নিরাপদ সড়কের দাবীতে পঞ্চম শ্রেণী শিক্ষার্থী'র অবস্থান কর্মসূচি
নওগাঁয় দেওয়ালে চাপা পড়ে রাজ মিস্ত্রির মৃত্যু
রবিবার ০৫ মে ২০২৪
তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে
নিজস্ব প্রতিবেদক:চলমান দেশের ৬ বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ এবং এটি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে যা অব্যাহত থাকবে আগামী ৭২ ঘণ্টা। শনিবার (১৩ এপ্রিল) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ খবর জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক।
তিনি বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর ফলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
একই সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগেরর উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
রূপগঞ্জে প্রভাবশালী ব্যাক্তির ইন্ধনে বিআরটিসি বাস বন্ধের ষড়যন্ত্র
শনিবার ০৪ মে ২০২৪
সরকার যারা পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয়: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
শনিবার ০৪ মে ২০২৪
ঢাকা থেকে হাতিয়াগামী লঞ্চের সময়সূচী পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন যাত্রী সাধারণ
আজাদ হোসেনঃহাতিয়া থেকে লঞ্চ ছাড়ার সময়সূচী পরিবর্তন করার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বর্তমান সিডিউল পরিবর্তন করে পাঁচটা থেকে ছয়টার মধ্যে করার প্রস্তাব তুলেছেন তারা। হাতিয়া থেকে ঢাকায় চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চ গুলোকে মানুষের কল্যাণের কথা মাথায় রাখতে হবে বলেও জানান তারা। হাতিয়াবাসীর দাবিঃ হাতিয়া থেকে লঞ্চ বিকাল ৫ টা থেকে ৬ টার মধ্যে ছাড়তে হবে। এই সময়সূচির মধ্যে লঞ্চ পরিচালনা করলে চাকরিজীবীরা তাদের কাজ সেরে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারবে। বর্তমান সিডিউল অনুযায়ী মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বারোটা থেকে একটার মধ্যে লঞ্চ ছাড়ার কারণে যাত্রীদের অর্ধ দিবস কর্ম বিরতি দিয়ে তাড়াহুড়ো করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হয়। বর্তমান লঞ্চের সিডিউল বাস্তবসম্মত নয়।
সাধারণ মানুষদের একদিনের বেশি সময় লঞ্চে অবস্থান করতে হয় যা যাত্রী সাধারণের সময় এবং কাজ দুটোই নষ্ট হয়। ডেক যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ ডেকে বসে ভোগান্তি পোহাতে হয়। অন্যদিকে রাত তিনটা বা চারটার দিকে লঞ্চ সদরঘাটে এসে পৌঁছায়। সেই সময়টা যাত্রীদের জন্য গন্তব্যে পৌঁছানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। যদি লঞ্চগুলো ছয়টা বা সকাল সাতটার দিকে ঘাটে পৌছাতো তাহলে অফিসের কাজকর্ম অন্যান্য কাজকর্ম সুস্টভাবে সম্পাদন করার পরিবেশ তৈরি হতো। এতে একদিকে যেমন সময়ের সাশ্রয় হতো অন্যদিকে যাত্রী ভোগান্তি লাঘব হতো। ঢাকার সদরঘাট থেকে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চগুলো সাড়ে পাঁচটা অথবা ছয়টায় রওনা হয়ে ভোরবেলায় হাতিয়া পৌঁছায়, আবার বারোটা একটার দিকে লঞ্চগুলো তাড়াহুড়ো করে ঢাকায় রওয়ানা দিয়ে ফিরে আসে। এটা যাত্রীদের জন্য অনেকটা অবিচার। তাই যাত্রীদের কথা চিন্তা করে হাতিয়া থেকে বিকাল ৫ঃ০০ টা থেকে ছয়টার মধ্যে লঞ্চ ছেড়ে আসলে দুর্ভোগ অনেকটাই কমে যেত বলে তাদের বিশ্বাস। এ কারণে যাত্রী সাধারণ হাতিয়া থেকে ঢাকা গামী লঞ্চ গুলোর সিডিউল পরিবর্তন করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন।
