মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃকুড়িগ্রামের রৌমারী বিদ্যুতের সংযোগ না পাওয়ায় বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সেচ প্রকল্প কোন কাজে আসছে না। রৌমারী উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ নিয়ে ১০টি সেচ প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পূর্ণ হলেও কৃষকের কোন কাজে আসছেনা। বরেন্দ্রর বহুমুখী উন্নয়ন সেচ প্রকল্প বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় আশঙ্কায় পরছেন স্থানীয় সুবিধাভোগী কৃষকরা। সাশ্রয়ী খরচে বোরো ধানের চাষাবাদের জন্য ৩০ লাখ টাকা ব্যয় সেচ সম্প্রসারণের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয় বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) কুড়িগ্রামের রৌমারী। বরেন্দ্র বহুমুখী প্রকল্প এঅঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির চাপ হ্রাস এবং সেচ সঙ্কট সমাধানে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির চাপ কমিয়ে নদী ও খাল থেকে পানি এনে জমিতে সেচ দিতে বিদ্যুৎ চালিত লো লিফট পাম্প (এলএলপি) স্থাপন এবং এলএলপির অধিভুক্ত সেচ এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির পাইপলাইন নির্মাণ করেছেন বিএমডিএ।
সেচ সঙ্কট মিটাতে কৃষিবান্দব সরকারের এই প্রকল্প বাস্তায়ন হলে সুফল পাবে এঅঞ্চলের হাজার কৃষক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রৌমারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যেসব বরেন্দ্রর সেচ প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যাদুর চর ইউনিয়নের যাদুরচর পাহাড় তলী,খেওয়ার চর, বোয়ালমারী, যাদুর চর পাহাড়তলী ২, যাদুর চর পাহাড়তলী ৩ , যাদুর চর পাহাড়তলী ৪,যাদুর চর ৫,কুরার চর ৬, বন্দবেড় ৭, পাহাড় তলী ৮,পাহার তলী ৯, পাহাড় তলী ১০টি পানির পাইপলাইন জিঞ্জিরাম নদের ভূগর্ভস্থ নির্মাণ করা হয়েছে।
১০টি এলএলপি সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে নদী থেকে পাইপযোগে পানি তুলে প্রায় সাড়ে তিনশো হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষবাদ হবে বলে জানা গেছে। প্রতিটি পাইপলাইনের মধ্যেস্থল পয়েন্টে রাখা হয়েছে, হাওয়া নিষ্কাশনের নিঃশ্বাস রোড। এতে দের কিলোমিটার পর্যন্ত পাইপলাইন করা হয়েছে যারমাধ্যমে গ্রামের কৃষকরা এ লাইন থেকে সেচ সুবিধা পাবেন। এঅঞ্চলের কৃষকদের অভিযোগ সারাজীবন ডিজেল চালিত শ্যালো মিশিন দ্বারা বোরোর চাষ করে আসছি। এবার সরকারের সুদৃষ্টিতে বরেন্দ্রর বহুমুখী প্রকল্প এখানে সাশ্রীয় খরচে বোরো ধান চাষ করা যাবে শুনে খুবই খুশি হয়েছিলাম কিন্ত বিদ্যুতের জটিলতায় সেআশা আর বাস্তবায়ন হচ্ছেনা ।
সরকারের কাছে জোর দাবী বিদ্যুতের জটিলতার নিরোশন করে বোরো ক্ষেতে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। কৃষক আব্দুল, আব্দুস ছালাম ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন অনেক বড় আশা নিয়ে দীর্ঘ তিনমাস ধরে এই বরেন্দ্র প্রকল্পের সাথে থেকে সবকিছুই করলাম কিন্ত কাজে আসছেনা। কারন বিদ্যুতের কি জটিলতা জানিনা তবে সরকারের কাছে জোর দাবী যাতে চলতি মৌসুমে বোরোর চাষ করতে সেদিকে সুনজর দিবেন।
এবিষয় রৌমারী উপজেলা সহকারী বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানায় রৌমারী উপজেলাটি একটি অবহেলিত দরিদ্র এলাকা হওয়ায় এখানে এলাকার উন্নয়নের সার্থে দশটি স্থানে সেচ প্রকল্পের আওতায় এনে কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে শুধু বাকি বিদ্যুৎ লাইন। বিদ্যু লাইনের কাজও আমরা সম্পূর্ণ করেছি এখন শুধু মিটার পেলেই পানির লাইন চালু করা যায়। এরজন্য আবেদন করা হয়েছে বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের ঠেলাঠেলিতে এপ্রকল্পের বিঘœ ঘটছে বলে জানা গেছে।