং পেয়েছে প্রিন্টিং কালি ও কোটিং প্রস্তুতকারী কোম্পানি সিগওয়ার্ক ড্রাকফারবেন এজি অ্যান্ড কোং কেজিএএ।   এর আগে ২০২২ সালেও এই মেডেল অর্জন করে জার্মান এই কোম্পানিটি। 

এর মধ্য দিয়ে বর্তমান ইকোভাডিস রেটিংয়ে সিগওয়ার্ক নিজের শিল্প খাতের শীর্ষ ১৮% কোম্পানির মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। এই উন্নতি ব্যবসায়িক ইউনিট ও অঞ্চল জুড়ে টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠানের দৃঢ়  প্রতিশ্রুতির বিষয়টি তুলে ধরে।

ইকোভাডিস একটি বৈশ্বিক সাসটেইনেবিলিটি রেটিং প্রদানকারী সংস্থা। বিভিন্ন কোম্পানির পরিবেশগত, সামাজিক ও নৈতিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে তাদের মূল্যায়ন করে সংস্থাটি। পরিবেশগত প্রভাব, শ্রম ও মানবাধিকার, নৈতিকতা এবং টেকসই উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের পারফরম্যান্সের বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে থাকে ইকোভাডিস। 

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৩ সালের স্কোরকার্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল পরিবেশগত উন্নয়ন। এই অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে টেকসই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, নিঃসরণ কমানো এবং সার্কুলার প্যাকেজিং সমাধান। এই ক্যাটাগরিতে সিগওয়ার্ক ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ৮০ পয়েন্ট অর্জন করেছে।

অনুমোদিত বিজ্ঞান-ভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা উদ্যোগের (এসবিটিআই) ক্ষেত্রেও বৈধতা অর্জন করেছে সিগওয়ার্ক। এতে দেখা যায়, সিগওয়ার্ক গ্রিনহাউজ গ্যাস হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা বিজ্ঞানসম্মতভাবে কমিয়েছে, যা বৈশ্বিক জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও সমানভাবে অবদান রাখে।   

সিগওয়ার্কের সিনিয়র গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি ম্যানেজার সারাহ মাহ বলেন, “কালি ও কোটিং শিল্পে টেকসই ব্যবসায়িক অনুশীলনের ওপর আমরা যে প্রচেষ্টা ও গুরুত্ব দিয়েছি, এই বর্ধিত রেটিং পারফরম্যান্স তারই একটি প্রমাণ।” 

তিনি আরও জানান, “আমরা আমাদের অর্জন নিয়ে গর্বিত। একইসাথে আমাদের কার্যক্রম ও ভ্যালু চেইনে সাসটেইনেবিলিটি বৃদ্ধির বিষয়েও আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

সিগওয়ার্কের সাসটেইনেবিলিটি সংক্রান্ত উদ্যোগ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে সিগওয়ার্কের সাসটেইনেবিলিটি পেইজ এবং সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট ভিজিট করুন।


আরও খবর



আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কৃত আরাফাতের নেতৃত্বে থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতার উপর হামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৮জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:সলঙ্গা থানার পাঁচলিয়া হাটের ইজারা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আরাফাত গং। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে সলঙ্গা থানা আওয়ামিলীগের বহিষ্কৃত নেতা আরাফাত রহমানের বিরুদ্ধে। 

অভিযোগসুত্রে জানা যায় ১৪৩১ বঙ্গাব্দের পাঁচলিয়া হাটের সরকারি নিয়মে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ইজারা পায় আব্দুল মান্নান, জাকের, হাফিজুল, ফিরোজুল, আলতাব ও জহর আলী গং। কিন্তু আরাফাত গং বিভিন্ন সময় ৫ লাখ চাদা দাবী করে ক্ষমতা খাটিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি ও মারপিট করে প্রকৃত ইজারাদারদের ইজারা বুঝে নিতে দিচ্ছেনা। এমনকি ১৬ এপ্রিল সকাল ৮ টায় ইজারাকৃত টাকা উঠাতে গেলে আরাফাত গং ইজারাদারদের মারধর করে ইজারার টাকা ছিনিয়ে নেয়। 

