Logo
আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মির্জা আব্বাস কারামুক্ত হলেন

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:৩৬টি মামলায় জামিন পেয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে মুক্ত হয়েছেন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটক দিয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি।

মির্জা আব্বাস ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে উপস্থিত হলে দলের নেতাকর্মীরা মুহুর মুহুর করতালি দিয়ে তাকে বরণ করে নেন। কর্মীরা নেতাদের ফুলের পাঁপড়ি ছিটিয়ে বলেন, ‘মির্জা আব্বাস ভাইয়ের ভয় নেই, আমরা আছি তোমার সঙ্গে’, ‘মির্জা আব্বাসের ভাইয়ের মুক্তি আন্দোলনের শক্তি, ইত্যাদি স্লোগান দিতে খাকেন।

এসময় নেতাকর্মীদের হাত তুলে অভিবাদন জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সব সময় গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য, ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম ও লড়াই করেছে। আমাদের গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য মুক্তির আন্দোলন চলবে। কারাগার চিকিৎসার প্রতুলতার কারণে নেতাকর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে অভিযোগ করে তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ জানান, বিএনপির নেতা মির্জা আব্বাসের ৩৬টি মামলায় জামিন হয়েছে। সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় জামিননামা কারাগারে পৌঁছানোর পর নিয়ম অনুযায়ী তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় আব্বাসের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা হয়। পরদিন ২৯ অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসব মামলায় ক্রমান্বয়ে জামিন পান তিনি। সবশেষ ঢাকা রেলওয়ে থানার এক মামলায় ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস উদ্দিন সোমবার তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।


আরও খবর



সৈয়দ আফজাল হোসেনকে নিয়োগ দিল বিএটি বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএটি বাংলাদেশের কোম্পানি সেক্রেটারি ও সিনিয়র লিগ্যাল কাউন্সেল হিসেবে সম্প্রতি সৈয়দ আফজাল হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। করপোরেট অনুশীলনের (করপোরেট প্র্যাকটিস) ক্ষেত্রে ৭ বছর ও আইন (মামলা-মোকদ্দমা) বিষয়ে তার ১২ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়া, দীর্ঘ কর্মজীবনে তার টেলিযোগাযোগ, ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্স, ভ্যাট-ট্যাক্স, করপোরেট, বিদ্যুৎ-জ্বালানি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থানের মতো বিভিন্ন খাতে কাজের অভিজ্ঞতা আছে। বিএটি বাংলাদেশে ২০১৭ সালে লিটিগেশন এন্ড কমার্শিয়াল কাউন্সেল হিসেবে যাত্রা শুরু করেন তিনি।

এ বিষয়ে সৈয়দ আফজাল হোসেন বলেন, “বিএটি বাংলাদেশের বর্ধিত লিডারশিপ টিমের অংশ হতে পেরে আমি অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত; শত বছরের সমৃদ্ধ পরম্পরা রয়েছে এমন একটি প্রতিষ্ঠানে আমার আইনি জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগাতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। সবার জন্য সম্ভাবনাময় আগামী নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমি আইনের বিধিমালার অধীনে থেকে জটিল আইনি পরিস্থিতির সমাধান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবো।”

আফজাল যুক্তরাজ্য থেকে তার পড়াশোনা সম্পন্ন করেন; ইউনিভার্সিটি অব লেস্টার থেকে এলএলবি (সম্মান), ইনস অব কোর্ট স্কুল অব ল থেকে বার ভোকেশনাল কোর্স ও সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে প্রফেশনাল অ্যান্ড লিগ্যাল স্কিলসে পোস্টগ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেছেন। তিনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সালিসে দক্ষ।

একইসাথে, তিনি ব্যারিস্টার-এট-ল’ (ইংল্যান্ড ও ওয়েলস), সিইডিআর (যুক্তরাজ্য) এর স্বীকৃত মধ্যস্থতাকারী ও বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে পরিচিত। তিনি অনারেবল সোসাইটি অব লিংকন্স ইন, বার অব ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশন সহ অসংখ্য পেশাদার সংস্থার সদস্য।

সৈয়দ আফজাল হোসেন বিএটি বাংলাদেশে তার সমৃদ্ধ আইনি জ্ঞান ও দক্ষতা ব্যবহার করে নিজেকে লিডারশিপ টিম ও প্রতিষ্ঠানের অপরিহার্য সদস্য করে তুলবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আইনি শ্রেষ্ঠত্বের ক্ষেত্রে তার বিস্তৃত অভিজ্ঞতা ও প্রতিশ্রুতি প্রতিষ্ঠানের সফলতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।


আরও খবর



ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার আয়োজনে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্কলার্স কাপ ২০২৪’

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার আয়োজনে মর্যাদাপূর্ণ ‘ওয়ার্ল্ড স্কলার্স কাপ ২০২৪’ শুরু হয়েছে। দুই দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতার জমজমাট বুদ্ধির লড়াইয়ে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা ইয়েলে ‘টুর্নামেন্ট অব চ্যাম্পিয়ন্সে’ অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে। গ্রেড ৫-১২ এর মেধাবীদের জন্য আয়োজন করা অনবদ্য এই প্রতিযোগিতায় থাকছে মেডেল, ট্রফি, সার্টিফিকেট সহ আরও অনেক কিছু জিতে নেয়ার সুযোগ।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের দুইটি দলে ভাগ করা হয়েছে। ১০-১৩ বছর বয়সীদের জন্য জুনিয়র গ্রুপ এবং ১৪ বা তার বেশি বয়সীদের জন্য সিনিয়র গ্রুপ। এতে সারা দেশের বিভিন্ন স্কুলের ২ শ’র বেশি শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।

সমসাময়িক বিষয় ও ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে সাংস্কৃতিকভাবে বৈচিত্র্যময় শিক্ষার্থীদের একত্রিত করার উদ্দেশ্যে দলগত অ্যাকাডেমিক প্রতিযোগিতা হিসেবে আন্তর্জাতিক ও মর্যাদাপূর্ণ ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্কলার্স কাপ’-এর আয়োজন করা হয়, যেখানে ৬০ টিরও বেশি দেশের প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করছে। প্রতিযোগিতাটি স্কলার্স বোল, কোলাবোরেটিভ রাইটিং, স্কলার্স চ্যালেঞ্জ ও টিম ডিবেটের মতো চ্যালেঞ্জিং ও আকর্ষণীয় অ্যাকাডেমিক আয়োজনের জন্য সুপরিচিত। এ বছরের বিভিন্ন মাসে বাকু, কুয়ালালামপুর, স্টকহোম, সিউল, ডালিয়ান ও ব্যাংককে প্রতিযোগিতার পরের ধাপ হিসেবে গ্লোবাল রাউন্ডের আয়োজন করা হবে। প্রতিযোগিতাটি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের অসামান্য দক্ষতা প্রদর্শন এবং ব্যক্তিগত মেডেল ও দলগত ট্রফি জিতে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে এসেছে।

এ বিষয়ে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার প্রিন্সিপাল ড. শিবানন্দ সিএস বলেন, “ওয়ার্ল্ড স্কলার্স কাপের আয়োজন করতে পারা সত্যিই সম্মানের। তরুণদের নিজেদের মতো করে মঞ্চ জয় করে নেয়ার বিষয়টি আসলেই অভাবনীয়। এই দুই দিনের অসামান্য বুদ্ধিবৃত্তিক চ্যালেঞ্জ ও সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান এই প্রতিযোগিতার বাইরেও তাদের বন্ধুত্ব হিসেবে রয়ে যাবে বলে আশাবাদী আমরা।”

ইতোমধ্যে প্রতিযোগিতার রিজিওনাল রাউন্ড, গ্লোবাল রাউন্ড ও ইয়েল ইউনিভার্সিটির ‘টুর্নামেন্ট অব চ্যাম্পিয়ন্সে’ ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকা অংশগ্রহণ করেছে। জ্ঞানের অনবদ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ হিসেবে এ বছর আয়োজক হিসেবে সারা দেশের তরুণ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাচ্ছে তারা।


আরও খবর



জলঢাকায় সামাজিক সংগঠন "বন্ধন" এর বাংলা নববর্ষ উদযাপন

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image
শাহাজাহান কবির লেলিন,জলঢাকা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃনীলফামারীর জলঢাকায় আনন্দ শোভাযাত্রাসহ নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছে সামাজিক সংগঠন "বন্ধন"।রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে "বন্ধন" সামাজিক সংগঠন এর  উদ্যোগে পৌরসভার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বর্ণিল সাজেঁ আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে  প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

পরে জলঢাকা পৌর সভার ১ নং ওয়ার্ড দুন্দিবাড়ী সাইটের পাড়ে আলোচনা সভা ও বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার পান্তা ভাত, নৌকা ভ্রমণসহ নানান আয়োজন করেন সংগঠনটি।সভায় সামাজিক সংগঠন "বন্ধন" এর সভাপতি সাংবাদিক শাহাজাহান কবির লেলিন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন , উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,  শিক্ষাবীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর গাফফার, জাসদ জেলা সভাপতি অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন সাদের, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক, সামাজিক সংগঠন বন্ধন এর সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আবেদ আলী,সাবেক বালাগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিপন,পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি আনিছুর রহমান যাদু,১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল বাশার মিন্টু। আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্ধন এর সদস্য সাংবাদিক এরশাদ আলম,মাহাদী হাসান মানিক,জাহিনুর ইসলাম জীবন, আজম বাদশা সাবু,গোলাম রব্বানী, মশিয়ার রহমান,তহমিদার রহমান মিলন,সাহিন ইসলাম, রাজু ইসলাম, সহ সকল সদস্যবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বন্ধন এর সদস্য ও সাংবাদিক হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী হাসান।পরে তিস্তার সেচ ক্যানেলে নৌকা  ভ্রমণে সকল বয়সী মানুষ আনন্দ উল্লাস উপভোগ করেন। 

আরও খবর



ভ্যাপসা গরমের পাশাপাশি বিদ্যুত বন্ধ গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের অবস্থা ত্রাহি মধুসুদন

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃএমনিতেই গেল ১০ দিন যাবত প্রচন্ড তাপদাহ আর গরম অপরদিকে পল্লী বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের অজুহাতে বিদ্যুত বন্ধ। এতে রোগিদের অবস্থা মারাত্মক পর্যায়ে পৌছেছে। জ্বর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগিদের পাশাপাশি অন্যান্য রোগি সেবা নিতে আসা রোগিদের অবস্থা আরো নাজুক। বিদ্যুত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে একটি জেনারেটর থাকলেও সেটি দীর্ঘ দিন অচল। ফলে কোন ক্রমেই সংকট কাটছে না। রোগিদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার ও নার্সগণ। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ কোন স্বদুত্তর দিতে পারেনি।

মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত বুধবার মেহেরপুরের ৪১.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বৃহষ্পতিবার বেলা ৩ টায় সর্বোচ্চ ৪২.২ ডিগ্রী,শুক্রবার ৪২.৭ ডিগ্রী ও আজ শনিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯.৩ ডিগ্রী। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাপমাত্রার কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেও মন্তব্য করেছে আবহাওয়া অফিস। বৈরী আবহাওয়ায় অনেকেই তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার পাশে বিক্রি করা শরবত কিনে খাচ্ছেন। এতে করে দেখা দিচ্ছে নানা রোগবালাই। রোগীদের অধিকাংশই জ্বর, স্বর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডাইরিয়া রোগে আক্রান্ত।

বিশেষ করে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বিভিন্ন হাসপাতালে রোগিদের উপচে পড়া ভীড়। পা ফেলার জায়গা নেই। মেঝে ও সিঁড়িতেও রোগীরা ভর্তি রয়েছেন। শিশুদের কান্নায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। অনেকেই আউটডোরে পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। প্রতিদিন আড়াই শতাধিক রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর যে রোগির অবস্থা একটু সংকটাপন্ন তাকে ভর্তি রাখা হচ্ছে।

আজ রোব্বার সকালে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ৩০ জন পুরুষ, ৩৩ নারী, ৩৫ জন শিশু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগি রয়েছে ২৮ জন। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি দ্বিগুন রোগি ভর্তি থাকলেও প্রচন্ড রোগ ও ভ্যাপসা গরমে বিদ্যুতের কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই। এমনিতেই গরম আর দাবদাহ অন্যদিকে বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের নামে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুত বন্ধ। ফলে রোগিদের অবস্থা ত্রাহি মধুসুদন। অসুস্থ রোগিরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু রায়হানের মা রাশিদা জানান, তার ছেলে ডাইরিয়া রোগ নিয়ে আজ ৪ দিন ভর্তি।

প্রচন্ড গরমে আরো অসুস্থ হয়ে পড়তে হচ্ছে। বিদ্যুত বন্ধ হলে সিঁিড়তে আশ্রয় নিতে হয়। হাসপাতালের কোন জেনারেটরের ব্যবস্থা নেই। একই কথা জানালেন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু শাহানাজের মা জামিলা খাতুন। তিনি তার মেয়েকে নিয়ে ৫দির ভর্তি রয়েছেন। গরমে তাদের ভরসা একমাত্র তালের পাখা।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কয়েকজন জানান, এখানে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটর রয়েছে। প্রতি মাসে তেলেরও পর্যাপ্ত বরাদ্দ অথচ সেটি চলেনা। বছর খানেক হলো জেনারেটরটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। মেরামত  করার কোন উদ্যোগ নেই। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীই নয় রোগী সাধারনের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। তবুও কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না।

গাংনী পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম জানান, প্রচন্ত তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরম হলেও বাধ্য হয়ে বিদ্যুত বন্ধ রাখা  হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের কারনে ঘোষণা দিয়ে বন্ধ রাখা হয়। নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুতের জন্য সাময়িকভাবে এটি করতে হচ্ছে। এতে রোগি ও সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে কিন্ত কর্তৃপক্ষের কিছুই করার নেই।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রাণী জানান, জেনারেটরটি অকেজো হবার দুবার মেকানিক্স এনে ঠিক করার চেষ্টা করা হয় কিন্ত সেটি আর ভাল করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে এবং বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। আগামী বাজেটে ছাড়া কোন বরাদ্দ পাওয়া যাবে না। এখানে অসহায়ত্ব প্রকাশ করা ছাড়া কিছুই নেই।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নে যে বারাদ্দ পাওয়া যায় সেখানে সেটি ব্যায় করতে হয়। তাছাড়া এ বিষয়টি নিয়ে কোন প্রস্তাব উত্থাপন করেননি স্বাস্থ কর্মকর্তা। সরেজমিনে গিয়ে দেখে কোন ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা দেখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর জানান,তিনি বিষয়টি জানেন এবং জেনারেটরসহ অন্যান্য বিষয়গুলো যাতে সমাধান হয় তা দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।



আরও খবর



ঈদে ১৭২ বাইক দুর্ঘটনা: ঢামেকে ভর্তি ৮২, নিহত ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে,ঈদুল ফিতরের ছুটিতে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। তাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রাজধানী ও আশেপাশের এলাকায় সর্বমোট ১৭২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।

তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে বন্ধ থাকায় রাস্তাঘাট এমনিতেই ফাঁকা হয়ে যায়। এই সুযোগে মোটরসাইকেল চালকরা বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।

মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, বুধবার রাত ১২টা থেকে আজ রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলেই ১৭২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। এরমধ্যে ৮২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা আমাদের জানিয়েছেন।


আরও খবর