Logo
আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নিটারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গণ ইফতার কর্মসূচির আয়োজন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ২৮৩জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের শিক্ষা ও টেক্সটাইল গবেষণা বিষয়ক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ (নিটার) এর কাজী নজরুল ইসলাম থিয়েটার সংলগ্ন খেলার মাঠে ১৪ই মার্চ, ২০২৪ রোজ বৃহস্পতিবার  বাদ আছর সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের আয়োজনে এক গণ ইফতার কমর্সূচির আয়োজন করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল হতেই দলে দলে ধর্মপ্রাণ শিক্ষার্থীরা ইফতার মাহফিলে যোগদান করার উদ্দেশ্যে থিয়েটার সংলগ্ন মাঠে জড়ো হতে থাকে। এছাড়া গণ ইফতার কর্মসূচি সফল করতে আয়োজকরা নিরলসভাবে সবকিছুর আয়োজন করে। প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর সুশৃঙ্খল অংশগ্রহণে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইফতার কর্মসূচির সূচনা হয় ও মোনাজাত শেষে সকলে সম্মিলিতভাবে ইফতার গ্রহন করে।

আয়োজকদের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার তুর্য জানায়, গণ ইফতার কর্মসূচি প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম প্রিয় মুসলিম শিক্ষার্থীদের চলমান একটি কর্মসূচি । তাদের সাথে একাত্ততা রেখে এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও ধর্মীয় অনুশাসন এর নিমিত্তে নিটারে গণ ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের কার্যক্রম কোন দলের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা নয়, নিটারের সর্বস্তরের মুসলিম ধর্মপ্রিয় শিক্ষার্থীদের একান্ত সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততায় আয়োজন করা হয়েছে গণ ইফতার মাহফিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী হারুন-অর-রশিদ জানান, এরকম আয়োজন পরস্পরের সাথে সম্পর্কের উন্নতি ঘটায়। একে অপরের প্রতি ভ্রাতৃত্ববোধের ও ভালোবাসার বিকাশ ঘটায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলে একসাথে এক মাঠে বসে ইফতার করেছি এরচেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে! আমি মনে করি, শিক্ষার্থীদের এরকম আয়োজন নিয়মিত করা প্রয়োজন।

এভাবেই শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে গণ ইফতার কর্মসূচি সফল ও সুশৃঙ্খলভাবে সমাপ্ত হয়।


আরও খবর



পত্নীতলায় উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক পেল প্রার্থীরা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৫জন দেখেছেন

Image
পত্নীতলা (নওগাঁ) প্র‌তি‌নি‌ধি:আগামী ৮ মে আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা প‌রিষদ নির্বাচনের প্রথম ধা‌পে নওগাঁর পত্নীতলায় ৩টি পদে ৭জন প্রার্থী প্রতীক পেল মঙ্গলবার।

চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক চৌধুরী প্রতীক পেয়েছেন ঘোড়া এবং সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল গাফ্ফার প্রতীক পেয়েছেন মোটর সাইকেল।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আহাদ রাহাত প্রতীক পেয়েছেন টিউবওয়েল, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক দিলিপ চৌহান প্রতীক পেয়েছেন তালা এবং মিজানুর রহমান প্রতীক পেয়েছেন টিয়া।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক খাদিজাতুল কোবরা মুক্তা প্রতীক পেয়েছেন হাঁস এবং মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাবিনা বেগম প্রতীক পেয়েছেন কলস। প্রতীক পেয়ে প্রার্থীরা সতস্ফুর্ত ভাবে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

পত্নীতলা উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২০ লক্ষ ১ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ লক্ষ ৮৯০ জন এবং মহিলা ভোটার ১০ লক্ষ ১ হাজার ৩০ জন। উপ‌জেলায় এবার ৭৪টি ভোট কেন্দ্রে ৫৪২টি কক্ষে ভোট গ্রহন হবে বলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার জাহিদুর রহমান জাহিদ জানান।

নির্বাচনী গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৭ এপ্রিল মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই শেষ তারিখ ছিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ এপ্রিল, আর প্রতীক বরাদ্দ ২৩শে এপ্রিল এবং ভোট গ্রহন হবে ৮মে। ঐদিন সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আরও খবর



কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বান্দরবানের বাসা থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক চেওশিম বমকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় রোয়াল লিন বম নামে আরও এক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার (৭ এপ্রিল) ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

এদিন সকালে বান্দরবানে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের তথ্য জানিয়েছিলেন। সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের পরপরই চেওশিম বমকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানায় র‌্যাব।

র‌্যাব বলছে, রোয়াল লিন বম (৫৫) এবং চেওশিম বম (৫৫) বান্দরবানে প্রথম কেএনএফ গঠন করে। তাদের সঙ্গে কেএনএফ প্রধান নাথান বমের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতে জঙ্গি নেতা শামীম মাহফুজের সঙ্গে কেএনএফের যে চুক্তি হয়েছিল সেটি হয়েছিল চেওশিম বমের বাসায়।