এরই প্রেক্ষিতে ১৮ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে প্রকৃত ইজারাদারদের প্রতিনিধি মৃত আইনাল হকের ছেলে হাফিজুল রহমানকে (৩৭) কুপিয়ে আহত করেছে আরাফাত গং। হাফিজুল সলঙ্গা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক। 

এ বিষয়ে হাফিজুল অভিযোগ করে বলেন, দুপুর সারে ৩টার দিকে চকমনহারপুর নদী থেকে গোসল করে আসার পথে আরাফাতে নেতৃত্বে মৃত সেরাজুল ইসলামের ছেলে মনারুল ইসলাম, আব্দুল রশিদের (চোলবার) ছেলে মো: সোহেল রানা ও জয়নাল আবেদীনের ছেলে মনসুর আলী সহ অজ্ঞাত ৬ থেকে ৭ জন হাফিজুলের উপর দেশীয় অস্র দিয়ে আঘাত করে। একসময় হাফিজলকে মৃত ভেবে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। এরপর স্থানীয়রা হাফিজলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরন করেন। 

এ বিষয়ে সলঙ্গা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইমরান হাসান লিংকনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেন নি।আর সলঙ্গা থানা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান লাভুর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমি সব জানি। 

এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন রহমান বলেন, জেলা আওয়ামিলীগের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এ বিষয়ে হাফিজুল রহমান বলেন আমি আইনের আশ্রয় নিবো।

আরও খবর



"আওয়ামী লীগ অটিজম ও প্রতিবন্ধীবান্ধব সরকার"

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগ অটিজম ও প্রতিবন্ধীবান্ধব সরকার, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে সবার সঙ্গে অটিজম ও প্রতিবন্ধিতার শিকার ব্যক্তিদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে।

এ লক্ষ্যে আরও বেশি প্রযুক্তিবান্ধব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে তিনি নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) সুরক্ষা ট্রাস্টকে আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার বিশ্বাস অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে মানবিক পরিবেশে গড়ে তোলা হলে তারাও পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১৭তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৪’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু, ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্য, পরিচর্যাকারী, অটিজম বিষয়ক গবেষক, শিক্ষক, চিকিৎসক, থেরাপিস্ট, সহায়ক উপকরণ উদ্ভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনগুলোকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন : শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ অটিজম ও প্রতিবন্ধীবান্ধব সরকার। বিগত ১৫ বছরে আমরা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিসহ সব প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কল্যাণে ব্যাপক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছি। এরমধ্যে রয়েছে নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন-২০১৩, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) সুরক্ষা ট্রাস্ট বিধিমালা-২০১৫, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা বিধিমালা- ২০১৫, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন-২০১৮ এবং প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০১৯। আমাদের সরকার এসব আইনের সফল বাস্তবায়নে যথাযথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ‘কাউকে পেছনে রেখে উন্নয়ন নয়’-এ নীতির আলোকে আমরা সমাজের সবার জন্য উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টের আওতায় চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) দেশের ১৪টি স্থানে প্রকল্প হিসেবে ১৪টি ‘অটিজম ও এনডিডি সেবা কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়াও এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের জন্য দেশের আটটি বিভাগে আটটি ‘চিকিৎসা, শিক্ষা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এনডিডি ব্যক্তির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সাধারণ বিমা কর্পোরেশনের সঙ্গে ট্রাস্ট যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা’ বাস্তবায়ন করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার এনডিডি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষায় ‘জাতীয় কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা ২০১৬-২০৩০’ প্রণয়ন করেছে। এ কর্মপরিকল্পনার আলোকে এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্ট অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তির গৃহভিত্তিক পরিচর্যা ও মানসিক স্বাস্থ্যের যতœ নেওয়ার জন্য মাতা-পিতা ও অভিভাবকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করেছে। একইসঙ্গে শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্ট অমৌখিক যোগাযোগের জন্য ‘বলতে চাই’ এবং অটিজম বিষয়ক প্রাথমিক স্ক্রিনিং বা শনাক্তকরণের জন্য ‘স্মার্ট অটিজম বার্তা’ নামক দুটি অ্যাপস তৈরি করেছে।

শেখ হাসিনা ‘১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেছেন।

সূত্র: বাসস


আরও খবর



দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসবে ২ মে

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামী ২ মে বিকেল ৫টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৭২(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই অধিবেশন আহ্বান করেছেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ২ মে বিকেল ৫টায় ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আহ্বান করেছেন।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, এই অধিবেশন দীর্ঘ হওয়ার সম্ভাবনা কম। অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে জাতীয় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে অধিবেশন কত দিন চলবে, তা নির্ধারণ করা হবে।

এর আগে, দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ৩০ জানুয়ারি। শেষ হয় ৫ মার্চ। ২২টি কার্যদিবসের এই অধিবেশনে দুটি বিল পাস হয়।


আরও খবর



ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ঈদযাত্রা স্বস্তির প্রস্তুতি ম্লানের আশঙ্কা মহাসড়কে হাটবাজার-ইটবালু ব্যবসা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪০জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর(গাজীপুর) প্রতিনিধি:দেশের অত্যান্তু গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক গুলোর মধ্যে একটি ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়ক। এবার ঈদযাত্রা স্বস্তির লক্ষ্যে বিভিন্ন মহাসড়কের ৭টি ফ্লাইওভার খুলে দেওয়াসহ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।কিন্তু মহাসড়কের ওপর অবাধে চলছে হাটবাজার, চোরাই ইটবালু ব্যবসা ও অবৈধ থ্রি-হুইলার। এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও উচ্ছেদ করা না হলে ঈদযাত্রা স্বস্তির সকল প্রস্তুতি ম্লান হওয়ার আশঙ্কা করছেন পরিবহন শ্রমিক, যাত্রীসহ স্থানীয় লোকজন।

সরেজমিনে ঘুরে সড়ক সংশ্লিষ্ট ও পরিবহন শ্রমিক-যাত্রীসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক গুরুত্বপূর্ণ অন্যতম একটি মহাসড়ক। এ মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ১২২টি সড়কের যানবাহন চলাচল করে। ফলে এ মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড়কে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বারও বলা হয়। এক সময় নাকাল অবস্থায় চরম দুর্ভোগের শিকার হতেন উৎসবমুখর ঘরমুখো মানুষ। অনেকেই যানজটে আটকে ঈদের নামাজেও শরীক হতে পারতেন না। আবার এ মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতের মনে হলেও দীর্ঘশ্বাস ফেলতেন যাত্রীরা। চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ছিল একই অবস্থা। সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এখন অনেকটা স্বস্তির মহাসড়ক দুটি। কিন্তু বছরে দুটি ঈদ, দূর্গাপূজাসহ বড় ছুটির সময়ে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়ে এখনো মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

শিল্পকারখানা একত্রে ছুটি হলে মহাসড়কে চাপ বৃদ্ধি পেয়ে যানজট আরো দৃঢ় হয়। এবার ঈদযাত্রা স্বস্তির লক্ষ্যে গত ২৪ মার্চ বিভিন্ন মহাসড়কের ৭টি ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এগুলোর মধ্যে রয়েছে এয়ারপোর্ট, জসীমউদ্দিন, ইউটার্ন-১ গাজীপুরা, ইউটার্ন-২ উন্মুক্ত

বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগড়া, চৌরাস্তা ফ্লাইওভার। এসব ফ্লাইওভার দিয়ে যান চলাচল করছে। এছাড়াও প্রতিবছরের ন্যায় এবার ঈদযাত্রা স্বস্তির লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সংশ্লিষ্ট সড়ক বিভাগ, হাইওয়ে,জেলা ও থানা পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু হাইওয়ে পুলিশ নাম মাত্র উচ্ছেদ অভিযান করলেও মৌচাক, সফিপুর, পল্লীবিদ্যুৎ, চন্দ্রা ত্রিমোড়, বোডঘরসহ বিভিন্ন স্থানে ফ্লাইওভারের নিচে এবং ফুটপাতসহ মহাসড়ক দখল করে নিয়মিত চাঁদা দিয়ে বসছে ভ্রাম্যমাণ দোকানপাট ও হাটবাজার। এছাড়াও খাড়াজোড়া, কালিয়াকৈর বাইপাস, শ্রীফলতলী, হিজলতলী, সূত্রাপুর, বোডঘরসহ বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়কের ওপর প্রায় অর্ধশত চোরাই ইটবালু স্পট রয়েছে। ওই সিন্ডিকেট চক্ররা প্রশাসনকে মাসোয়ারা দিয়ে মহাসড়কের ওপর এ ব্যবসা পরিচালনা করছেন। অপর দিকে মাসোয়ারা দিয়ে মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা, সিএনজি, মাহিন্দ্রসহ বিভিন্ন অবৈধ যানবাহন। এসব যানবাহনের ইচ্ছা মতো মহাসড়কের ওপরেই রয়েছে তাদের অবৈধ ষ্টেশন। ফলে প্রায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও।

দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন, আবার অনেকেই হয়েছেন পঙ্গু। নিঃস্ব হয়েছেন তাদের অনেকের পরিবার। কিন্তু তারপরও ভ্রাম্যমান দোকাটপাট, হাটবাজার, চোরাই ইটবালু ও থ্রি-হুইলার সিন্ডিকেট চক্র প্রতিদিন সব মিলিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। অভিযোগ রয়েছে, ওই টাকা ভাগ যাচ্ছে কিছু অসাধু পুলিশ, সড়ক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের পকেটেও। ফলে মহাসড়ক ঘিরে প্রকাশ্যে এভাবে অন্যায় অপরাধ সংঘঠিত হলেও সংশ্লিষ্টরা যেন নিবর দর্শক। এছাড়াও যেখানে সেখানে যত্রতত্র গাড়ি পাকিং, যাত্রী উঠানামা করানোসহ যানজটের সৃষ্টির অন্যতম কারণ। আর এসব কারণ এখনো চলমান থাকায় এবার ঈদযাত্রায় যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব কারণ গুলো সমাধান করা না হলে সংশ্লিষ্টদের স্বস্তিতে ঈদযাত্রার সকল প্রচেষ্টা ও প্রস্তুতি ম্লান হবে বলেও মনে করছেন পরিবহন শ্রমিক, যাত্রী ও স্থানীয় লোকজন। পথচারী ও যাত্রী আয়েশা আক্তার, আলমগীর হোসেন, লাল মিয়া, সাদ্দামসহ অনেকেই বলেন, প্রশাসনের লোকজন যত যাই বলুক, যানজট লাগবেই। যানজট ছাড়া কোনো ঈদে আমরা বাড়ি যেতে পারি না। পিকআপ চালক নুর ইসলাম, পিপলু হোসেন, বাস চালক মোখলেজ মিয়া, তজু মিয়াসহ অনেকে বলেন, মহাসড়কের ওপর হাটবাজার, ইটবালু ব্যবসা করায় প্রশস্ততা কমে যাচ্ছে। এছাড়া আমাগো লগে পাল্লা দিয়ে আগে যাচ্ছে অটোরিকশা সিএনজি। ফলে দুর্ঘটনা ও যানজট লেগে যায়।

প্রতিবছরই মতো এবারও বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে উল্লেখ করে নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান, এ মহাসড়কের সাড়ে ৬ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ যানজট এলাকায় ৩২টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। তবে ঈদকে ঘিরে ফুটপাত দখলমুক্ত, রং পাকিং গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এছাড়াও থ্রিহুইলার, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, ইটবালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।

সম্প্রতি ওই মহাসড়ক পরিদর্শণ শেষে নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রায় ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানান ঢাকা রেঞ্জের হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, গতবার ড্রোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হলেও এবার এবার আরো নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। এবার টকিং ড্রোন ব্যবহারের পাশাপাশি নতুন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি থাকছে বডি লাইভ ক্যামেরা যা সরাসরি হেড অফিসে চন্দ্রা কন্ট্রোল বক্সের মাধ্যমে মহাসড়ক নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ জানান, ঈদকে ঘিরে মহাসড়কের যানজট নিরসনে ইতিমধ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যাতে যানজট না থাকে সে বিষয়ে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।


আরও খবর