Logo
আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম
মধুপুরে কৃষকের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মে‌শিন বিতরণ ‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করলো এনার্জিপ্যাক উপজেলা নির্বাচনে সৎ যোগ্য প্রার্থীদের জনগন বেছে নেবে: সাকিব আল হাসান এমপি মাগুরায় তীব্র তাপদাহে ঝরে পড়ছে লিচুর গুটি ১শ' কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা কৃষকদের সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন নেভাতে সুন্দরবনে হেলিকপ্টার থেকে পানি ছিটাচ্ছে বিমানবাহিনী মিল্টন সমাদ্দার ৪ দিনের রিমান্ডে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে ডিএমপি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত: ওবায়দুল কাদের ঢাকা সেনানিবাসে দুই ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রবেশ পথে ভেঙে পড়ে আছে কালভার্ট,দেখার কেঊ নেই ॥ দর্শনার্থী নাই !

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ ফেব্রুয়ারী 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

দিনাজপুর প্রতিনিধি:সুন্দর নিরিবিলি গাছ-গাছালীর মোহনীয় প্রকৃতির নয়নাভিরাম বীরগঞ্জের সিংড়া ফরেস্ট। যা দর্শনাথী, পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ। সিংড়া ফরেস্ট এ জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষন ও পর্যটকদের আকর্ষনীয় চিত্তবিনোদনের জন্য “সিংড়া জাতীয় উদ্যান” করা হলেও পর্যটকদের জন্য বাড়েনি সুযোগ-সুবিধাসহ দর্শনীয় করতে।

বরং গত ৬ মাস ধরে সিংড়া ফরেস্টের প্রবেশ পথে ভেঙে পড়ে আছে একটি কালভার্ট। অন্যদিকে বনের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা নর্ত নদীর উপর দৃস্টিনন্দন সেতুর সৌন্দর্যহীন দশা। সেতুর অনেক রেলিং হারিয়ে গেছে।অপরদিকে বয়ে চলা নর্ত নদীকে সজীব রাখতে খনন হলেও এর দু’পার্শে নদীর বালুতে উচু ঢিবি হয়ে আগোছোলা অবস্থায় রয়েছে। শালবনের ভিতরে পর্যটকদের জন্য নেই নিরাপত্তা কিংবা উন্নতমানের বিশ্রামাগার। তবে যে কয়টি বিশ্রামাগার রয়েছে সংখায় হাতে গোনা। পানি, পয়নিস্কাশনসহ দর্শনার্থীদের সুযোগ-সুবিধা কম। অবকাঠামোগত সুবিধা নেই। একারণে দিন দিন কমছে দর্শনার্থীর সংখ্যা।

অথচ রাবার ড্যামের মাধ্যেমে বয়ে চলা নর্ত নদীকে বারোমাস সজীব রাখা, নদীর উপর ঝুলন্ত সেতু, একটি টাওয়ার স্থাপন, শিশু পার্ক তৈরী, সুন্দর একটি ফটক নির্মাণসহ কিছু সংস্কারমূলক কাজ করা হলেই দর্শনার্থী বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। দর্শনার্থী বাড়লে রাজস্ব্য আয়ের পাশাপাশি সিংড়া শালবন হয়ে উঠতে পারে পর্যটকদের অন্যতম দর্শনীয় স্থান এমনটাই বললেন বনে আসা আব্দুর রাজ্জাক, ফরহাদ হোসেন, লালুসহ কয়েকজন স্থানীয় পর্যটক। একসময়ে বিভিন্ন বন্য জীবজন্তুর অবাধ বিচরনের অভায়রন্য ছিল গহীন অরন্য সিংড়া ফরেস্ট। যদিও এখন আর সেই বাঘ, নীল গাই নাই। কোন পর্যটক যদি বনভোজন উৎসব করতে চায় আসতে হবে শীতকালে। অন্য সময়েও অনেকে আসেন। যদি বনের সবুজময় ভরা যৌবন ও নদীর উচ্চলতা দেখতে চাইলে আসতে হবে বর্ষাকালে। সারি সারি আকাশ ছোঁয়া দীর্ঘ সুউচ্চ শাল গাছের সবুজ আচ্ছাদন পর্যটকদের দুর থেকে যেন হাতছানি দিয়ে যায়। বনের মধ্য দিয়ে একাকী হাটতে হাটতে হয়ত মনে পড়তে পারে পুরনো দিনের গান। বনে প্রবেশেই শোনা যাবে পাখির কিচিরমিচির শব্দ।দেখা যাবে তিলা ঘুঘু, রাজঘুঘু, কাঠঠোকরা, বুলবুলি, হাঁড়িচাচা পাখি, শকুনসহ অনেক পাখি।