আরও খবর



যশোরে প্রেমিকাকে হত্যা : প্রেমিক আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরে প্রেমিকাকে হত্যা করেও শেষ রক্ষা হয়নি এক প্রেমিকের। ডিবির পুলিশের অভিযানে আটক হয়েছে প্রেমিক। বুধবার সকালে যশোর সদর উপজেলার বুকভরা বাওড়ের পাশ থেকে প্রেমিকা মিতুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, আজ বুধবার সকালে শাড়ি পড়া এক নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে তারা। এ সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। পরবর্তিতে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

ডিবির এসআই খান মাইদুল ইসলাম রাজীব জানান, নিহত মিতু এক সময় মুসলমান ছিলেন। বাড়ি সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায়। তার নাম ছিলো খাদিজা। পরে তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে হিন্দু ধর্মগ্রহণ করেন। তার এলাকার এক যুবকের সাথে তিনি যশোরে ঘুরতে আসেন। এক পর্যায় তাকে ওই যুবক শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তার নেতৃত্বে একটি টিম ওই যুবককে আটক করে। ওই যুবকের নাম ও ঠিকানা চানতে চাইলে মাইদুল বলেন, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ বিষয়ে প্রেসব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।

এদিকে, হালসা গ্রামের একটি সূত্র জানায় আটক প্রেমিকের নাম মৃণময়। তিনিও পাটকেলঘাটার বাসিন্দা। সকাল ১১টায় হালসা গ্রাম থেকে ডিবির একটি টিম মৃণময়কে আটক করে।


আরও খবর



বগুড়া ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

বগুড়া বিশেষ প্রতিনিধি:বগুড়া ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের স্থানীয় একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এক টেবিলে বসার সুযোগ করেছে ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন। বগুড়া ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন কর্মরত ফটো সাংবাদিকদের একমাত্র সংগঠন। এই এসোসিয়েশনের প্রতিটি কার্যক্রম প্রশংসার দাবিদার। এ ধরনের আয়োজনে সহনশীলতা ও পরমতসহিষ্ণুতা আরো বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরও বলেন, সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ। দেশের মানুষ সংবাদপত্রের মাধ্যমে সমাজের প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়। আর এ কাজটি করতে যারা অসামান্য অবদান রাখেন তারা ফটো সাংবাদিক। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা যে ভাবে কাজ করেন তা দেশ ও জাতি গঠনে নিঃসন্দেহে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এসময় তিনি রমজান মাসের সংযমের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগের আহবান জানান।

ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাওছার উল্লাহ আরিফের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন মিন্টু, বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি জেএম রউফ, সাধারণ সম্পাদক মাছুদুর রহমান রানা, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া এর সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ, সূচনা কম্পিউটারের স্বত্তাধিকারী নাজমুল হক সোহেল, বগুড়া প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম কমল। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি আসাফুদ্দৌলা ডিউক, সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মুমিন, কোষাধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ মামুন, প্রদর্শনী সম্পাদক জাফর আহম্মেদ মিলন, কার্যনির্বাহী সদস্য সাবু ইসলাম, সদস্য মহিত উল আলম মিলন, মোমিন জিল্লু, শফিকুল ইসলাম শফিক, বজলুর রশিদ সুইট, আব্দুস সালাম, সাইফুল ইসলাম, সোহেল রানা, বিমু রহমান, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, আল আমিন,। ইফতার পূর্বে দেশ ও জাতির কল্যান কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বগুড়া বায়তুর রহমান সেন্ট্রাল জামে মসজিদের ইমাম মাওঃ বেলায়েত আলী।


আরও খবর



সরকার আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য ও দায়িত্ব হলো নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, সমতা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারসহ মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা। বর্তমান সরকার আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় মুক্তির ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধুর প্রধান লক্ষ্য ছিল এমন এক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, যেখানে সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং সুবিচার নিশ্চিত হবে। সেই লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের সংবিধানে তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে আইনের দৃষ্টিতে সমতা, আইনের আশ্রয়-লাভের অধিকার, গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ, বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণ, সম্পত্তির অধিকারসহ ১৮টি মৌলিক অধিকার সন্নিবেশিত করেন। কিন্তু জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ড, সামরিক শাসন এবং স্বৈরাচারী, গণবিরোধী ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির ক্ষমতা দখল জনগণের সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নকে বারবার দূরে সরিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে সব দুঃশাসন ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বাংলাদেশকে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব এবং এ সময়ে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত করব। স্মার্ট বাংলাদেশে সরকারি কার্যক্রম ও সেবাগুলো হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী। টেকসই উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় ন্যায়বিচারে অভিগম্যতা নিশ্চিত করার জন্য ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ সারা বাংলাদেশের আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা প্রদান করছে। সরকারি আইনগত সহায়তাকে আরো টেকসই, উদ্ভাবনী, জনবান্ধব এবং পক্ষদের আইনগত বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি ও সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের আইনগত সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিগ্যাল এইড অফিসগুলো আইনগত পরামর্শ সেবা দিয়ে মামলাজট নিরসনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর। টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য, শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়নে সবার জন্য ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করার জন্য আইন ও বিচার বিভাগ ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’র মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। আমি বিশ্বাস করি, স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ এবং সর্বোপরি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। সকলের সমন্বিত উদ্যোগেই অচিরেই সুশাসন নিশ্চিত করে আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত করতে সক্ষম হব।


আরও খবর