Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নিরাপত্তা বেড়েছে ঢাকার আদালতে

প্রকাশিত:সোমবার ২১ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৪৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার পর থেকে ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার আদালত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের প্রবেশপথের ফটকে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। অন্যান্য দিন এসব প্রবেশপথের ফটক খোলা থাকে। তবে আজ প্রবেশপথের মূল ফটকে তালা মেরে কেবল পকেটে গেট খোলা রাখা হয়েছে।

 

ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের (প্রসিকিউশন) উপকমিশনার জসিম উদ্দিন বলেন, গতকাল রোববার আদালত চত্বর থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে দুই জঙ্গি আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার পর আজ সকাল থেকে আদালতে কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে। আদালতে আগের তুলনায় বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

 

গতকাল রোববার ঢাকার সিজেএম ভবনের ৮ তলার ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে মোহাম্মদপুর থানার এ মামলা চার্জগঠনের জন্য ছিল। সেজন্য পালিয়ে যাওয়া মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেলসহ কারাগারে থাকা ১২ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে চারজনকে ঢাকা সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নেওয়ার জন্য নিচে নামিয়ে ভবনের মূলগেটের বাইরে নিয়ে আসেন চার জন পুলিশ। ওই সময় দুটি মোটরসাইকেলে চার অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী প্রথমে পুলিশের চোখে স্পে মারে। এরপর একজন পুলিশ সদস্যকে মারধর করে দুজনকে নিয়ে চলে যায়। আহত পুলিশ সদস্য নূরে আজাদ। পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গি জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর গরু বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৪০জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ থেকে:২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সিরাজগঞ্জে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প এর আওতায় জেলেদেরকে বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে-১৮জন জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ করার আগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

বৃহস্পতিবার (২৫এপ্রিল) সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে সকালে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে মৎস্য বিভাগ ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞাকালীন জেলে পরিবার বেকার থাকায় বিকল্প কর্মসংস্থান হিসাবে মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপকরণ হিসাবে গরু (বকনা বাছুর) সদর  উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে নদীর নিকটবর্তী নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে অক্ষত, স্বাস্থ্যবান ও দেশি প্রজাতির গরু (বকনা বাছুর) ৭-১০ মাস বয়সি ৪০-৫০ কেজি ওজনের বকনা বাছুর১৮জন মৎস্য জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহীনুর রহমান, অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে  সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন  সিরাজগঞ্জ- সদর ও  কামারখন্দ ২  আসনের  জাতীয় সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা তালুকদার  হেনরী । 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী তিনি তার বক্তব্যে বলেন– মা ইলিশ মাছ সম্পদ রক্ষায় দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাদের সহায়তা দিচ্ছে। আপনারা ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন। বিধান অমান্য করে জাটকা ধরবেন না। আর মনে রাখবেন এই বকনা বাছুর গরু কেউ বিক্রি করবেন না বা অন্যস্থানে হস্তান্তর করবেন না, ভালোভাবে পালন করতে গরুর যত্ন নিবেন। নিকটস্থ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের যোগাযোগ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। এ গরু দেওয়া হচ্ছে আপনার ভাগ্য উন্নয়নের জন্য। মৎস কর্মকর্তা শাহিনুর রজমান বলেন, ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞাকালীন জেলে পরিবার বেকার থাকায় বিকল্প কর্মসংস্থান হিসাবে মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপকরণ হিসাবে গরু (বকনা বাছুর) বিতরন করা হয়েছে।

আরও খবর



মাঝরাতে অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করলেন কাফরুল থানা পুলিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:রাত তখন ১ টা  বাজে।  হঠাৎ করেই সে সময় কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুকুল আলম এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে ধরতে অভিযানে বের হলেন । ২ জন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী কে আটক করলেন । এতে করে প্রশংসায় ভাসছে কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুকুল আলম। রাতের বেলায় এমন উদ্যোগ অনেক স্থায়ী মানুষ স্বাগতম জানিয়েছেন। যাদের গ্রেফতার করেছেন তারা ওই এলাকা তার সৃষ্টি করেছিলেন। 

কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুকুল আলম জানান, মাদকের ব্যাপারে আমাদের কমিশনার স্যারের নির্দেশনা হলে জিরো টলারেন্স। তাই আমরা সাধারণত মাদক ব্যবসায়ী ধরতে রাতে বের হই। যারা মাদকের ব্যবসা করে তারা রাতের বেলায় বেশি বিক্রি করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি ওইখানে মাদক  বিক্রি হবে তখন আমরা তাদের হাতে নাতে গ্রেফতার  করি। এ সময় কাফরুল থানা  অফিসারগান উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



দুইবারের ব্যর্থতার পর তৃতীয়বারে সফল নিটারের মারুফ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫৮জন দেখেছেন

Image

লাবিবা সালওয়া ইসলাম:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি অনুষদের শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাভারের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ (নিটার) এর ইইই ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী রবিউল ইসললম মারুফ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ হতে "ডেভলপমেন্ট অফ অ্যান্টিগ্র্যাভিটি ডিভাইস ইউজিং আর্টিফিশাল ইন্টেলিজেন্স" শীর্ষক গবেষণার উদ্ভাবনের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের অবশিষ্ট অনুদান লাভের চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছে, যা একটি মঞ্জুরিপত্রের মাধ্যমে তাকে অবগত করা হয়েছে।

গত ৩১শে মার্চ, রোজ রবিবার তৃতীয় দফায় গবেষণা মূল্যায়নের পর মারুফকে মঞ্জুরিপত্রের অনলাইন কপি প্রেরণ করা হয়। এই মূল্যায়ন এর আগে ২ বার যথাক্রমে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি এবং ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল সন্তোষজনক অগ্রগতি মূল্যায়ন লাভ করেনি। অনেক জ্ঞানী ব্যক্তিত্ব তার প্রজেক্ট অসমাপ্ত রেখেই শেষ করার পরামর্শ দিলেও, সে ইচ্ছেশক্তি দিয়ে কাজ চালিয়ে যায়। গত ৩১শে জানুয়ারি, ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নকারীর সাক্ষাৎকার এবং প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন ভার্চুয়ালি গ্রহণ করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী জানান, বর্তমানে তিনি জনাব কামরুল আলম খান, অধ্যাপক, পদার্থবিদ্যা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর তত্ত্বাবধানে গবেষণা করছেন এবং গবেষণা বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি পেপার পাবলিশ করেছেন; কিন্তু হাই-ভোল্টেজ পাওয়ার সাপ্লাই এর অভাবে মূল কাজটি এখনো করতে পারেননি। তবে ইতিমধ্যে বিদেশ হতে তা সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন; যা শীঘ্রই পাওয়া যাবে। সার্বিক পর্যালোচনায় প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক বিবেচিত হয়নি। এমতাবস্থায়, প্রকল্পের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে পরবর্তী মূল্যায়নে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। উক্ত মূল্যায়নে সন্তোষজনক বিবেচিত হলেই পরবর্তী কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়টি বিবেচনা করা যায়। এছাড়া প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে ড. মো: শাহেদুল আলম, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, ডিপার্টমেন্ট অফ ম্যানেজমেন্ট, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি কে প্রকল্পের মেন্টর হিসেবে মনোনয়নের সুপারিশ করা হয়। গত ২০২৩ সালের ১১ই এপ্রিল তারিখের সভায় মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নকারীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী জানান, তিনি বিদেশ হতে হাই ভোল্টেজ পাওয়ার সাপ্লাই আনলেও কাজ করার জন্য যথাযথ ল্যাব এর সাপোর্ট পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে আইসিটি বিভাগের মাধ্যমে বুয়েট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হলেও তারা তা প্রদানে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সার্বিক পর্যালোচনায় প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক বিবেচিত হয়নি। এমতাবস্থায় কিছু শর্তারোপে প্রকল্পের অগ্রগতি উল্লেখ্যযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে পরবর্তী মূল্যায়নে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। 

সর্বশেষ ৩য় ধাপেই তার কাজ মূল্যায়ন কমিটির নজরে সন্তোষজনক অগ্রগতি লাভ করে এবং ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে অবশিষ্ট ২য় কিস্তি অনুদান লাভের মঞ্জুরিপত্র পায়।

দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর এমন সফলতায় আপ্লুত হয়ে মারুফ বলেন, "আলহামদুলিল্লাহ। দীর্ঘ ২.৫ বছর পরে আমি চেকের অবশিষ্ট পাচ্ছি।আসলে লেগে থাকতে পারলে যেকোনো কষ্টের একটা শ্রমফল আছে, যা আমি আজ পেয়েছি। এখন সৃষ্টিকর্তার কৃপায় উদ্ভাবনটি পরবর্তী ধাপে সফলভাবে এগিয়ে যাওয়াটাই আগামির লক্ষ্য।"


আরও খবর



বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে, তার অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ লক্ষ্যে একটি কমিটিও গঠন করেছে দুর্নীতি বিরোধী রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।

এর আগে, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সোমবার (২২ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। রিটে দুদক চেয়ারম্যান ও সচিবসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

জানা গেছে, বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে রিটের একটি কপি হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। সেখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এর আগে, গতকাল রোববার (২১ এপ্রিল) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

তাতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। এরপর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন।

এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী, বড় মেয়ে ও ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার।

পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।

অথচ গত ৩৪ বছর ৭ মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় ১ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


আরও খবর



সৈয়দ আফজাল হোসেনকে নিয়োগ দিল বিএটি বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএটি বাংলাদেশের কোম্পানি সেক্রেটারি ও সিনিয়র লিগ্যাল কাউন্সেল হিসেবে সম্প্রতি সৈয়দ আফজাল হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। করপোরেট অনুশীলনের (করপোরেট প্র্যাকটিস) ক্ষেত্রে ৭ বছর ও আইন (মামলা-মোকদ্দমা) বিষয়ে তার ১২ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়া, দীর্ঘ কর্মজীবনে তার টেলিযোগাযোগ, ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্স, ভ্যাট-ট্যাক্স, করপোরেট, বিদ্যুৎ-জ্বালানি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থানের মতো বিভিন্ন খাতে কাজের অভিজ্ঞতা আছে। বিএটি বাংলাদেশে ২০১৭ সালে লিটিগেশন এন্ড কমার্শিয়াল কাউন্সেল হিসেবে যাত্রা শুরু করেন তিনি।

এ বিষয়ে সৈয়দ আফজাল হোসেন বলেন, “বিএটি বাংলাদেশের বর্ধিত লিডারশিপ টিমের অংশ হতে পেরে আমি অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত; শত বছরের সমৃদ্ধ পরম্পরা রয়েছে এমন একটি প্রতিষ্ঠানে আমার আইনি জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগাতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। সবার জন্য সম্ভাবনাময় আগামী নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমি আইনের বিধিমালার অধীনে থেকে জটিল আইনি পরিস্থিতির সমাধান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবো।”

আফজাল যুক্তরাজ্য থেকে তার পড়াশোনা সম্পন্ন করেন; ইউনিভার্সিটি অব লেস্টার থেকে এলএলবি (সম্মান), ইনস অব কোর্ট স্কুল অব ল থেকে বার ভোকেশনাল কোর্স ও সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে প্রফেশনাল অ্যান্ড লিগ্যাল স্কিলসে পোস্টগ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেছেন। তিনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সালিসে দক্ষ।

একইসাথে, তিনি ব্যারিস্টার-এট-ল’ (ইংল্যান্ড ও ওয়েলস), সিইডিআর (যুক্তরাজ্য) এর স্বীকৃত মধ্যস্থতাকারী ও বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে পরিচিত। তিনি অনারেবল সোসাইটি অব লিংকন্স ইন, বার অব ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশন সহ অসংখ্য পেশাদার সংস্থার সদস্য।

সৈয়দ আফজাল হোসেন বিএটি বাংলাদেশে তার সমৃদ্ধ আইনি জ্ঞান ও দক্ষতা ব্যবহার করে নিজেকে লিডারশিপ টিম ও প্রতিষ্ঠানের অপরিহার্য সদস্য করে তুলবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আইনি শ্রেষ্ঠত্বের ক্ষেত্রে তার বিস্তৃত অভিজ্ঞতা ও প্রতিশ্রুতি প্রতিষ্ঠানের সফলতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।


আরও খবর