Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণার প্রক্রিয়া বৈধ : হাইকোর্ট

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২৮৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে জারি করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রজ্ঞাপন নিয়ে দায়ের করা দুটি রিট সরাসরি খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।

আজ বুধবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট দুটি খারিজ করেন।

পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রিট দুটি সরাসরি খারিজ হয়েছে। রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির জারি করা প্রজ্ঞাপন বৈধ।

রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন জারি করে। এ প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে ৭ মার্চ একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের ১২ মার্চের কার্যতালিকায় রিটটি ছিল। বেঞ্চের একজন বিচারপতি রিটটি শুনতে বিব্রত বোধ করেন। পরে রিটটি শুনতে অপারগতা প্রকাশ করে আদালত প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠান। গত সোমবার প্রধান বিচারপতি এ রিট শুনতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে পাঠান।

অন্যদিকে, রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা- সংক্রান্ত ইসির প্রজ্ঞাপন নিয়ে আবদুল মোমেন চৌধুরী, কে এম জাবিরসহ সুপ্রিম কোর্টের ছয় আইনজীবী ১২ মার্চ আরেকটি রিট করেন। ১৩ মার্চ বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে এই রিটটি জমা দেওয়া হয়।

পৃথক দুটি রিটের ওপর আজ শুনানি নিয়ে তা সরাসরি খারিজ করেন বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হবে। নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ২৪ এপ্রিল থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করার কথা।


আরও খবর



জলঢাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সংবাদকর্মী লাঞ্ছিতের শিকার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ২৩জন দেখেছেন

Image
জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃনীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার  ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নে স্বপ্ন প্রকল্পের মাটিকাটা কাজের লটারিকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্যকে মারপিটের ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সংবাদকর্মী লাঞ্ছিতের শিকার হয়েছে।এ ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের নেকবক্ত দ্বি-মূখি উচ্চ বিদ্যালয়ে।

জানা গেছে, ঘটনারদিন দুপুরে ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে সুবিধাভোগী মহিলাদের কর্ম নিয়োগে যাচাই-বাছাইয়ের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। তা না করে এই প্রক্রিয়াটি বাজার সংলগ্ন হাইস্কুলের গেট বন্ধ করে (তালা লাগিয়ে) লটারী করতে গেলে নির্ধারণ ইউনিয়ন পরিষদে লটারি না করায় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মুকুলকে বাধা দেন একই পরিষদের ৬নং ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম। 

এতে ক্ষিপ্ত হন চেয়ারম্যান। চৌকিদারদের পিটুনীতে আহত হন ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর। 
এখবর মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। 
খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ছুটে গেলে সেখানে ২ঘণ্টা বন্ধ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সংবাদ কর্মীদের।দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর বন্ধ গেট খুলতে বলায় দৈনিক মুক্ত বাংলার জলঢাকা প্রতিনিধি আল আমিন নামে এক সংবাদকর্মীকে লাঞ্ছিত করেন চেয়ারম্যান সমর্থকরা। এ ঘটনায় ওই সংবাদ কর্মী আহত হলে প্রাথমিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেন।

এ ঘটনায় প্রদীপ বানিয়াকে ১নং বিবাদী করে অজ্ঞাত ১৫ জনের নামে জলঢাকা থানায় অভিযোগ করা হয়।এ ঘটনায় লাঞ্ছিত ও আহত সংবাদকর্মী ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানায়, 
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে চেয়ারম্যান সমর্থকরা আমার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। 
এ বিষয়ে ওসি মুক্তারুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর



আমতলীতে ডায়েরীয়ার প্রকোপ, স্যালাইন সংঙ্কট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬ জনের বেডে ৩১ জনের চিকিৎসা!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৭জন দেখেছেন

Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:আমতলী উপজেলায় ডায়েরীয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের রোগীদের সামাল দিতে হিমশীম খেতে হচ্ছে। স্থান সংকুলণ না হওয়ায় রোগীদের বারান্দায় বেড দেয়া হয়েছে। ধারন ক্ষমতার চেয়ে পাঁচগুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে। ৬ জনের বেডে ৩১ জনের চিকিৎসা চলছে। এতে রোগীদের সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত বেড বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছেন রোগী ও তার স্বজনরা। অপর দিকে আইভি স্যালাইন সংঙ্কট দেখা দিয়েছে। রোগীদের ফার্মেসি থেকে আইভি স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। এই সুযোগে ঔষুধ ব্যবসায়ীরা বেশী দামে স্যালাইন বিক্রি করছেন।

জানাগেছে, গত এক সপ্তারে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়ে দুই শতাধির রোগী ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য সেবিকাদের রোগীদের সামাল দিতে হিমশীম খেতে হচ্ছে। ৬ শয্যা ডায়েরীয়া রোগীর বেডের স্থলে ৩১ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় রোগীদের বেড দেয়া হয়েছে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ হাসপাতাল থেকে এন্টিবায়োটিক ও কলেরা স্যালাইন সরবরাহ করা হলেও বাহির থেকে ঔষুধ কিনতে হচ্ছে এবং হাসপাতালের বারান্দায় বেড দেয়া হয়েছে। এতে রোগীদের সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তারা। এছাড়াও শত শত রোগী কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্থানীয় চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে। সোমবার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখাগেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বারান্দার বেডে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছে। হাসপাতালে বেডে ৬ জন এবং বারান্দায় ২৫ জন রোগীর চিকিৎসা চলছে।

ডায়েরীয়ায় আক্রান্ত রোগী সামসুল হক কাজী বলেন, হাসপাতাল থেকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে তারপরও বাহির থেকে ঔষুধ কিনতে হয়। তিনি আরো বলেন, বেড না থাকায় বারান্দায় বেড পেতে চিকিৎসা নিচ্ছি। দ্রুত হাসপাতালে বেড বাড়ানো প্রয়োজন। উপজেলার ঘোপখালী গ্রামের বুশরা বলেন বলেন, তিন দিন আগে নাতনিতে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখন কিছুটা সুস্থ্য। তবে হাসপাতাল থেকে কিছুই দেয়নি। সকল ঔষুধ বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে।

এমপিও হাট এলাকার বাসিন্দা নাজমা বলেন, ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত ছেলে নাঈমকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। শুধু আইভি স্যালাইন ছাড়া হাসপাতাল থেকে কিছুই পাচ্ছি না।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার বলেন, প্রচন্ড গরমের কারনে ডায়েরীয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে চাহিদার চেয়ে স্যালাইন কম রয়েছে। দ্রুত স্যালাইন আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ডায়েরিয়া রোগী সামাল দিতে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।


আরও খবর

ভোলায় ইস্তিস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃবঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী দাগনভূঞা উপজেলা আ'লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি কাশেদুল হক বাবর ছিলেন একসময়ের বিএনপির দূর্ধর্ষ ক্যাড়ার পরে আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর হলেন ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আর বর্তমানে উপজেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি। আ'লীগের মনোনয়নে রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও হয়েছিলেন দলছুট বাবর। বাবর ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করলেও ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি বএনপিতে যোগদেন। বাবর বিএনপিতে যোগদানের পরই তার নির্দেশেই ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত  রাজাপুর ও সিন্দুরপুরে আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালানো হয় নির্যাতনের স্ট্রিমরোলার। ঘর-বাড়ী ছাড়তে হয় অনেক নেতাকর্মীকে। বাবরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আ'লীগের নেতাকর্মীরা।

তৎকালীন সময়ে সরাসরি তার নির্দেশে নির্যাতনের শিকার হওয়া আ'লীগ নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন সময়ে রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বজলুর রহমানের নেতৃত্বে জাফর ইমাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির একটি সভায় তৎকালীন ফেনী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও অত্র আসনের সাংসদ জয়নাল আবেদীন ভিপির গলায়দ ফুলের মালা দিয়ে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। সে বিএনপিতে যোগদানের পরপরই রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালাতে থাকে নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার। ঘর বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে গেছে শত শত নেতাকর্মী।

