Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

মিরসরাইয়ে বিনামূল্যে ধান বীজ পেল ৯০ জন কৃষক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৩৩২জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:মিরসরাইয়ে বিনামূল্যে ধান বীজ পেল ৯০ জন কৃষক। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর বীজ ডিলার আই.সি কর্পোরেশনের উদ্যোগে উপজেলার কাটাছরা, দুর্গাপুর, মিরসরাই সদর ও মিঠানালা ইউনিয়নের কৃষকদের মাঝে এই ধান বীজ বিতরণ করা হয়। ধান বীজের মধ্যে ছিল ভিত্তিবীজ ব্রি ধান-৯২, ব্রি ধান-২৯, ব্রি ধান- ৮১ ও ব্রি ধান-৮৯। বুধবার মিঠাছরা বাজারের আই.সি কর্পোরেশন কার্যালয়ে কৃষকদের মাঝে ধান বীজ তুলে দেন মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায়। তিনি বিনামূল্যে উন্নতমানের বীজ বিতরণের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং কৃষকরা এই বীজের মাধ্যমে তাদের আশানুরুপ ফলন পাবেন বলে প্রত্যাশা করেন। ইতিপূর্বে ৩০ জন কৃষকের মাঝে বারী-৩ খেসারি বীজও বিতরণ করা হয় আই.সি কর্পোরেশনের উদ্যোগে।

দুর্গাপুুর ইউনিয়নের পূর্ব দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক আলা উদ্দিন বলেন, আমাকে ৭ একরের জন্য ৭০ কেজি ব্রি ধান-৯২ বীজ বিনামূল্যে প্রদান করে আই.সি কর্পোরেশন থেকে। আমি আশা করছি আশানুুরুপ ফলন ঘরে তুলতে পারবো। ইতিপূর্বেও আই.সি কর্পোরেশন থেকে বিনামূল্যে বীজ পেয়েছি। কাটাছরা ইউনিয়নের এছাক ড্রাইভারহাট এলাকার কৃষক রবিউল হোসেন বলেন, আই.সি কর্পোরেশনের উদ্যোগে এই বছর ৩০ একর জমির জন্য আমাকে ৪২০ কেজি বারী-৩ খেসারি বীজ প্রদান করা হয়। আমরা উৎপাদিত ফসল আই.সি কর্পোরেশনের কাছে বাজার মূল্য থেকে বেশি দামে বিক্রি করতে পারি পাশাপাশি তাদের নিজস্ব পরিবহণের মাধ্যমে আমাদের বাড়ি থেকে তারা উৎপাদিত ফসল সংগ্রহ করেন।

আই.সি কর্পোরেশনের সত্বাধিকারী ও মিরসরাই উপজেলা বীজ গ্রামের সভাপতি ইমাম উদ্দিন চৌধুরী ইমন জানান, ২০১৮ সাল থেকে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিএডিসির উন্নতমানের ধান বীজ ও খেসারি বীজ প্রদান করে আসছি আমাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। আমরা চুক্তিবদ্ধ কৃষকদের মাধ্যমে উন্নত বীজ উৎপাদন করে বিএডিসি’র কাছে হস্তান্তর করে থাকি। ধান বীজ বিতরণের পূর্বে ৩০ জন কৃষকের মাঝে বারী-৩ খেসারি ভিত্তিবীজ বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



কালিয়াকৈরে বেপরোয়া মাটিবাহী ট্রাকের ধাক্কা,অল্পের জন্য রক্ষা ঘুমন্ত দোকানদার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৮৫জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বেপরোয়া গতির মাটিবাহী ট্রাকের ধাক্কায় একটি চা দোকান, বেশ কয়েকটি গাছ ও একটি বৈদ্যুতিক খুটি ভেঙ্গে পড়েছে। রোববার ভোরে উপজেলার কুটামনি বড় পুকুরপাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ঘুমন্ত চা দোকানের মালিক। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছেন ওই ট্রাকের চালক।

এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাটি খেকোরা। দিনে-রাতে সমান তালে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের মাটিবাহী অবৈধ ড্রামট্রাক গুলো। ভেঙ্গেচুরে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কোটি কোটি টাকার নির্মিত সড়কগুলো। প্রায়  প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এর ধারাবাহিকতায় রোববার ভোর পৌণে ৪টার দিকে বেপরোয়া গতির একটি ড্রাম ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট ১৫৭৩৪৫) ধাক্কায় উপজেলার কুটামনি বড় পুকুরপাড় এলাকায় নুর ইসলামের চা-দোকানের কিছু অংশ ভেঙ্গে যায়। এসময় ওই ট্রাকের ধাক্কায় ভেঙ্গে যায় ইউপি প্রদত্ত পাশের সফিপুর- পাইকপাড়া সড়কের সড়ক বাতির সৌর শোলার, লাইটসহ কিছু গাছপালা। এরপর ওই ট্রাকটি সরাসরি সজোরে ধাক্কা দেয় পল্লী বিদ্যুতের ৩৩কেভি ভোল্টেজের লাইনের একটি বৈদ্যুতিক খুটিও।বিকট শব্দে ঘুম থেকে আতকে জেগে উঠেন ঘুমন্ত চা-দোকানদার নুর ইসলাম। কিন্তু গুরুতর আহত হন ওই ট্রাকের চালক আবুল হোসেন।

ততক্ষণে আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে গেলে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক থেকে বেড়িয়ে দৌড়ে একজন পালিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক ভাবে তার নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। এলাকাবাসী ওই চালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। খবর পেয়ে তার স্বজনরা ও মাটি খেকোরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ দুর্ঘটনার পর ওই সড়কে যান চলাচলে বিঘœ ঘটে। পরে খবর পেয়ে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ বৈদ্যুতিক খুটি পরিবর্তন করে। অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়া দোকানদার নুর ইসলাম জানান, পুরো দোকানের ওপর ট্রাক উঠে গেলে ঘুমন্ত অবস্থায় আমি মারা যেতাম। কিন্তু গাছপালা, দোকান ভেঙ্গে প্রায় ২০হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও দোকানের পাশের সৌরশক্তি, সড়ক বাতি ও বৈদ্যুতিক খুটি ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এসব বিষয়ে জানতে একাধিক মাটি ব্যবসায়ীকে ফোন দিলে তারা রিসিভ করেননি। তবে ওই ট্রাকের মালিক রবিন সরকার জানান, আমি তো ট্রাক চালাই না, মাটি ব্যবসায়ীরা ট্রাক চালায়। এসব ড্রাম ট্রাক আঞ্চলিক সড়কে চলাচলে নিয়মকানুনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারা দেশে ড্রাম ট্রাক চলে। তবে ওই দুর্ঘটনার বিষয়ে মাটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন তিনি।

ফুলবাড়িয়া সাব জোনাল অফিসের ইনচার্জ (এজিএম) হোসেন মোহাম্মদ রায়হান জানান, আমাদের ক্ষতিগ্রস্থ খুটি পরিবর্তন করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক সংশ্লিষ্টদের খবর দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ খুটি ও মেরামত বাবদ পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে টাকা পরিশোধ না করলে এ ঘটনায় মামলা করা হবে।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার আহম্মেদ জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



মাগুরায় ১২০ টাকায় পুলিশে চাকুরী পেল ২৩ জন

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা:মিথ্যা নয় সত্য, মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেল  ২৩ জন।চাকরী হয়েছে  মিনাহাজুল আবেদিন হামজা নামে যুবকের। শুধু হামজা নয়, তার মতো আরো ২২ জন ভাগ্যবান পুলিশ বাহিনীর সদস্য হয়েছে। ৪ এপ্রিল বিকেলে মাগুরা পুলিশ লাইন্স মাঠে কনস্টেবল পদে ২০ জন পুরুষ ও তিনজন নারী কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।  

মাগুরার পুলিশ সুপার মশিউদৌল্লা রেজা বলেন, পুলিশ নিয়োগে ঘুষ ও প্রতারণা ঠেকাতে এবং যোগ্য মেধাবীদের ১২০ টাকা খরচ করে পুলিশে চাকরি হয়েছে। মাগুরার পুলিশ সুপার জানান, শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কনস্টেবল পদে ২০ জন পুরুষ ও তিনজন নারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পুলিশে নিয়োগ পেতে কোনো ধরনের অর্থ লেনদেন না করতে চাকরি প্রত্যাশী ও তাদের অভিভাবকদের সচেতন থাকার কথা জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। অথচ বেশী দিনের কথা নয়, ২৩ জন পুলিশ সদস্য নিয়োগে কম করে হলেও ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা নেয়া তেমন কষ্টের বিষয় ছিলনা বলে অনেকেই মনে করেন। এমন মতামত বিভিন্ন মহলের


