Logo
আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম
জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে নুরুন্নবী হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন মধুপুরে কৃষকের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মে‌শিন বিতরণ ‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করলো এনার্জিপ্যাক উপজেলা নির্বাচনে সৎ যোগ্য প্রার্থীদের জনগন বেছে নেবে: সাকিব আল হাসান এমপি মাগুরায় তীব্র তাপদাহে ঝরে পড়ছে লিচুর গুটি ১শ' কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা কৃষকদের সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন নেভাতে সুন্দরবনে হেলিকপ্টার থেকে পানি ছিটাচ্ছে বিমানবাহিনী মিল্টন সমাদ্দার ৪ দিনের রিমান্ডে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে ডিএমপি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত: ওবায়দুল কাদের

নাসিরনগরে ভুয়া বি এড সনদে চাকুরীর বিরোদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ২৮৬জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নানঃ-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় ভুয়া বি,এড সনদ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদে চাকুরী করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরোদ্ধে।ওই শিক্ষকের নাম  মোস্তাক উদ্দিন আহমেদ । তিনি উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিনবেড় শাহাজাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের  ভারপ্রাপ্ত  প্রধান শিক্ষক।প্রায় এক যুগ ধরে তার নিয়োগের বৈধতা ও জাল সনদে চাকুরী নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অত্র  বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের মধ্যে। এ ঘটনায় শেখ শরিফ হাসান নয়ন নামে ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর  অভিভাবক মোস্তাক উদ্দিনের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেছেন।


শরিফ হাসানের রিট আবেদনে মোস্তাক উদ্দিন আহমদের বিএড সনদের বৈধতা ও আগের প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্রকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের আদালত তাঁর আবেদনটি আমলে নিয়ে গত মাসের ২১ তারিখ চার সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে মোস্তাক উদ্দিন আহমদের প্রতি রুল জারি করেছেন।অভিযোগে বলা হয়, হরিপুর ইউনিয়নের নরহা গ্রামের ফরিদউদ্দিনের ছেলে মোস্তাক উদ্দিন আহমেদ নিয়োগের শর্ত ভঙ্গ করে ' বিএড ডিগ্রির জাল সনদ দিয়ে হরিণবেড় শাহজান উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান।


শর্তে ছিল, ওই পদের জন্য আবেদন করতে হলে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড সনদ থাকতে হবে। কিন্তু মোস্তাক উদ্দিন তা না করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দারুল ইহসান থেকে একটি ভূয়া সনদ দিয়ে চাকরি বাগিয়ে নেয়। নিয়োগের সময় তিনি তাঁর আগের প্রতিষ্ঠান হরিপুর মাদ্রাসা থেকে ছাড়পত্রও নেননি।বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির প্রাক্তন  সভাপতি খালেদ মোবারক বলেন, ওই শিক্ষকের নিয়োগটি তিনি সভাপতি থাকাকালীন সময়েই হয়। কিন্তু তাঁর বিএড সনদটি যে অবৈধ এবং ছাড়পত্র না নিয়ে যে নিয়োগ পেয়েছেন তা প্রমাণ হয়েছে ২০১৭ সালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অডিটের পর।


হরিপুর সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, হরিণবেড় শাহজাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সময় মোস্তাক উদ্দিন তাদের মাদ্রাসা থেকে কোনো ছাড়পত্র নেননি। এখনও মাদ্রাসার ওই পদে তিনি পূনর্বহাল রয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শিরিন চৌধুরী  বলেন,বিষয়টি যখন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে,সেখানেই নিষ্পত্তি হোক।


এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক মোস্তাক উদ্দিন আহমেদ কে মোবাইলে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আজহার উদ্দিন ভূইয়ার সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান,বিষয়টি আপনারা যেমন শুনেছে আমিও তেমনি শুনেছি।তিনি আরো বলেন,বিষয়টি শুনেছি আদালতে রিট হয়েছে।তবে আদালতের উপরতো কোন কমেন্টস করা যাবে না।বর্তমানে অফিস বন্ধ।অফিস খোলার পর খোঁজ নিয়ে দেখবো।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



দেশের বৃহৎ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর- এ শহীদ মাঠে ৬ লাখ মুসল্লির একসাথে নামাজ আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১২১জন দেখেছেন

Image

দিনাজপুর প্রতিনিধি:যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, আনন্দ-ও কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলার মুসল্লিদের অংশগ্রহনে উপমহাদেশের বৃহৎ ঈদগাহ ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে দেশের বড় ঈদের জামাতে লাখো লাখো মুসল্লিরা একসাথে নামাজ আদায় করেছেন। রোদের তীব্রতা উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণভাবে দেশের বৃহৎ এই ঈদের জামাতে ৬ লাখ মুসল্লি একসাথে ঈদ-উল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন বলে আয়োজকদের দাবী।

