Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

সরকার ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৭২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে স্থানীয়ভাবে টিসিবির মাধ্যমে সরকার। মোট খরচ পড়বে ১৮২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। সায়বিন তেলের এরকম আরও কয়েকটি ক্রয় প্রস্তাবসহ উত্থাপিত ১২টি প্রস্তাবের সবগুলোই অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা।

বুধবার (৮ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মাহমুদুল হোসাইন এ তথ্য জানান।

মাহমুদুল হোসাইন জানান, টিসিবির মাধ্যমে ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান তেলও কিনবে সরকার, যার মোট খরচ পড়বে ৫৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এবার স্থানীয়ভাবে সংগ্রহের ক্ষেত্রে টিসিবির গুরুত্বই বেশি।

তিনি জানান, সংস্থাটির মাধ্যমে ৩ দফায় যথাক্রমে ৬ হাজার মেট্রিক টন, ১০ হাজার মেট্রিক টন ও ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কিনবে সরকার। যার দাম পড়বে যথাক্রমে ৬১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, ১০৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ও ৬০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

মাহমুদুল হোসাইন আরও জানান, বরাবরের মতো সারও কিনবে সরকার। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কিনবে, যার খরচ পড়বে ৯৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। একই পরিমাণ ইউরিয়া সার কেনা হবে কাতার থেকে, যার মোট খরচ ৯৩ কোটি ২২ লাখ টাকা।

সচিব বলেন, তিন কার্গো এলএনজি কেনা হবে। দুই কার্গো কেনা হবে সিঙ্গাপুর থেকে, দুটোরই দাম পড়বে যথাক্রমে প্রতি ইউনিট ১০ দশমিক ৪৬ মার্কিন ডলার করে। তৃতীয় কার্গো কেনা হবে কাতার থেকে প্রতি ইউনিট মার্কিন ডলার দরে।


আরও খবর



মেহেরপুরের বাজারে অপরিপক্ক লিচু বিক্রি হচ্ছে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১১০জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের বাজারে উঠতে শুরু করেছে রসালো ফল লিচু। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঝরে পড়ায় পরিপক্ক হবার আগেই বাগান থেকে লিচু সংগ্রহ করছেন চাষিরা। ফলে লিচুর আসল স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ভোক্তারা। অপরিপক্ক লিচু না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকগন। অপরদিকে লিচুর গুণগত মান ঠিক রাখার জন্য আরও কয়েকদিন পর লিচু সংগ্রহের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় ৮০০ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। শুরুতে ৬০ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছিল। এ সব বাগানে, আটি লিচু, মোজাফ্ফর বোম্বাই, চিলি বোম্বাই, আতা বোম্বাই ও চায়না-থ্রি জাতের লিচু উৎপাদন হয়ে থাকে।

লাভজনক হওয়ায় এ জেলায় লিচুর আবাদ বাড়ছে। এখানকার লিচু রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।

চলতি মৌসুমে একটু দেরী করেই গাছে মুকুল এসেছিল তাও অনেক কম। উপরন্ত প্রচন্ড তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে গাছ থেকে ঝরে গেছে অনেক লিচু। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। কৃষকরা বলছেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণেই পরিপক্ক হবার আগেই গাছ থেকে লিচু পেড়ে ফেলতে হচ্ছে। কারণ গাছ থেকে লিচু ঝরে পড়ছে। গাছে লিচু ফেটে যাচ্ছে। কাক্সিক্ষত দাম না থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। উৎপাদন খরচ তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। 

তবে লিচুর আবাদে চাষিরা লোকসান গুনলেও লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পরিপক্ক হবার আগেই লিচু বাজারে আসায় লিচুর স্বাদও কমছে বলে জানান ভোক্তারা। বাজারে লিচু কিনতে আসা আজমাইন হোসেন জানান, বাজারে নতুন ফল এসেছে। তাই বাড়ির ছেলে মেয়েদের জন্য কিনেছেন। যদিও একটু স্বাদ কম। আরো কিছুদিন গাছে থাকলে লিচু পুষ্ট হতো স্বাদও পাওয়া যেতো। 

লিচু চাষি শওকত আলী জানান, তার বাগানে শতাধিক লিচু গাছ থাকলেও ফল এসেছে অর্ধেক গাছে। আবার গত বছরের তুলনায় সেই গাছ গুলোতে লিচু দাঁড়িয়েছে কম। আর রোদ্রের তাপে গাছ থেকে লিচু একাই ঝরে পড়ছে। গাছে গোড়াই পানি দিয়েও তেমন একটা ফল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার যেগুলো গাছে আছে, তা আবার আকারে ছোট। যার কারণে এবারে বাগানে যা লিচু পাওয়া যাবে তা তিন ভাগের এক ভাগ।

ক্রেতা সেলিম রেজা জানান, বাজারে প্রকারভেদে লিচুর দাম এবার একটু চড়া। প্রতি ১০০ লিচুর দাম হাঁকা হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত, প্রতি পিস হিসেবে যার দাম আসছে দুই টাকা পঞ্চাশ পয়সা থেকে তিন টাকা পর্যন্ত। এ বছর লিচুর দাম একটু বেশি হলেও মৌসুমি ফল হিসেবে ক্রেতারা এ লিচু কিনছেন বেশি দামে। এক পন (৮০) টি লিচু কিনলাম ১৯০ টাকায়। আরও বেশি নেয়ার ইচ্ছে ছিল তবে টক ও তুলনামূলক আঠির আকার বড়, রয়েছে পোকার আক্রমণও তাই বেশি কেনা হয়নি।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এম কে রেজা জানান,হাইপোগ্লাইসিন এ সাধারণত কাঁচা বা আধা পাকা অর্থাৎ পাকা নয়, এমন লিচুতে পাওয়া যায়। এটি একটি অ্যামিনো অ্যাসিড, যা মারাত্মক বমি বমি ভাব সৃষ্টি করে। অন্যদিকে মিথাইলিন-সাইক্লো-প্রোপাইল-গ্লাইসিন উপাদানটি গ্রহণের ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত কমে যায়। এর কারণে বমি, অচেতন এবং দুর্বল হয়ে পড়ে রোগী। কাঁচা বা আধা পাকা লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ। এ বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে সচেতনতাও বাড়াতে হবে।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, লিচুর গুণগত মান ধরে রাখার জন্য আরও কয়েকদিন পর লিচু বাজারজাত করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের। শিলাবৃষ্টি এবং ঝড় ছাড়া বর্তমানে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তা লিচুর জন্য উপযোগী। অপরিপক্ক লিচু খেলে ভোক্তরা লিচুর পুষ্টিমান পাবে না। লিচুর স্বাদ থেকেও বঞ্চিত হবে। এমনকি লিচুর যে ওজন হওয়ার কথা তাও হবে না।


আরও খবর



টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ট্রাক অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত,২ আহত,২

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৫১জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইল:টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার জামতলী এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ধনবাড়ী থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম।

নিহতরা হলেন, জেলার ধনবাড়ী থানার পানকাতা গ্রামের মো. আমজাদ আলীর ছেলে বাবুল মিয়া (৪০) এবং ধনবাড়ী উপজেলার বলিভদ্র গ্রামের আজিজুর রহমানের স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (৩০)।

এ বিষয় ধনবাড়ী থানার এসআই সবুজ আহমেদ জানান, জামালপুর থেকে ধনবাড়ী আসার সময় অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটো চালক বাবুল ও যাত্রী স্বপ্না নিহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার জামতলী এলাকায় জামালপুরগামী একটি ট্রাক ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চালকসহ দুজন নিহত হন। আহত হন আরও দু’জন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই ট্রাকটি আটক করলেও চালক পালিয়ে যায়।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



গোদাগাড়ীতে নামের মিলে জেল খাটলেন কলেজছাত্র, আসল আসামি ভারতে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image

মুক্তার হোসেন,গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মাদক মামলার আসামির সঙ্গে নিজের ও বাবার নামের মিল থাকায় বিনা দোষে একদিন জেল খাটলেন এক কলেজছাত্র। গতকাল সোমবার ভোরে এই কলেজছাত্রকে ধরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে আসামি শনাক্তে ভুল হওয়ার ব্যাপারে পুলিশ বুঝতে পেরে আদালতে একটি প্রতিবেদন দিলে মঙ্গলবার(১৪মে) আদালত এই কলেজছাত্রকে মুক্তি দিয়েছেন। এই কলেজছাত্রের নাম ইসমাইল হোসেন (২১) তিনি গোদাগাড়ী পৌরসভার ফাজিলপুর মহল্লার আব্দুল করিমের ছেলে।

তাঁর মায়ের নাম মনোয়ারা বেগম। ইসমাইল হোসেন গোদাগাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।মাদক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক ওই আসামির নামও ইসমাইল হোসেন (২০)।তাঁর বাড়ি গোদাগাড়ী পৌরসভার লালবাগ হেলিপ্যাড মহল্লায়। বাবার নাম আবদুল করিম। তাঁর মায়ের নাম মোসা. বেলিয়ারা। আসামি ইসমাইল পেশায় কাঠমিস্ত্রি। মাদক মামলায় জামিন নেওয়ার পর তিনি ভারতের চেন্নাই গিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করছেন। মাদক মামলার এই আসামি এবং ওই কলেজছাত্রের দুজনের নিজের নাম এবং তাদের বাবার নামও একই। মহল্লা এবং মায়ের নাম আলাদা হলেও পুলিশ এই কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।কলেজছাত্র ইসমাইল হোসেনের ভাই আব্দুল হাকিম রুবেল জানান, গত রোববার (১২ মে) এশার নামাজের সময় গোদাগাড়ী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান তাদের বাড়ি যান। এ সময় তিনি একটি মাদক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখিয়ে তার ভাই ইসমাইল হোসেনকে ধরে নিয়ে যান। ওই সময় তাঁরা পুলিশকে জানান, তার ভাইয়ের নামে কোনো মাদক মামলা নেই। কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও নেই।