আরও খবর



শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:শক্তিশালী ভূমিকম্পে তাইওয়ানের পর এবার কেঁপে উঠল জাপান। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬। জাপানের ফুকুশিমা অঞ্চলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তবে এ থেকে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।

এখনো পর্যন্ত ওই ভূমিকম্প থেকে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ৪০ কিলোমিটার (২৫ মাইল)। রাজধানী টোকিওতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে টেকটোনিক সক্রিয় দেশগুলোর মধ্যে একটি জাপান। সে কারণে দেশটিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প সহ্য করতে পারে এমনটা নিশ্চিত করতে তারা ভবনের কাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম মেনে চলে।

১২৫ মিলিয়ন মানুষের আবাসস্থল এই দ্বীপপুঞ্জ। প্রতি বছর সেখানে প্রায় ১৫০০ ছোট-বড় ভূমিকম্প আঘাত হানে। এদিকে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার আঘাত হানা ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১ এবং এর গভীরতা ছিল ৪০ দশমিক ১ কিলোমিটার।

এর মাত্র একদিন আগেই প্রতিবেশী তাইওয়ানে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪। এতে এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং আরও এক হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

বুধবার তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূল এবং রাজধানী তাইপেই ছাড়াও জাপানের দক্ষিণাঞ্চল, চীনের পূর্বাঞ্চল এবং ফিলিপাইনে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। এর গভীরতা ছিল ৩৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার।

ওই ভূমিকম্পের পর পরই তাইওয়ান ও এর প্রতিবেশী দেশ জাপান, ফিলিপাইনে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। তবে পরবর্তীতে ওই সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়।

জাপানে এর আগে ২০১১ সালে ৯ মাত্রার অতি শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের প্রভাবে সুনামির আঘাতে ১৮ হাজার ৫০০ মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হয়।


আরও খবর



তিতাস গ্যাসের প্রধান কার্যালয়ে বিশেষ সভায় যোগদান করেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩৯জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃতিতাস গ্যাস প্রধান কার্যালয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এক বিশেষ সভায় অংশ গ্রহণ করেন। বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়াণ বাজারে এই বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক ও তদোর্ধ কর্মকর্তাদের নিয়ে এই সভা আয়োজন করা হয়। এসময় বিশেষ সভায় উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নুরুল আলম,পেট্রো বাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, গ্যাসের ব্যবহারে আমরা অনেক বড় বড় পরিকল্পনা নিয়েছি, ঢাকা সহ নারায়ণগঞ্জে ১২ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি যে প্রকল্পে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি এনডিবি ব্যাংক থেকে তারা ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছে বাকি টাকা আমরা নিজেরা ইনভেস্ট করব, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকা সহ আশেপাশের এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হবে, ইন্ডাস্ট্রি যাতে নিরবিচ্ছিন্ন করা যায় সেখানে কিভাবে দ্রুত অটোমোশন আনতে পারি মিটারের আওতায় আনতে পারি সেজন্য তিতাস ইতিমধ্যে ৩০ লক্ষ প্রিপেইড মিটার ইনস্টলেশন করার জন্য এডিবি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং জাপান ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করেছে, তারা আমাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য রাজি হয়েছে, এখন কনসালটেন্ট নিয়োগ করে এই বছরের মধ্যে আমরা টেন্ডারে চলে যাব, ফলে তিতাসকে ঢেলে সাজানোর জন্য ইতিমধ্যে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। স্মার্ট বাংলাদেশকে সামনে রেখে জ্বালানি বিভাগকে আমরা বলেছি একটি রোড ম্যাপ তৈরি করার জন্য। 

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ৩৩৬ টি শিল্প সংযোগ অবৈধ লাইনের জন্য বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, ৪৭৫ টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে সংযোগ বিচ্ছিন্নের আওতায় আনা হয়েছে, ক্যাপটিভ পাওয়ার অবৈধভাবে ব্যবহার করত ৯৭ টি প্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ করা হয়েছে, অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করা ১৩ টি সিএনজি স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। আবাসিক, বাণিজ্যিক, ইন্ডাস্ট্রি সমস্ত গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সংযোগ চেক করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।


আরও খবর



কুষ্টিয়ার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আবারো দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃকুষ্টিয়ার সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান সম্রাটের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্ণীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তবে তার বিরুদ্ধে এখনো কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যার ফলে চেয়ারম্যান আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন এবং সবকিছু তার নিজের মর্জিতে লুটপাট করে চলেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন- ওই ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার সহ আরও অনেকে। তিন মহিলা মেম্বার কোন উপায় না পেয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দপ্তরে গেলেও কোন সমাধান মিলছে না। আবার উল্টো চেয়ারম্যানের গুন্ডা বাহিনীর হুমকি ও লাঞ্চিত হচ্ছে। এবার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দুদকে। 
 