ঈদের দিন বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই বিভিন্ন জেলা-উপজেলাসহ দুরদুরান্ত থেকে আসার ঢল নামে মুসল্লিদের। দুটি বিশেষ ট্রেন সার্ভিসে ছাড়াও মুসল্লিরা বিভিন্ন যানবাহনে ও পায়ে হেঁটে ঈদগাহ মাঠে আসেন। এসময় শহরের সব রাস্তাগুলো যেন একমুখী হয়ে যায়। ঈদের দিন সকাল ৯টায় এই ঈদের জামাতের ইমামতি করেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল ইসলাম কাশেমী। নামাজ আদায় শেষে মোনাজাতে দেশ এবং মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করা হয়।

বৃহৎ এই জামাতে অংশ নেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি(ভারপ্রাপ্ত) এম ইনায়েতুর রহিম, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ, দিনাজপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল, বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনতা।

নামাজ শেষে বৃহৎ এই ঈদগাহ মাঠ ও মিনার নির্মাণের উদ্যোক্তা এবং পরিকল্পনাকারী হুইপ ইকবালুর রহিম জানান, এই জামাতে একসঙ্গে ৬ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করেছেন। নিরাপত্তার ব্যাপারে ছিল জিরো টলারেন্স। সফলভাবে ঈদের জামাত সম্পন্ন হওয়ায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি। দিন দিন এই জামাতে মুসল্লীর সংখ্যা বাড়ছে।

এইবার ভারত থেকে নামাজে অংশ নিয়েছেন মুসল্লী। দিনাজপুর ছাড়াও ঢাকা, নীলফামারী, জয়পুরহাট, বগুড়া, ঠাকুরগাঁ, রংপুর জেলাসহ আশেপাশের অনেক মুসল্লি বাস, কার, মাইক্রো, জীপ এবং মোটরবাইকে করে এই ঈদ জামাতে অংশ নেন।

ভারতের গঙ্গারামপুর থানা থেকে আসা ওসমান আলী জানান, টিভি অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এতবড় মাঠ ও এত মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করে। এতে আমারও ইচ্ছা হয়। তাই এবার এখানে নামাজ পড়ার জন্য এসেছি।এত মানুষের একসাথে এটাই আমার প্রথম নামাজ। এখানে নামাজ আদায় করতে পেরে খুব খুশি।

নামাজ আদায় করে একইরকম অনুভূতি প্রকাশ করে ঢাকার রামপুরার বনশ্রী নিবাসী হাজী মোঃ আব্দুল আলী বলেন, এশিয়ার বড় জামাতের কথা শুনে ঈদের নামাজ আদায় করতে এসেছি। এটি আসলেই বৃহৎ জামাত। এতবড় জামাতে নামাজ আদায় করেছি সওয়াবের আশায়।ঢাকা থেকে মোঃ ইমরান কবির ও মোঃ রাতুল বলেন, ঈদের কারণে যানবাহন পেতে সমস্যা হয় দেখে ইচ্ছা থাকলেও অনেকে নামাজ আদায় করতে আসেন না। যদি প্রতিটি জেলা থেকে বিশেষ পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে মুসল্লি আরও বাড়বে। ভবিষ্যতে এখানে মুসল্লিদের সংখ্যা আরও বাড়বে।রংপুর থেকে আসা অলিউল ইসলাম বলেন, এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করার অন্য অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল। আল্লাহ আজ সে আশা পুরণ করেছে। জীবনে প্রথম লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে পেরে ভালো লাগছে।

যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্যসহ পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, ডিবি, ডিএসবি, এনএসআই, ডিজিএফআই সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করেন। মাঠে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হয়। ছিল ঈদগাহের মাঝে র‌্যাবের ওয়াচ টাওয়ার, প্রবেশের পূর্বে মুসল্লিদের আনা যানবাহন রাখার বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশী ব্যবস্থা। মাঠে মেটাল ডিটেক্টরে তল্লাশির পর প্রবেশ করানো হয় মুসল্লিদের।

উল্লেখ্য, উপমহাদেশের বৃহৎ ঈদগাহ দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ বড় ময়দানের আয়তন প্রায় ২২ একর। ২০১৭ সালে নির্মিত ৫২ গম্বুজের এ ঈদগাহ মিনার। এই ৫০ গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, মাঝের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে। ঈদগাহ মাঠের মিনারের প্রথম গম্বুজ অর্থাৎ মেহেরাবের (যেখানে ইমাম দাঁড়াবেন) উচ্চতা ৪৭ফুট। এর সঙ্গে রয়েছে আরও ৪৯টি গম্বুজ। এছাড়া ৫১৬ফুট লম্বায় ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়। মিনার সিরামিক্স ইট দিয়ে আচ্ছাদিত। রাতে আলোকিত করতে প্রতিটি গম্বুজ ও মিনারে রয়েছে বৈদ্যুতিক লাইটিং। ২০১৭সাল থেকে প্রতিবছর এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এই গোর-এ শহীদ মযদানে একসঙ্গে ১০লাখ মানুষ ঈদের জামাত আদায় করতে পারার ব্যবস্থা রয়েছে। উপমহাদেশে এত বড় ঈদগাহ মাঠ দ্বিতীয়টি নেই। এছাড়াও পর্যটকদের কাছেও এটি এখন দর্শনীয়।


আরও খবর



খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি জোগায়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:যখনই সরকারে এসেছি তখনই চেষ্টা করেছি খেলাধুলার প্রতি আমাদের ছেলেমেয়েদের আরও বেশি অনুরাগী করতে,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । কারণ খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি দেয়। দেশপ্রেম শেখায়, আনুগত্য শেখায় এবং একই সঙ্গে দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এর চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলা ও পুরস্কার বিতরণ হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চাই ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠুক। খেলাধুলায় আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন আরও বেশি আগ্রহী হয়ে অংশগ্রহণ করে, আমাদের দেশীয় খেলাধুলাকেও সমানভাবে সুযোগ দিতে হবে। কারণ, দেশীয় খেলাগুলোর মধ্য দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েদের মেধা বিকাশের আরও সুযোগ হবে।

তিনি বলেন, আজ আমাদের এই খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সারাবিশ্বের কাছে পরিচিত করতে পারি। আমাদের ক্ষুদে ফুটবল খেলোয়াড়রা যারা আজ এখান থেকে শুরু করলো, একদিন তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের জন্য আরও বেশি সম্মান বয়ে নিয়ে আসবে। ছেলেমেয়েরা সারাবছর যেন খেলাধুলা করতে পারে সে জন্য সরকার সব উপজেলায় একটি করে মিনিস্টেডিয়াম নির্মাণ করছে। এছাড়া প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিকদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করছে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং লালমনিরহাটের পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যকার ফাইনাল খেলার দ্বিতীয়ার্ধ উপভোগ করেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অপর ম্যাচে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে রংপুরের মিঠাপুকুর তালিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় জামালপুরের মাদারগঞ্জ চরগোলাবারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

প্রধানমন্ত্রী দুই টুর্নামেন্টের বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমেদ প্রমুখ।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাত হবে ৫টি

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১২৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (৭ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বায়তুল মোকাররমে ঈদ জামাতের এ তথ্য জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

এতে বলা হয়, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বুধবার বা বৃহস্পতিবার (১০ বা ১১ এপ্রিল) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহ ও বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিরা দুই রাকাত ঈদের ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন। ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সভায় বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঈদের প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৮টায়। মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. এহসানুল হক এ জামাতে ইমাম থাকবেন। মুকাব্বির থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম তৃতীয় জামাতে ইমাম থাকবেন। সকাল ৯টায় এ জামাত হবে। এতে মুকাব্বিরের দায়িত্বে থাকবেন মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায়। এ জামাতের ইমাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী এবং মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন এ জামাতে ইমামতি করবেন। তার সঙ্গে মুকাব্বির হবেন মসজিদের খাদের মো. রুহুল আমিন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।


আরও খবর



১২ মে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১২ মে প্রকাশিত হবে । এদিন সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এ সময় তার সঙ্গে থাকবেন ৯টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ মে ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সম্মতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১ ইসমাত মাহমুদা চিঠিতে সই করেছেন।

নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি ও সময়সূচি নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি দিয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় দেন, সেদিন ফল প্রকাশে প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।


আরও খবর



চালের বস্তায় লিখতে হবে মিলগেটের মূল্য ও ধানের জাত

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:চালের বস্তায় ধানের জাত ও মিলগেটের মূল্য লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখ করতে হবে। থাকতে হবে ওজনের তথ্যও।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল বা পহেলা বৈশাখ) থেকে কার্যকর হবে।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমত জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান বা চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে। যা আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে কার্যকর হবে। চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সকল প্রকার চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন উল্লেখ থাকতে হবে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিলগেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনটির ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।


আরও খবর