পুলিশ কোনো কথা না শুনেই ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৯ আগস্ট রাত পৌনে ১১টার দিকে গোদাগাড়ীর মাদারপুর জামে মসজিদ মার্কেটের সামনে থেকে রাজমিস্ত্রি ইসমাইল হোসেনকে ৫০ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করে রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল। রাতেই তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা করেন ডিবির এসআই ইনামুল ইসলাম। এরপর দিন তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর এক মাস পর গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরপর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ইসমাইল হোসেন জামিনে মুক্তি পান। কিছুদিন পর তিনি কাঠমিস্ত্রির কাজে চেন্নাই চলে যান। তার বাবা ছয় বছর ধরেই সেখানে আছেন।

এই মামলায় কলেজছাত্র ইসমাইলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিনকে পরিবারের সদস্যরা অবহিত করলেও তিনি তাকে ছাড়েননি। তিনি তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। পরে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানাকে অবগত করেন। পরে সোহেল রানা বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ খোঁজখবর নিয়ে দেখতে পায়, আসামি ইসমাইলের বদলে অন্য ইসমাইলকে ধরা হয়েছে।গোদাগাড়ী থানার ওসি আবদুল মতিন বলেন, ‘আমরা সোমবার(১৩ মে) এই ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠাই। দুজনের নিজের এবং বাবার নাম একই থাকার কারণে ভুলটা হয়ে গেছে। পরে ভুল বুঝতে পেরে সোমবার বিকেলেই আমরা একটা প্রতিবেদন দিয়েছি। আজ আদালত এই ইসমাইলকে মুক্তি দিয়েছেন। আসল আসামি ভারতে পালিয়ে আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। দেশে ফিরলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।


আরও খবর



মধুপুরে সড়ক দখল করে চলছে ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর মহোৎসব

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৭৮জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইলঃ- টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন ব্যস্ততম ও কাঁচাপাকা সড়ক দখল করে ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজ করছেন স্থানীয় কৃষাণ-কৃষাণিরা। ফলে একদিকে রাস্তা যেমন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি বৃদ্ধি পেয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ব্যস্ততম সড়ক সহ পাড়া মহল্লার কাঁচা-পাঁকা রাস্তায় চলছে ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর মহোৎসব।


যানবাহন ও সর্বসাধারণে যাতায়াতের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কতিপয় কৃষাণ-কৃষাণী ধান মাড়াই সহ খড়ের স্তুপ ফেলে সাধারণ পথচারীদেরকে মারাত্মক দুর্ঘটনার মুখে ঠেলে দিচ্ছেন।বিশেষ করে মধুপুর কাঁঠাল তলী মোড় হতে চাপড়ী বাজারে হয়ে গারো বাজার, কুড়ালিয়া মোড় হতে বাগানবাড়ি চৌরাস্তা, রক্তিপাড়া বাসস্ট্যান্ড হতে চাপড়ী, কাকরাইদ হতে গারো বাজার সহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লার রাস্তা গুলো বর্তমানে খড় ও ধান মাড়াই মেশিন মালিকদের দখলে।


এসব ব্যস্ততম সড়কপথে বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ছাড়াও রিকশাভ্যান এবং ইজিবাইক চালকরা সার্বক্ষণিক দুর্ঘটনার আতঙ্কের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে।খানাখন্দে ভরা রাস্তাগুলোতে ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে যেমন দুর্ভোগ বাড়ছে তেমনি রাস্তায় ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজে বাড়ছে দুর্ঘটনার শঙ্কা।


এই খড়ের গাদায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেশ কয়েকজন মোটরসাইকেল চালক ও পথচারী হাত পা ভেঙে পঙ্গু হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এমনও পরিবার রয়েছে যে পরিবারের একমাত্র উপার্জনের মানুষটি আজ পঙ্গু হয়ে বিছানায় পড়ে আছে, এই অসহায় পরিবারের দায়ভার কে নিবে?সাধারণ মানুষের নিরাপদে পথচলায় যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও জনসাধারণ।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিকসহ দেশের পথে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১২২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ । সোমবার (২৯ এপ্রিল) মধ্যরাতে ২৩ নাবিককে নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে জাহাজটি।

এর আগে ওই বন্দরে জাহাজে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, দস্যুমুক্ত হওয়ার পর ২৩ নাবিকসহ ২১ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে নোঙর করে এমভি আবদুল্লাহ। সেখানে কয়লা খালাস করে জাহাজটি ২৭ এপ্রিল মিনা সাকার বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এরপর মিনা সাকার থেকে ৫৬ হাজার চুনাপাথর লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে জাহাজটি। মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিকও আসছেন একই সঙ্গে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর কুতুবদিয়া চ্যানেলে জাহাজ থেকে কার্গো খালাস করা হবে।

প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায়। ৩১ দিনের জিম্মি জীবন পার করার পর ১৩ এপ্রিল ছাড়া পান ওই ২৩ নাবিক।

মুক্ত হওয়ার পর পরই ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। কড়া নিরাপত্তা দিয়ে জাহাজটিকে ঝুকিপূর্ণ জলসীমা পার করে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধজাহাজ ও তিনটি টহল জাহাজ।

এর আগে, ২০১০ সালের ডিসেম্বরেও আরব সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই মালিকপক্ষের জাহাজ এমভি জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। পরে ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর