Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
যাত্রাবাড়িতে ছিনতাই হতে যাওয়া মালামাল উদ্ধার করলেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পবিত্র বিশ্বাস টাঙ্গাইলের মধুপুরে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের গন সংবর্ধনা নবীনগরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তাঁর ছিঁড়ে একজনের মৃত্যু যাত্রাবাড়ীতে অঞ্জাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার রূপগঞ্জে নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প রেলপথ মন্ত্রী কতৃক মাগুরার নির্মানাধীন রেলপথ নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন প্রচারণায় জমে উঠেছে আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট

প্রধানমন্ত্রী ফিরলেই খেলা শুরু হয়ে যাবে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ২১০জন দেখেছেন

Image

বিশেষ প্রতিনিধি:বিদেশ সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ফিরলেই খেলা শুরু হয়ে যাবে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্যাপ্টেন আসতেছেন। প্রস্তুত হয়ে যান, খেলা হবে। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন শেষে ক্যাপ্টেন এখন ওয়াশিংটনে আছেন। 

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কেরানীগঞ্জে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কেউ এখন শোনে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, একাত্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আমাদের থামাতে পারেননি। আজও আমাদের থামাতে পারবে না। আমরা কারো নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করি না, আমরা পরোয়া করি আমাদের সংবিধানের। কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞা আমরা মানি না, মানবো না।

নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র, আর নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখায় মির্জা ফখরুল। মির্জা ফখরুল কি এজেন্সি পেয়েছে? ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞায় ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হয়নি। তারা পারেনি রাশা ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে। নিষেধাজ্ঞা কেউ শোনে না। কাজেই আমরা যারা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, নিষেধাজ্ঞায় ভয় দেখাবেন না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কাঁদতে কাঁদতে কান্নার দরিয়া হয়ে যাবে। তবুও আপনাদের ক্ষমা নেই, মির্জা ফখরুল। আপনাদের পিতৃহত্যা, ভ্রাতৃহত্যার প্রতিশোধ নেবোই। বাংলার মানুষ বিএনপিকে ক্ষমা করবে না।

বিএনপির স্বপ্নের বেলুন চুপসে যাবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সমাবেশে কিছু লোক দেখে মির্জা আব্বাস চাঁদ রাতের স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু যতই স্বপ্ন দেখুন, রঙিন বেলুনের মতোই চুপসে যাবে।

ঢাকা আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০১ সাল ভুলে যান। কারও গায়ে আঘাত করলে, পালটা আঘাত হবে। কোনো অবস্থায় ছাড় হবে না। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব যতদিন আছে, ততদিন আমরা লড়ে যাব।


আরও খবর



মাগুরার মহাম্মদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় গৃহবধু নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৬১জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে;মাগুরার মহম্মদপুরের নহাটা ইউনিয়নের খলিশাখালি গ্রামে মোটরসাইকেল-ড্রাম ট্রাক  মুখোমুখি সংঘর্ষে পারুল খাতুন (৩৫) নামে এক মহিলা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে  মন্ডলগাতি গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম। নিহত পারুল খাতুন শহীদুল ইসলাম সুমনের স্ত্রী। মঙ্গলবার রাত ৯ ঘটিকার সময় এই দূর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শহিদুল ইসলাম সুমন মাগুরা জেলা জর্জ কোর্টে পেশকার হিসেবে কর্মরত। অফিস শেষ করে সুমন তার স্ত্রীকে নিয়ে মাগুরা থেকে মন্ডলগাতী গ্রামে মোটরসাইকেল যোগে ফিরে আসছিলেন।

খলিশাখালি গোরস্থানের কাছে আসার পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালু ভর্তি ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় সুমনের স্ত্রী মারাত্মকভাবে আহত হয়। উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার পারুল খাতুনকে রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের সময় মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, ড্রাম ট্রাকে বালু ভর্তি করে নহাটা ইউনিয়নে ফুলবাড়ী গ্রামে রাস্তার কাজের জন্য নেওয়া হচ্ছিল।

আরও খবর



ভিসা প্রক্রিয়ার সময়সীমা হজযাত্রীদের বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি সৌদির

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:এখনও ভিসা পাননি এমন হজযাত্রীদের ভিসা দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন,ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসেফ এসসা আলদুহাইলান বলেছেন,।

সোমবার (১৩ মে) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেন তিনি।

আসন্ন হজে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে ভিসা প্রক্রিয়ার সময়সীমা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।

নানা জটিলতায় এখনও ১০ হাজারের বেশি হজযাত্রী সৌদি আরব থেকে ভিসা পাননি। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

আলোচনাকালে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সৌদি বিনিয়োগকারীদের প্রস্তাবনার একটি তালিকা উপস্থাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এই প্রস্তাবগুলো সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা করবে এবং অগ্রসরের আগে পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

এসময় ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থনসহ বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনি জনগণকে সহায়তায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে সাম্প্রতিক সহায়তার চালানের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার অল্প কিছু মিত্র দেশ ছাড়া সারা বিশ্ব ফিলিস্তিনের পাশে আছে।

এছাড়াও, সৌদি আরবে বসবাসরত প্রায় ৩২ লাখ বাংলাদেশি উভয় দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

শেখ হাসিনা সৌদি সরকারকে রেমিট্যান্সের জন্য বৈধ চ্যানেল ব্যবহারকে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান। এই প্রচেষ্টার লক্ষ্য হলো দৃঢ় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক সুবিধা নিশ্চিত করা।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।


আরও খবর



রাজশাহীতে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের বীমাদাবীর ২ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম, জয়পুরহাটঃপপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের রাজশাহী অঞ্চলের মেয়াদ উত্তীর্ণ বীমা গ্রাহকদের বীমাদাবীর ২ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর ও বার্ষিক সম্মেলন  অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৫ মে) সকালে রাজশাহী  নওদাপাড়া হোটেল ষ্টার এ মেয়াদ উত্তীর্ণ বীমা গ্রাহকদের বীমাদাবীর  চেক হস্তান্তর ও বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের আল আমিন বীমা প্রকল্পের  নির্বাহী পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে মেয়াদ উত্তীর্ণ বীমাদাবীর চেক হস্তান্তর ও বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য  বি এম ইউসুফ আলী। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের একক বীমা প্রকল্পের  উর্দ্ধতন  উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ব্রাঞ্চ কন্ট্রোল) সৈয়দ মোতাহার হোসেন, জনপ্রিয় বীমা প্রকল্পের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল হোসেন মহসিন। 

এ সময়ে অন্যান্যদের বক্তব্য  রাখেন আল ইসলামী ডিপিএস প্রকল্পের প্রকল্প ইনচার্জ দুলাল হোসেন, আমিন বীমা প্রকল্পের  প্রকল্প ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম, একক বীমা প্রকল্পের প্রকল্প ইনচার্জ আফজাল হোসেন, জনপ্রিয় বীমা প্রকল্পের প্রকল্প ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম রাশেদ, আল আমিন  বীমা প্রকল্পের প্রকল্প ইনচার্জ ফজলুল হক। 

সভা শেষে গ্রাহকদের হাতে মেয়াদ উত্তীর্ণ  বীমাদাবীর ২ কোটি ৮৬ লক্ষ টাহার চেক তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য  বি এম ইউসুফ আলী। 

আরও খবর



দেশবাসী পাশে আছে, কাউকে পরোয়া করি না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আমার একটাই শক্তি সেটা হচ্ছে-জনগণ। তাদের শক্তি নিয়েই আমি চলি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। জনগণের মধ্যে একটি আস্থা সৃষ্টি হয়েছে যে, আমি তাদের জন্য কাজ করি। কাজেই এই আস্থা ও বিশ্বাসটাই হচ্ছে আমার একমাত্র সম্বল। আর এই সম্বল নিয়েই আমি চলি। এ জন্যই আমি কাউকে পরোয়া করি না। এসময় তিনি দৃঢ় কণ্ঠ আরও বলেন, যতক্ষণ দেশবাসী আমার পাশে আছে ততক্ষণ আমি কাউকে পরোয়া করি না।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপত্বি করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি। যে কাজগুলো আমরা করেছি তার সুফলটা দেশবাসী পাচ্ছে, সেটাকে স্বীকার করেন। কিন্তু প্রত্যেকটা কাজকে যদি প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে (চেষ্টা) করা হয়, হ্যাঁ তাতে কি করতে পারেন, জনগণের কাছ থেকে তো আমাকে দূরে সরাতে পারবেন না।

তিনি আরও বলেন, হ্যাঁ আমি জানি, আমার বাবার সঙ্গেও একই জিনিস হয়েছে। যতগুলো কাজ তিনি করে গেছেন মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে- সংবিধান দেওয়া থেকে শুরু করে এমন কোন সেক্টর নাই যার ভিত্তিটা তিনি তৈরি করে দেন নাই। তারপরও তাঁর সমালোচনা, তার বিরুদ্ধে নানা কথা লেখা, অনেক কিছু করে তাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। যখন পারেনি তখন তাকে হত্যা করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাকেও হত্যার জন্য বার বার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আমি বেঁচে গেছি সেটাও আমার জনগণ এবং দলের নেতাকর্মীরা সব সময় আমাকে ঘিরে রেখেছে। নিজেরা জীবন দিয়ে আমার জীবন বাঁচিয়েছে। আমি এখন জনগণের জন্যই কাজ করে যেতে চাচ্ছি এবং কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বিগত ১৫ বছরে যে পরিমাণ কাজ করেছে অন্যরা ২৯ বছরেও সে কাজ করতে পারে নাই। পারবেনও না কারণ প্রকল্প দিয়েই তো আগে টাকা খাওয়া। আর আমরা প্রকল্প শেষ করেই ছাড়ি, টাকা খাওয়ার কোনো সুযোগ নেই, এটা হলো বাস্তবতা।

এ সময় পদ্মা সেতু নির্মাণের শুরুতে দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থ প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তাদের অভিযোগের বিরুদ্ধে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন যে, এখানে কোন দুর্নীতি হয়নি এবং বিশ্বব্যাংকও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।

তিনি এ সময় দেশে বিভিন্ন মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে অন্য দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত অধিক অর্থ ব্যয় সংক্রান্ত বিরোধী দলীয় নেতার বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, আমাদের এটা ব-দ্বীপ। এখানকার ভূমি নরম থাকায় যে কোনো অবকাঠামোগত প্রকল্প গ্রহণে অধিক অর্থ ব্যয় হয়।

জিয়াউর রহমানের সময়ে দেশে এলিট শ্রেণি সৃষ্টি করা হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ যে কথায় আসে ঋণখেলাপি, এই সংস্কৃতি কখন শুরু হয়েছিল? ওই জিয়াউর রহমান যখন অবৈধ ক্ষমতা দখল করে, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে সেই সময় থেকে। যার ধারাবাহিকতা আমরা দেখেছি এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলে। সেখান থেকে এখনও পূর্ণমুক্তি পাওয়া যায়নি। এটাই হলো বাস্তবতা। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা আছে।

তিনি বলেন, আজ অনেকেই গণতন্ত্রের কথা বলে। গণতন্ত্রের প্রবক্তা হয়ে গেছে অনেকেই। আমার প্রশ্ন, যারা এখন গণতন্ত্র, গণতন্ত্র করে চিল্লায় তাদের জন্ম কি গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে হয়েছে? না ওই রক্তাক্ত হাতে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, সেই সেনা কর্মকর্তাদের পকেট থেকে? যারা বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিল সেই রাজনৈতিক দল! জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার সাংস্কৃতি জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শুরু।

আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বিদ্যুৎ নিয়ে কথা ওঠে। তখন (বিএনপির ১৯৯১ সালের সরকারের আমল) বিদ্যুৎ ছিল মাত্র ১৬শ মেগাওয়াট, বিদ্যুতের জন্য হাহাকার। বিএনপির সময়ে বিদ্যুৎ ও পানির দাবিতে মানুষের আন্দোলনের কথা তুলে ধরেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ প্রথম গণতন্ত্রের স্বাদ পান এবং তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন যে হয় এটা প্রথম উপলব্ধি করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে।

২০০১ সালের নির্বাচনের আগে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাবে রাজি হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতো বলে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় যাব? আমি তো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে। আমার পক্ষে তো দেশ বিক্রি সম্ভব না। আমি রাজি হইনি বলেই ক্ষমতায় আসতে পারিনি।

২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার চিত্র তুলে ধরেন শেখ হাসিনা বলেন, অন্য এলাকায় থাকতে না পেরে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ আমার কোটালিপাড়ায় আশ্রয় নিয়েছিল। এই ছিল দেশের অবস্থা, এই হলো গণতন্ত্র! এই গণতন্ত্র তারা দিয়েছিল। ২০০১-০৬ পর্যন্ত এ তাণ্ডব তাদের চলে।

বাংলাদেশ বিএনপির আমলে দুর্নীতিতে এক নম্বর দেশ, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের দেশে পরিণত হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

২০০৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছিল, একই সঙ্গে ওই নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের ভরাডুবির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি। তা হয়েছিল অবাধ, সুষ্ঠু। তাহলে বিএনপি কেন মাত্র ৩০টি আসন পেল? তাহলে তারা এখন কীভাবে বলে নির্বাচনে আসবে না, নির্বাচন হয় না বা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে। জনগণ ভোট দেবে জেনেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

২০২৩ সালের আন্দোলনের সময় (২৮ অক্টোরব) বিএনপি প্রধান বিচারপতির বাড়ির দরজায় হামলা করেছিল বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মারা বিএনপির অভ্যাস আছে। সেটাও তারা করেছিল। সাংবাদিকদের খালি পেটানো না, প্রেসক্লাবে ঢুকে সাংবাদিকদের পিটিয়েছে, সেই রেকর্ডও আছে। অপকর্মের কোনও কিছুর বাদ নেই। তার জন্য আমার প্রশ্ন উঠে, আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখা উচিত!

রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ আইনের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা প্রশ্ন উঠান, বিশেষ আইন কেন করলাম। বিশেষ আইন এ জন্য করেছি, আমি তো ব্যক্তিখাতে সব উন্মুক্ত করে দিয়েছি। ব্যক্তিখাতে উন্মুক্ত করে দিতে হলে আইন করেই করতে হবে। দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা শুধু সরকার দিয়ে হবে না, ব্যক্তিখাত দিয়েই করতে হবে। ব্যক্তিখাত না দিলে কর্মসংস্থানও বাড়ে না।

তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন দেশ আছে যেখানে ক্যাপাসিটি চার্জ ছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর হয়? একটা দেশ দেখান। এখন ক্যাপাসিটি চার্জ বলে চিৎকার। বিশেষ আইনে কাউকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়নি। বরং বেসরকারি খাতে প্রথম বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছিল সামিট, খুলনায় তারা এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে দেরি করেছিল, যে কয়দিন দেরি করেছিল প্রতিদিন ১০ হাজার ডলার করে জরিমানা দিতে হয়েছিল। সেই জরিমানা আমি আদায় করেছিলাম।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ছাড় আমি দেই না সেটা মাথায় রাখতে হবে। তাই এখানে দায়মুক্তির কিছুই নেই। বিদ্যুৎ উৎপাদন যাতে বন্ধ না হয় এ জন্য বিশেষ আইনটি করা হয়েছে। উন্নয়ন করতে হলে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ দেওয়া। বিদ্যুৎ দিতে পারলে কর্মসংস্থান এমনিই তৈরি হয়।

সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র বহুমুখী করেছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা সোলার প্যানেল শুরু করেছি। বায়ুভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র শুরু করেছি। কয়লাভিত্তিক করছি। তেলভিত্তিক-গ্যাসভিত্তিক সবই করছি। মানুষকে বিদ্যুত দিতে চাই। হ্যাঁ লোড। যে প্রচণ্ড গরম। সেখানে লোডশেডিং হয়েছে। আমরা সেটা স্বীকার করি। কিন্তু কৃষক যেন সেচটা পায়, সেখানে কিন্তু ভর্তুকি দেওয়া হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী অভিজাত এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং দেওয়ার কথা বলেন। এ বিষয়টি তিনি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।

সরকারের উন্নয়ন কাজের সমালোচনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মায় রেললাইন নেই। এটার নাকি প্রয়োজনই নেই। এ রেললাইন ঢাকা থেকে খুলনা হয়ে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত পৌঁছাবে সেইভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটা প্রয়োজন নেই যারা বলেন তাদের কী বলবো অর্বাচীন ছাড়া? এত টাকা খরচ করে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র কেন করলাম? এটার কী প্রয়োজন ছিলো! নিউক্লিয়ার পাওয়ার হচ্ছে সব থেকে ক্লাইমেট ফ্রেন্ডলি। কোনো দূষণ নেই।

তিনি আরও বলেন, সেই ১৯৬২ সাল থেকে এটা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পাকিস্তানিরা আমাদের ধোকা দিয়েছিল। দুটি পাওয়ার প্লান্ট করবে বলে দুটোই নিয়ে গেলো পাকিস্তানে (পশ্চিম পাকিস্তানে)। আজ আমরা পারমাণবিক পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ করেছি। এখান থেকে সব থেকে ভালো বিদ্যুৎ আমরা পাবো। আমরা সেখানে আরও একটা করবো। ইতোমধ্যে আমি কথা বলেছি। ওখানেই আরেকটা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ মেট্রোরেল নিয়েও প্রশ্ন তোলেন? এর কী প্রয়োজন ছিলো! তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে তো যানজটমুক্ত হতো। আজ প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার মানুষ মেট্রোরেল দিয়ে চলতে পারে। এটায় যারা চড়ছে তারা সুফল পাচ্ছে। যারা এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তারা লজ্জা পাচ্ছে কি না জানি না।

শেখ হাসিনা বলেন, কেউ কেউ বলে বাংলাদেশে রাস্তা বানাতে এত খরচ কেন? এদের দেশের মাটি সম্পর্কে মোটেও ধারণা নেই। মাটির সঙ্গে এদের কোনও সম্পর্কই নেই। আমাদের মাটি এটা একটা ব-দ্বীপ। এ মাটি দো-ফসলা। যাকে বলে জোবা মাটি। এ মাটি নরম। এখানে কোনও কিছু করতে গেলে... ওই যেনতেন করতে করতে গেলে দু-চারদিনের বেশি থাকে না। সেখানে আমরা মাটি তুলে আধুনিক প্রযুক্তিতে রাস্তা তৈরি করছি। রাস্তা যখন চড়েন দেখেন না? তো খরচ তো লাগবে। সেখানে শক্তমাটি সেখানে অত খরচ হয় না। নরম মাটি বলেই খরচ বেশি। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিছু নেই।

বর্তমান সরকারের সঙ্গে অন্যান্য সরকারের উন্নয়ন চিত্রের তুলনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ১৫ বছরে যে পরিমাণ কাজ করতে পেরেছি ওই ২১ বছর আর ৮ বছর, এই ২৯ বছরে কেউ করতে পেরেছে? পারেনি। পারবেও না। প্রকল্প দিয়েই তো আগে টাকা খাওয়া। আর আমরা প্রজেক্ট শেষ করে ছাড়ি। টাকা খাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। বিশ্বব্যাংক চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল। আমরা তা মোকাবিলা করেছি। প্রমাণ করতে পেরেছে? হ্যাঁ কিছু জিনিস আপনারা তৈরি করে গেছেন। ওই জিয়াউর রহমানের আমল থেকে কালচার একটা তৈরি করে গেছে। এদের কিছু আছে। সেখান থেকে কীভাবে উত্তরণ ঘটানো যায় সেই চেষ্টাও আমাদের আছে। আমাদের চেষ্টাই হচ্ছে দেশের উন্নতি করা। আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করি।

সমালোচকদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কাজগুলো আমরা করছি যার সুফল জনগণ পাচ্ছে সেটাকে স্বীকার করেন। প্রত্যেকটি কাজ যদি প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে হয় তাহলে কী করা যাবে। তবে জনগণ থেকে আমাকে দূরে সরাতে পারবেন না। আমার একটা শক্তি হচ্ছে জনগণ। তাদের শক্তি নিয়ে আমি চলি।


আরও খবর



মোবাইল নিয়ে ঝগড়া, মা ও সন্তানকে পিটিয়ে হত্যা করলো বাবা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জে ছেলে-মেয়ের মোবাইলে গেম ও ভিডিও দেখাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে মাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বাবা। এ সময় ছেলে-মেয়েকে ও বাবা পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়ে আফরিন আক্তার (৫) ও মারা যায়। আর ছেলে আল আমিন (১২) এখন দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিসাধীন রয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে দিনাজপুর জেলার  নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হেয়াতপুর (চিনির চড়া) গ্রামে মর্মান্তিক এ ঘটেছে। পরে হত্যার অভিযোগে বাবা শহিদুল ইসলামকে আটক করেছে নবাবগঞ্জ পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার (২০ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে মা মর্জিনা বেগম (৩০) রান্না করছিলেন। এ সময় ছেলে আল আমিন(১২) ও মেয়ে আফরিন আক্তার (৫) মোবাইল দেখছিল। এ সময় হঠাৎ দুই ভাইবোন মোবাইল নিয়ে ঝগড়া শুরু করে। মা মর্জিনা বেগম দুইজনকে ঝগড়া বন্ধ করতে বলেন। তবে তারা থামছিল না। একপর্যায়ে তিনি গিয়ে ছেলে ও মেয়েকে চড়থাপ্পড় দেন। এতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন শিশু দুটির বাবা শহিদুল। এসময় শহিদুল ও স্ত্রীর মধ্যে তর্ক ও ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী শহিদুল ইসলাম চৌকাট দিয়ে স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে পেটান। এতে তিনি মারা যান। এসময় তিনি ছেলে-মেয়েকেও পিটিয়ে গুরুত্ব আহত করে। পরে স্থানীয়রা শিশু দুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়ে আফরিন আক্তার(৫)ও মারা যায়।

এবিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাওহীদুল ইসলাম জানান, রাতেই নিহত মর্জিনার মা গোলাপি বেগম বাদী হয়ে জামাই শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে  নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত  জামাই শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেন। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর