মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:২০২৪ সনের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে খান আহমেদ শুভ’র নৌকা প্রতীকের কাছে পাঁচ বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, তিন বার মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু’র ট্রাক মার্কা পরাজিত হয়েছে। সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা একাব্বর হোসেন এর মৃত্যুর পর অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে খান আহমেদ শুভ প্রথম বার এ আসনে জয়ী হন। এবার তার দ্বিতীয় জয়। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ মূলতঃ দু’টি দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তার বড় অংশই স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর এনায়েত হোসেন মন্টু’র হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছে। এই অংশের সাথে যুক্ত ছিল আওয়ামী লীগ থেকে মনোয়ন না পাওয়া বেশ কয়েকজন হেভীওয়েট নেতা। দিনরাত বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ করে তারা ট্রাক মার্কার পক্ষে ভোট চেয়েছেন। এবং জয়ের ব্যপারে তাদের কন্ঠে দৃঢ়তা পরিলক্ষিত হয়েছে।
অপরদিকে খান আহমেদ শুভ’র পক্ষে তুলনামূলক কিছুটা কম সংখ্যক নেতৃবৃন্দ নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠে কাজ করেছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই তরুণ। এই তরুণদের দিনরাত চ্যালেঞ্জিং প্রচারণায় ট্রাক মার্কা ধরাশায়ী হয়। মির্জাপুর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আজিজুর রহমান আজিজ বলেন, শত প্রস্তাব প্রলোভন উপেক্ষা করে আমি বঙ্গবন্ধুর নৌকার হাল ধরে বসে ছিলাম। তরুণ নেতাদের সাথে নিয়ে কাজ করেছি।
আনাইতারা ইউনিয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মমিনুর রহমান মমিন বলেন, আমি আমার ইউপি সদস্য পদ নির্বাচনেও এতটা পরিশ্রম করিনি যতটা এই নির্বাচনে করেছি। আমার বন্ধু আনাইতারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহব্বয়ক কমিটির সদস্য হালিম মিয়া এবং কৃষক লীগের সভাপতি খন্দকার শামীমকে সাথে নিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়িয়েছি। আজগানা ইউনিয়নের এক প্রবীণ স্কুল শিক্ষক মোতালেব হোসেন বলেন, গত উপ-নির্বাচনে শুভ পাশ করার পর থেকে সারা উপজেলায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কাজ করেছে। অনেক কাজ চলমান আছে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে অনেকবার যাতায়াত করেছে, যে কারণে দলমত নির্বিশেষে মানুষ তাকে ভোট দিয়েছে।
উল্লেখ্য, মির্জাপুর উপজেলায় মোট ভোটার ৩,৫৮,৪৩২ জন। নৌকা প্রতীক ভোট পেয়েছে ৮৭,৮২৬ টি এবং ট্রাক প্রতীক ভোট পেয়েছে ৫৫,৫৪২ টি। মোট ৩২,২৮৪ টি ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীকের খান আহমেদ শুভ জয় লাভ করেন।