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন- আমি মোছাঃ রূপসী আকতার, ১২নং হরিণারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদ ৭,৮,৯, নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর ও প্যানেল চেয়ারম্যান ২, ১২নং হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান সম্রাট এর নামে আনিত অভিযোগ। দূর্নীতি ও অনিয়মগুলো তুলে ধরা হলো- বরাদ্দকৃত কাজের কোন মিটিং আলোচনা ছাড়াই সবকিছু নিজের লোকজন দিয়ে পরিচালনা করেন। আবার কৌশলে সচিবকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে পরে ইচ্ছামত গদ বসিয়ে দেন। ১৫টি প্রকল্পের টাকা লামছাম কাজ করে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া- ১। হাট বাজারের টাকা পায় ৩,৫০,০০০/- তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ২। ট্রেড লাইসেন্স প্রায় ৪,৫০,০০০/- চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ৩। বাসা বাড়ীর ট্যাক্স প্রায় ১০,০০,০০০/- দশ লক্ষ টাকা ৪। কাজ করার কথা বলে প্রস্তাব দিয়ে ১% এর ২,০০,০০০/- দুই লক্ষ টাকা, আবার কাজ না করে নিজেই তুলে আত্মত্মসাৎ করেন। ৫। প্রতিবছর ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় ১০,০,০০০/- দশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা সর্বনিম্ন আয় এতকিছুর পরেও ৩,০০,০০০/- তিন লক্ষ টাকা বাজেট ঘাটতি দেখিয়েছেন। এর হিসাব চাইলে সচিব কোন হিসাব দেয় না। এদিকে প্রতি মাসে মেম্বরদের বেতন ৪৪০০/- টাকা বহন করবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী। কিন্তু ৮-৯ মাস পর চার মাসের বেতন দিলেও আবার তার থেকে ৪০০/- কেটে নেওয়া হয়। হাট বাজার বরাদ্দের টাকার নামে আবার বেতনের টাকা না দিয়েও বেতন বহিতে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন এই আলোচিত চেয়ারম্যান। এদিকে কৃষকের বরাদ্দের কোন মেম্বরদের সাথে আলোচনা না করেই দেওয়া হয় ও নির্যাতন চালানো হয়।

আমি এর প্রতিবাদ করলে আমার বাড়ীতে রাতের বেলা চেয়ারম্যানের নাম করে ০৪ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমি এবং আমার পরিবারের প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে যায়। তারপর আমি এ বিষয়ে ইবি থানাতে গিয়ে ওসি স্যারকে সকল বিষয়গুলো বলি। তারপর তিনি অজ্ঞাত নামে একটি অভিযোগ নেই। এতে আমার প্রাণ নাশের হুমকী আরও বেড়ে যায়। তখন আমি এর থেকে বাচার জন্য একটি পেপারিং করে সকলকে বিষয়টি জানাই। তারপর সে আমাকে মারতে না পেরে আমার উপর বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করা শুরু করে। আমাকে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকী দেয় এবং আমাকে পরিষদের সকল প্রকার বরাদ্দকৃত জিনিস থেকে বঞ্চিত করে আসছে। এ বিষয়ে আমি একটি মিটিং এ হাজির হয়ে চেয়ারম্যানের কাছে বলি আমাকে কেন কোনকিছু দেওয়া হচ্ছে না? তাতে চেয়ারম্যান বলে, আমি তোমাকে কোন কিছু দিব না এবং আমি তোমাকে এখন পর্যন্ত সুস্থ্য রেখেছি সেটাই তোমার জন্য বড় কপাল। উপরোক্ত বাক্যটি সকল মেম্বরগণ উপস্থিত থাকাবস্থায় শ্রবণ করেন এবং মেম্বারকে উক্তি করে এমন কথা বলেছেন বলে স্বীকার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট। এই বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রতিনিধি’কে বলেন, ভাই আপনারা মহিলাদের কথা শুনেই নিউজ করতে ব্যস্ত হয়ে যান । আরও আমার অনেক সদস্য আছে তারা কখনও কি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে । আপনারা সাংবাদিক যা ভালো বুঝেন তাই লিখবেন , তবে অবশ্যই সত্যটা লিখবেন ।

আরও খবর