
নিজস্ব প্রতিবেদক; আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার পর থেকে ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার আদালত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের প্রবেশপথের ফটকে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। অন্যান্য দিন এসব প্রবেশপথের ফটক খোলা থাকে। তবে আজ প্রবেশপথের মূল ফটকে তালা মেরে কেবল পকেটে গেট খোলা রাখা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের (প্রসিকিউশন) উপকমিশনার জসিম উদ্দিন বলেন, গতকাল রোববার আদালত চত্বর থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে দুই জঙ্গি আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার পর আজ সকাল থেকে আদালতে কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে। আদালতে আগের তুলনায় বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
গতকাল রোববার ঢাকার সিজেএম ভবনের ৮ তলার ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে মোহাম্মদপুর থানার এ মামলা চার্জগঠনের জন্য ছিল। সেজন্য পালিয়ে যাওয়া মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেলসহ কারাগারে থাকা ১২ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে চারজনকে ঢাকা সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নেওয়ার জন্য নিচে নামিয়ে ভবনের মূলগেটের বাইরে নিয়ে আসেন চার জন পুলিশ। ওই সময় দুটি মোটরসাইকেলে চার অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী প্রথমে পুলিশের চোখে স্পে মারে। এরপর একজন পুলিশ সদস্যকে মারধর করে দুজনকে নিয়ে চলে যায়। আহত পুলিশ সদস্য নূরে আজাদ। পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গি জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।