নওগাঁয় দেওয়ালে চাপা পড়ে রাজ মিস্ত্রির মৃত্যু
রবিবার ০৫ মে ২০২৪
প্রধানমন্ত্রী পাহাড়ের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও জন জীবনের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা
পার্বত্য চট্টগ্রামের বন ঝুঁকিপূর্ণ সংরক্ষণের জন্য এর জরিপ করা প্রয়োজন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
ভয়ংকর দানবের আক্রমণ চলছে বিএনপির ওপর: মির্জা ফখরুল
সিরাজদিখানে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে হেভিওয়েট প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক
বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
নববর্ষের উল্লাসে পালিত হলোনা মধুপুরের পাক হানাদার প্রতিরোধ দিবস
বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইলঃসময় চলে যায়। মহাকালের স্রোতে গা ভাসিয়ে আমরাও এগিয়ে চলি সামনের দিকে। পিছনে পড়ে থাকে শুধু স্মৃতি৷ আজ থেকে ৫৪ বছর আগে এমনি একটি পহেলা বৈশাখে মধুপুরের ছাত্র-যুবক সেনাবাহিনীর সদস্যবৃন্দ ১৯৭১ সালের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষনে উজ্জীবিত হয়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। ১৯৭১ সালে মধুপুরের সেই উত্তাল দিনগুলোর প্রত্যক্ষ সাক্ষী মোহন লাল দাস । মধুপুরের ভবিষৎ প্রজন্মদের জন্য তার স্মৃতিচারণ মুলক লেখাটি হুবুহ তুলে ধরা হলো-“তথ্যের অন্তরালে তত্ত্ব।
স্মৃতির পাতার ধারাবারিকতায় ছন্দপতন ঘটিয়ে ১৯৭১ এর ১৪ই এপ্রিল সম্বন্ধে কিছু লেখার লোভ সামলাতে পারলাম না।তাই কিছুটা কাল্পনিক মোড়কে বাস্তব চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করছি। বর্ণনায় অনেক ভুল সেই কথা সাজানোর অক্ষমতার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছিএবং আমার বর্ণনা যদি মধুপুরবাসী কোন পাঠকের হৃদয়ে স্থান পায় নিজেকে ধন্য মনে করবো৷এখানে জানিয়ে রাখি কারো নাম উল্ল্যেখ করে ব্যাক্তি আক্রমন আমার স্বভাব বিরোদ্ধ।তাই কিছুটা কল্পনার আশ্রয় নিয়েছি।
১৪ই এপ্রিল মধুপুর পাক হানাদার প্রতিরোধ দিবস।প্রশ্ন জাগে আজও কি পাক-বাহিনী বাংলার মাটিতে চষে বেড়ায়,আজও কি নরঘাতক পিচাস মা বোনদের ইজ্জত লুন্ঠনকারী স্বৈরাচারী নৱাধম গোষ্টী বর্তমান ? ওরা না কবে তল্পী টোপলা গুটিয়ে চলে গেছে! না _ ওরা চলে গেছে ঠিকই ওধু এক দল সাপুড়িকে সাপ খেলানোর মন্ত্ৰ শিখিয়ে গেছে | ঐ সময় একটা গোষ্ঠি পাক বাহিনীর আগমনের প্রত্যাশায় প্রহর গুনতো।তারা কারা ? তারা তো তারাই যারা বঙ্গবন্ধুর নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে অন্তর থেকে মেনে নিতে পারে নাই৷
মধুপুর যখন আকাশ পথে বোমা বর্ষন হচ্ছে আতঙ্কিত সবাই শুধু প্ৰানটা হাতে নিয়ে উর্দ্ধশ্বাসে ছুটে চলছে ঐ মূহুর্ত্তে জনৈক একজন তিনি দৌড়াচ্ছিলেন বয়সের ভারে দৌঁড়াতে না পেরে পা পিছলে পড়ে যায়। ঐ সময় তার মুখ নিসৃত বাণীটি ছিল এরূপ। “হালারা স্বাধীন মারায়„ পাঠক মহোদয় শেষের শব্দটা আমি হুবুহু তুলে ধরি নাই কারণ অশ্লীলতার একটা সীমা আছে।শুধু এইটুকু জেনে রাখুন তার সংযোজিত শব্দ ছিল ওর চেয়ে আরও ৩ মাত্রা পঞ্চমে। এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় তিনি ছিলেন সকল মুক্তিকামী মানুষের থেকে আলাদা দৃষ্টিভংগী সম্পন্ন।পাক বাহিনী এসে সিও অফিসে তাদের প্রধান কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করলো।
এবার তিনারা ও বিশেষ একটি দলীয় পরিচয় ও মর্যাদা নিয়ে করমর্দন ও স্বাগতম জানালো।পাঠক বুকে বুক মিলাতে পারে নাই কারন তারাও জানতো পাক বাহীনীর মর্জির উপর তাদের জীবন নির্ভর করে। বিষ্টায় যার জন্ম বিষ্টাইতো তার প্রিয়। শুরু হলো পাক বাহিনীর নির্দেশে এই দলের মাধ্যমে রাজাকার আলবদর ভিন্ন ভিন্ন পাক সহায়ক বাহিনী গঠন।এখানে উল্ল্যেখ্য মনপ্রানে এরা সবাই পাক সহায়ক নয় এদেরকে ভয় আর লোভ দেখিয়ে এই নির্দেশক গোষ্ঠি ভরিয়ে দেয়।
বোয়ালী এবং মধুপুরের আশে পাশের গ্রামে আতঙ্কিত মানুষ পূর্বদিকে কুড়ালিয়া চাপড়ি ছাড়াও পূর্ব দিকে বংশ নদীরপাড় এবং পাহাড় অঞ্চলে আশ্রয় নেয়। কতো বৃদ্ধ বৃদ্ধা গর্ভবতী মা ছোট শিশু কোলে নিয়ে মা ছুটছে ক্লান্তি যেন আজ পরাজিত।শতবর্ষের পঙ্কিলতা ধুয়ে মুছে বাংলার মানুষ আজ মানব মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে তাড়িত পিড়িত মানুষকে আশ্রয় দানের জন্য দুহাত সম্প্রসারিত করে বুকে টেনে নিল। অভয় দিল কিন্তু এই গোষ্টিরা সেখানেও হানা দিতে বাকী রাখলো না।হে মধুপুরবাসী আপনারা কয়েক দিন আগে ঈদ উদযাপন করলেন।
হাদিসের নির্দেশ অনুসারে জানমালের নিরাপত্তার জন্য ছাদগা-ফেতরা দান করেছেন, একবার ভাবুন সেই দিনের কথা যারা এই নিরাশ্রয় মানুষকে আশ্রয় দান করেছে ক্ষুধার্ত কে আহার দিয়েছে মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষা করেছে তাদের জন্য কি করুনাময় আল্লাহ দরবারে দোয়া চেয়েছেন? ঐ সময়ে চাপড়ির শুধাংশু ডাক্তার আশুরা গ্রামের সতীশ চন্দ্রের মৃত্যুর মূলে খোজ যারা দিয়েছে তারা এরাই। মধুপুরের বধ্য ভূমিতে টাংগাইল, মির্জাপুর, নাগরপুরসহ ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে গাড়ী ভরে লোক এনে বংশ নদীর তীরে দাড়া করিয়ে কি নৃশংস হত্যা।
মানুষের দোষ গুন থাকে কিন্তু এমনি করে কারো মৃত্যু দেখে যার আনন্দ হয় সে কে ? পাক প্রভুদের খুশি করার জন্য অনেক নিস্পাপ মেয়ে নিয়ে উপহার দিয়েছে। সুপ্রিয় পাঠক পাপের একটা ভান্ডার আছে যেটা পূর্ণ হলে সবই বিকল হয় বাংলার আকাশে দূর্যোগের ঘনঘটা কেটে গিয়ে কাল রাতের অবসান ঘটিয়ে পুব আকাশে রক্তিম সূর্যের আবাস। এবার পাক বাহিনীর সাথে এই গোষ্ঠিও প্ৰমোদ গুনলো। মধুপুরের বাড়ী ঘর সব কিছু থেকে মুসলমানও বাদ পড়ে নাই কিন্তু এরা সম্পূর্ণ অক্ষত কারণ একটু মাথা ঘামালে পরিষ্কার।
পাক বাহিনীর বিদায় প্রাক্কালে ভেংগে পড়লো এ গোষ্ঠি। অশ্ৰু সজল চোখে এক দৃষ্টিতে জানতে চাইলো হুজুর আমরা কিভাবে অন্তরের মনিকোঠায় ধরে রাখবো চারিদিক তো ক্রমান্বয়ে সংকোচিত।পাক পন্ডিত জী বললেন ‘মত যাব রাও’ এতোদিন তোরা সাপ নিয়ে খেলেছিস কিন্তু পাক বিষাক্ত কেউটে গোমাকে নিঃশেষ করবি তোদের অজানা ছিল তাই ছোবল খেয়েছিস।
কিন্তু সাপ ধরবি সাপ নিয়ে খেলবি কিন্তু তোরা অক্ষত থাকবি? বাঃ কী চমৎকার জলে নামবো সাতার খেলবো কিন্তু কাপড় ভিজবে না বাঃ কী মজা। পাক হুজুর প্রথমে ঐ সাপের বিষাক্ত থলেটা কেটে ফেলে দিবি তারপর যত খুশী খেলাবি খেলা দেখাবি তোরা অক্ষত থাকবি৷ সাবধান সেই গুপ্ত ছদ্মবেশী পাক হানাদারের উত্তরসূরি আজও সমাজে পীর সেজে উদীয়মান তরুনদের মগজ ধোলাই করে মাথা মুন্ডন করে মুরীদ বানাচ্ছে।আজ এদের প্রতিরোধে সজাগ সতর্ক থাকতে হবে।
-খবর প্রতিদিন/ সি.ব
নওগাঁয় দেওয়ালে চাপা পড়ে রাজ মিস্ত্রির মৃত্যু
রবিবার ০৫ মে ২০২৪