দিনাজপুর শহর থেকে সড়ক পথে ৪০ কিঃমিঃ উত্তরে বীরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। বীরগঞ্জ শহর থেকে এর দুরত্ব ৪ কিঃমিঃ। দিনাজপুর থেকে বীরগঞ্জ হয়ে সড়ক পথে আসা যায়। বীরগঞ্জ সিংড়া জাতীয় উদ্যানের বিট কর্মকর্তা গয়া প্রাসাদ জানান, ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য রয়েছে ছোট রেস্ট হাউজ। দুটি পিকনিক স্পট। বনের সকল রাস্তায় পাকা করা হচ্ছে। নদীর পাড়ের বালু সরানো হবে শিঘ্রই এজন্য টেন্ডার করা হয়েছে। সেতুর রেলিং চুরি রোধ করা যাচ্ছে না। প্রবেশ পথের কালভার্টটি গত বছরের সেপ্টস্বর মাসের দিকে ভেঙ্গে গেছে। এতে অসুবিধা হচ্ছে। এটি নির্মানের বিষয় জানানো হয়েছে এবং শিঘ্রই হবে বলে আশা করছি। সিংড়া ফরেস্ট জাতীয় উদ্যানকে আরও আকর্ষনীয় করতে বিভিন্ন প্রস্তাব রয়েছে। এরই মধ্যে এর বাউন্ডারীর জন্য সার্ভে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ২০১০সালের ১০অক্টোবর বীরগঞ্জের ভোগনগর ইউপির ৮৫৫.৫০একর ভূমির উপর অবস্থিত এই বনের ৭৫৫.৫০একর জমিকে জাতীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষনা করেছে বনবিভাগ। বিলুপ্ত প্রায় শকুনকে রক্ষা ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় ২০১২সালে উত্তরবঙ্গে একমাত্র শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্রটি এই সিংড়া ফরেস্টে স্থাপন করা হয়েছে।


আরও খবর



তানোরে সরকারি রাস্তা দখল ও গাছ কেটে বাড়ি নির্মানের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে সরকারি রাস্তা দখল ও গাছ কেটে বাড়ি নির্মানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালের দিকে  উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন (ইউপির)  ইলামদহী গ্রামে ঘটেছে ঘটনাটি। এঘটনায় সোমবার সকালের দিকে পাচন্দর ইউপি এলাকার দুবইল গ্রামের আশরাফুল আলী বাদী হয়ে দখল দার ইলামদহী গ্রামের ইয়ামিন ও রোসদুলকে বিবাদী করে উপজেলা নির্বাহীর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভূমি দপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন। তবে নির্মাণ কাজ বন্ধ হলেও রাতের আধারে বাড়ি নির্মাণ হবে বলে আশংকা অভিযোগ কারীর। এঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

অভিযোগে উল্লেখ, ইলামদহী মৌজার অন্তর্ভুক্ত এক নম্বর খাস খতিয়ানের নকশা মোতাবেক সরকারি রাস্তা রয়েছে। রাস্তার পিছনে অভিযোগ কারীর ধানী জমি রয়েছে। জমির সামনেই রাস্তা দখল ও একটি গাছ কেটে বাড়ি নির্মানের জন্য জায়গাটি দখলে নেন ইয়ামিন ও রোসদুল।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইলামদহী থেকে নোনা পুকুর যাওয়ার জন্য রয়েছে মাটির রাস্তা। সরকারি নকশায় জায়গাটি রাস্তা হলেও তার দক্ষিণে মাটির রাস্তা ব্যবহার করা হয়। বাড়ি নির্মানের পিলার তোলার জন্য পাঁচটি গর্ত খনন করা হয়েছে। কাজ বন্ধ হলেও মিস্ত্রিরা রোডের কাজ করছিলেন। জায়গাটির পশ্চিমে জলাশয় রয়েছে, সেটিও ভরাট হয়ে পড়েছে। 

