Logo
আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

মিরসরাইয়ে বিনামূল্যে ধান বীজ পেল ৯০ জন কৃষক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১২৯জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:মিরসরাইয়ে বিনামূল্যে ধান বীজ পেল ৯০ জন কৃষক। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর বীজ ডিলার আই.সি কর্পোরেশনের উদ্যোগে উপজেলার কাটাছরা, দুর্গাপুর, মিরসরাই সদর ও মিঠানালা ইউনিয়নের কৃষকদের মাঝে এই ধান বীজ বিতরণ করা হয়। ধান বীজের মধ্যে ছিল ভিত্তিবীজ ব্রি ধান-৯২, ব্রি ধান-২৯, ব্রি ধান- ৮১ ও ব্রি ধান-৮৯। বুধবার মিঠাছরা বাজারের আই.সি কর্পোরেশন কার্যালয়ে কৃষকদের মাঝে ধান বীজ তুলে দেন মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায়। তিনি বিনামূল্যে উন্নতমানের বীজ বিতরণের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং কৃষকরা এই বীজের মাধ্যমে তাদের আশানুরুপ ফলন পাবেন বলে প্রত্যাশা করেন। ইতিপূর্বে ৩০ জন কৃষকের মাঝে বারী-৩ খেসারি বীজও বিতরণ করা হয় আই.সি কর্পোরেশনের উদ্যোগে।

দুর্গাপুুর ইউনিয়নের পূর্ব দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক আলা উদ্দিন বলেন, আমাকে ৭ একরের জন্য ৭০ কেজি ব্রি ধান-৯২ বীজ বিনামূল্যে প্রদান করে আই.সি কর্পোরেশন থেকে। আমি আশা করছি আশানুুরুপ ফলন ঘরে তুলতে পারবো। ইতিপূর্বেও আই.সি কর্পোরেশন থেকে বিনামূল্যে বীজ পেয়েছি। কাটাছরা ইউনিয়নের এছাক ড্রাইভারহাট এলাকার কৃষক রবিউল হোসেন বলেন, আই.সি কর্পোরেশনের উদ্যোগে এই বছর ৩০ একর জমির জন্য আমাকে ৪২০ কেজি বারী-৩ খেসারি বীজ প্রদান করা হয়। আমরা উৎপাদিত ফসল আই.সি কর্পোরেশনের কাছে বাজার মূল্য থেকে বেশি দামে বিক্রি করতে পারি পাশাপাশি তাদের নিজস্ব পরিবহণের মাধ্যমে আমাদের বাড়ি থেকে তারা উৎপাদিত ফসল সংগ্রহ করেন।

আই.সি কর্পোরেশনের সত্বাধিকারী ও মিরসরাই উপজেলা বীজ গ্রামের সভাপতি ইমাম উদ্দিন চৌধুরী ইমন জানান, ২০১৮ সাল থেকে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিএডিসির উন্নতমানের ধান বীজ ও খেসারি বীজ প্রদান করে আসছি আমাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। আমরা চুক্তিবদ্ধ কৃষকদের মাধ্যমে উন্নত বীজ উৎপাদন করে বিএডিসি’র কাছে হস্তান্তর করে থাকি। ধান বীজ বিতরণের পূর্বে ৩০ জন কৃষকের মাঝে বারী-৩ খেসারি ভিত্তিবীজ বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



ফাইভ-জি রেডিনেস প্রকল্পের জটিলতা কাটছেই না

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৭৩জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :অনুমোদনের দেড় বছরেরও বেশি সময় পার হলেও এখনো আলোর মুখ দেখেনি ‘ফাইভ-জি রেডিনেস’ প্রকল্প। দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট–সেবা ফাইভ–জি সরবরাহ করার জন্য ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এ প্রকল্পে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান ও উপযোগী প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জটিলতা যেন কাটছেই না।

আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া, বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা এবং পরিচালনা বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করার মতো নানা অভিযোগের মধ্যে গেল ৮ নভেম্বর প্রকল্পের দরপত্রের আর্থিক প্রস্তাব উন্মোচন করা হয়। যেখানে দরপত্রে অংশ নেয়া তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। সবকিছু ঠিক থাকলে চুক্তির পর এসব সরঞ্জাম সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি। তবে খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দরপত্রের মাধ্যমে সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করা ক্ষেত্রে যেমন দীর্ঘসূত্রিতা করা হয়েছে, একইভাবে চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করার ক্ষেত্রেও সেটি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’  বাস্তবায়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দ্রুতই বাস্তবায়ন জরুরি।

দেশে ফাইভজি চালুর জন্য ১ হাজার ৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে হাতে নেওয়া হয় ‘ফাইভ-জি রেডিনেস’ প্রকল্প। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এতে সরঞ্জাম কেনার জন্য ব্যয় ধরা হয় ৪৬৩ কোটি টাকা। সরঞ্জাম সরবরাহে ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেপ্টেম্বর মাসে দরপত্রের প্রি-বিডিং মিটিং হয়। পরে সরকারি ক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত তিন সদস্যের দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি গত বছরের ২০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দরপত্রটি উন্মুক্ত করে।

দরপত্রে প্রস্তাব দাখিল করে তিনটি কোম্পানি হুয়াওয়ে টেকনোলজিস লিমিটেড, জেডটিই করপোরেশন এবং নকিয়া সলিউশন। আর্থিক প্রস্তাবের তথ্য অনুযায়ী, ফাইভজি প্রকল্পে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য হুয়াওয়ে ৩২৬ কোটি টাকা দরপত্র দাখিল করে। জেডটিই দাখিল করে ৪১৫ কোটি টাকা এবং নকিয়া ৫৭৯ কোটি টাকার। সেই হিসাবে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জেডটি’র তুলনায় ৯০ কোটি টাকা কমে সরঞ্জাম সরবরাহ করতে পারবে হুয়াওয়ে। আর প্রকল্পে সরকারের অনুমোদিত ব্যয়ের তুলনায় ১৩৭ কোটি টাকা কমে দরপত্র দাখিল করেছে হুয়াওয়ে, যার পুরোটাই সরকারের সাশ্রয় হবে।

কারণ দীর্ঘজটিলতার মধ্যে দিয়ে আসা প্রকল্পটি এখনই আলোর মুখ দেখবে কিনা সেটি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। কারণ হিসেবে প্রকল্পের শুরু থেকেই চলা জটিলতাকে দায়ী করছেন তারা। পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে আইন ও বিধি লঙ্ঘন, বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা ও পরিচালনা বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগের বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসছেন তারা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর তথ্যমতে, দরপত্র আহ্বানের সব শর্ত পূরণ করার মাধ্যমেই তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তিনটি কোম্পানির সবাইকে যোগ্য হিসেবে মূল্যায়ন করে সাত সদস্যের কারিগরি কমিটিও। তবে এরপরই শুরু হয় জটিলতা। দরপত্রগুলোর মূল্যায়ন করে গত ৬ এপ্রিল বিটিসিএলের কাছে প্রতিবেদন পাঠায় কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি)। প্রতিবেদন অনুমোদন দিয়ে আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত করার অনুমতির জন্য সুপারিশ করে তারা। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রকল্প কার্যালয় প্রধান (হোপ) অর্থাৎ বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আসাদুজ্জামান চৌধুরী দুটি দরদাতার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠান টিইসির কাছে।

সরকারি ক্রয় নীতিমালা-২০০৮ এর নিয়ম অনুযায়ী, কারিগরি কমিটির প্রতিবেদন দুই সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন করতে হবে প্রকল্প পরিচালককে। কিন্তু ২৪ দিন পর তিনি টিইসির কাছে ব্যাখ্যা চান।

টিইসি ব্যাখ্যা দিলেও গত ১৮ মে প্রকল্প পরিচালকের অফিস জানায়, প্রাপ্ত উত্তর সন্তোষজনক নয়। এরপর কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদন না করে ক্রয়কারী কর্তৃক বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলে নির্দেশনা দেন আসাদুজ্জামান চৌধুরী।

এরপর ৪২ দিন পার হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গত ২৫ মে প্রকল্প কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে পিপিআর ২০০৮ অনুযায়ী, সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককের কাছে নথি পাঠানো হয়। তিনি এখতিয়ার এবং বিধি বহির্ভূতভাবে প্রকল্পের ‘দরপত্র পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের’ নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ ওঠে। 

‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৬ এবং পিপিআর-২০০৮ অনুযায়ী, অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ (এ ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদ) দরপত্র বা প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ অনুমোদন বা কারণ ব্যাখ্যা ছাড়া দরপত্র বাতিল করে পুনঃমূল্যায়ন বা পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের নির্দেশ দিতে পারেন না।

আবার, তিন জন দরদাতার মধ্যে দুই জনের সার্টিফিকেটের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও তিনি পুরো দরপ্রস্তাবই বাতিল করেন, যা বিধি বর্হিভূত।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ওঠে, প্রকল্প পরিচালক আসাদুজ্জামান চৌধুরী পিপিআর-২০০৮ -এ বর্ণিত সময়সীমা ১৫ দিন না মেনে ৫৫ দিন পরে পুনঃদরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি নিয়ে ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনের পর পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট-২০০৬ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস-২০০৮ অনুসরণ করে নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দেওয়া হলেও সেটি অনুসরণ করেননি তিনি।

গত ২৪ জুলাই বিটিসিএলের বোর্ড সভায় এ সংক্রান্ত কার্যপত্রের ওপর আলোচনা হয়। সেখানে বলা হয়, হোপের মাধ্যমে অনুমোদন প্রক্রিয়ায় বিধি ও প্রক্রিয়াগত স্পষ্ট বিচ্যুতি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। সরকারি ক্রয় আইন ও বিধিমালার আলোকে ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন করে দরপত্র প্রক্রিয়ায় দ্রুত নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এদিকে দরপত্র বাতিলের বিষয়ে আসাদুজ্জামান চৌধুরীর আদেশের বিরুদ্ধে হুয়াওয়ে অভিযোগ দাখিল করে। গত ৯ অক্টোবর এই অভিযোগের ওপর শুনানি করে সেন্ট্রাল প্রকিওরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)।

সব পক্ষের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য নেওয়ার পর ২২ অক্টোবর সিপিটিইউ দরপত্র বাতিলের আদেশ অকার্যকর ঘোষণা করে। তিনটি প্রতিষ্ঠানকে রেসপন্সিভ ঘোষণা করে। আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত করার পর আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। প্রকল্পের ক্রয়কারী কার্যালয়ের প্রধান আসাদুজ্জামান চৌধুরীসহ অন্যদের (যদি থাকে) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়সহ বিটিসিএল বোর্ড কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এদিকে আসাদুজ্জামানকে প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিটিসিএল থেকে তার মূল প্রতিষ্ঠান টেলিযোগাযোগ অধিদফতরে বদলি করা হয়।

রিভিউ প্যানেল এবং বোর্ডের নির্দেশনার পর দরদাতাদের আর্থিক প্রস্তাব ২৬ অক্টোবর খোলা হবে বলে নোটিশ দেওয়া হয়। পরে ওই নোটিশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হলে ২২ অক্টোবর আদালত সিপিটিইউ-এর রিভিউ প্যানেলের আদেশের ওপর ১৫ দিনের স্থগিতাদেশসহ রুল জারি করেন।

ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সংক্ষুব্ধ হিসেবে আসাদুজ্জামান রিট পিটিশন দায়ের করেন। গত ৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত সিপিটিইউ এর রিভিউ প্যানেলের আদেশের ওপর ১৫ দিনের স্থগিতাদেশসহ দেওয়া রুল আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। আদালতের এই আদেশের পর ৮ নভেম্বর আর্থিক প্রস্তাব খোলা হয়।

জানা গেছে, কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি সম্মতি দিলেও মন্ত্রীর পরামর্শে ব্যবস্থাপনা পরিচালক দরপত্র বাতিল করে দেন। কেননা, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাতিলের পক্ষে ছিলেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন,  এটা বিধির লঙ্ঘন। কারণ, দুজনের কেউই মূল্যায়ন কমিটিতে ছিলেন না। তারা কীভাবে বাতিলের পক্ষে মত দেন, সে প্রশ্ন ওঠে।

আগের দরপত্র বাতিলের পক্ষে থাকা ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বরাবরই বলে আসছেন এ দরপত্রের মাধ্যমে আসলে ২০১৫ সালের পুরনো মডেলের যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে, যা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অচল হয়ে যা্বে বলে আশঙ্কা তার। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যান্ডউইথের চাহিদা হবে ২৯.৮ টেরাবাইট।  সে তুলনায় টেন্ডারে সেকেন্ড-প্রতি ১২৬.২ টেরাবাইট ক্যাপাসিটি’র সংস্থান রাখা হয়েছে।  সুতরাং, এই ক্যাপাসিটির ব্যান্ডউইথ দিয়ে ২০৩০ সালের চাহিদা মিটিয়ে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।

ফলে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এ দরপত্র বাতিল করা কোনোভাবেই সমীচীন হবে না বলে মনে করছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট অধিকাংশই। তাদের মতে,  প্রকল্প প্রণয়নের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রায় ২৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। দরপত্রটির কারিগরি নির্দেশ প্রণয়ন হতে শুরু করে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৯ মাস সময় লেগেছে। এখন যদি দরপত্র বাতিল করে নতুন করে সব কিছু করা হয়, তা শেষ হতে আরও দুই বছর সময় লাগবে। যা একদিকে সরকারি অর্থের অপচয় এবং অপরদিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের উদ্দেশ্য অর্জন বিলম্বিত হবে।


আরও খবর



রাণীনগরে অটোরিকশার ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৮জন দেখেছেন

Image

নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁর রাণীনগরে অটোরিকশার ধাক্কায় আমজাদ হোসেন মন্ডল (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। নিহত আমজাদ হোসেন উপজেলার ছয়বাড়িয়া গ্রামের শমসের আলীর ছেলে। আজ শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আবাদপুকুর-রাণীনগর সড়কের খাগড়া মোড়ের অদুরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় নিহতের পরিবার ও এলাকার মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার দিন দুপুরে আমজাদ হোসেন পায়ে হেটে সিম্বা বাজার থেকে কাজ শেষে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এসময় খাগড়া মোড়ের অদুরে পৌঁছলে হঠাৎ করে একটি অটোরিকশা তাকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে তিনি গুরুত্বর আহত হন। স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাণীনগর হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করে। পরে সেখানেও অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।  মেডিক্যাল কলেজে নেওয়ার পথেই তিনি মারা যান।রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ বলেন, অটোরিকশার ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহতের ঘটনায় এখনো কেউ কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



মনোনয়নপত্র বাতিল চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এ জন্য মনোনয়ন ফরম তুলে ছিলেন রাজশাহী-১ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জন্য। তবে দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড তাকে বিবেচনায় নেয়নি।

দল মনোনয়ন না দেওয়ায় রাজশাহী-১ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এখন স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেন এ নায়িকা। কিন্তু এক শতাংশ ভোটার জালিয়াতির (ভুয়া স্বাক্ষর) অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে রাজশাহী নির্বাচন কমিশন অফিস।

এদিকে শনিবার (২ ডিসেম্বর) সামাজিক মাধ্যমে মাহি লিখেছেন, ‘যেটা খবর পেলাম সেটা যদি সত্যি হয় তাহলে আপনার কপালে খারাপ আছে বলে দিলাম যুদ্ধ ঘোষণা হবে কালকে।

তার এই পোস্ট মনোনয়নপত্র বাতিলের ইঙ্গিত কি না সেটা নিশ্চিত নয়। তবে মন্তব্যের ঘরে অনুরাগীরা তাকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন।

এর আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে মাহি বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করাটা আমারও দায়িত্ব। প্রার্থী যত হবে, কেন্দ্রে ভোটার তত আসবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করতেই আমি প্রার্থী হচ্ছি, যাতে বিশ্ববাসী দেখে। আশা করছি, এলাকার ভোটাররা আমার সঙ্গে থাকবেন।

মাহির গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায়। আর তার নানার বাড়ি পার্শ্ববর্তী রাজশাহীর তানোর উপজেলায়। তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত রাজশাহী-১ আসনের যেকোনো একটিতে তিনি নির্বাচন করতে কিছুদিন ধরে মাঠে রয়েছেন।

চিত্রনায়িকা মাহি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। ২০০৮ সাল থেকেই তিনি এ আসনের এমপি।


আরও খবর

"এক বউয়ের দুই স্বামী "

বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩




আপনাদের মাধ্যমে রাণীশংকৈলকে বদলাতে চায় ব্যবসায়ীদের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে রাজু

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:আমি কুয়েত প্রবাসী,ইচ্ছা করলে ঢাকায় কিংবা  দেশের বাইরে ব্যবসা করে,এখানকার থেকে দ্বিগুণ লাভ করতে পারতাম। কিন্তু আমার জন্মভূমিকে ভালোবেসে বলিদ্বারার মানুষকে ভালোবেসে এখানে ব্যবসা করতে এসেছি। আপনাদের কাছে টাকা পয়সা কিছু চাই না। শুধু যে কোন কাজে  আপনারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি আপনাদের সহযোগিতায়  বলিদ্বারার মানুষকে ব্যবসার মাধ্যমে বদলাতে চায়। ব্যবসায়ীদের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে এস আর ইমপেক্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সি ই ও শাহাজাহান আলী রাজু তাঁর স্বাগত বক্তব্যে এ কথা বলেন। 

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিজনেস সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে এদিন দুপুরে বলিদ্বরা বাজার সংলগ্ন এস আর গ্রুপের হাস্কিং মিল চত্বরে এস আর ইমপেক্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাজাহান আলী রাজুর উদ্যোগে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, রাণীশংকৈলের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহাজামাল আলী। 

সমাজকর্মী প্রসেনজিৎ দাস মলয়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আ.লীগ যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আহম্মেদ হোসেন বিপ্লব, রাণীশংকৈল ইসলামী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আ জ ম শফিউল্লাহ, আ.লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার ও বাদল হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী মো. আলাউদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক সামিউদ্দিন আহম্মেদ, আইয়ুব আলী, আহসান আলী, আল আমীন, মনজুরুল আলম, হুমায়ুন কবির, মো.শরিফ, মো.জুয়েলসহ প্রায় শতাধিক বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিবর্গ,শিক্ষক ও
সাংবাদিকরা  উপস্থিত ছিলেন। 

আরও খবর



খাগড়াছড়ি আসনের আ,লীগের মনোনয়ন পএ সংগ্রহ করলেন.কুজেন্দ্র লাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি ২৯৮নং আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পএ সংগ্রহ করলেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য ও ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কর্ফোস চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

 সোমবার (২০ নভেম্বর) কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা এমপির পক্ষে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী,।  

কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা এমপির পক্ষে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ এর সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কল্যান মিত্র বড়ুয়া, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এড. আশুতোষ চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগের  আব্দুল জব্বার,জেলা আওয়ামী লীগের  সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দিদারুল আলম দিদার, পার্বত্য  জেলা পরিষদের সদস্য নিলোৎপল খীসা,পার্বত্য  জেলা পরিষদের সদস্য হিরন জয় ত্রিপুরা,পার্বত্য  জেলা পরিষদের সদস্য,  খোকনেশ্বর ত্রিপুরা,পার্বত্য  জেলা পরিষদের সদস্য,  মাঈনউদ্দিন,জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক চন্দন কুমার দে ও উপ দপ্তর সম্পাদক নুরুল আযম সহ জেলা আওয়ামীলীগের শতাধিক নেতৃবৃন্দ।
 
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা  খাগড়াছড়ি ২৯৮নং আসনে আওয়ামী লীগের  নৌকার ব্যানারে মনোনয়ন সংগ্রহ করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তারই ধারাবাহিকতায়  ২০১৮ সাল সহ  দুই বার নির্বাচিত হয়ে খাগড়াছড়ি ২৯৮নং আসনের ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কর্ফোস চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। দায়িত্ব পালন করেন। এবার ও তিনি খাগড়াছড়ি ২৯৮নং আসনের মনোনয়ন পএ সংগ্রহ করেছেন।

খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, আমাদের বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাগড়াছড়ির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আস্থার ঠিকানা কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপিকে টানা তৃতীয় মেয়াদে নৌকা প্রতীক দিবেন। কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে মনোনয়ন দিলে  তাকে জয়যুক্ত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আসনটি উপহার দেবেন বলেও জানান।

উল্লেখ্য, মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। যাচাই-বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর। মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬-১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থী প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতিক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। প্রচার-প্রচরনার শেষ তারিখ ৫ জানুয়ারি। ভোট গ্রহণ ৭ জানুয়ারি।

আরও খবর