বাবরের নির্যাতনের শিকার তৎকালীণ রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ক্রীড়া ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক, বর্তমান উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মো. কামাল হোসেন জানান, আমি রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদে বসে রইছি তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপর হামলা চালায় এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করে। আমি কোনমতে বেঁচে ফিরি। পরে বাবর আমার বাড়ীতে এসে হুমকি দিয়ে যায় যে আমি যেন বাড়ী থেকে চলে যাই। তারপর আমার পরিবার রাতের আঁধারে আমাকে বাড়ী থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল যার হাতে আ'লীগ নেতাকর্মীদের রক্ত লেগে আছে সেই বাবর আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবার আ'লীগের পদ বাগিয়ে নিল এবং আ'লীগের নৌকা নিয়ে সে চেয়ারম্যান ও হল।

কামাল ছাড়াও বাবরের হাতে বিএনপি সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার হয় আ'লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী।  আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে  মুন্সী নুরের জামান, লোকমান, শেখ আহমেদ, কুতুব উদ্দিন, বেলাল, শাহ জালাল, নুর উদ্দিন, নুর আলম, জাহাঙ্গীর, মিয়া, হুমায়ুন, মান্নান, জাহের, মহিউদ্দিন ও মৃত আহছান উল্যাহকে ডেকে এনে তাদেরকে অস্ত্র দিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল বাবর। পরে তখনকার বিএনপির সভাপতির হাতে পায়ে ধরে এদের অভিভাবকরা তাদের জীবন রক্ষা করেন। বিএনপির আমলে বাবরের দূর্ধর্ষতার কাহিনী শুনলে এখনো আঁতকে উঠে রাজাপুরে বাবরের হাতে নির্যাতিত হওয়া আ'লীগ পরিবারের ওইসকল সদস্যরা।

বাবরের হাতে নির্যাতিত হন আ'লীগ নেতা আব্দুল মন্নান জানান, (বর্তমানে কুয়েত প্রবাসী) সে জানা, বিএনপির আমলে আমি দোকানে চা খাইতেছিলাম তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা  এলজির মাথা দিয়ে চায়ের কাপ ফেলে দিয়ে আমাদের  দোকানে আসার অনুমতি কে দিয়েছে বলে মারধর করে। এবং গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলে।

আ'লীগ নেতা জাহাঙ্গীর (বর্তমান সৌদি প্রবাসী) সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে বিএনপির আমলে বাবরের নেতৃত্ব বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমার চায়ের দোকানে এসে মাঘ মাসের শীতের মধ্যে শত শত মানুষের সামনে আমাকে তিন ঘন্টা গলা সমান পানিতে দাড়িয়ে রেখেছিল। পরে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে আসে।

আ'লীগ সমর্থক বেলাল হোসেন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী) তিনি জানান, আ'লীগ সমর্থন করার কারনে এ বাবর আমাকে এমন নির্মমভাবে মেরেছে তা কখনো ভুলতে পারবোনা। আমাকে বাঁচাতে আসলে আমার পিতাকেও মারধর করে বাবর। তার সেই মাইরের যন্ত্রনা নিয়ে বাবা কবরে চলে গেছে।আর আমি এখনও মাসে মাসে হাজার হাজার টাকার ওষুধ সেবন করতে হয়।

নুর উদ্দীন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী)  সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করি শুধু এ অপরাধে আমাকে বাবর ধরে এনে প্রচন্ড মারধর শুরু করে। আমার চিৎকারে একজন বয়স্ক মহিলা(সোনিয়া ডেকোরেটরের মা) ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার প্রাণ রক্ষা করেন।

এতদিন বাবরের অতিতের দূর্ধর্ষতা নিয়ে ভূক্তভোগীরা ভয়ে মুখ খুলেনি। কিন্তু ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে কটূক্তি করার পর আ'লীগ পরিবারের সদস্যরা তার অতিতের দূর্ধর্ষতার লোমহর্ষক বর্ণনা সামনে এনেছেন। তারা মনে করেন বাবর কখনোই মুজিবের আদর্শ লালন করে আ'লীগ করেনি সে ক্ষমতা ভোগদখলের জন্যই আ'লীগে যোগ দিয়েছে। এখন দল তাকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন না দেয়ায় সে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করে মন্তব্য করেছেন। যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করতে পারে সে কখনোই আ'লীগের সমর্থক হতে পারেনা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন তারা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কাশেদুল হক বাবর জানান, আমরা পারিবারিকভাবেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে আসছি। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকেই আজ এ পর্যায়ে এসেছি। আমি কখনোই বিএনপিতে যোগদান করিনি। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একটা অংশ। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আমি দেশের বাহিরে চলে যাই। আমি বিএনপিতে যোগ দিয়েছি এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবর ২০০১ সালে বিএনপিতে যোগদেন এটা শতভাগ সত্য। তিনি বিএনপিতে যোগদানের পর অনেক আ'লীগ নেতাকর্মীর উপর নির্যাতন চালিয়েছেন। এবং তার নেতৃত্বেই রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করা হয়েছিল।


আরও খবর



সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত-৫

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃরাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন।গত বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে সদরঘাট লঞ্চঘাটের ১১ নম্বর পল্টুনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।

নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার আশিক সাঈদ বলেন, 'এ ঘটনায় পাঁচজন গুরুতর আহন হন। পরে তারা মারা যান।

তিনি বলেন, 'পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনায় দুটি লঞ্চের ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। 

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, এমভি তাশরিফ–৪ ও এমভি পূবালী–১ নামের দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। লঞ্চ দুটির মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় এমভি তাসরিফ–৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়। ঠিক তখন লঞ্চে ওঠার সময় এক শিশু ও এক নারীসহ পাঁচ যাত্রী গুরুতর আহত হন।

পরে তাদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা নদী বন্দর, সদরঘাটের যুগ্ম-কমিশনার (ট্রাফিক) জয়নাল আবেদীন জানান, ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বিআইডব্লিউটিএ'র পরিচালক (ক্রয় ও সংরক্ষণ) মো. রফিকুল ইসলাম কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়াও নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. আজগর আলী এবং বন্দর শাখার যুগ্ম পরিচালক মো. কবীর হোসেনকে কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে।



আরও খবর



জানো প্রকল্পের আওতাধীন বিভাগীয় পর্যায়ে প্রকল্পের সমাপ্তিকরণ সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৯জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:জয়েন্ট এ্যাকশন ফর নিউট্রিশন আউটকাম-জানো প্রকল্প বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ করছে কেয়ার বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও ইকো স্যোশাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে ও অস্ট্রিয়ান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের অর্থায়নে বিগত ৫ বছর যাবত শিশু, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মা এবং কিশোর কিশোরীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নের জন্য রংপুর ও নীলফামারী জেলার ৭ টি উপজেলায় কাজ করে ব্যপক সফলতা বয়ে এনেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টায় রংপুরে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কন্ধসঢ়;ফারেন্স কক্ষে প্রকল্পের বিভাগীয় পর্যায়ে সমাপ্তিকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ এবিএম আবু হারিফ এর সভাপতিত্বে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট শারমিন সুলতানা লাবণ্য’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু জাফর।

বিশেষ অতিথি হিসাবে মাধ্যমমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক এসএম আব্দুল মতিন লস্কর, শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর কবির, কৃষি বিভাগের ডিপুটি ডিরেক্টর আনোয়ার হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান, এনায়েত হোসেন, জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রকৌশলী পংকজ কুমার সাহা প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও জানো প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার পংকজ ময় ত্রিপুরা, আশিক বিল্লাহ। প্রকল্পটি মূলতঃ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সহ বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সরকারের প্রায় ২২ টি দপ্তর ও মন্ত্রনালয়ের সাথে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একটি সহায়ক প্রকল্প হিসেবে কাজ করে আসছে। প্রকল্পের অর্জন, সমাপ্তির যৌক্তিকতা এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিতকরণের নিমিত্তে প্রকল্পের সাথে সংযুক্ত সকল অংশীজনের অবগতি ও পরবর্তী করণীয় বিষয়ে বিশেষ আলোচনা করা হয়।


আরও খবর