সেখানেই ছিলেন, অভিযোগ কারী আশরাফুল জানান, নকশায় রাস্তা এটি।পিছনে আমার ব্যক্তিগত জমি। জায়গাটি দীর্ঘ দিন ধরে ফাকা পড়ে ছিল। হঠাৎ করে সোমবার সকালের দিকে বাড়ি নির্মানের পিলার তোলার জন্য খনন করে। আমি নিষেধ করলে তারা সাব জানিয়ে দেয় সরকারি লোক জন নিষেধ করলে কাজ করব না। তাছাড়া কাজ চলবেই। শুধু জায়গা দখল না একটি ইউকালেকটর গাছ কেটেছেন। তারা এর আগেও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটেছে।তবে দখলদার ইয়ামিন ও রোসদুল বলেন, জায়গাটি রাস্তা হলেও ব্যবহার হয়না। জায়গাটি আমরা দীর্ঘ দিন ধরে পরিচর্যা সহ আমাদের দখলে রয়েছে। যিনি অভিযোগ করেছেন তার জমি রয়েছে পিছনে। এজায়গা নিয়ে কোন সমস্যা নেই। আমাদের কে হয়রানির করার জন্য অভিযোগ করেছে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে লোক পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর



মাগুরার মহাম্মদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় গৃহবধু নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৩৫জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে;মাগুরার মহম্মদপুরের নহাটা ইউনিয়নের খলিশাখালি গ্রামে মোটরসাইকেল-ড্রাম ট্রাক  মুখোমুখি সংঘর্ষে পারুল খাতুন (৩৫) নামে এক মহিলা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে  মন্ডলগাতি গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম। নিহত পারুল খাতুন শহীদুল ইসলাম সুমনের স্ত্রী। মঙ্গলবার রাত ৯ ঘটিকার সময় এই দূর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শহিদুল ইসলাম সুমন মাগুরা জেলা জর্জ কোর্টে পেশকার হিসেবে কর্মরত। অফিস শেষ করে সুমন তার স্ত্রীকে নিয়ে মাগুরা থেকে মন্ডলগাতী গ্রামে মোটরসাইকেল যোগে ফিরে আসছিলেন।

খলিশাখালি গোরস্থানের কাছে আসার পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালু ভর্তি ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় সুমনের স্ত্রী মারাত্মকভাবে আহত হয়। উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার পারুল খাতুনকে রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের সময় মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, ড্রাম ট্রাকে বালু ভর্তি করে নহাটা ইউনিয়নে ফুলবাড়ী গ্রামে রাস্তার কাজের জন্য নেওয়া হচ্ছিল।

আরও খবর



হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের এশিয়া প্যাসিফিক পর্বে তৃতীয় রুয়েট

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের এশিয়া প্যাসিফিক (এপিএসি) পর্বে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ছাত্রদের একটি দল তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এপিএসি অ্যাওয়ার্ড সিরিমনিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

গত বছর শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারেরও বেশি স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এই প্রতিযোগিতায় নেটওয়ার্ক ট্র্যাক, ক্লাউড ট্র্যাক, কম্পিউটিং ট্র্যাক ও ইনোভেশন ট্র্যাক এই চারটি গ্রুপে অংশ নেয়ার সুযোগ ছিল। প্রতিটি ট্র্যাক থেকে ১০ জন শিক্ষার্থীকে তাদের অধ্যয়ন ও পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

পরবর্তীতে তাঁদের মধ্য থেকে শীর্ষ বারোজন চারটি দলে ভাগ হয়ে এপিএসি পর্বে যোগ দেয়। রুয়েটের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি একটি দল যোগ দেয় নেটওয়ার্ক ট্র্যাকে, আরেকটি দল যোগ দেয় কম্পিউটিং ট্র্যাকে। এই ট্র্যাকে প্রতিযোগিতা করে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) আরও একটি দল। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি দল যোগ দেয় ক্লাউড ট্র্যাকে। এই চার দলের মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্র্যাক গ্রুপে অংশগ্রহণকারী রুয়েটের তিনজনের দলটি এপিএসি পর্বের ১৪টি দেশের ৬৪০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শীর্ষ তিনে জায়গা করে নিয়েছে।

বিজয়ী দলে রয়েছে রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শুভাম আগারওয়ালা, রাকেশ কার এবং মো. মাজহারুল ইসলাম। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় তাঁদের হাতে পুরষ্কার ও সনদপত্র তুলে দেয়া হয়। আগামী মাসে দলটি চীনের শেনজেনে অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল রাউন্ডে অংশ নেবে।

রুয়েটের বিজয়ী দলের সদস্য শুভাম আগারওয়ালা বলেন, “এই প্রতিযোগিতা আমাদের আইসিটি এবং নেটওয়ার্ক সেক্টর সম্পর্কে নতুন কিছু শেখার অনেক সুযোগ দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা এই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মেও আসতে পেরেছি। ষ্টেজে সবার সামনে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে দাঁড়ান আমাদের জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা ছিলো। এমন অভাবনীয় সুযোগ তৈরি করার জন্য আমরা হুয়াওয়ের কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমরা গ্লোবাল রাউন্ডে আরও ভালো কিছু অর্জনের চেষ্টা আমাদের থাকবে।“

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার বোর্ড সদস্য লিজংশেং (জেসন) বলেন, ”হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে, তরুণরা যেকোনো দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। বাংলাদেশে যে বিশাল সংখ্যক তরুণ রয়েছে তাঁদের সম্ভাবনা অসীম। আর সেই বিশ্বাস নিয়েই হুয়াওয়ে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের আইসিটির জ্ঞান বৃদ্ধি করতে নানা ধরনের উদ্যোগের নিয়ে আসছে। বিজয়ী দলকে আমি অভিনন্দন জানাই। আমরা বাংলাদেশে প্রতিভা বিকাশের জন্য একটি দায়িত্বশীল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবো।”

রুয়েটের সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আজমাইন ইয়াক্কীন সৃজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জাকার্তার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “আমার ছাত্ররা এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শুধু বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বই করছে না, তারা সকলের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করে নিয়েছে। এতে আমি খুবই গর্বিত বোধ করছি। আমি লক্ষ্য করেছি যে, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার ফলে তাদের জ্ঞান যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমন আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। তাদেরকে এমন একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই।”

গ্লোবাল রাউন্ডে প্রায় ৪০টি দেশের ৫০০-এরও বেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি ১৭০টিরও বেশি দল অংশগ্রহণ করবে। শুরুর পর এটি হুয়াওয়ে আইসিটি প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় অফলাইন গ্লোবাল ফাইনালে পরিণত হতে যাচ্ছে। “কানেকশন, গ্লোরি, অ্যান্ড ফিউচার” থিমের এই ইভেন্টে দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছে।


আরও খবর



পেঁয়াজের সাদা ফুলে সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে ‘কালো সোনা’

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৬১জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:সবুজ কান্ডের ডগায় কদমের মতো দেখতে সাদা সাদা ফুলে ভরে গেছে উত্তর জনপদের ধানের রাজ্য খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মিরাপুর ফসলের মাঠ। যা প্রকৃতির মায়াজালে আবৃত্ত এক অনন্য দৃশ্য, যেখানে সাদা ফুলের সমারোহ নয়, বরং এক অপার সম্পদের আহ্ধসঢ়;বান। এই ফুলের প্রশান্ত সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে ‘কালো সোনা’, যা বাংলাদেশের কৃষকদের অর্থনীতিতে এক অপূর্ব সংযোজন। পেঁয়াজের বীজের উচ্চ বাজার মূল্যের কারণে কৃষি জগতে ‘কালো সোনা’ নামে পরিচিত। যেখানে কৃষকের পরিশ্রম ও প্রকৃতির সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় এই অমূল্য ‘কালো সোনা’।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের পূর্বমিরাপুর, মিরাপুর, হাতিয়াপাড়া ও তারাটিয়া গ্রামে চাষ করা হয়েছে পেঁয়াজের বীজ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর পেঁয়াজ বীজের সঙ্গে সম্পৃক্ত কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।চাষিরা বলছেন, এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় খরচ বাদে এই পেয়াজের বীজ চাষে লাভ হবে দ্বিগুণেরও বেশি, তাই এগুলো ‘কালো সোনা’ নামে খ্যাতি পেয়েছে।   

সরেজমিনে উপজেলার মিরাপুর, হাতিয়াপাড়া ও তারাটিয়া মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে পেঁয়াজ বীজের সাদা ফুল।শেষ সময়ের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা। অনেকে আবার পেঁয়াজ বীজের গাছে শক্তি যোগানোর জন্য কীটনাশক স্প্রে করছেন। মৌমাছি সংকট থাকায় অনেক কৃষক আবার হাত দিয়েই পেঁয়াজ ফুলের ‘মধু ফেলা’র কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত রোপন করা পেঁয়াজ বীজ গাছের ফলন ভালো হওয়ায় লাভের স্বপ্ন বুনছেন তারা। 

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের পূর্বমিরাপুর গ্রামের কৃষক সাদ্দাম হোসেন জানান, গত বছর পেঁয়াজ বীজের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর আগ্রহ নিয়ে বেশি জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করেছি। তিনি আরো বলেন, “এই এলাকায় আমিই প্রথম দানা চাষ শুরু করি। এই ফসল চাষে যা খরচ হয় তার থেকে দ্বিগুণ লাভ থাকে। বর্তমানে আমার দেখাদেখি এলাকার অনেক কৃষকই এই ফসলের চাষ করছে।” ছেলে-মেয়েকে লেখা-পড়ার খরচ চালাচ্ছি, আল্লাহর রহমতে এই ক্ষেত করে আমি ভালো আছি।” 

ফুলবাড়ি গ্রামের কৃষক মো. আব্দুর রহিম বলেন, আমি দীর্ঘ দিন যাবৎ পেঁয়াজ বীজের আবাদ করে থাকি। এই ফসল চাষ করে লাভবান হয়েছি। এ বছর ১বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করেছি। 

শাহাগোলা ইউনিয়নের হাতিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক মো. উজ্জল হোসেন বলেন, এ বছর দেড় বিঘা জমিতে আমি পেঁয়াজ বীজ চাষ করেছি। ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি। বিভিন্ন রোগবালাইয়ের জন্য কীটনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে দেড় লাখ টাকার ওপরে বীজ বিক্রির আশা করছেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান জনান, উপজেলায় চলতি অর্থবছওে ২১৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এ বছর পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা ছাড়িয়ে যাবে। এছাড়া আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকরা যাতে বাণিজ্যিকভাবে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করতে পারেন, এজন্য উপজেলা কৃষি অফিস বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ থেকে বাজারজাত করা পর্যন্ত পরামর্শের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, পিঁয়াজের বীজ চাষে কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারেন এবং কৃষকরা যেন পিঁয়াজ চাষে কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন এ জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই সমস্যা সেখানেই আমাদের উপস্থিতি এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। পিঁয়াজ চাষে যুক্ত উপজেলার কৃষকরা এবার বেশ উৎফুল্ল।কারণ তারা প্রাকৃতিক অনুকূল পরিবেশের জন্য এবার উৎপাদিত ফসলের ফলন ও দাম বেশ ভালো পাবেন বলে তিনি মনে করছেন।


আরও খবর



কালিয়াকৈরে বেপরোয়া মাটিবাহী ট্রাকের ধাক্কা,অল্পের জন্য রক্ষা ঘুমন্ত দোকানদার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বেপরোয়া গতির মাটিবাহী ট্রাকের ধাক্কায় একটি চা দোকান, বেশ কয়েকটি গাছ ও একটি বৈদ্যুতিক খুটি ভেঙ্গে পড়েছে। রোববার ভোরে উপজেলার কুটামনি বড় পুকুরপাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ঘুমন্ত চা দোকানের মালিক। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছেন ওই ট্রাকের চালক।

এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাটি খেকোরা। দিনে-রাতে সমান তালে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের মাটিবাহী অবৈধ ড্রামট্রাক গুলো। ভেঙ্গেচুরে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কোটি কোটি টাকার নির্মিত সড়কগুলো। প্রায়  প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এর ধারাবাহিকতায় রোববার ভোর পৌণে ৪টার দিকে বেপরোয়া গতির একটি ড্রাম ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট ১৫৭৩৪৫) ধাক্কায় উপজেলার কুটামনি বড় পুকুরপাড় এলাকায় নুর ইসলামের চা-দোকানের কিছু অংশ ভেঙ্গে যায়। এসময় ওই ট্রাকের ধাক্কায় ভেঙ্গে যায় ইউপি প্রদত্ত পাশের সফিপুর- পাইকপাড়া সড়কের সড়ক বাতির সৌর শোলার, লাইটসহ কিছু গাছপালা। এরপর ওই ট্রাকটি সরাসরি সজোরে ধাক্কা দেয় পল্লী বিদ্যুতের ৩৩কেভি ভোল্টেজের লাইনের একটি বৈদ্যুতিক খুটিও।বিকট শব্দে ঘুম থেকে আতকে জেগে উঠেন ঘুমন্ত চা-দোকানদার নুর ইসলাম। কিন্তু গুরুতর আহত হন ওই ট্রাকের চালক আবুল হোসেন।

ততক্ষণে আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে গেলে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক থেকে বেড়িয়ে দৌড়ে একজন পালিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক ভাবে তার নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। এলাকাবাসী ওই চালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। খবর পেয়ে তার স্বজনরা ও মাটি খেকোরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ দুর্ঘটনার পর ওই সড়কে যান চলাচলে বিঘœ ঘটে। পরে খবর পেয়ে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ বৈদ্যুতিক খুটি পরিবর্তন করে। অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়া দোকানদার নুর ইসলাম জানান, পুরো দোকানের ওপর ট্রাক উঠে গেলে ঘুমন্ত অবস্থায় আমি মারা যেতাম। কিন্তু গাছপালা, দোকান ভেঙ্গে প্রায় ২০হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও দোকানের পাশের সৌরশক্তি, সড়ক বাতি ও বৈদ্যুতিক খুটি ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এসব বিষয়ে জানতে একাধিক মাটি ব্যবসায়ীকে ফোন দিলে তারা রিসিভ করেননি। তবে ওই ট্রাকের মালিক রবিন সরকার জানান, আমি তো ট্রাক চালাই না, মাটি ব্যবসায়ীরা ট্রাক চালায়। এসব ড্রাম ট্রাক আঞ্চলিক সড়কে চলাচলে নিয়মকানুনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারা দেশে ড্রাম ট্রাক চলে। তবে ওই দুর্ঘটনার বিষয়ে মাটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন তিনি।

ফুলবাড়িয়া সাব জোনাল অফিসের ইনচার্জ (এজিএম) হোসেন মোহাম্মদ রায়হান জানান, আমাদের ক্ষতিগ্রস্থ খুটি পরিবর্তন করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক সংশ্লিষ্টদের খবর দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ খুটি ও মেরামত বাবদ পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে টাকা পরিশোধ না করলে এ ঘটনায় মামলা করা হবে।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার আহম্মেদ জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর